কোরআন সূরা আল মুহাম্মাদ,বৈশিষ্ট্য গুলো সূরা আল মুহাম্মাদ,সূরা মুহাম্মাদ আরবি লেখা,সূরা মুহাম্মাদ ব্যাখ্যা,সুরা মুহাম্মাদ প্রত্যেক রোগের ওষুধ বিশেষ, সূরা মুহাম্মাদ বাংলা তাফসীর

 

৪৭ . মুহাম্মাদ - ( محمّـد ) | নবী মুহাম্মাদ (সঃ)

মাদানী, মোট আয়াতঃ ৩৮


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


اَلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَضَلَّ اَعۡمَالَہُمۡ


আল্লাযীনা কাফারূওয়াছাদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি আদাল্লা আ‘মা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Those who disbelieved, and prevented (others) from Allah’s way, He (Allah) has rendered their deeds vain.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা কুফর অবলম্বন করেছে এবং অন্যদেরকে আল্লাহর পথে বাধা দান করেছে, আল্লাহ তাদের কর্ম নিষ্ফল করে দিয়েছেন। ১


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা কুফরী করে এবং অপরকে আল্লাহ্ র পথ হতে নিবৃত্ত করে তিনি তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দেন।


মাওলানা জহুরুল হক

যারা অবিশ্বাস পোষণ করে এবং আল্লাহ্‌র পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, তিনি তাদের ক্রিয়াকলাপ ব্যর্থ করে দেবেন।


তাফসীরঃ

১. কাফেরগণ দুনিয়ায় যেসব ভালো কাজ করে, যেমন গরীব-দুঃখীর সাহায্য, আর্তের সেবা ইত্যাদি, এর প্রতিদান আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ইহকালেই দিয়ে দেন। আখেরাতে তারা কিছুই পাবে না। কেননা আখেরাতের পুরস্কার পাওয়ার জন্য ঈমান শর্ত। তাই আখেরাতের হিসেবে তাদের কর্ম সম্পূর্ণ নিষ্ফল হয়ে যায়।



وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَاٰمَنُوۡا بِمَا نُزِّلَ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّہُوَ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ۙ کَفَّرَ عَنۡہُمۡ سَیِّاٰتِہِمۡ وَاَصۡلَحَ بَالَہُمۡ


ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া মা-মানূবিমা-নুঝঝিলা ‘আলামুহাম্মাদিওঁ ওয়াহুওয়াল হাক্কুমির রাব্বিহিম কাফফারা ‘আনহুম ছাইয়িআ-তিহিম ওয়া আসলাহা বা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

And those who believed and did righteous deeds and believed in that which is revealed to MuHammad,-and it is the truth (that has come) from their Lord-He will write off their evil deeds, and will set aright their state of affairs.


মুফতী তাকী উসমানী

আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি যা-কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আর সেটাই তো তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে আগত সত্য তা আন্তরিকভাবে মেনে নিয়েছে, আল্লাহ তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তাদের অবস্থা সংশোধন করে দিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে, আর এটাই তাদের প্রতিপালক হতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে, আর বিশ্বাস করছে তাতে যা মুহাম্মদের কাছে অবতীর্ণ হয়েছে -- আর সেটিই হচ্ছে তাদের প্রভুর কাছ থেকে আগত মহাসত্য -- তিনি তাদের মন্দ কার্যাবলী তাদের থেকে দূর করে দেবেন, আর ভাল করে দেবেন তাদের অবস্থা।



ذٰلِکَ بِاَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوا اتَّبَعُوا الۡبَاطِلَ وَاَنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّبَعُوا الۡحَقَّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ؕ کَذٰلِکَ یَضۡرِبُ اللّٰہُ لِلنَّاسِ اَمۡثَالَہُمۡ


যা-লিকা বিআন্নাল্লাযীনা কাফারুত্তাবা‘উল বা-তিলা ওয়া আন্নাল্লাযীনা আ-মানুত্তাবা‘উল হাক্কা মির রাব্বিহিম কাযা-লিকা ইয়াদরিবুল্লা-হু লিন্না-ছি আমছা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

That is because the disbelievers have followed falsehood, while the believers have followed the truth (that has come) from their Lord. This is how Allah explains their (respective) situations to the people.


মুফতী তাকী উসমানী

তা এইজন্য যে, যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তারা মিথ্যার অনুগামী হয়েছে এবং যারা ঈমান এনেছে, তারা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে আগত সত্যের অনুসরণ করেছে। এভাবেই আল্লাহ মানুষের কাছে তাদের অবস্থাদি বর্ণনা করেন। ২


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা এ কারণে যে, যারা কাফের, তারা বাতিলের অনুসরণ করে এবং যারা বিশ্বাসী, তারা তাদের পালনকর্তার নিকট থেকে আগত সত্যের অনুসরণ করে। এমনিভাবে আল্লাহ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা এইজন্যে যে, যারা কুফরী করে তারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যারা ঈমান আনে তারা তাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন।


মাওলানা জহুরুল হক

এইটিই, কেননা নিঃসন্দেহ যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা মিথ্যার অনুসরণ করে, আর যেহেতু যারা ঈমান এনেছে তারা তাদের প্রভুর কাছ থেকে আসা সত্যের অনুগমন করে। এইভাবে আল্লাহ্ লোকেদের জন্য তাদের দৃষ্টান্তগুলো স্থাপন করেন।


তাফসীরঃ

২. ضرب المثل -এর অর্থ দৃষ্টান্ত পেশ করা। বোঝানো হয়েছে, মুমিনদের কর্তৃক সত্যের অনুসরণ ও তাদের সফলতা লাভ এবং কাফেরদের কর্তৃক মিথ্যার অনুসরণ ও তাদের অকৃতকার্যতা দুই সম্প্রদায়ের এই দুই অবস্থা চমৎকারিত্বের দিক থেকে দৃষ্টান্তস্বরূপ। আল্লাহ তাআলা তাদের সেই অবস্থা মানুষের কাছে বর্ণনা করেন, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে। আয়াতের দ্বিতীয় তরজমা এভাবেও করা যেতে পারে যে, ‘এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্য তাদের দৃষ্টান্ত পেশ করেন।’ তখন প্রশ্ন হবে এ স্থলে সে দৃষ্টান্ত কোথায়? উত্তর হল, কাফেরদের কুফরী কাজের দৃষ্টান্ত হল মিথ্যার অনুসরণ’ আর মুমিনদের কর্মপ্রচেষ্টার দৃষ্টান্ত ‘সত্যের অনুসরণ’। -অনুবাদক



فَاِذَا لَقِیۡتُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَضَرۡبَ الرِّقَابِ ؕ حَتّٰۤی اِذَاۤ اَثۡخَنۡتُمُوۡہُمۡ فَشُدُّوا الۡوَثَاقَ ٭ۙ فَاِمَّا مَنًّۢا بَعۡدُ وَاِمَّا فِدَآءً حَتّٰی تَضَعَ الۡحَرۡبُ اَوۡزَارَہَا ۬ۚ۟ۛ ذٰؔلِکَ ؕۛ وَلَوۡ یَشَآءُ اللّٰہُ لَانۡتَصَرَ مِنۡہُمۡ وَلٰکِنۡ لِّیَبۡلُوَا۠ بَعۡضَکُمۡ بِبَعۡضٍ ؕ وَالَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ فَلَنۡ یُّضِلَّ اَعۡمَالَہُمۡ


ফাইযা-লাকীতুমুল্লাযীনা কাফারূফাদারবার রিকা-ব হাত্তাইযা আছখানতুমূহুম ফাশুদ্দুল ওয়াছা-কা ফাইম্মা-মান্নাম বা‘দুওয়াইম্মা-ফিদাআন হাত্তা-তাদা‘আল হারবুআওঝা-রাহা-যা-লিকা ওয়ালাও ইয়াশাউল্লা-হু লানতাসারা মিনহুম ওয়ালা-কিল লিইয়াবলুওয়া বা‘দাকুম ব্বিা‘দিওঁ ওয়াল্লাযীনা কুতিলূফী ছাবীলিল্লা-হি ফালাইঁ ইউদিল্লা আ‘মা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

So, when you encounter those who disbelieve, then (aim at) smiting the necks, until when you have broken their strength thoroughly, then tie fast the bond, (by making them captives). Then choose (to release them) either (as) a favour (shown to them,), or (after receiving) ransom,until the war throws down its load of arms. That (is Our command.) If Allah willed, He would have (Himself) subjected them to retribution, but (Allah ordered you to fight,) so that He may test some of you through some others. And those who are killed in Allah’s way, He will never let their deeds go to waste.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তাদের সাথে যখন তোমরা মুকাবেলা কর, তখন তাদের গর্দানে আঘাত করবে। অবশেষে তোমরা যখন তাদের শক্তি চূর্ণ করবে, তখন তাদেরকে শক্তভাবে গ্রেফতার করবে। তারপর চাইলে (তাদেরকে) মুক্তি দেবে অনুকম্পা দেখিয়ে অথবা মুক্তিপণ নিয়ে। ৩ (তোমাদের প্রতি এটাই নির্দেশ,) যাবৎ না যুদ্ধ তার অস্ত্র রেখে দেয় ৪ (অর্থাৎ যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়)। (তাদের ব্যাপারে) তোমাদের প্রতি এই নির্দেশ। আল্লাহ চাইলে নিজেই তাদেরকে শাস্তি দিতেন, কিন্তু (তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিচ্ছেন এজন্য যে,) তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। ৫ আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম নিষ্ফল করবেন না। ৬


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অতএব যখন তোমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা এদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাভ‚ত করবে তখন এদেরকে কষে বাঁধিবে ; এরপর হয় অনুকম্পা, নয় মুক্তিপণ। তোমরা জিহাদ চালাবে যতক্ষণ না যুদ্ধ এটার অস্ত্র নামিয়ে ফেলে। এটাই বিধান। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে এদেরকে শাস্তি দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি চান তোমাদের একজনকে অপরকে দিয়ে পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহ্ র পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাদের কর্ম বিনষ্ট হতে দেন না।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

মাওলানা জহুরুল হক

সেজন্য যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের সাথে যখন তোমরা মোকাবিলা কর তখন গর্দান মারা, পরিশেষে যখন তোমরা তাদের পরাজিত করবে তখন মজবুত করে বাঁধবে, তখন এরপরে হয় সদয়ভাবে মুক্তিদান, না হয় মুক্তিপণ গ্রহণ -- যতক্ষণ না যুদ্ধ তার অস্ত্রভার নামিয়ে দেয়, এমনটাই। আর আল্লাহ্ যদি চাইতেন তাহলে তিনিই তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারতেন, কিন্ত এইজন্য যে তোমাদের কারোকে যেন অপরের দ্বারা তিনি সুনিয়ন্ত্রিত করতে পারেন। আর যাদের আল্লাহ্‌র পথে শহীদ করা হয় তাদের ক্রিয়াকর্মকে তিনি কখনো লক্ষ্যহারা হতে দেবেন না।


তাফসীরঃ

৩. বদরের যুদ্ধে কাফেরদের সত্তরজন লোক বন্দী হয়েছিল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সাথে পরামর্শক্রমে তাদেরকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন। এটা আল্লাহ তাআলার পছন্দ ছিল না, যে কারণে সূরা আনফালে (৮ : ২২-২৩) ইরশাদ হয়েছিল, কাফেরদের শক্তি যতক্ষণ সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত মুক্তিপণের বিনিময়েও তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া সঠিক ব্যবস্থা নয়। কেননা এ অবস্থায় শত্রুদের ছেড়ে দিলে, তাদেরকে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। সূরা আনফালের সে আয়াতসমূহ দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অবকাশ ছিল যে, ভবিষ্যতেও বোধ হয় যুদ্ধবন্দীদেরকে মুক্তি দেওয়া জায়েয হবে না। তাই এ আয়াতে বিষয়টা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বোঝানো হচ্ছে যে, তখনকার পরিস্থিতি বন্দী মুক্তির অনুকূল ছিল না, যেহেতু তখনও পর্যন্ত তাদের শক্তি ভালোভাবে চূর্ণ হয়নি। আর সে কারণেই মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ায় আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যেহেতু তাদেরকে বেশ পর্যুদস্ত করা হয়েছে, তাই তাদেরকে মুক্তি দানে কোন ক্ষতি নেই। এখন মুসলিম শাসকের পক্ষে দুটো পন্থার যে-কোনওটিই অবলম্বন করা জায়েয। চাইলে কোন রকম মুক্তিপণ ছাড়াই সম্পূর্ণ অনুকম্পার ভিত্তিতে তাদেরকে ছেড়ে দেবে অথবা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেবে। সুতরাং এ আয়াতের আলোকে ইসলামী সরকার চার কিসিমের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে। (এক) বন্দীদেরকে বিনা মুক্তিপণে ছেড়ে দিয়ে তাদের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করা। (দুই) মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া। বন্দী বিনিময়ও এর অন্তর্ভুক্ত। (তিন) তাদেরকে জীবিত ছেড়ে দেওয়ার ভেতর যদি এই আশঙ্কা থাকে যে, তারা মুসলিমদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তবে তাদেরকে হত্যা করারও অবকাশ আছে, যেমন সূরা আনফালে (৮ : ২২-২৩) বলা হয়েছে। (চার) যদি তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়, জীবিত রাখা হলে তারা মুসলিমদের জন্য বিপজ্জনক হবে না; বরং তারা মুসলিমদের পক্ষে অনেক উপকারী হবে এবং তারা বিভিন্ন রকমের সেবা দান করতে পারবে, তবে তাদেরকে গোলাম বানিয়ে রাখা যাবে আর সেক্ষেত্রে ইসলাম তাদের প্রতি যে সদাচরণের হুকুম দিয়েছে তা পুরোপুরি রক্ষা করে তাদেরকে ভ্রাতৃত্বের মর্যাদা দান করতে হবে। উপরিউক্ত চার পন্থার কোনওটিই বাধ্যতামূলক নয়; বরং ইসলামী রাষ্ট্রের অবস্থা অনুযায়ী সরকার যে-কোনও পন্থা অবলম্বন করতে পারে। তবে এ এখতিয়ার সেই সময়ই প্রযোজ্য, যখন যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে শত্রুপক্ষের সাথে কোনও রকম চুক্তি না থাকে। চুক্তি থাকলে সে অনুযায়ী কাজ করা অপরিহার্য। বর্তমানকালে আন্তর্জাতিকভাবে অধিকাংশ রাষ্ট্র এই চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছে যে, তারা যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করতে বা দাস বানাতে পারবে না। যেসব রাষ্ট্র এ চুক্তিতে শরীক আছে, তারা যত দিন শরীক থাকবে তাদের জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতেও এর অনুসরণ করা অপরিহার্য।


৪. অর্থাৎ অমুসলিমকে হত্যা বা বন্দী করা জায়েয কেবল যুদ্ধাবস্থায়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যখন উভয় পক্ষে শান্তিচুক্তি স্থাপিত হয়ে যাবে, তখন আর কাউকে হত্যা বা বন্দী করা জায়েয হবে না।


৫. অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাদের উপর কোন আযাব নাযিল করে সরাসরিও তাদেরকে ধ্বংস করে দিতে পারতেন, কিন্তু তা না করে যে তোমাদের উপর জিহাদের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তার উদ্দেশ্য ছিল তোমাদেরকে পরীক্ষা করা। তিনি দেখতে চান দীনের জন্য তোমরা জান-মালের কুরবানী কতটুকু দাও এবং যে-কোনও পরিস্থিতিতে অবিচলিত থেকে কতবড় ঝুঁকি গ্রহণে প্রস্তুত থাক। সেই সঙ্গে কাফেরদেরকেও পরীক্ষা করতে চান যে, তারা আল্লাহর সাহায্য দেখে দীনের প্রতি আকৃষ্ট হয়, না কুফরকেই আঁকড়ে ধরে রাখে।


৬. যারা যুদ্ধে শহীদ হয়ে যায়, তাদের সম্পর্কে কারও ধারণা হতে পারে, তারা যেহেতু জয়লাভের আগেই ইহলোক ত্যাগ করেছে, তাই তারা বুঝি ব্যর্থ হয়ে গেছে এবং তাদের শ্রম পণ্ড হয়ে গেছে। তাই এ আয়াত পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, তারা ব্যর্থ হয়নি। দীনের পথে যেহেতু তারা কুরবানী দিয়েছে, তাই তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সুতরাং আল্লাহ তাআলা তাদের শ্রমকে নিষ্ফল করবেন না, বরং তাদেরকে তাদের আসল ঠিকানা জান্নাতে পৌঁছিয়ে দেবেন।



سَیَہۡدِیۡہِمۡ وَیُصۡلِحُ بَالَہُمۡ ۚ


ছাইয়াহদীহিম ওয়া ইউসলিহুবা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

(Instead,) He will guide them, and will set aright their state of affairs,


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি তাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছিয়ে দেবেন এবং (আখিরাতে) তাদের অবস্থা ভালো রাখবেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি তাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন।


মাওলানা জহুরুল হক

তিনি তাদের পথপ্রদর্শন করবেন এবং তাদের অবস্থা ভালো করবেন।



وَیُدۡخِلُہُمُ الۡجَنَّۃَ عَرَّفَہَا لَہُمۡ


ওয়াইউদখিলুহুম জান্নাতা ‘আররাফাহা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

and will admit them to the Paradise He has identified for them.


মুফতী তাকী উসমানী

তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যা তাদেরকে ভালোভাবে চিনিয়ে দিয়েছিলেন ৭


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার কথা তিনি তাদেরকে জানিয়েছিলেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের প্রবেশ করাবেন স্বর্গোদ্যানসমূহে, তিনি তাদের কাছে এটি পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।


তাফসীরঃ

৭. এর দু’টি ব্যাখ্যা হতে পারে। (এক) আল্লাহ তাআলা নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে দুনিয়াতেই তাদেরকে জান্নাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন। তখন তারা জান্নাতের যে পরিচয় জানতে পেরেছিল এ জান্নাত সে অনুযায়ীই হবে। (দুই) তবে অধিকাংশ মুফাসসির এর দ্বিতীয় ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন। তা এই যে, প্রত্যেক জান্নাতবাসীই তার জান্নাতের ঠিকানা সহজেই খুঁজে পাবে। আপন-আপন ঠিকানা খুঁজে পেতে তাদের কোন রকম কষ্ট করতে হবে না। আল্লাহ তাআলা সেজন্য অত্যন্ত সহজ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা করে রেখেছেন। ফলে বিনা তালাশেই সকলে নিজ-নিজ জায়গায় পৌঁছে যাবে।



یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تَنۡصُرُوا اللّٰہَ یَنۡصُرۡکُمۡ وَیُثَبِّتۡ اَقۡدَامَکُمۡ


ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন তানসরুল্লা-হা ইয়ানসুরকুম ওয়া ইউছাব্বিত আকদামাকুম।


Mufti Taqi Usmani

O you who believe, if you will help (the religion prescribed by) Allah, He will help you, and will stabilize your footings.


মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! তোমরা যদি আল্লাহ (তাআলার দীন)-এর সাহায্য কর, তবে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের কদম অবিচলিত রাখবেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

হে মু’মিনগণ ! যদি তোমরা আল্লাহ্কে সাহায্য কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন।


মাওলানা জহুরুল হক

ওহে যারা ঈমান এনেছ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন, আর তিনি তোমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করবেন।



وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَتَعۡسًا لَّہُمۡ وَاَضَلَّ اَعۡمَالَہُمۡ


ওয়াল্লাযীনা কাফারূফাতা‘ছাল্লাহুম ওয়া আদাল্লা আ‘মা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

As for those who disbelieve, (destined) for them is destruction, and He has rendered their deeds vain.


মুফতী তাকী উসমানী

আর যারা কুফর অবলম্বন করেছে তাদের জন্য আছে ধ্বংস। আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যারা কাফের, তাদের জন্যে আছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দিবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা কুফরী করেছে তাদের জন্যে রয়েছে দুর্ভোগ এবং তিনি তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিবেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের জন্য দুর্ভোগ রয়েছে, আর তাদের ক্রিয়া-কলাপকে তিনি ব্যর্থ করে দেবেন।



ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَرِہُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ فَاَحۡبَطَ اَعۡمَالَہُمۡ


যা-লিকা বিআন্নাহুম কারিহূমাআনঝালল্লা-হু ফাআহবাতা আ‘মা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

That is because they hate what Allah has sent down; therefore Allah has nullified their deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

তা এই জন্য যে, তারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা অপছন্দ করেছিল। সুতরাং আল্লাহ তাদের কর্ম নিষ্ফল করে দিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা এজন্যে যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না। অতএব, আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা এজন্যে যে, আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন এরা তা অপছন্দ করে। সুতরাং আল্লাহ্ এদের কর্ম নিষ্ফল করে দিবেন।


মাওলানা জহুরুল হক

এমনটাই, কেননা আল্লাহ্ যা অবতারণ করেছেন তারা তা বিতৃষ্ণার সাথে প্রত্যাখ্যান করে, কাজেই তিনি তাদের ক্রিয়াকলাপ নিষ্ফল করে দিয়েছেন।


১০


اَفَلَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ دَمَّرَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ ۫ وَلِلۡکٰفِرِیۡنَ اَمۡثَالُہَا


আফালাম ইয়াছীরূফিল আরদিফাইয়ানজুরূকাইফা কা-না ‘আ-কিবাতুল্লাযীনা মিন কাবলিহিম দাম্মারাল্লা-হু ‘আলাইহিম ওয়া লিল কা-ফিরীনা আমছা-লুহা-।


Mufti Taqi Usmani

Have they not travelled in the land so that they might see how was the end of those before them? Allah brought utter destruction to them. And (ready) for (these) disbelievers are the likes thereof.


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি তারা ভূমিতে বিচরণ করে দেখেনি তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণাম কী হয়েছে? আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আর (মক্কার) কাফেরদের জন্য রয়েছে অনুরূপ পরিণাম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি অতঃপর দেখেনি যে, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে? আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন এবং কাফেরদের অবস্থা এরূপই হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে নাই এবং দেখে নাই এদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কি হয়েছে ? আল্লাহ্ এদেরকে ধ্বংস করেছেন এবং কাফিরদের জন্যে রয়েছে অনুরূপ পরিণাম।


মাওলানা জহুরুল হক

তারা কি তবে পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে নি? তাহলে তারা দেখতে পেত কেমন হয়েছিল তাদের পরিণাম যারা এদের আগে ছিল। আল্লাহ্ তাদের ঘায়েল করেছিলেন, আর অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে এর অনুরূপ।


১১


ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰہَ مَوۡلَی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَاَنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ لَا مَوۡلٰی لَہُمۡ ٪


যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা মাওলাল্লাযীনা আ-মানূওয়া আন্নাল কা-ফিরীনা লা-মাওলা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

That is because Allah is the supporter of those who believe. As for the disbelievers, there is no supporter for them.


মুফতী তাকী উসমানী

তা এই জন্য যে, আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক আর কাফেরদের কোন অভিভাবক নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা এজন্যে যে, আল্লাহ মুমিনদের হিতৈষী বন্ধু এবং কাফেরদের কোন হিতৈষী বন্ধু নাই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা এজন্যে যে, আল্লাহ্ তো মু’মিনদের অভিভাবক এবং কাফিরদের তো কোন অভিভাবকই নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

এমনটাই, কেননা যারা ঈমান এনেছে তাদের অভিভাবক নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌, আর অবিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে তো -- তাদের জন্য কোনো মুরব্বী নেই।


১২


اِنَّ اللّٰہَ یُدۡخِلُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ؕ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَتَمَتَّعُوۡنَ وَیَاۡکُلُوۡنَ کَمَا تَاۡکُلُ الۡاَنۡعَامُ وَالنَّارُ مَثۡوًی لَّہُمۡ


ইন্নাল্লা-হা ইউদখিলুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়াল্লাযীনা কাফারূইয়াতামাত্তা‘ঊনা ওয়া ইয়া’কুলূনা কামাতা’কুলুল আন‘আ-মুওয়ান্না-রু মাছওয়াল্লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Surely, Allah will admit those who believe and do good deeds to the gardens beneath which rivers flow. As for those who disbelieve, they enjoy (the worldly life), and eat as cattle eat, and the Fire is the final abode for them.


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন এমন উদ্যানে, যার তলদেশে নহর বহমান থাকবে। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তারা (দুনিয়ায়) মজা লুটছে এবং চতুষ্পদ জন্তু যেভাবে খায়, সেভাবে খাচ্ছে। তাদের শেষ ঠিকানা জাহান্নাম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার নিম্নদেশে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হয়। আর যারা কাফের, তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং চতুস্পদ জন্তুর মত আহার করে। তাদের বাসস্থান জাহান্নাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত; কিন্তু যারা কুফরী করে এরা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং জন্তু-জানোয়ারের মত উদর পূর্তি করে ; আর জাহান্নামই এদের নিবাস।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজে করছে আল্লাহ্ তাদের প্রবেশ করাবেন স্বর্গোউদ্যানসমূহে যাদের নিচে দিয়ে বয়ে চলছে ঝরনারাজি। আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা ভোগ-বিলাস করে ও খায়দায় যেমন জন্তু জানোয়াররা খেয়ে থাকে, আর আগুনই তাদের আবাসস্থল।


১৩


وَکَاَیِّنۡ مِّنۡ قَرۡیَۃٍ ہِیَ اَشَدُّ قُوَّۃً مِّنۡ قَرۡیَتِکَ الَّتِیۡۤ اَخۡرَجَتۡکَ ۚ اَہۡلَکۡنٰہُمۡ فَلَا نَاصِرَ لَہُمۡ


ওয়া কাআইয়িম মিন কারইয়াতিন হিয়া আশাদ্দুকুওওয়াতাম মিন কারয়াতিকাল্লাতী আখরাজাতকা আহলাকনা-হুম ফালা-না-সিরা লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

How many a town, stronger in might than your town that has expelled you, have We destroyed! Then, there was none to help them.


মুফতী তাকী উসমানী

এমন কত জনপদ ছিল, যা তারা তোমাকে তোমার যে জনপদ থেকে বের করে দিয়েছে তা অপেক্ষা বেশি শক্তিশালী ছিল, ৮ আমি তাদের সকলকে ধ্বংস করে দিয়েছি। তখন তাদের কোন সাহায্যকারী ছিল না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে জনপদ আপনাকে বহিস্কার করেছে, তদপেক্ষা কত শক্তিশালী জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, অতঃপর তাদেরকে সাহায্য করার কেউ ছিল না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা তোমার যে জনপদ হতে তোমাকে বিতাড়িত করেছে তা অপেক্ষা অতি শক্তিশালী কত জনপদ ছিল ; আমি এদেরকে ধ্বংস করেছি এবং এদের সাহায্যকারী কেউ ছিল না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর জনপদগুলোর কতটা যে -- যা ছিল আরো বেশি শক্তিশালী তোমার জনবসতির চাইতে যেটি তোমাকে বহিস্কার করেছে -- আমরা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিলাম, আর তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী ছিল না।


তাফসীরঃ

৮. মক্কা মুকাররমার কাফেরগণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করেছিল। এ আয়াতের ইশারা সেই দিকে। বলা হচ্ছে, তাদের সেই জুলুমবাজি দেখে কেউ যেন মনে না করে তারা শক্তিশালী হওয়ার কারণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর বিজয়ী হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তো তাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিমান জাতিকেও ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাদের তুলনায় এরা তো হিসাবেই আসে না। সুতরাং শেষ পর্যন্ত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই জয়লাভ করবেন।

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

১৪


اَفَمَنۡ کَانَ عَلٰی بَیِّنَۃٍ مِّنۡ رَّبِّہٖ کَمَنۡ زُیِّنَ لَہٗ سُوۡٓءُ عَمَلِہٖ وَاتَّبَعُوۡۤا اَہۡوَآءَہُمۡ


আফামান কা-না ‘আলা-বাইয়িনাতিম মির রাব্বিহী কামান ঝুইয়িনা লাহূছূ উআ‘মালিহী ওয়াত্তাবা‘ঊআহওয়া-আহুম।


Mufti Taqi Usmani

Then, can one who holds on to a clear proof from his Lord be like those for whom their evil deeds are beautified, and who followed their desires?


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং (বল তো), যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক উজ্জ্বল পথে রয়েছে, সে কি তাদের মত হতে পারে যাদের দুষ্কর্মকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করে তোলা হয়েছে এবং যারা তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে থাকে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত নিদর্শন অনুসরণ করে, সে কি তার সমান, যার কাছে তার মন্দ কর্ম শোভনীয় করা হয়েছে এবং যে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যে ব্যক্তি তার প্রতিপালক-প্রেরিত সুস্পষ্ট প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত, সে কি তার ন্যায়, যার নিকট নিজের মন্দ কর্মগুলি শোভন প্রতীয়মান হয় এবং যারা নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে ?


মাওলানা জহুরুল হক

যে তার প্রভুর কাছ থেকে এক স্পষ্ট প্রমাণের উপরে রয়েছে সে কি তবে তার মতো যার কাছে তার মন্দ কার্যকলাপকে চিত্তাকর্ষক করা হয়েছে? ফলে তারা নিজেদের কামনা-বাসনারই অনুসরণ করে।


১৫


مَثَلُ الۡجَنَّۃِ الَّتِیۡ وُعِدَ الۡمُتَّقُوۡنَ ؕ فِیۡہَاۤ اَنۡہٰرٌ مِّنۡ مَّآءٍ غَیۡرِ اٰسِنٍ ۚ وَاَنۡہٰرٌ مِّنۡ لَّبَنٍ لَّمۡ یَتَغَیَّرۡ طَعۡمُہٗ ۚ وَاَنۡہٰرٌ مِّنۡ خَمۡرٍ لَّذَّۃٍ لِّلشّٰرِبِیۡنَ ۬ۚ وَاَنۡہٰرٌ مِّنۡ عَسَلٍ مُّصَفًّی ؕ وَلَہُمۡ فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغۡفِرَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہِمۡ ؕ کَمَنۡ ہُوَ خَالِدٌ فِی النَّارِ وَسُقُوۡا مَآءً حَمِیۡمًا فَقَطَّعَ اَمۡعَآءَہُمۡ


মাছালুল জান্নাতিল্লাতী উ‘ইদাল মুত্তাকূনা ফীহাআনহা-রুম মিম্মাইন গাইরি আ-ছিনিও ওয়া আন হা-রুম মিল্লাবানিল লাম ইয়াতাগাইইয়ার তা‘মুহূ ওয়া আন হা-রুম মিন খামরিল লাযযাতিল লিশশা-রিবীনা ওয়া আন হা-রুম মিন ‘আছালিম মুসাফফাওঁ ওয়ালাহুম ফীহা-মিন কুলিছছামারা-তি ওয়া মাগফিরাতুমমির রাব্বিহিম কামান হুওয়া খা-লিদুন ফিন্না-রি ওয়া ছুকূমাআন হামীমান ফাকাত্তা‘আ আম‘আআহুম।


Mufti Taqi Usmani

(Here is) a description of the Paradise that is promised for the God-fearing! In it there are rivers of water, never spoiling, and rivers of milk the taste of which would not go bad, and rivers of wine, delicious to the drinkers, and rivers of honey, fully purified. And for them there are all sorts of fruits, and forgiveness from their Lord. Are they like those who will live in Fire forever, and will be given boiling water to drink, and it will tear their bowels into pieces?


মুফতী তাকী উসমানী

মুত্তাকীদের যেই জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার অবস্থা এই যে, তাতে আছে এমন পানির নহর, যা কখনও নষ্ট হওয়ার নয়, আছে এমন দুধের নহর, যার স্বাদ থাকবে অপরিবর্তনীয়, আছে এমন সুরার নহর, যা পানকারীদের জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু, আছে এমন মধুর নহর যা থাকবে পরিশোধিত এবং তাতে তাদের জন্য থাকবে সব রকম ফলমূল ও তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে মাগফিরাত। তারা কি ওইসব লোকের মত হতে পারে, যারা স্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে এবং তাদেরকে পান করানো হবে উত্তপ্ত পানি, যা তাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলবে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

পরহেযগারদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তার অবস্থা নিম্নরূপঃ তাতে আছে পানির নহর, নির্মল দুধের নহর যারা স্বাদ অপরিবর্তনীয়, পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। পরহেযগাররা কি তাদের সমান, যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত : এতে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু সুরার নহর, আছে পরিশোধিত মধুর নহর এবং সেখানে এদের জন্যে থাকবে বিবিধ ফলমূল আর তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে ক্ষমা। মুত্তাকীরা কি তাদের ন্যায়, যারা জাহান্নামে স্থায়ী হবে এবং যাদেরকে পান করতে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি যা এদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিবে ?


মাওলানা জহুরুল হক

ধর্মভীরুদের জন্য যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে তার উপমা হচ্ছে -- তাতে রয়েছে ঝরনারাজি এমন পানির যা পরিবর্তিত হয় না, আর দুধের নদীসমূহ যার স্বাদ বদলায় না, আর সুরার স্রোত যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু, আর ছাঁকা মধুর নদীগুলো। আর তাদের জন্য সে-সবে রয়েছে সব রকমের ফলফসল, আর তাদের প্রভুর কাছ থেকে রয়েছে পরিত্রাণ। তার মতো যে আগুনের মধ্যে অবস্থানকারী, অথবা যাদের পান করানো হবে ফুটন্ত পানি, ফলে তাদের নাড়িভুঁড়ি তা ছিড়ে ফেলবে?


১৬


وَمِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّسۡتَمِعُ اِلَیۡکَ ۚ حَتّٰۤی اِذَا خَرَجُوۡا مِنۡ عِنۡدِکَ قَالُوۡا لِلَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ مَاذَا قَالَ اٰنِفًا ۟ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ طَبَعَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَاتَّبَعُوۡۤا اَہۡوَآءَہُمۡ


ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়াছতামি‘উ ইলাইকা হাত্তা-ইযাখারাজূমিন ‘ইনদিকা কা-লূ লিল্লাযীনা ঊতুল ‘ইল মা মা-যা কা-লা আ-নিফান উলাইকাল্লাযীনা তাবা‘আল্লাহু ‘আলা-কুলূবিহিম ওয়াত্তাবা‘ঊআহওয়াআহুম।


Mufti Taqi Usmani

Among them there are ones who (pretend to) give ear to you, until when they go out from your presence, they say to those who have been given knowledge, “What did he say just now?” Those are the ones on whose hearts Allah has put a seal, and they have followed their desires.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) তাদের মধ্যে কিছু লোক এমন আছে, যারা তোমার কথা কান পেতে শোনে, কিন্তু যখন তোমার কাছ থেকে বের হয়ে যায়, তখন যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞেস করে, এইমাত্র তিনি (অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী বললেন? ৯ এরা এমন লোক, আল্লাহ যাদের অন্তরে মোহর করে দিয়েছেন এবং যারা অনুসরণ করে নিজেদের খেয়াল-খুশীর।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের মধ্যে কতক আপনার দিকে কান পাতে, অতঃপর যখন আপনার কাছ থেকে বাইরে যায়, তখন যারা শিক্ষিত, তাদেরকে বলেঃ এইমাত্র তিনি কি বললেন ? এদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তারা নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের মধ্যে কতক তোমার কথা শোনে, এরপর তোমার নিকট হতে বের হয়ে যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত তাদেরকে বলে, ‘এইমাত্র সে কী বলল ?’ এদের অন্তর আল্লাহ্ মোহর করে দিয়েছেন এবং এরা নিজেদের খেয়াল-খুশিরই অনুসরণ করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা তোমার কথা শোনে, তারপর তারা যখন তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে যায় তখন যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাদের বলে, "সে এইমাত্র কী বললে!" এরাই তারা যাদের হৃদয়ের উপরে আল্লাহ্ মোহর মেরে দিয়েছেন, আর তারা নিজেদের খেয়ালখুশিরই অনুসরণ করে।


তাফসীরঃ

৯. এটা মুনাফেকদের বৃত্তান্ত। তারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মজলিসে বসে তাঁর কথা শোনার ভান করত, কিন্তু বাইরে গিয়ে অন্যকে জিজ্ঞেস করত, তিনি কি-কি কথা বলেছেন। এর মানে দাঁড়ায় আমরা মজলিসে বসে তার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনিনি। খুব সম্ভব তাদের সমমনাদেরকে এর দ্বারা বোঝাতে চাইত, আমরা তাঁর (অর্থাৎ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) কথাবার্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার মত কোন বিষয় মনে করি না (নাউযুবিল্লাহ)।


১৭


وَالَّذِیۡنَ اہۡتَدَوۡا زَادَہُمۡ ہُدًی وَّاٰتٰہُمۡ تَقۡوٰىہُمۡ


ওয়াল্লাযিনাহতাদাও ঝা-দাহুম হুদাওঁ ওয়া আ-তা-হুম তাকওয়া-হুম।


Mufti Taqi Usmani

As for those who have adopted right path, Allah improves them in guidance, and gives them their piety.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা হেদায়াতের পথ অবলম্বন করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াতে উৎকর্ষ দিয়েছেন এবং তাদেরকে দান করেছেন তাদের (প্রয়োজনীয়) তাকওয়া। ১০


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের সৎপথপ্রাপ্তি আরও বেড়ে যায় এবং আল্লাহ তাদেরকে তাকওয়া দান করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্ তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদেরকে মুত্তাকী হওয়ার শক্তি দান করেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা সৎপথে চলে, তিনি তাদের জন্য পথ প্রদর্শন করা বাড়িয়ে দেন, আর তাদের প্রদান করেন তাদের ধর্মনিষ্ঠা।


তাফসীরঃ

১০. এর আরেক অর্থ হতে পারে‘তাদেরকে দান করেছেন তাদের তাকওয়ার পুরস্কার। -অনুবাদক


১৮


فَہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا السَّاعَۃَ اَنۡ تَاۡتِیَہُمۡ بَغۡتَۃً ۚ فَقَدۡ جَآءَ اَشۡرَاطُہَا ۚ فَاَنّٰی لَہُمۡ اِذَا جَآءَتۡہُمۡ ذِکۡرٰىہُمۡ


ফাহাল ইয়ানজু রূনা ইল্লাছছা-‘আতা আন তা’তিয়াহুম বাগতাতান ফাকাদ জাআ আশরাতুহা- ফাআন্না- লাহুম ইযা- জাআতহুম যিকরা-হুম।


Mufti Taqi Usmani

They are waiting for nothing but for the Hour (of Doom) that it should come upon them suddenly. So, its signs have already come. Then, once it will come upon them, how would they have an opportunity to accept the advice (already) given to them?


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি তারা (কাফেরগণ) কেবল এরই অপেক্ষা করছে যে, কিয়ামত তাদের উপর আকস্মিকভাবে আপতিত হবে? (যদি সেই অপেক্ষায়ই থাকে) তবে তার আলামতসমূহ তো এসে গেছে। অতঃপর তা যখন তাদের সামনে এসেই পড়বে, তখন তাদের উপদেশ গ্রহণের সুযোগ থাকবে কোথায়?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুতঃ কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে ?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি কেবল এজন্যে অপেক্ষা করছে যে, কিয়ামত এদের নিকট এসে পড়ুক আকস্মিকভাবে ? কিয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। কিয়ামত এসে পড়লে এরা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে!


মাওলানা জহুরুল হক

তারা কি তবে তাকিয়ে রয়েছে শুধু ঘড়ির জন্য যাতে এটি তাদের উপরে এসে পড়ে অতর্কিতভাবে? তবে তো এর লক্ষণগুলো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেমন হবে তাদের ব্যাপার যখন তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে?


১৯


فَاعۡلَمۡ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا اللّٰہُ وَاسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۡۢبِکَ وَلِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَالۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ  وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ مُتَقَلَّبَکُمۡ وَمَثۡوٰىکُمۡ ٪


ফা‘লাম আন্নাহূলাইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াছতাগফির লিযামবিকা ওয়ালিলমু’মিনীনা ওয়ালমু’মিনা-তি ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুমুতাকাল্লাবাকুম ওয়া মাছওয়া-কুম।


Mufti Taqi Usmani

So, be assured that there is no god but Allah, and seek forgiveness for your fault, and for (the faults of) the believing men and believing women. And Allah knows your moving from place to place and your permanent abode.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং (হে রাসূল!) জেনে রেখ, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই আর ক্ষমা প্রার্থনা কর নিজ ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ১১ এবং মুসলিম নর-নারীর জন্যও। আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি ও তোমাদের অবস্থানস্থল সম্পর্কে জানেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন, আপনার ক্রটির জন্যে এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্যে। আল্লাহ, তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে জ্ঞাত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সুতরাং জেনে রাখ, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার এবং মু’মিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্যে। আল্লাহ্ তোমাদের গতিবিধি এবং অবস্থান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন।


মাওলানা জহুরুল হক

অতএব তুমি জেনে রাখ যে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য উপাস্য নেই, আর তোমার ভুল-ভ্রান্তির জন্যে তুমি পরিত্রাণ খোঁজো, আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের জন্যেও। আর আল্লাহ্ জানেন তোমাদের গতিবিধি এবং তোমাদের অবস্থান।


তাফসীরঃ

১১. মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসূম ছিলেন। তাঁর দ্বারা গুনাহের কোন কাজ হতেই পারত না। তবে তাঁর কোন কোন রায় সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা জানিয়েছেন যে, তা তাঁর উচ্চ মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না (যেমন বদর যুদ্ধের বন্দীদের সম্পর্কে তাঁর গৃহীত সিদ্ধান্তটি, যে সম্পর্কে সূরা আনফালে [৮ : ২২-২৩] বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে)। তাছাড়া মানবীয় স্বভাব অনুযায়ী কখনও কখনও তাঁর দ্বারা নামাযের রাকাআত ইত্যাদিতেও ভুল হয়ে গেছে। এ জাতীয় বিষয়কেই এ আয়াতে ‘ত্রুটি-বিচ্যুতি’ শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এর দ্বারা প্রকৃতপক্ষে তাঁর উম্মতকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুনাহ নয় এমন ছোট-ছোট বিষয়ের কারণেও যখন ইস্তিগফার করতেন তখন তাঁর উম্মতের তো তাওবা ইস্তিগফারে অনেক বেশি যত্নবান থাকা উচিত, যেহেতু তাদের দ্বারা ছোট-বড় গুনাহ হর-হামেশাই হয়ে থাকে।


২০


وَیَقُوۡلُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَوۡلَا نُزِّلَتۡ سُوۡرَۃٌ ۚ  فَاِذَاۤ اُنۡزِلَتۡ سُوۡرَۃٌ مُّحۡکَمَۃٌ وَّذُکِرَ فِیۡہَا الۡقِتَالُ ۙ  رَاَیۡتَ الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ یَّنۡظُرُوۡنَ اِلَیۡکَ نَظَرَ الۡمَغۡشِیِّ عَلَیۡہِ مِنَ الۡمَوۡتِ ؕ  فَاَوۡلٰی لَہُمۡ ۚ


ওয়া ইয়াকূলুল্লাযীনা আ-মানূলাওলা-নুঝঝিলাত ছূরাতুন ফাইযাউনঝিলাত ছূরাতুমমুহকামাতুওঁ ওয়া যুকিরা ফীহাল কিতা-লু রাআইতাল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুইঁ ইয়ানজু রূনা ইলাইকা নাজারাল মাগশিইয়ি ‘আলাইহি মিনাল মাওতি ফাআওলালাহুম।


Mufti Taqi Usmani

And the believers say, “Why has a (new) Sūrah not been revealed?” Then, once an operative Sūrah is sent down, and fighting (in Allah’s way) is mentioned in it, you notice those who have disease in their hearts, looking to you like one who is faint because of death. So, destruction is very close to them.


মুফতী তাকী উসমানী

আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলে, কোন (নতুন) সূরা নাযিল হয় না কেন? ১২ অতঃপর যখন যথোচিত কোন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকে, তখন যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, তুমি তাদেরকে দেখবে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে মৃত্যুভয়ে মূর্ছিত ব্যক্তির তাকানোর মত। তাদের জন্য রয়েছে চরম ধ্বংস।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা মুমিন, তারা বলেঃ একটি সূরা নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন কোন দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে জেহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মু’মিনরা বলে, ‘একটি সূরা অবতীর্ণ হয় না কেন ?’ এরপর যদি দ্ব্যর্থহীন কোন সূরা অবতীর্ণ হয় এবং এতে যুদ্ধের কোন নির্দেশ থাকে তুমি দেখবে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা মৃত্যুভয়ে বিহŸল মানুষের মত তোমার দিকে তাকাচ্ছে। শোচনীয় পরিণাম এদের।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলে -- "একটি সূরা কেন অবতীর্ণ হয় না?" কিন্ত যখন একটি সিদ্ধান্তমূলক সূরা অবতীর্ণ হয় আর তাতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকে তখন যাদের হৃদয়ে ব্যাধি রয়েছে তাদের তুমি দেখতে পাবে তোমার দিকে তাকাচ্ছে মৃত্যুর কারণে মুর্চ্ছিত লোকের দৃষ্টির ন্যায়। সুতরাং ধিক্ তাদের জন্য!


তাফসীরঃ

১২. কুরআন মাজীদের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের ছিল পরম আসক্তি। তাই যাতে নতুন-নতুন সূরা নাযিল হয় সেজন্য তারা সর্বদা প্রতীক্ষারত থাকতেন, বিশেষত যারা জিহাদের জন্য উদগ্রীব ছিলেন, তারা অপেক্ষা করছিলেন কখন তাদেরকে নতুন কোন সূরার মাধ্যমে জিহাদের অনুমতি দেওয়া হবে। মুনাফেকরাও তাদের দেখাদেখি কখনও তাদের সামনে এ রকম আগ্রহ প্রকাশ করে থাকবে। কিন্তু যখন জিহাদের আয়াত আসল, তখন তাদের আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে গেল। আল্লাহ তাআলা বলছেন, কেবল মুখে-মুখে আগ্রহ প্রকাশে লাভ কী? যখন সময় আসে, তখন যদি আল্লাহ তাআলার সাথে কৃত অঙ্গীকারকে সত্যে পরিণত করে দেখায়, তাতেই তাদের মঙ্গল।


২১


طَاعَۃٌ وَّقَوۡلٌ مَّعۡرُوۡفٌ ۟  فَاِذَا عَزَمَ الۡاَمۡرُ ۟  فَلَوۡ صَدَقُوا اللّٰہَ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ ۚ


তা-‘আতুওঁ ওয়া কাওলুম মা‘রূফুন ফাইযা-‘আঝামাল আমরু ফালাও সাদাকুল্লা-হা লাকা-না খাইরাল্লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

The (reality of their) obedience and (truthfulness of their) speech is fully known (as being mere deception). So, had they been truthful to Allah when the matter had become serious, it would have been much better for them.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা আনুগত্য জাহির করে ও ভালো-ভালো কথা বলে। ১৩ যখন (জিহাদের) আদেশ চূড়ান্ত হয়ে যায়, তখন যদি তারা আল্লাহর সাথে সত্যবাদিতার পরিচয় দিত, তবে তাদের জন্য ভালো হত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের আনুগত্য ও মিষ্ট বাক্য জানা আছে। অতএব, জেহাদের সিন্ধান্ত হলে যদি তারা আল্লাহর প্রতি পদত্ত অংগীকার পূর্ণ করে, তবে তাদের জন্যে তা মঙ্গলজনক হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আনুগত্য ও ন্যায়সংগত বাক্য এদের জন্যে উত্তম ছিল; সুতরাং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল, যদি এরা আল্লাহ্ র প্রতি প্রদত্ত অঙ্গীকার পূরণ করত তবে তাদের জন্যে এটা অবশ্যই মঙ্গলজনক হত।


মাওলানা জহুরুল হক

আনুগত্য ও সদয়বাক্য! অতএব যখন ব্যাপারটি সন্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায় তখন তারা যদি আল্লাহ্‌র প্রতি সত্যনিষ্ঠ থাকে তাহলে সেটিই তো তাদের জন্য মঙ্গলজনক।


তাফসীরঃ

১৩. এর অন্য অর্থ হতে পারে, (হে মুহাম্মদ!) তোমার প্রতি আন্তরিক আনুগত্য এবং তোমার সাথে উত্তম ও ন্যায়নিষ্ঠ কথাই তাদের পক্ষে উত্তম। -অনুবাদক


২২


فَہَلۡ عَسَیۡتُمۡ اِنۡ تَوَلَّیۡتُمۡ اَنۡ تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَتُقَطِّعُوۡۤا اَرۡحَامَکُمۡ


ফাহাল ‘আছাইতুম ইন তাওয়াল্লাইতুম আন তুফছিদূফিল আরদি ওয়া তুকাত্তি‘ঊআরহামাকুম।


Mufti Taqi Usmani

So, (O hypocrites,) do you not apprehend that, in case you turn away (from Jihād ), you will spread disorder in the land and will sever your ties of kinship?


মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর তোমরা (জিহাদ থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিলে কি তোমাদের দ্বারা ভূমিতে অশান্তি বিস্তার এবং রক্তের আত্মীয়তা ছিন্ন করার সম্ভাবনা আছে? ১৪


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

ক্ষমতা লাভ করলে, সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং আত্নীয়তা বন্ধন ছিন্ন করবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে।


মাওলানা জহুরুল হক

কিন্ত যদি তোমাদের শাসনভার দেওয়া যায় তাহলে তোমাদের থেকে তো আশা করা যাবে যে তোমরা অবশ্যই দেশে ফসাদ সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের রক্ত-সম্পর্ক ছিন্ন করবে।


তাফসীরঃ

১৪. জিহাদের এক উদ্দেশ্য হল দুনিয়ায় ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা এবং অনৈসলামিক শাসন দ্বারা যে অন্যায়-অনাচার বিস্তার লাভ করেছে তার অবসান ঘটানো। আল্লাহ তাআলা বলছেন, তোমরা জিহাদ থেকে বিমুখ হলে পৃথিবীতে ব্যাপক অশান্তি দেখা দেবে এবং আল্লাহ তাআলার আদেশ অমান্য করার পরিণামে চারদিকে অন্যায়-অনাচার বিস্তার লাভ করবে। তার একটা দিক এইও যে, আত্মীয়-স্বজনের হক পদদলিত করা হবে। [আয়াতটির অন্য অর্থ হতে পারে, ‘ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে কি তোমাদের দ্বারা ভূমিতে অশান্তি বিস্তার ও রক্তের আত্মীয়তা ছিন্ন করার সম্ভাবনা আছে?’ যেমনটা ক্ষমতার মদমত্তে বেসামাল লোকদের দ্বারা হয়ে থাকে। -অনুবাদক]


২৩


اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَعَنَہُمُ اللّٰہُ فَاَصَمَّہُمۡ وَاَعۡمٰۤی اَبۡصَارَہُمۡ


উলাইকাল্লাযীনা লা‘আনাহুমুল্লা-হু ফাআসাম্মাহুম ওয়া আ‘মাআবসা-রাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Those are the ones whom Allah has cursed; so He has made them deaf, and made their eyes blind.


মুফতী তাকী উসমানী

এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ লা’নত করেছেন (অর্থাৎ তাঁর রহমত থেকে দূর করে দিয়েছেন।) ফলে তাদেরকে বধির বানিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ এদেরকেই লা‘নত করেন আর করেন বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন।


মাওলানা জহুরুল হক

এরাই তারা যাদের প্রতি আল্লাহ্ ধিক্কার দিয়েছেন, ফলে তিনি তাদের বধির বানিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টি অন্ধ করে দিয়েছেন।


২৪


اَفَلَا یَتَدَبَّرُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ اَمۡ عَلٰی قُلُوۡبٍ اَقۡفَالُہَا


আফালা-ইয়াতাদাব্বারূনাল কুরআ-না আম ‘আলা-কুলূবিন আকফা-লুহা-।


Mufti Taqi Usmani

Then, do they not give serious thought to the Qur’ān, or do they have locks on their hearts?


মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি কুরআন সম্পর্কে চিন্তা করে না, নাকি অন্তরে লেগে আছে তার (সংশ্লিষ্ট) তালা? ১৫


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবে কি এরা কুরআন সম্বন্ধে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না ? না এদের অন্তর তালাবদ্ধ ?


মাওলানা জহুরুল হক

কি! তারা কি তবে কুরআন সন্বন্ধে ভাববে না, না কি হৃদয়ের উপরে সেগুলোর তালা দেয়া রয়েছে?


তাফসীরঃ

১৫. ‘অন্তরের তালা’ কথাটি প্রতীকী। তার মানে তাদের অন্তর ঈমানের আলো ও কুরআনের উপলব্ধি থেকে বঞ্চিত। এটা তাদের একটানা কুফর করে যাওয়ার পরিণাম। কুরআন বোঝার তাওফীক হলে তারা বুঝতে পারত জিহাদের ভেতর দুনিয়া ও আখেরাতের কতই না কল্যাণ নিহিত। -অনুবাদক।


২৫


اِنَّ الَّذِیۡنَ ارۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِہِمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُمُ الۡہُدَی ۙ الشَّیۡطٰنُ سَوَّلَ لَہُمۡ ؕ وَاَمۡلٰی لَہُمۡ


ইন্নাল্লাযীনারতাদ্দূ‘আলাআদবা-রিহিম মিম বা‘দি মা-তাবাইয়ানা লাহুমুল হুদাশশাইতা-নু ছাওওয়ালা লাহুম ওয়াআমলা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Surely those who turn back after the guidance has appeared to them clearly, it is Satan who has tempted them and involved them in far-fetched fancies.


মুফতী তাকী উসমানী

প্রকৃতপক্ষে যারা তাদের সামনে হেদায়াত পরিস্ফুট হয়ে যাওয়ার পরও পেছন ফিরিয়ে চলে যায়, শয়তান তাদেরকে ফুসলানি দিয়েছে এবং তাদেরকে অসম্ভব আশা দিয়েছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা নিজেদের নিকট সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর তা পরিত্যাগ করে, শয়তান এদের কাজকে শোভন করে দেখায় এবং এদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা তাদের পিঠ ফিরিয়ে ঘুরে যায় তাদের কাছে সৎপথ সুস্পষ্ট হবার পরেও, শয়তান তাদের জন্য হাল্কা করে দিয়েছে এবং তাদের জন্য সুদীর্ঘ করেছে।


২৬


ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡا لِلَّذِیۡنَ کَرِہُوۡا مَا نَزَّلَ اللّٰہُ سَنُطِیۡعُکُمۡ فِیۡ بَعۡضِ الۡاَمۡرِ ۚۖ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ اِسۡرَارَہُمۡ


যা-লিকা বিআন্নাহুম কা-লূলিল্লাযীনা কারিহূমা-নাঝঝাল্লা-হু ছানুতী‘উকুম ফী বা‘দিল আমরি ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুইছরা-রাহুম।


Mufti Taqi Usmani

That is because they say to those who hate that which Allah has revealed, “We will obey you in some respects.” And Allah knows their secret talk.


মুফতী তাকী উসমানী

তা এজন্য যে, যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয়কে অপছন্দ করে তাদেরকে তারা (অর্থাৎ মুনাফেকগণ) বলেছে, কোন কোন বিষয়ে আমরা তোমাদের কথাও মানব। ১৬ আল্লাহ তাদের গুপ্ত কথাসমূহ ভালোভাবে জানেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা এজন্য যে, তারা তাদেরকে বলে, যারা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব অপছন্দ করেঃ আমরা কোন কোন ব্যাপারে তোমাদের কথা মান্য করব। আল্লাহ তাদের গোপন পরামর্শ অবগত আছেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা এইজন্যে যে, আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা যারা অপছন্দ করে তাদেরকে এরা বলে, ‘আমরা কোন্ কোন্ বিষয়ে তোমাদের আনুগত্য করব।’ আল্লাহ্ এদের গোপন অভিসন্ধি অবগত আছেন।


মাওলানা জহুরুল হক

এইটাই! কেননা আল্লাহ্ যা অবতারণ করেছেন তাতে যারা ঘৃণা করে তাদের কাছে তারা বলে, "আমরা তোমাদের মেনে চলব কোনো-কোনো ব্যাপারে।" আর আল্লাহ্ জানেন তাদের গোপনীয়তা।


তাফসীরঃ

১৬. অর্থাৎ মুনাফেকরা ইয়াহুদী ও অন্যান্য কাফেরদেরকে বলত যদিও আমরা প্রকাশ্যে মুসলিম হয়ে গেছি, কিন্তু আমরা তাদের সাথে মিলে তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ব না; বরং সুযোগ পেলে তোমাদের সাহায্য করব এবং এ জাতীয় কাজে তোমাদের কথা মানব -অনুবাদক (তাফসীরে উসমানী থেকে গৃহীত)।


২৭


فَکَیۡفَ اِذَا تَوَفَّتۡہُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡہَہُمۡ وَاَدۡبَارَہُمۡ


ফাকাইফা ইযা-তাওয়াফফাতহুমুল মালাইকাতুইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়াআদবা-রাহুম।


Mufti Taqi Usmani

So, how (miserable) will they be when the angels will exact their souls, smiting their faces and their backs?


মুফতী তাকী উসমানী

ফেরেশতাগণ যখন তাদের চেহারায় ও পেছন দিকে আঘাত করতে করতে তাদের জান কবজ করবে, তখন তাদের দশা কী হবে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ফেরেশতারা যখন এদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন এদের দশা কেমন হবে।


মাওলানা জহুরুল হক

কিন্ত কেমন হবে যখন ফিরিশ্‌তারা তাদের মুখে ও তাদের পিঠে আঘাত হানতে হানতে তাদের মৃত্যু ঘটাবে?


২৮


ذٰلِکَ بِاَنَّہُمُ اتَّبَعُوۡا مَاۤ اَسۡخَطَ اللّٰہَ وَکَرِہُوۡا رِضۡوَانَہٗ فَاَحۡبَطَ اَعۡمَالَہُمۡ ٪


যা-লিকা বিআন্নাহুমুত্তাবা‘ঊ মাআছখাতাল্লা-হা ওয়া কারিহূরিদওয়া-নাহূফাআহবাতা আ‘মা-লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

That is because they followed that which has angered Allah, and they disliked His pleasure; therefore He has nullified their deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

তা এজন্য যে, তারা এমন পথ অনুসরণ করেছে যা আল্লাহকে নারাজ করে এবং তারা আল্লাহর সন্তোষ সাধনকে অপছন্দ করেছে। তাই আল্লাহ তাদের কর্ম নিষ্ফল করে দিয়েছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা এজন্যে যে, তারা সেই বিষয়ের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অপছন্দ করে। ফলে তিনি তাদের কর্মসমূহ ব্যর্থ করে দেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা এজন্যে যে, এরা তার অনুসরণ করে, যা আল্লাহ্ র অসন্তোষ জন্মায় এবং তাঁর সন্তুষ্টিকে অপ্রিয় গণ্য করে ; তিনি এদের কর্ম নিষ্ফল করে দেন।


মাওলানা জহুরুল হক

এইটিই! কেননা আল্লাহ্‌কে যা অসন্তষ্ট করে তারা তারই অনুসরণ করে আর তাঁর সন্তষ্টিলাভকে তারা অপছন্দ করে, সেজন্য তিনি তাদের ক্রিয়াকলাপ ব্যর্থ করে দেন।


২৯


اَمۡ حَسِبَ الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ اَنۡ لَّنۡ یُّخۡرِجَ اللّٰہُ اَضۡغَانَہُمۡ


আম হাছিবাল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুন আল্লাইঁ ইউখরিজাল্লা-হু আদগা-নাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Do those having malady in their hearts think that Allah will never expose their grudges (against Islam)?


মুফতী তাকী উসমানী

যাদের অন্তরে (মুনাফেকীর) ব্যাধি আছে, তারা কি মনে করে আল্লাহ তাদের (অন্তরে) লুকায়িত বিদ্বেষ কখনও প্রকাশ করে দেবেন না?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দেবেন না?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ্ কখনো এদের বিদ্বেষভাব প্রকাশ করে দিবেন না ?


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা, যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা কি ভাবে যে আল্লাহ্ কদাপি তাদের বিদ্বেষভাব প্রকাশ করবেন না?


৩০


وَلَوۡ نَشَآءُ لَاَرَیۡنٰکَہُمۡ فَلَعَرَفۡتَہُمۡ بِسِیۡمٰہُمۡ ؕ وَلَتَعۡرِفَنَّہُمۡ فِیۡ لَحۡنِ الۡقَوۡلِ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡلَمُ اَعۡمَالَکُمۡ


ওয়া লাও নাশাউ লাআরাইনা-কাহুম ফালা‘আরাফতাহুম বিছীমা-হুম ওয়া লাতা‘রিফান্নাহুম ফী লাহনিল কাওলি ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুআ‘মা-লাকুম।


Mufti Taqi Usmani

Had We willed, We would have shown them to you (by identifying each one of them,) so as you would definitely recognize them by their features. However, you will recognize them by the tone of (their) speech. And Allah knows (all) your deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি চাইলে তোমায় তাদেরকে দেখিয়ে দিতাম, ফলে তুমি লক্ষণ দেখে তাদেরকে চিনে ফেলতে এবং (এখনও) তুমি কথা বলার ধরন দেখে তাদেরকে অবশ্যই চিনতে পারবে। আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী ভালোভাবেই জানেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি ইচ্ছা করলে আপনাকে তাদের সাথে পরিচিত করে দিতাম। তখন আপনি তাদের চেহারা দেখে তাদেরকে চিনতে পারতেন এবং আপনি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবেন। আল্লাহ তোমাদের কর্মসমূহের খবর রাখেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি ইচ্ছা করলে তোমাকে এদের পরিচয় দিতাম। ফলে তুমি এদের লক্ষণ দেখে এদেরকে চিনতে পারতে, তবে তুমি অবশ্যই কথার ভংগিতে এদেরকে চিনিতে পারবে। আল্লাহ্ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা যদি চাইতাম তবে আমরা নিশ্চয়ই তোমাকে তাদের দেখাতাম, তখন তুমি আলবৎ তাদের চিনতে পারতে তাদের চেহারার দ্বারা। আর তুমি তো অবশ্যই তাদের চিনতে পারবে তাদের কথার ধরনে। আর আল্লাহ্ জানেন তোমাদের কাজকর্ম।


৩১


وَلَنَبۡلُوَنَّکُمۡ حَتّٰی نَعۡلَمَ الۡمُجٰہِدِیۡنَ مِنۡکُمۡ وَالصّٰبِرِیۡنَ ۙ وَنَبۡلُوَا۠ اَخۡبَارَکُمۡ


ওয়া লানাবলুওয়ান্নাকুম হাত্তা-না‘লামাল মুজা-হিদীনা মিনকুম ওয়াসসা-বিরীনা ওয়া নাবলুওয়া আখবা-রাকুম।


Mufti Taqi Usmani

And We will certainly test you until We know those of you who carry out Jihād (struggle in Allah’s way) and observe patience, and until We check your episodes.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে মুসলিমগণ!) আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যাতে দেখে নিতে পারি তোমাদের মধ্যে কারা জিহাদকারী ও ধৈর্যশীল এবং যাতে তোমাদের অবস্থাদি যাচাই করে নিতে পারি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জেহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যতক্ষণ না আমি জেনে নিই তোমাদের মধ্যে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীলদেরকে এবং আমি তোমাদের ব্যাপারে পরীক্ষা করি।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের যাচাই করব যতক্ষণ না আমরা জানতে পারি তোমাদের মধ্যের কঠোর সংগ্রামশীলদের ও অধ্যবসায়ীদের, আর তোমাদের খবর আমরা পরীক্ষা করেছি।


৩২


اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَشَآقُّوا الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُمُ الۡہُدٰی ۙ لَنۡ یَّضُرُّوا اللّٰہَ شَیۡئًا ؕ وَسَیُحۡبِطُ اَعۡمَالَہُمۡ


ইন্নাল্লাযীনা কাফারূওয়াসাদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়া শাক্কুর রাছূলা মিম বা‘দি মাতাবাইয়ানা লাহুমুল হুদা- লাইঁ ইয়াদুররুল্লা-হা শাইআওঁ ওয়া ছাইউহবিতুআ‘মালাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Those who disbelieve and prevent (others) from Allah’s way, and oppose the Messenger, after the Guidance has appeared to them clearly, shall never bring harm to Allah in the least, and He will render their deeds vain.


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চিতভাবে জেনে রেখ, যারা কুফর অবলম্বন করেছে এবং অন্যদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রেখেছে এবং রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে, তাদের সামনে সৎপথ সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তারা কখনই আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। অচিরেই তিনি তাদের যাবতীয় কর্ম নস্যাৎ করে দেবেন। ১৭


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে এবং নিজেদের জন্যে সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর রসূলের (সঃ) বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং তিনি ব্যর্থ করে দিবেন তাদের কর্মসমূহকে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা কুফরী করে এবং মানুষকে আল্লাহ্ র পথ হতে নিবৃত্ত করে এবং নিজেদের নিকট পথের দিশা ব্যক্ত হওয়ার পর রাসূলের বিরোধিতা করে, এরা আল্লাহ্ র কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি তো তাদের কর্ম ব্যর্থ করবেন।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা অবিশ্বাস পোষণ করে ও আল্লাহ্‌র পথ থেকে সরিয়ে রাখে এবং রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের কাছে সৎপথ সুস্পষ্ট হবার পরেও, তারা কখনো আল্লাহ্‌র কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর অচিরেই তিনি তাদের ক্রিয়াকলাপ নিষ্ফল করে দেবেন।


তাফসীরঃ

১৭. এর এক অর্থ হতে পারে, তারা আল্লাহর দীনের বিরুদ্ধে যেসব ষড়যন্ত্র করছে, আল্লাহ তাআলা তা পণ্ড করে দেবেন। দ্বিতীয় অর্থ হতে পারে, তারা যা-কিছু ভালো কাজ করে আখেরাতে তার কোন সওয়াব পাবে না, যেমন সূরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে।


৩৩


یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَاَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَلَا تُبۡطِلُوۡۤا اَعۡمَالَکُمۡ


ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ আতী‘উল্লা-হা ওয়া আতী‘উর রাছূলা ওয়ালাতুবতিলূআ‘মা-লাকুম।


Mufti Taqi Usmani

O you who believe, obey Allah and obey the Messenger, and do not nullify your deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

হে মুমিনগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বরবাদ করো না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

হে মু’মিনগণ ! তোমরা আল্লাহ্ র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আর তোমাদের কর্ম বিনষ্ট কর না।


মাওলানা জহুরুল হক

ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ্‌কে মেনে চলো ও রসূলের আজ্ঞা পালন করো, আর তোমাদের ক্রিয়াকর্ম বিফল করো না।


৩৪


اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَصَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ثُمَّ مَاتُوۡا وَہُمۡ کُفَّارٌ فَلَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰہُ لَہُمۡ


ইন্নাল্লাযীনা কাফারূওয়াসাদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ছু ম্মা মা-তূওয়াহুম কুফফা-রুন ফালাইঁ ইয়াগফিরাল্লা-হু লাহুম।


Mufti Taqi Usmani

Those who disbelieved and prevented (others) from Allah’s way, then died as disbelievers, Allah will never forgive them.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা কুফর অবলম্বন করেছে এবং অন্যদেরকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করেছে, তারপর কুফর অবস্থায়ই মারা গেছে, আল্লাহ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেন না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে, অতঃপর কাফের অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ কখনই তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা কুফরী করে ও আল্লাহ্ র পথ হতে মানুষকে নিবৃত্ত করে, এরপর কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ্ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা অবিশ্বাস পোষণ করে ও আল্লাহ্‌র পথ থেকে সরিয়ে রাখে, তারপর মারা যায় অথচ তারা অবিশ্বাসী থাকে, সে- ক্ষেত্রে আল্লাহ্ কখনো তাদের পরিত্রাণ করবেন না।


৩৫


فَلَا تَہِنُوۡا وَتَدۡعُوۡۤا اِلَی السَّلۡمِ ٭ۖ وَاَنۡتُمُ الۡاَعۡلَوۡنَ ٭ۖ وَاللّٰہُ مَعَکُمۡ وَلَنۡ یَّتِرَکُمۡ اَعۡمَالَکُمۡ


ফালা-তাহিনূওয়া তাদ‘ঊইলাছছালমি ওয়া আনতুমুল আ‘লাওনা ওয়াল্লা-হু মা‘আকুম ওয়ালাইঁ ইয়াতিরাকুম আ‘মা-লাকুম।


Mufti Taqi Usmani

So, do not lose heart, and do not appeal for peace; you will be the uppermost, and Allah is with you; and He will never deprive you of your deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং (হে মুসলিমগণ!) তোমরা মনোবল হারিয়ে সন্ধির প্রস্তাব দিও না। ১৮ তোমরাই উপরে থাকবে। আল্লাহ তোমাদের সাথে। তিনি কখনই তোমাদের কর্মফল খর্ব করবেন না। ১৯


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির আহবান জানিও না, তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হ্রাস করবেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সুতরাং তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির প্রস্তাব কর না, তোমরাই প্রবল ; আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুণ্ণ করবেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

অতএব তোমরা ঢিলেমি করো না এবং শান্তির প্রতি আহ্বান করো, আর তোমরাই তো উপরহাত হবে, আর আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে রয়েছেন, আর তিনি কখনো তোমাদের কার্যাবলী তোমাদের জন্য ব্যাহত করবেন না।


তাফসীরঃ

১৮. অর্থাৎ ভীরুতার কারণে শত্রুর কাছে সন্ধির প্রস্তাব দিও না। এমনিতে সন্ধি নিষিদ্ধ নয়। সূরা আনফালে (৮ : ৬১) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তারা যদি সন্ধির দিকে ঝোঁকে তবে তোমরাও সন্ধির দিকে ঝুঁকবে।’ অর্থাৎ সন্ধি প্রস্তাব যদি কাপুরুষতার কারণে না হয়ে অন্য কোন উপযোগিতা বিবেচনায় হয়ে থাকে, তবে তা দূষনীয় নয়; বরং তা জায়েয হবে।


১৯. এর দু’টি ব্যাখ্যা হতে পারে। (এক) তোমরা আল্লাহ তাআলার দীনকে বিজয়ী করার জন্য জিহাদ ইত্যাদির মাধ্যমে যে প্রচেষ্টা চালাবে, আল্লাহ তাআলা তা নিষ্ফল যেতে দেবেন না। সে প্রচেষ্টার বদৌলতে তোমরাই প্রবল ও জয়যুক্ত হবে। (দুই) দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হতে পারে এই যে, তোমরা যে-কোনও ভালো কাজ করবে, জিহাদও যার অন্তর্ভুক্ত, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তোমাদেরকে তার পরিপূর্ণ সওয়াব দান করবেন, যদিও তোমরা দুনিয়ায় বাহ্যিকভাবে জয়যুক্ত না হও। অর্থাৎ তোমাদের প্রচেষ্টা বাহ্যিকভাবে সফল হয়নি বলে যে তোমরা ব্যর্থ হয়ে গেলে বা সে কারণে তোমাদের সওয়াব কিছুমাত্র কম হবে তা নয় মোটেই।


৩৬


اِنَّمَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا لَعِبٌ وَّلَہۡوٌ ؕ وَاِنۡ تُؤۡمِنُوۡا وَتَتَّقُوۡا یُؤۡتِکُمۡ اُجُوۡرَکُمۡ وَلَا یَسۡـَٔلۡکُمۡ اَمۡوَالَکُمۡ


ইন্নামাল হায়া-তুদ্দুনইয়া-লা‘ইবুওঁ ওয়া লাহ উওঁ ওয়া ইন তু’মিনূওয়া তাত্তাকূইউ’তিকুম উজূরাকুম ওয়ালা-ইয়াছআলকুম আম ওয়া-লাকুম।


Mufti Taqi Usmani

The worldly life is but play and pastime. If you believe and be God-fearing, He will give you your rewards, and will not ask you your riches.


মুফতী তাকী উসমানী

পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা মাত্র। তোমরা যদি ঈমান আন ও তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তিনি তোমাদেরকে তোমাদের পুরস্কার দান করবেন এবং তিনি তোমাদের কাছে তোমাদের অর্থ-সম্পদ চাবেন না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

পার্থিব জীবন তো কেবল খেলাধুলা, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও এবং সংযম অবলম্বন কর, আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিদান দেবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ চাইবেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পার্থিব জীবন তো কেবল ক্রীড়া-কৌতুক, যদি তোমরা ঈমান আন, তাকওয়া অবলম্বন কর, আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের পুরস্কার দিবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ চান না।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ এই দুনিয়ার জীবন শুধু খেলাধূলা ও আমোদ-প্রমোদ। আর যদি তোমরা ঈমান আনো ও ধর্মভীরুতা অবলন্বন কর তবে তিনি তোমাদের প্রদান করবেন তোমাদের পুরস্কার, আর তিনি তোমাদের থেকে তোমাদের ধনসম্পদ চাইবেন না।


৩৭


اِنۡ یَّسۡـَٔلۡکُمُوۡہَا فَیُحۡفِکُمۡ تَبۡخَلُوۡا وَیُخۡرِجۡ اَضۡغَانَکُمۡ


ইয়ঁইয়াছআলকুমূহা-ফাইউহফিকুম তাবখালূওয়া ইউখরিজ আদগা-নাকুম।


Mufti Taqi Usmani

If He were to ask you of it, and press you (to spend all your wealth), you would show miserliness, and He would expose your disgusts.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি যদি তোমাদের কাছে তা চান এবং তোমাদেরকে সবকিছুই দিতে বলেন, তবে তোমরা কার্পণ্য করবে এবং তখন তিনি তোমাদের মনের অসন্তোষ প্রকাশ করে দেবেন। ২০


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি তোমাদের কাছে ধন-সম্পদ চাইলে অতঃপর তোমাদেরকে অতিষ্ঠ করলে তোমরা কার্পণ্য করবে এবং তিনি তোমাদের মনের সংকীর্ণতা প্রকাশ করে দেবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমাদের নিকট হতে তিনি তা চাইলে ও তার জন্যে তোমাদের ওপর চাপ দিলে তোমরা তো কার্পণ্য করবে এবং তখন তিনি তোমাদের বিদ্বেষভাব প্রকাশ করে দিবেন।


মাওলানা জহুরুল হক

যদি তিনি তোমাদের কাছ থেকে তা চাইতেন এবং তোমাদের চাপ দিতেন, তাহলে তোমরা কার্পণ্য করবে, আর তিনি প্রকাশ করে দিচ্ছেন তোমাদের বিদ্বেষ।


তাফসীরঃ

২০. আনুগত্যের তো দাবি ছিল, আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তোমাদের সমুদয় সম্পদ তাঁর পথে ব্যয় করার হুকুম দিলে তোমরা তাতেও খুশী থাকবে এবং অবিলম্বে তাই করবে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা জানেন এ রকম নির্দেশ তোমাদের কাছে দুর্বহ মনে হবে এবং তাতে তোমাদের মনে অসন্তোষ দেখা দেবে। তাই তিনি এ রকম আদেশ করেননি। তবে তিনি তোমাদেরই কল্যাণার্থে তোমাদের সম্পদের অংশবিশেষ জিহাদে ব্যয় করতে বলছেন। কাজেই এটা করতে তোমাদের কার্পণ্য করা উচিত নয়।


৩৮


ہٰۤاَنۡتُمۡ ہٰۤؤُلَآءِ تُدۡعَوۡنَ لِتُنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ  فَمِنۡکُمۡ مَّنۡ یَّبۡخَلُ ۚ  وَمَنۡ یَّبۡخَلۡ فَاِنَّمَا یَبۡخَلُ عَنۡ نَّفۡسِہٖ ؕ  وَاللّٰہُ الۡغَنِیُّ وَاَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ ۚ  وَاِنۡ تَتَوَلَّوۡا یَسۡتَبۡدِلۡ قَوۡمًا غَیۡرَکُمۡ ۙ  ثُمَّ لَا یَکُوۡنُوۡۤا اَمۡثَالَکُمۡ ٪


হাআনতুমহাউলাই তুদ‘আওনা লিতুনফিকূফী ছাবীলিল্লা-হি ফামিনকুম মাইঁ ইয়াব খালু ওয়া মাইঁ ইয়াবখাল ফাইন্নামা-ইয়াব খালু‘আন নাফছিহী ওয়াল্লা-হুল গানিইয়ুওয়া আনতুমুল ফুকারাউ ওয়া ইন তাতাওয়াল্লাও ইয়াছতাবদিল কাওমান গাইরাকুম ছু ম্মা লা-ইয়াকূনূআমছা-লাকুম।


Mufti Taqi Usmani

Yes, you are such that you are called upon to spend in Allah’s way, but some of you withhold in miserliness- and he who withholds in miserliness withholds against himself- and Allah is the Need-Free, and you are the needy. And if you turn away, He will replace you by some other people, then they will not be like you.


মুফতী তাকী উসমানী

দেখ, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্য ডাকা হচ্ছে অতঃপর তোমাদের মধ্যে কিছু লোকে কার্পণ্য করছে। আর যে-কেউ কার্পণ্য করে, সে তো কার্পণ্য করে নিজেরই প্রতি। ২১ আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তবে তোমাদের স্থানে অন্য কোন সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করবেন অতঃপর তারা তোমাদের মত হবে না।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

শুন, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর তারা তোমাদের মত হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

দেখ, তোমরাই তো তারা যাদেরকে আল্লাহ্ র পথে ব্যয় করতে বলা হচ্ছে অথচ তোমাদের অনেকে কৃপণতা করছে। যারা কার্পণ্য করে তারা তো কার্পণ্য করে নিজেদেরই প্রতি। আল্লাহ্ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত। যদি তোমরা বিমুখ হও, তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করবেন ; তারা তোমাদের মত হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

দেখো, তোমরাই তো তারা যাদের আহ্বান করা হচ্ছে যেন তোমরা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় কর, কিন্ত তোমাদের মধ্যে রয়েছে তারা যারা কৃপণতা করছে, বস্তুতঃ যে কার্পণ্য করে সে তো বখিলি করছে তার নিজেরই বিরুদ্ধে। আর আল্লাহ্ ধনবান, এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত। আর তোমরা যদি ফিরে যাও তবে তিনি তোমাদের স্থলে অন্য লোকদের বদলে আনবেন, তখন তারা তোমাদের মতন হবে না।


তাফসীরঃ

২১. কেননা আল্লাহ তাআলার আদেশ মত যদি অর্থ ব্যয় না কর তবে তার ক্ষতি তোমাদের নিজেদেরকেই ভোগ করতে হবে। প্রথমত এ কারণে যে, অর্থ ব্যয় না করলে জিহাদ সংঘটিত হবে না। ফলে শত্রু তোমাদের উপর প্রবল থাকবে। কিংবা যদি যাকাত না দাও, তবে ব্যাপক অভাব-অনটন লেগে থাকবে। আর দ্বিতীয়ত এ কারণে যে, আখেরাতে এ অবাধ্যতার কারণে তোমাদেরকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments