স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দোয়া,মেধা বৃদ্ধির দোয়া,স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর দোয়া!নামাজের পর ২১ বাড় পড়ুন

আজকের বিষয়: মনোযোগ আনার ইসলামিক উপায় ও দোয়া,পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়,মুখস্ত শক্তি বাড়াতে যে আমল করেছেন বিশ্বনবি,যে আমল মনোযোগ বাড়ে লেখা পড়ায়,পড়াশোনা মনে রাখার ইসলামিক উপায়,পড়া মনে রাখার দোয়া ও সহজ উপায় কি,জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য যে দোয়া বেশি বেশি পড়বেন


(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(demo) #size=(2)

১ঃ এক- পড়ালেখা করতে ইচ্ছা করে না কেন? নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। অন্যান্য ব্যস্ততা কিংবা দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা। যদি প্রথম কারণ হয় তাহলে সেসব অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। পড়ালেখার জন্য একনিষ্ঠতা অপরিহার্য। অন্য সকল ব্যস্ততা পরিহার করলে ইনশাআল্লাহ মন বসতে থাকবে।। নিজেকে ও নিজের সকল বিষয়কে আল্লাহ তাআলার কাছে সোপর্দ করে ভারমুক্ত হও এবং পড়াশোনায় মগ্ন হয়ে যাও। নিম্নের দোয়াটি মুখস্থ করে মাঝে মাঝে পড়বে–


اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ


অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”

হযরত আনাস রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ চিন্তাযুক্ত অবস্থায় উক্ত দোয়া পড়তেন। (বুখারী ২৮৯৩) পড়া মুখস্ত করার দোয়া ও পড়া মনে রাখার দোয়া

A। অধিক হারে আল্লাহর যিকির করবে। যেমন- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়া। আল্লাহ তাআলা বলেন: واذكر ربك إذا نسيت“যখন ভুলে যান তখন আল্লাহর যিকির করুন”। (সূরা কাহাফ: ২৪)

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(demo) #size=(2)

B। কোন কোন আলেম এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন- মধু ও কিসমিস খাওয়া।

ইমাম যুহরী বলেন: তুমি মধু খাবে; কারণ এটি স্মৃতিশক্তির জন্য ভাল।
তিনি আরও বলেন: যে হাদিস মুখস্ত করতে চায় সে যেন কিসমিস খায়। (খতীব আল-বাগদাদীর ‘আল-জামে’ ২/৩৯৪)
আলেমগণ আরও বলেন: অম্লজাতীয় খাবার স্মৃতিশক্তির জড়তা ও মুখস্থশক্তির দুর্বলতা বাড়ায়।

C । মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি ও ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে আরও যে জিনিসটি সাহায্য করে সেটি হচ্ছে- মাথায় শিংগা লাগানো। এটি পরীক্ষিত। (আরও বিস্তারিত জানতে ইবনুল কাইয়্যেম এর ‘আততিব্ব আন-নাবাবি’ পড়)।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

  • পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার আমল (কোরআনের জ্যোতি)


আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


স্মরণশক্তি কিংবা মুখস্ত করার যোগ্যতা মহান আল্লাহ তাআলা অনেক বড় নেয়ামত। কেউ চাইলে যেমন কোনো কিছু স্মরণ রাখতে পারে না আবার চাইলে যে কেউ কোনো কিছু মুখস্ত রাখতে পারে না। মুখস্ত করা বা স্মরণ রাখার জন্য আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

যুগে যুগে অনেক কম সময়ে ছোট থেকে বড় মানুষরাও পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্ত করেছেন। হজরত ইমাম শাফেঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে শুরু করে ৪ বছরের শিশুও রয়েছে এ তালিকায়। মুখস্ত শক্তি বা স্মরণশক্তি নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ তাআলার নেয়ামত।

কুরআনুল কারিম মুখস্ত রাখার কৌশল তথা স্মরণশক্তি বাড়াতে আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নসিহত পেশ করেছেন এবং দোয়া শিখিয়েছেন। যা উম্মতে মুসলিমার জন্য নসিহত ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম যখন ওহি নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাসের কাছে আসতেন। ওহি নাজিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা মুখস্ত করার চেষ্টা করতেন। আর তা ছিল বিশ্বনবির জন্য অনেক কষ্টসাধ্য কাজ।

আরোও পড়ুন:-তাহাজ্জুদ নামাজের সময়,তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা,তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত,তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়াতাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও নিয়ম,

তখন আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের একটি আয়াত নাজিল করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপদেশ দিলেন এবং একটি দোয়া শিখিয়ে দিলেন।

এ নসিহত এবং দোয়ার বরকতেই কুরআন আয়ত্ব করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কষ্ট দূর হয়ছিল। আর তাতে তিনি কুরআনের ওহি আয়ত্ব করেও প্রশান্তি লাভ করেন।

আর এ দোয়া ও নসিহতের আমলেই মানুষের মুখস্ত শক্তি ও স্মরণশক্তি দ্রুত বেড়ে যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ
‘সত্যিকার মালিক হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলা। আপনার কাছে আল্লাহর ওহি সম্পুর্ণ হওয়ার আগে আপনি কুরআন আয়ত্বের জন্য তাড়াহুড়া করবেন না।’

[আয়াতের প্রথমাংশে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওহি আসার পর তা মুখস্ত করার বিষয়ে তাড়াহুড়ে করতে নিষেধ করেছেন। বরং ধীরস্থিরতা অবলম্বনের উপদেশ দিয়েছেন।]

অতপর কুরআন আয়ত্ব করতে আয়াতের শেষাংশে এ দোয়া করতে বলেছেন-
وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
‘আর বলুন- হে আমার প্রভু! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দিন।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১১৪)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেয়া এ উপদেশ ও দোয়াই মানুষের মুখস্ত শক্তি বাড়ানোর অন্যতম উপায়।

সুতরাং মানুষের উচিত, যে কোনো পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো নয়, বরং ধীরস্থিরভাবে মহান আল্লাহর সাহায্য নিয়ে তা আয়ত্ব করার প্রচেষ্টা করা আর আল্লাহর কাছে একান্ত মনে এ দোয়া করা-
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
উচ্চারণ : ‘রাব্বি যিদনি ইলমা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আমার জ্ঞান (মুখস্ত বা স্মরণ শক্তি) বাড়িয়ে দিন।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের নসিহত ও দোয়ার মাধ্যমে মুখস্ত শক্তি বাড়িয়ে তোলার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  

আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড

Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !

Post a Comment

0 Comments