"চোখের যেনা" বর্তমানে চোখের যেনার নতুন নাম করণ করা হয়েছে "ক্রাশ"(নাউজুবিল্লা), চোখের যেনা সব থেকে বড় যেনা

 

"চোখের যেনা" বর্তমানে চোখের যেনার নতুন নাম করণ করা হয়েছে "ক্রাশ"(নাউজুবিল্লা),চোখের যেনা সব থেকে বড় যেনা



চোখের যেনা সব থেকে বড় যেনা।😢


একবার যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো দিকে নজর পরে যায় তাহলে সে গুণাহ্ ক্ষমা করা হবে,কিন্তু ২য় বার আবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নজর দেয়া হয় সেটা হয়ে যাবে চোখের যেনা।🙂


★ইবান বুরাইদা ( রাঃ) হতে বর্ণিত।হয়রত আলী (রাঃ)কে নবীজি করিম (সাঃ)বলেছেন, ‘হে আলী! (হঠাৎ) দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার পর আবার দ্বিতীয়বার তাকিয়ো না। কারণ, (হঠাৎ অনিচ্ছাকৃত পড়ে যাওয়া) প্রথম দৃষ্টি তোমাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। (তিরমিজি: ২৭৭৭)


একবার নিচের এই ছবিটির জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে দেখুনতো,একটু ভয় অনুভব কি হচ্ছে না??


আচ্ছা কল্পনা করতে যদি না পারেন তাহলে একটি পিন নিয়ে হাতে একটু গুতো দিয়ে দেখুন তো কেমন ব্যাথা অনুভব হয়,তারপর এই ছবিটায় নিজেকে কল্পনা করে দেখুন।


আসলে ছবিটাতো মানুষের তৈরি মানুষের ধারণা কিন্তু চোখের যিনার শাস্তি যে এর থেকেও কত বেশি ভয়ঙ্কর তা আমাদের মত মানুষের চিন্তার ও বাহিরে।


★আর চোখের যিনা যে কত নিকৃষ্ট কত ঘৃণীত তা যদি আমরা বুঝতাম তাহলে হয়তো কখনো কোনো পর-পুরুষ বা পর-নারীর দিকে আমরা চোখ তুলেও তাকাতাম না।


আমরা এতোটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে আমরা এখন এই চোখের যিনাকেও হালাল বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি আর তাই এখন এর নতুন নাম করণ করে ফেলেছি "ক্রাশ"(নাউজুবিল্লাহ)।


বর্তমানে তরুন-তরুণীদের মুখের বুলি হয়ে গেছে অমুক সেলিব্রিটি আমার ক্রাস অমুক ছেলে বা মেয়ে আমার ক্রাস,কথাগুলো এখন আমাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক  হয়ে গেছে।


আর খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা আল্লাহর বলা হারাম কে হালাল ভেবে মেনে নিচ্ছি ;

 কিভাবে আমরা আল্লাহ্‌র এতটা অবাধ্য হতে পারছি??


 সবশেষে কি তার কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবেনা?


তখন কি জবাব দিবো আল্লাহর কাছে?কি নিয়ে দাঁড়াবো তার সামনে?

একবারও কি এটা ভেবে দেখেছি??


চোখ আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্যান্য নেয়ামতে মধ্যে একটি।আমরা কি আল্লাহর নেয়ামত সঠিক ব্যবহার করছি?


সবশেষে বলবো আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক টা বুঝার তৌফিক দান করুক,


শয়তানের এসব ধোঁকা থেকে বের হয়ে আসার তৌফিক দান করুক আমিন ❤️

Post a Comment

0 Comments