জান্নাতী হুর কেমন হবে?,কেমন হবে জান্নাতি হুর, জান্নাতের হুরের বর্ণনা-যা শুনে অবাক হবেন, দেখুন জান্নাতি হুরদের সাথে সহবাস কেমন হবে?

জান্নাতী হুর কেমন হবে?,কেমন হবে জান্নাতি হুর, জান্নাতের হুরের বর্ণনা-যা শুনে অবাক হবেন, দেখুন জান্নাতি হুরদের সাথে সহবাস কেমন হবে? জান্নাতী হুর কেমন হ
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

আজকের বিষয়: কোরআন হাদিসের আলোতে বেহেশতে হুরের বর্ণনা,বেহেশতে পুরুষের জন্য হুর নারীর জন্য কী?,হুর বিষয়ক আয়াতসমূহ,জান্নাতের হুরদের বর্ণনা, জান্নাতের হুর দেখতে কেমন হবে!,৭২ জন বেহেশতী কুমারী হুরী,জান্নাতবাসীদের যৌনশক্তি এবং হুরদের সাথে সহবাস বিষয়ে কুরআন

বেহেশতে হুর দেখতে কেমন হবে?

জান্নাতের রমণীদের হুর বলা হয় যা আল্লাহতালা জান্নাতি পুরুষদের
জন্য উপহার হিসেবে রেখেছেন ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন
এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল (হুর) থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। (সূরা বাকারা ২৫)

জান্নাতের হুর ,যারা হবে উঠতি বয়সের যুবতী রমণী। তাদের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রবাহিত থাকবে নবযৌবনের স্বর্গীয় সুধা। একবার তাদের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে পুনরায় তাকালে তাদের সৌন্দর্য ৭০ গুণ বেড়ে যাবে। তাদের গাল হবে গোলাপ ও আপেলের মতো লালমিশ্রিত সাদা বর্ণের। গলায় পরানো থাকবে মণি-মুক্তার অলংকার। তাদের চেহারা সূর্যের মতো উজ্জ্বল চকচকে হবে। তারা যখন হাসবে, তখন তাদের মুখমণ্ডল থেকে বিজলির মতো আলোর চমক বের হতে থাকবে। জান্নাতবাসী তাদের চেহারায় নিজের চেহারা দেখতে পাবে। যেমন আয়নায় নিজের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। মাংস ও পোশাকের ভেতরে আচ্ছাদিত হাড়ের মগজসমূহ বাইরে থেকে দেখা যাবে। জান্নাতি পুরুষরা জান্নাতি হুরেদের নিয়ে খুব সুখ শান্তিতে বসবাস করবে । তাদের যৌবন কোনদিন শেষ হবে না ।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ জান্নাতীদের শরীরে কোন লোম থাকবে না, দাড়ি–গোঁফ থাকবে না এবং চোখে সুরমা লাগানো থাকবে। কখনো তাদের যৌবন শেষ হবে না, জামাও পুরনো হবে না।

(তিরমিজি-জান্নাতের বর্ণনা)

জান্নাতের হুর হবে চিরকুমারী ও সমবয়সের প্রেম-সোহাগিনী। জান্নাতের একজন হুর যদি দুনিয়ায় একবার দৃষ্টি দিত, তাহলে আকাশ ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সুবাসে ভরে যেত, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তকে তথা সমগ্র পৃথিবীটাকে সুসজ্জিত করে দিত, প্রতিটি চোখ সব জিনিস থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে তার দিকে চেয়ে থাকত,
এবং সৃষ্টিকূল আল্লাহর প্রশংসা ও বড়ত্ব বর্ণনা করত ।

জান্নাতি হুরের মাথার একটি ওড়নার মূল্য দুনিয়া ও তার মধ্যবর্তী সব বস্তু থেকেও বেশি হবে।
জান্নাতি পুরুষেরা যখনই তাদের দিকে তাকাবে, আনন্দে মন ভরে যাবে। যখন কথা বলবে, ছন্দময় মিষ্টি কথা দ্বারা হূদয় ভরে দেবে। জান্নাতের রুমসমূহে যখন তারা ঘুরাফেরা করবে, তখন তাদের আলোতে রুমগুলো আলোময় হয়ে যাবে। জান্নাতের অধিবাসী নারী-পুরুষগণ হবে একই বয়সের পরিপূর্ণ যুবক-যুবতী। তাদের চোখের রং হবে পরিষ্কার সাদার মাঝে কাকের কালো চোখের মতো কালো বর্ণের। তাদের শরীরের কোমলতা হবে বৃক্ষের কচি শাখা-পাতার ন্যায় নরম ও কোমল।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#b50404)



আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


জান্নাতের হুর যখন তার স্বামীর চেহারার দিকে তাকাবে, তখন তার হাসিতে জান্নাত আলোময় হয়ে উঠবে। যখন তারা স্বামীর সঙ্গে কথা বলবে, তখন কতই না সুন্দর হবে সেই কথোপকথন। যখন তারা স্বামীর সঙ্গে আলিঙ্গন করবে, তখন কতই না সুন্দর হবে সেই আলিঙ্গন। যখন জান্নাতী পুরুষ তাদের সঙ্গে মেলামেশা করবে, কতই না আনন্দময় হবে সেই মেলামেশা। তাদের অন্তরে কোন্দল ও হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। তারা কখনো অপবিত্র হবে না,। তাদের চিরুনি হবে সোনার চিরুনি। তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি। জান্নাতের হুরগণ এক জায়গায় সমবেত হয়ে উচ্চ আওয়াজে এমন সুন্দর সুরে গান গাইবে, সৃষ্টজীব অনুরূপ সুর কখনো শুনতে পায়নি।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে হুরদের সমবেত হওয়ার একটি জায়গা রয়েছে। তারা সেখানে এমন সুরেলা আওয়াজে গান গাইবে, যে আওয়াজ কোন মাখলূক ইতিপূর্বে কখনো শুনেনি।
তাদের গানের কথাগুলি হবে, আমরা তো চিরঙ্গিনী, আমাদের ধ্বংস নেই। আমরা তো আনন্দ-উল্লাসের জন্যই। আমাদের দুঃখ-কষ্ট নেই । আমরা চির সন্তুষ্ট, আমরা কখনো অসন্তুষ্ট হব না। তাদের কতই না সৌভাগ্য যাদের জন্য আমরা এবং আমাদের জন্য যারা।
জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫৬৪

পৃথিবীতে যে সমস্ত নারী আল্লাহকে ভয় করে চলে তারা জান্নাতের মধ্যে হুরদের চাইতে বেশি সুন্দরী হবে । পৃথিবীর স্বামীরা তাদের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হবে ।

প্রিয় পাঠক
আমাদের পরবর্তী সুন্দর সুন্দর ভিডিও গুলো পেতে হলে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সঙ্গে থাকুন ।

হে যুবক! চিন্তা করে দেখ, দুনিয়ার ধার্মিক সুন্দরী রমণী পেতে হলে কত কষ্ট করে নিজের চরিত্রের হেফাজত করতে হয়, তাহলে জান্নাতের সেই হুর পেতে হলে কী করতে হবে?
হুর কাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তুমি জান কি ?
জেনে রাখো, আল্লাহ তায়ালা ঐ সব বান্দাদের জন্য হুর সৃষ্টি করছেন, যারা তাদের কামনা-বাসনা একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য বিসর্জন দেয় ।

হে আল্লাহ আমাদের সকলকে সৎ পথে চলার তৌফিক দান করো এবং জান্নাত নসীব করুন । আমিন


আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


এ প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট ভাষায় কোরআন ও হাদিসের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। তবে ঈমান ও নেক আমলের সুবাদে যে সব নারী পরকালে জান্নাতে প্রবেশ করবেন- তারা ঠকবেন না। তারা কোনো ধরণের বঞ্চনার শিকার হবেন না, কোনো ধরণের অবিচারের সম্মুখিন হবেন না- তা সুনিশ্চিত এবং অবধারিত সত্য।  

কেননা, জান্নাতের পুরস্কারের মূলনীতি বলতে যেয়ে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চাবে এবং যা কিছু তোমরা ফরমায়েশ করবে। এগুলো পাবে ক্ষমাশীল পরম দয়ালুর পক্ষ থেকে আতিথেয়তাস্বরূপ। ’ –সূরা হা মিম সিজদা: ৩১

‘সেখানে রয়েছে যা কিছু মন চায় এবং যা কিছুতে নয়ন তৃপ্ত হয়। তোমরা সেখানে চিরস্থায়ী হবে। ’ –সূলা আয যুখরুফ: ৭১

বর্ণিত আয়াতদ্বয় থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণিত হয়, যে সব নারী জান্নাতে প্রবেশের মহাসৌভাগ্য অর্জন করবেন; তাদের কোনো ইচ্ছা বা কোনো চাওয়া সেখানে অপূর্ণ থাকবে না। তারা সেখানে যা কামনা করবেন, যা ফরমায়েশ করবেন- দয়াময় প্রভু সেখানে তাদের তাই দিয়ে তুষ্ট করবেন, তাদের নয়ন তৃপ্ত করবেন।

তবে বেহেশতে প্রবেশের পর নারীরা কী চাবেন- তা আমরা জানি না। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক নতুন পরিবেশের সেই দূর ভবিষ্যতে একজন নারী তার প্রভুর কাছে কী কামনা করবেন- তা এখন দুনিয়ার জীবনে কল্পনা করা সম্ভব নয়।  

কেননা- বয়স, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধি ও পরিবেশের ভিন্নতায় মানুষের চাওয়া-পাওয়ায় ভিন্নতা থাকে। একই মানুষের ৪ বছরের শৈশবের চাওয়া, ১২ বছরের বয়সঃসন্ধিক্ষণের চাওয়া, ২১ বছরের তারুণ্যের চাওয়া, ৪০ বছরের পরিণত বয়সের চাওয়া আর ৬০ বছরের বার্ধক্যের চাওয়া এক হয় না। মোটকথা নারীরা জান্নাতে যেয়ে যা কামনা করবেন- তাই পাবেন।  

এবারে নতুন প্রশ্ন, পুরুষদের প্রাপ্তিকে যেমন বিস্তারিতভাবে বলা হলো; নারীদের প্রাপ্তিকে তেমন বিস্তারিত বলা হলো না কেন? এর কারণ সম্ভবত এমন- যৌন বিষয়ে দুনিয়াতে পুরুষরা যথেষ্ট খোলামেলা। কিন্তু নারীরা প্রকৃতিগতভাবে রক্ষণশীল মনোবৃত্তির ও যথেষ্ট লাজুক। পুরুষদের প্রাপ্তির আলোচনাকে যেমন বিস্তারিত কোরআনে কারিমে করা হয়েছে, নারীদের প্রাপ্তিকে তেমন বিস্তারিত আলোচনা করলে নারীরা চরম লজ্জায় পড়ে যেতো কিংবা বিব্রতবোধ করত। হয়তো আল্লাহতায়ালা বিশ্ববাসীর সামনে নারীদের লজ্জায় ফেলতে চাননি, সবার সামনে তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাননি- তাই নারীদের প্রাপ্তির বিস্তারিত আলোচনাকে সযত্নে এড়িয়ে গেছেন।  

তথাপি সূরা হা-মিম সিজদার ৩১ ও সূরা যুখরুফের ৭১ নম্বর আয়াতের দ্বারা নারীদের ইচ্ছামাফিক প্রাপ্তিকে সুনিশ্চিত করে রেখেছেন।  

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#b50404)


প্রাচীন ও আধুনিক ইসলামি স্কলারদের অনেকেই জান্নাতি নারীর স্বামী কে হবে এ ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কিন্তু সে সব আলোচনা দলিলহীন এবং তাদের অনুমাননির্ভর।  

বস্তুত জান্নাত-জাহান্নামের বিষয়ে দলিলহীনভাবে শুধুমাত্র অনুমাননির্ভর হয়ে কোনো আলোচনা করা অনুচিত। আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূল যেখানে নীরব থেকেছেন, সেখানে আমাদেরও উচিৎ নীরব থাকা।  

এ প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা না করলেই নয়। তা হলো- যৌন তৃপ্তি কিন্তু জান্নাতের প্রধান প্রাপ্তি নয়। বরং এটা জান্নাতের অভাবনীয় বিশাল নেয়ামতরাজির মধ্যে অনেক পরের বিষয়। আল্লাহতায়ালা জান্নাতের আলোচনাগুলোতে হুরের আলোচনা কোথাও শুরুতে করেননি। বরং প্রথমে করেছেন জান্নাতের নয়নভিরাম সবুজ-শ্যামল পরিবেশ ও প্রকৃতির আলোচনা, দৃষ্টিনন্দন জলাধার, জলপ্রপাত ও ঝর্ণার আলোচনা, মনমাতানো সুরম্য প্রাসাদের আলোচনা। এরপর আলোচনা করেছেন জান্নাতের হরেক রকমের সুস্বাদু খাদ্যদ্রব্য ও বিচিত্র স্বাদের পানীয়ের। তৃতীয় ধাপে আলোচনা করেছেন হুর নিয়ে। তাই এটা জান্নাতের অনেক পরের বিষয়। জান্নাতের প্রধান আকর্ষণ হলো- আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ বা দর্শন। জান্নাতে যারা প্রবেশ করবেন তারা হুরের জন্য উদগ্রীব হবেন না। তারা জান্নাতে প্রবেশের পর থেকেই অধীর আগ্রহে প্রতিটি মূহুর্তে অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকবেন- কখন আসবে সেই স্বপ্নীল সময়, কখন সাক্ষাৎ পাবেন মহান মালিকের। কখন তার মুখ থেকে সরাসরি শুনতে পারবেন- তিনি তাদের ওপর খুশি।  

কেননা- তারা দুনিয়ার জীবনে যত কষ্ট সহ্য করেছেন, ধৈর্যধারণ করেছেন; সবইতো করেছেন মাওলাকে খুশি করার জন্য। হুর লাভের জন্য তো তারা রাত জেগে নামাজ পড়েননি, হুরের উষ্ণ সান্নিধ্য লাভের লোভে তো সারাদিন অনাহারে থেকে রোজা পালন করেননি। তারা দুনিয়ার জীবনে যা কিছু করেছেন, সবই করেছেন শুধু আল্লাহকে পাওয়ার জন্য।  

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘অন্য কোনো কিছুই জান্নাতবাসীদের নিকট মহান আল্লাহর দর্শন লাভের চেয়ে অধিক প্রিয় হবে না। ’ -সহিহ মুসলিম: ৪৬৭

মোটকথা, দিদারে মাওলা অর্থাৎ আল্লাহতায়ালা দর্শন লাভই হলো- জান্নাতের সবচেয়ে বড়ো পুরস্কার। যা নর-নারী সবাই সমানভাবে লাভ করবেন।  

অতএব, কোনো হুরের লোভে নয়; আবার হুর না পাওয়ায় আশাহত হয়েও নয়- বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈমানের সঙ্গে সৎ কর্মে আত্মনিয়োগ করাই মানুষের কর্তব্য।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  

আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড

Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !! 

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.