সূরা তুর কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত,সকল রোগের ঔষধ সূরা তুর,সূরা আল-তুর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ এবং বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত অডিও সূরা আল তুর,

 

সূরা তুর বাংলা উচ্চারণ সহ অনুবাদ,সূরা তাওবা বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল তুর বাংলা তরজমা,সূরা তুর বাংলা তাফসীর, আমল সূরা আল তুর, সকল আমল সূরা আল তুর


আজকের বিষয়: সূরা তুর সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল তুর আলমল ও ফজিলত, সূরা তুর কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা তুর নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৫২ সূরা আল - তুর

নামকরণ

সূরার প্রথম শব্দ ওয়াত্ তূর থেকে এর নাম গ্রহীত হয়েছে ।

নাযিলহওয়ারসময়কাল

বিষয়বস্তুর আভ্যন্তরীণ সাক্ষ-প্রমাণ থেকে বুঝা যায়, মক্কী জীবনের যে যুগে সূরা আয যারিয়াত নাযিল হয়েছিলো এ সূরাটিও সে যুগে নাযিল হয়েছিল । সূরাটি পড়তে গিয়ে একথা অবশ্যই মনে হয় যে, এটি নাযিল হওয়ার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল, তবে তখনও চরম জুলুম-অত্যাচার শুরু হয়েছিল বলে মনে হয় না ।

বিষয়বস্তুমূলবক্তব্য

এ সূরার প্রথম রূকু’র বিষয়বস্তু আখেরাত । সূরা যারিয়াতে এর সম্ভবনা , অবশ্যম্ভাবিতা এবং সংঘটিত হওয়ার প্রমাণাদি পেশ করা হয়েছিলো । সে জন্য এখানে তার পুনরাবৃত্তি করা হয়নি । তবে আখেরাত প্রমাণাকারী কয়েকটি বাস্তব সত্য ও নির্দেশনের শপথ করে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, তা নিশ্চিতভাবেই সংঘটিত হবে এবং তার সংঘটন রোধ করতে পারে এ শক্তি করো নেই । এরপর বলা হয়েছে তা সংঘটিত হলে তার অস্বীকারকারীদের পরিণাম কি হবে এবং তা বিশ্বাস করে তাকওয়ার নীতি অবলম্বনকারীগণ আল্লাহ তা’আলার নিয়ামত দ্বারা কিভাবে পুরস্কৃত হবেন ।

আরো পড়ুন :-

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দোয়া,মেধা বৃদ্ধির দোয়া,স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর দোয়া!নামাজের পর ২১ বাড় পড়ুন

গর্ভের সন্তান কখন নষ্ট করা যাবে?,কতদিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হবে না?, বাচ্চা নষ্ট করা জায়েজ আছে?, 

দোয়াটি পড়লে সাথে সাথে রাগ কমে যায়, রাগ কমানোর দোয়া,শিশুদের রাগ কমানোর আমল

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(demo) #size=(2)



এরপর কুরাইশ নেতারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত ও আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে নীতি অনুসরণ করে চলছিল দ্বিতীয় রুকূ’তে তার সমালোচনা করা হয়েছে । কখণো তারা নবীকে ( সা) গণক, কখনো পাগল, কখনো কবি বলে আখ্যায়িত করে সাধারণ মানুষকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত করতো যাতে মানুষ তাঁর আনীত বাণীর প্রতি ধীর ও সুস্থ মস্তিষ্কে মনোযোগ না দেয় । নবীকে ( সা) তারা নিজেদের জন্য একটি মহা বিপদ বলে মনে করতো এবং প্রকাশ্যেই বলতো, তার ওপর কোন বিপদ আপতিত হলে আমরা তার হাত থেকে বেঁচে যেতাম । তারা তাঁর বিরুদ্ধে এ বলে অভিযোগ করতো যে, এ কুরআন তিনি নিজেই রচনা করেছেন এবং আল্লাহর নামে পেশ করেছেন । তাই তিনি যা করেছেন তা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় । তারা বার বার উপহাস করে বলতো নবুওয়াত দানের জন্য আল্লাহ তা’আলা এ ব্যক্তিকে ছাড়া আর মানুষ খুঁজে পাননি । তারা তাঁর ইসলামী আন্দোলন ও তা প্রচারের বিরুদ্ধে এতই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতো যে, তিনি যেন কিছু চাওয়ার জন্য তাদের পিছু লেগে রয়েছেন আর তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাঁর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে । তারা নিজেরা বসে বসে চিন্তা করতো, তাঁর বিরুদ্ধে কি চক্রান্ত করলে তাঁর এ আন্দোলন ধ্বংস হয়ে যাবে । আর এসব করতে গিয়ে তারা কি ধরনের জাহেলী ও কুসংস্কারমূলক আকীদা-বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে আছে যার গভীর অন্ধকার থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ নিস্বার্থভাবে নিজের জীবনপাত করেছেন সে সম্পর্কে যেন অনুভূতিই তাদের ছিলনা । আল্লাহ তা’আলা তাদের এ আচরণের সমালোচনা করে পরপর কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন । এসব প্রশ্নের প্রতিটি হয় তাদের কোন অভিযোগের জবাব, নয়তো তাদের কোন মুর্খতা বা কুসংস্কারের সমালোচনা । এরপর বলা হয়েছে, ঐ লোকদেরকে আপনার নবুওয়াতের প্রতি বিশ্বাস, বানানোর জন্য কোন মু’জিযা দেখানো একেবারেই অর্থহীন । কারণ এরা এমন একগুঁয়ে যে, তাদেরকে যাই দেখানো হোক না কেন এরা তার অন্য কোন ব্যাখ্যা করে পাশ কাটিয়ে যাবে এবং ঈমান গ্রহণ করবে না ।

এ রুকূ’র শুরুতেও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, এসব বিরোধী শক্তি ও শত্রুদের অভিযোগ ও সমালোচনার তোয়াক্কা না করে তিনি যেন নিজের আন্দোলন ও উপদেশ-নসীহতের কাজ ক্রমাগত চালিয়ে যেতে থাকেন । রুকূ’র শেষাংশে তাঁকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি যেন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত এসব বিরোধিতার মোকাবিলা করতে থাকেন । এর সাথে সাথে তাকে এই বলে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে যে, তাঁর প্রভু তাঁকে শত্রুদের মোকাবিলায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে অসহায় ছেড়ে দেননি । বরং সবসময় তিনি তাঁর তদারক ও তত্বাবধান করেছেন । তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময় না আসা পর্যন্ত আপনি সবকিছুর বরদাশত করতে থাকুন এবং নিজ প্রভুর ‘হামদ ও তাসবীহ’ অর্থাৎ প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করে সেই শক্তি অর্জন করুন যা এরূপ পরিস্থিতিতে আল্লাহর কাজ করার জন্য দরকার হয় ।


আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


নামকরণ

সূরার প্রথম শব্দ ওয়াত্ তূর থেকে এর নাম করণ করা হয়েছে।

নাযিলের সময় কাল

বিষয়বস্তুর আভ্যন্তরীণ সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে বুঝা যায়, মাক্কী জীবনের যে যুগে সূরা আয যারিয়াত নাযিল হয়েছিলো এ সূরাটিও সে যুগে নাযিল হয়েছিল। সূরাটি পড়তে গিয়ে একথা অবশ্যই মনে হয় যে, এটি নাযিল হওয়ার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল, তবে তখনও চরম জুলুম-অত্যাচার শুরু হয়েছিল বলে মনে হয় না।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য

এ সূরার প্রথম রূকু’র বিষয়বস্তু আখেরাত।সূরা যারিয়াতের সম্ভবনা, অবশ্যম্ভাবিতা এবং সংঘটিত হওয়ার প্রমাণাদি পেশ করা হয়েছিলো। সে জন্য এখানে তার পুনরাবৃত্তি করা হয়নি। তবে আখেরাত প্রমাণাকারী কয়েকটি বাস্তব সত্য ও নির্দেশনের শপথ করে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, তা নিশ্চিতভাবেই সংঘটিত হবে এবং তার সংঘটন রোধ করতে পারে এ শক্তি করো নেই । এরপর বলা হয়েছে তা সংঘটিত হলে তার অস্বীকারকারীদের পরিণাম কি হবে এবং তা বিশ্বাস করে তাকওয়ার নীতি অবলম্বনকারীগণ আল্লাহ তা’আলার নিয়ামত দ্বারা কিভাবে পুরস্কৃত হবেন।

এরপর কুরাইশ নেতারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত ও আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে নীতি অনুসরণ করে চলছিল দ্বিতীয় রুকুতে তার সমালোচনা করা হয়েছে। কখনো তারা নবীকে (সাঃ) গণক, কখনো পাগল, কখনো কবি বলে আখ্যায়িত করে সাধারণ মানুষকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত করতো যাতে মানুষ তাঁর আনীত বাণীর প্রতি ধীর ও সুস্থ মস্তিষ্কে মনোযোগ না দেয়।

নবীকে (সাঃ) তারা নিজেদের জন্য একটি মহা বিপদ বলে মনে করতো এবং প্রকাশ্যেই বলতো, তার ওপর কোন বিপদ আপতিত হলে আমরা তার হাত থেকে বেঁচে যেতাম। তারা তাঁর বিরুদ্ধে এ বলে অভিযোগ করতো যে, এ কুরআন তিনি নিজেই রচনা করেছেন এবং আল্লাহর নামে পেশ করেছেন। তাই তিনি যা করেছেন তা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা বার বার উপহাস করে বলতো নবুওয়াত দানের জন্য আল্লাহ তা’আলা এ ব্যক্তিকে ছাড়া আর মানুষ খুঁজে পাননি।  

তারা তাঁর ইসলামী আন্দোলন ও তা প্রচারের বিরুদ্ধে এতই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতো যে, তিনি যেন কিছু চাওয়ার জন্য তাদের পিছু লেগে রয়েছেন আর তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাঁর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা নিজেরা বসে বসে চিন্তা করতো, তাঁর বিরুদ্ধে কি চক্রান্ত করলে তাঁর এ আন্দোলন ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এসব করতে গিয়ে তারা কি ধরনের জাহেলী ও কুসংস্কারমূলক আকীদা-বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে আছে যার গভীর অন্ধকার থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ নিস্বার্থভাবে নিজের জীবনপাত করেছেন সে সম্পর্কে যেন অনুভূতিই তাদের ছিলনা।  

আল্লাহ তা’আলা তাদের এ আচরণের সমালোচনা করে পরপর কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন। এসব প্রশ্নের প্রতিটি হয় তাদের কোন অভিযোগের জবাব, নয়তো তাদের কোন মুর্খতা বা কুসংস্কারের সমালোচনা। এরপর বলা হয়েছে, ঐ লোকদেরকে আপনার নবুওয়াতের প্রতি বিশ্বাস, বানানোর জন্য কোন মুজিযা দেখানো একেবারেই অর্থহীন। কারণ এরা এমন একগুঁয়ে যে, তাদেরকে যাই দেখানো হোক না কেন এরা তার অন্য কোন ব্যাখ্যা করে পাশ কাটিয়ে যাবে এবং ঈমান গ্রহণ করবে না।

রুকুর শুরুতেও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, এসব বিরোধী শক্তি ও শত্রুদের অভিযোগ ও সমালোচনার তোয়াক্কা না করে তিনি যেন নিজের আন্দোলন ও উপদেশ-নসীহতের কাজ ক্রমাগত চালিয়ে যেতে থাকেন। রুকুর শেষাংশে তাঁকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি যেন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত এসব বিরোধিতার মোকাবিলা করতে থাকেন। এর সাথে সাথে তাকে এই বলে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে যে, তাঁর প্রভু তাঁকে শত্রুদের মোকাবিলায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে অসহায় ছেড়ে দেননি। বরং সবসময় তিনি তাঁর তদারক ও তত্বাবধান করেছেন। তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময় না আসা পর্যন্ত আপনি সবকিছুর বরদাশত করতে থাকুন এবং নিজ প্রভুর ‘হামদ ও তাসবীহ’ অর্থাৎ প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করে সেই শক্তি অর্জন করুন যা এরূপ পরিস্থিতিতে আল্লাহর কাজ করার জন্য দরকার হয়।


আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


৫২ . আত্-ত্বুর - ( الـطور ) | পাহাড়
মাক্কী, মোট আয়াতঃ ৪৯

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ

وَالطُّورِ

ওয়াততূরি।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
কসম তূর পাহাড়ের,

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
কসম তূরপর্বতের,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
শপথ ত‚র পর্বতের,

وَكِتَابٍ مَّسْطُورٍ

ওয়া কিতা-বিম মাছতূর।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং সেই কিতাবের,

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং লিখিত কিতাবের,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে

فِي رَقٍّ مَّنشُورٍ

ফী-রাক্কিম মানশূর।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যা লেখা আছে খোলা পাতায়।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
প্রশস্ত পত্রে,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
উন্মুক্ত পত্রে,

আরো পড়ুন :-

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দোয়া,মেধা বৃদ্ধির দোয়া,স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর দোয়া!নামাজের পর ২১ বাড় পড়ুন

গর্ভের সন্তান কখন নষ্ট করা যাবে?,কতদিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হবে না?, বাচ্চা নষ্ট করা জায়েজ আছে?, 

দোয়াটি পড়লে সাথে সাথে রাগ কমে যায়, রাগ কমানোর দোয়া,শিশুদের রাগ কমানোর আমল

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(demo) #size=(2)


وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ

ওয়াল বাইতিল মা‘মূর।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং কসম ‘বায়তুল মামুর’-এর

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
কসম বায়তুল-মামুর তথা আবাদ গৃহের,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
শপথ বায়তুল মা‘মূরের,

وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ

ওয়াছছাকফিল মারফূ‘।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং উন্নীত ছাদের

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং সমুন্নত ছাদের,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
শপথ সমুন্নত আকাশের,

وَالْبَحْرِ الْمَسْجُورِ

ওয়াল বাহরিল মাছজূর।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং উত্তাল সাগরের

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং উত্তাল সমুদ্রের,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের-

إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ

ইন্না ‘আযা-বা রাব্বিকা লাওয়া-কি‘।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তোমার প্রতিপালকের আযাব অবশ্যম্ভাবী। ১

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আপনার পালনকর্তার শাস্তি অবশ্যম্ভাবী,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো অবশ্যম্ভাবী,

তাফসীরঃ
১. পূর্বের সূরায় কুরআন মাজীদের কসমসমূহ সম্পর্কে যে টীকা লেখা হয়েছে, এখানেও তা দেখে নেওয়া চাই। এখানে আল্লাহ তাআলা কসম করেছেন চারটি জিনিসের। (এক) তূর পাহাড়ের। এ পাহাড়ে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কথোপকথন হয়েছিল এবং আল্লাহ তাআলা তাকে তাওরাত দান করেছিলেন। এর দ্বারা ইশারা করা হয়েছে যে, আখেরাতে অবাধ্যদের শাস্তি দানের ঘোষণাটি অভিনব কিছু নয়; বরং তূর পাহাড়ে হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে যে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তাও একথার সাক্ষ্য দেয়। (দুই) দ্বিতীয় কসম করা হয়েছে একখানি কিতাবের, যা খোলা পাতায় লেখা। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এর দ্বারা তাওরাত বোঝানো হয়েছে। সে হিসেবে আখেরাতের আযাবের সাথে এ কসমের সম্পর্কও ঠিক সেই রকমেরই যেমনটা তূর পাহাড় সম্পর্কে বলা হয়েছে। তবে অপর কতক মুফাসসিরের মতে এর দ্বারা আমলনামা বোঝানো উদ্দেশ্য। সে হিসেবে এর ব্যাখ্যা এই যে, সদা-সর্বদা মানুষের যে আমলনামা লেখা হচ্ছে তা প্রমাণ করে একদিন না একদিন হিসাব-নিকাশ হবেই এবং তখন অবাধ্যদেরকে অবশ্যই তাদের অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে। (তিন) তৃতীয় কসম করা হয়েছে ‘বায়তুল মামুর’-এর। এটা ঊর্ধ্ব জগতের একটি ঘর, ঠিক দুনিয়ার বাইতুল্লাহ শরীফের মত। ঊর্ধ্ব জগতের এ ঘর হল ফেরেশতাদের ইবাদতখানা। এ ঘরের কসম করে বলা হচ্ছে, ফেরেশতাগণ যদিও মানুষের মত বিধি-বিধানপ্রাপ্ত নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ইবাদতে মশগুল থাকে। মানুষকে তো বিধি-বিধান দেওয়াই হয়েছে এজন্য যে, তারা আল্লাহ তাআলার ইবাদতে লিপ্ত থাকবে। অন্যথায় তারা শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যাবে। (চার) চতুর্থ কসম করা হয়েছে উঁচু ছাদের অর্থাৎ আকাশের। (পাঁচ) আর পঞ্চম কসমটি হল পরিপ্লুত সাগরের। এ কসম দু’টি দ্বারা ইশারা করা হয়েছে, শাস্তি ও পুরস্কারের বিষয়টি না থাকলে উপরে আকাশ ও নিচে সাগর বিশিষ্ট এ জগত সৃষ্টি অহেতুক হয়ে যায়। এর দ্বারা আরও বোঝানো হচ্ছে যে, যেই মহান সত্তা এত বড় বড় বস্তু সৃষ্টি করতে সক্ষম, নিশ্চয়ই তিনি মানুষকে পুনর্জীবিত করারও ক্ষমতা রাখেন।

مَّا لَهُ مِن دَافِعٍ

মা-লাহূমিন দা-ফি‘।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তা রোধ করতে পারে এমন কেউ নেই।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এটার নিবারণকারী কেউ নেই।

يَوْمَ تَمُورُ السَّمَاءُ مَوْرًا

ইয়াওমা তামূরুছ ছামাউ মাওরা-।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যে দিন আকাশ কেঁপে উঠবে থরথর করে,

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেদিন আকাশ প্রকম্পিত হবে প্রবলভাবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যেদিন আকাশ আন্দোলিত হবে প্রবলভাবে



১০

وَتَسِيرُ الْجِبَالُ سَيْرًا

ওয়া তাছীরুল জিবা-লুছাইরা-।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং পবর্তমালা সঞ্চলন করবে ভয়ানক ভাবে

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং পর্বতমালা হবে চলমান,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং পর্বত চলবে দ্রুত ;

১১

فَوَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ

ফাওয়াইলুইঁ ইয়াওমাইযিলিললমুকাযযিবীন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সে দিন মহা দুর্ভোগ হবে, সত্য প্রত্যাখ্যান কারীদের,

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
দুর্ভোগ সেই দিন সত্য অস্বীকারকারীদের,

১২

الَّذِينَ هُمْ فِي خَوْضٍ يَلْعَبُونَ

আল্লাযীনা হুম ফী খাওদিইঁ ইয়াল‘আবূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যারা বৃথা কথাবার্তায় নিমজ্জিত থেকে খেল-তামাশা করছে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যারা ক্রীড়াচ্ছলে মিছেমিছি কথা বানায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যারা ক্রীড়াচ্ছলে অসার কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে।

১৩

يَوْمَ يُدَعُّونَ إِلَىٰ نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّا

ইয়াওমা ইউদা‘‘ঊনা ইলা-না-রি জাহান্নামা দা‘‘আ-।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সে দিন যখন তাদেরকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে জাহান্নামের আগুনের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেদিন তোমাদেরকে জাহান্নামের অগ্নির দিকে ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যেদিন এদেরকে ধাক্কা মারিতে মারিতে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের অগ্নির দিকে

১৪

هَـٰذِهِ النَّارُ الَّتِي كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ

হা-যিহিন্না-রুল্লাতী কুনতুম বিহা-তুকাযযিবূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
(এবং বলা হবে) এই সেই আগুন, যাকে তোমরা অবিশ্বাস করতে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং বলা হবেঃ এই সেই অগ্নি, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে,

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
‘এটাই সেই অগ্নি যাকে তোমরা মিথ্যা মনে করতে।’

১৫

أَفَسِحْرٌ هَـٰذَا أَمْ أَنتُمْ لَا تُبْصِرُونَ

আফাছিহরুন হা-যাআম আনতুম লা-তুবসিরূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এটা কি যাদু, না কি তোমরা (এখনও) কিছু দেখতে পাচ্ছ না?

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এটা কি জাদু, না তোমরা চোখে দেখছ না?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এটা কি জাদু ? না কি তোমরা দেখতে পাচ্ছ না ?

১৬

اصْلَوْهَا فَاصْبِرُوا أَوْ لَا تَصْبِرُوا سَوَاءٌ عَلَيْكُمْ ۖ إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

ইসলাওহা-ফাসবিরূআওলা-তাসবিরূ ছাওয়াউন ‘আলাইকুম ইন্নামা-তুজঝাওনা মা-কুনতুম তা‘মালূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তোমরা এতে প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা ধৈর্য ধর বা নাই ধর তোমাদের পক্ষে উভয়ই সমান। তোমাদেরকে কেবল সেই সব কর্মেরই প্রতিফল দেওয়া হবে, যা তোমরা করতে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এতে প্রবেশ কর অতঃপর তোমরা সবর কর অথবা না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা যা করতে তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তোমরা এতে প্রবেশ কর, এরপর তোমরা ধৈর্য ধারণ কর বা ধৈর্য ধারণ না কর, উভয়ই তোমাদের জন্যে সমান। তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল তোমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।

আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড

Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !! 

১৭

إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَعِيمٍ

ইন্নাল মুত্তাকীনা ফী জান্না-তিওঁ ওয়া না‘ঈম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
নিশ্চয়ই মুত্তাকীগণ উদ্যানরাজি ও নি‘আমতের ভেতর থাকবে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
মুত্তাকীরা তো থাকবে জান্নাতে ও আরাম-আয়েশে,

১৮

فَاكِهِينَ بِمَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ وَوَقَاهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ

ফা-কিহীনা বিমাআ-তা-হুম রাব্বুহুম ওয়া ওয়াকা-হুম রাব্বুহুম ‘আযা-বাল জাহীম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাদের প্রতিপালক তাদেরকে যা-কিছু দান করবেন এবং তাদের প্রতিপালকই তাদেরকে যেভাবে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন, তারা তা উপভোগ করবে। ২

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তাদের প্রতিপালক তাদেরকে যা দিবেন তারা তা উপভোগ করবে এবং তাদের রব তাদেরকে রক্ষা করবেন জাহান্নামের আযাব হতে,

তাফসীরঃ
২. ‘আল্লামা আলুসী (রহ.) আয়াতটির বিন্যাসগত যে বিশ্লেষণ দিয়েছেন সেই আলোকেই এর তরজমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, وَوَقٰهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِيْمِ -এর عطف হয়েছে اتاهم -এর উপর, যদি ما শব্দটিকে مصدربة (ক্রিয়ামূল বোধক) ধরা হয় (বাক্যটির বিশ্লিষ্ট রূপ এ রকম فاكهين بايتائهم ربهم ووقايتهم عذاب الجحيم

১৯

كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

কুলূওয়াশরাবূহানীআম বিমা-কুনতুম তা‘মালূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
(তাদেরকে বলা হবে,) তৃপ্তি সহকারে পানাহার কর, তোমরা যা করতে তার পুরস্কার স্বরূপ।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
‘তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে পানাহার করতে থাক।’

২০

مُتَّكِئِينَ عَلَىٰ سُرُرٍ مَّصْفُوفَةٍ ۖ وَزَوَّجْنَاهُم بِحُورٍ عِينٍ

মুত্তাকিঈনা ‘আলা-ছুরুরিম মাসফূফাতিওঁ ওয়াঝাওওয়াজনা-হুম বিহূরিন ‘ঈন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা সারিবদ্ধভাবে সাজানো আসনে হেলান দেওয়া অবস্থায় থাকবে এবং আমি ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট হুরদের সাথে তাদের বিবাহ দেব।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তারা বসবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে ; আমি তাদের মিলন ঘটাব আয়তলোচনা হ‚রের সঙ্গে;

২১

وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ ۚ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ

ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়াত্তাবা‘আতহুম যুররিইইয়াতুহুম বিঈমা-নিন আলহাকনা-বিহিম যুররিইইয়াতাহুম ওয়ামাআলাতনা-হুম মিন ‘আমালিহিম মিন শাইয়িন কুল্লুমরিইম বিমাকাছাবা রাহীন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের সন্তান-সন্ততিগণ ঈমানের ক্ষেত্রে তাদের অনুগামী হয়েছে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে তাদের সাথে মিলিয়ে দেব এবং তাদের কর্ম হতে কিছুমাত্র হ্রাস করব না। ৩ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের বিনিময়ে বন্ধক রয়েছে। ৪

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, তাদের সঙ্গে মিলিত করব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করব না; প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্যে দায়ী।

তাফসীরঃ
৩. رهين মানে বন্ধকীকৃত, অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা স্বরূপ যে বস্তু বন্ধক রেখে ঋণের লেনদেন হয়। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি মানুষকে যে যোগ্যতা দান করেছেন তা তাকে প্রদত্ত আল্লাহ তাআলার ঋণ। এ ঋণের দায় থেকে সে কেবল তখনই মুক্তি পেতে পারে, যখন সে তার যোগ্যতাকে আল্লাহ তাআলার হুকুম মোতাবেক ব্যবহার করবে। দুনিয়ায় তার প্রমাণ হয় ঈমান আনা ও সৎকর্ম করার দ্বারা। এ ঋণের দায়ে প্রত্যেক ব্যক্তির সত্তা এমনভাবে বন্ধক রাখা আছে যে, সে যদি ঈমান ও সৎকর্মের মাধ্যমে নিজ দেনা পরিশোধ করতে পারে, তবে আখেরাতে তার মুক্তি ও স্বাধীনতা লাভ হবে। সে জান্নাতে সুখণ্ডশান্তিতে বসবাস করবে। পক্ষান্তরে সে যদি এ দেনা শোধ না করে, তবে তাকে জাহান্নামে বন্দী থাকতে হবে। আয়াতে এ বাক্যটি উল্লেখ করে বোঝানো হচ্ছে যে, যেই ঈমানদারদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারা জান্নাতে পুরস্কৃত হবে এবং তাদের মুমিন সন্তানদেরকেও তাদের স্তরে পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে, তারা আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলার মাধ্যমে নিজেদের দেনা শোধ করে ফেলেছে এবং নিজেদেরকে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত করে নিয়েছে। কিন্তু কারও সন্তান যদি মুমিনই না হয়, তবে পিতা-মাতার ঈমান আনার দ্বারা তার কোন উপকার হবে না। কেননা যে জন্য তার সত্তা বন্ধক রাখা ছিল তা সে পরিশোধ করেনি। তাই তাকে জাহান্নামে আটক হয়ে থাকতে হবে। এ স্থলে বাক্যটির আরও এক তাৎপর্য থাকা সম্ভব। তা এই যে, পিতার পুণ্যের কারণে তার সন্তানের মর্যাদা তো বৃদ্ধি করা হবে, কিন্তু সন্তানের দুষ্কর্মের কারণে পিতাকে কোন শাস্তি ভোগ করতে হবে না। কেননা প্রত্যেকের সত্তা তার নিজ কর্মের বিনিময়েই বন্ধক রাখা আছে, অন্যের কর্মের বিনিময়ে নয়।

৪. অর্থাৎ নেককারদের সন্তান-সন্ততিগণ যদি মুমিন হয়, তবে আমল দিয়ে তারা পিতার মত জান্নাতের উচ্চ স্তর লাভ করতে না পারলেও আল্লাহ তাআলা পিতাকে খুশী করার জন্য সন্তানদেরকেও সেই স্তরে পৌঁছিয়ে দেবেন। পিতার স্তর কমিয়ে সন্তানদের সঙ্গে যুক্ত করা হবে না।

২২

وَأَمْدَدْنَاهُم بِفَاكِهَةٍ وَلَحْمٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ

ওয়া আম দাদ না-হুম বিফা-কিহাতিওঁ ওয়া লাহমিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
আমি তাদেরকে তাদের চাহিদামত একের পর এক ফল ও গোশত দেব,

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আমি তাদেরকে দেব ফল-মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আমি তাদেরকে দিব ফলমূল এবং গোশ্ত যা তারা পছন্দ করে।

২৩

يَتَنَازَعُونَ فِيهَا كَأْسًا لَّا لَغْوٌ فِيهَا وَلَا تَأْثِيمٌ

ইয়াতানা-ঝা‘ঊনা ফীহা-কা’ছাল লা-লাগউন ফীহা-ওয়ালা-তা’ছীম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সেখানে তারা (বন্ধুত্বপূর্ণভাবে) কাড়াকাড়ি করবে সূরা পাত্র নিয়ে, যা পান করার দ্বারা কোন অনর্থ ঘটবে না এবং হবে না কোন গুনাহ। ৫

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেখানে তারা পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান করতে থাকবে পানপাত্র, যা হতে পান করলে কেউ অসার কথা বলবে না এবং পাপ কর্মেও লিপ্ত হবে না।

তাফসীরঃ
৫. ‘কাড়াকাড়ি’ শব্দ দ্বারা এমন প্রীতিপূর্ণ খুনসুটি বোঝানো হয়েছে, যা কোন উপভোগ্য বস্তুর স্বাদ গ্রহণের জন্য বন্ধুজনদের মধ্যে হয়ে থাকে এবং যাতে কারও মনে কষ্ট হয় না; বরং তাতে মজলিসের মাধুর্য আরও বেড়ে যায়। সুতরাং বলা হয়েছে যে, সেই সুরাপাত্র থেকে পান করার দ্বারা কোনও রকম অনর্থ ঘটবে না এবং গুনাহের কোন কাজও হবে না, যা সাধারণত দুনিয়ার সুরাখোরদের মধ্যে হয়ে থাকে। সে সুরায় এমন নেশা থাকবে না, যার দরুন মানুষ অশোভন কাজে উৎসাহ পায়।

২৪

۞ وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَأَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُونٌ

ওয়া ইয়াতূফু‘আলাইহিম গিলমা-নুল্লাহুম কাআন্নাহুম লু’লুউম মাকনূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাদের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবে এমন কিশোররা, যারা তাদের (সেবার) জন্য নিয়োজিত থাকবে, তারা (এমন রূপবান) যেন লুকিয়ে রাখা মুক্তা।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় ঘুরাফেরা করবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে কিশোরেরা, সুরক্ষিত মুক্তাসদৃশ।

২৫

وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ

ওয়া আকবালা বা‘দুহুম ‘আলা-বা‘দিইঁ ইয়াতাছাআলূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা একে অন্যের দিকে ফিরে অবস্থাদি জিজ্ঞেস করবে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তারা একে অপরের দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করবে,

২৬

قَالُوا إِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِي أَهْلِنَا مُشْفِقِينَ

কা-লূইন্না-কুন্না-কাবলুফীআহলিনা-মুশফিকীন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
বলবে, আমরা পূর্বে আমাদের পরিবারবর্গের মধ্যে (অর্থাৎ দুনিয়ায়) বড় ভয়ের ভেতর ছিলাম।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা বলবেঃ আমরা ইতিপূর্বে নিজেদের বাসগৃহে ভীত-কম্পিত ছিলাম।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং বলবে, ‘পূর্বে আমরা পরিবার-পরিজনের মধ্যে শঙ্কিত অবস্থায় ছিলাম।

২৭

فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُومِ

ফামান্নাল্লা-হু ‘আলাইনা-ওয়া ওয়াকা-না ‘আযা-বাছছামূম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
অবশেষে আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে রক্ষা করেছেন উত্তপ্ত বায়ুর শাস্তি থেকে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
‘এরপর আমাদের প্রতি আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে অগ্নিশাস্তি হতে রক্ষা করেছেন।

২৮

إِنَّا كُنَّا مِن قَبْلُ نَدْعُوهُ ۖ إِنَّهُ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيمُ

ইন্না-কুন্না-মিন কাবলুনাদ‘ঊহু ইন্নাহূহুওয়াল বাররুর রাহীম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
আমরা এর আগে তার কাছে দুআ করতাম। বস্তুত তিনি অতি অনুগ্রহশীল, পরম দয়ালু।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আমরা পূর্বেও আল্লাহকে ডাকতাম। তিনি সৌজন্যশীল, পরম দয়ালু।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
‘আমরা পূর্বেও আল্লাহকে আহ্বান করতাম, তিনি তো কৃপাময়, পরম দয়ালু।’

২৯

فَذَكِّرْ فَمَا أَنتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَلَا مَجْنُونٍ

ফাযাক্কির ফামাআনতা বিনি‘মাতি রাব্বিকা বিকা-হিনিওঁ ওয়ালা-মাজনূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং (হে রাসূল!) তুমি উপদেশ দিতে থাক। কেননা তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে নও অতীন্দ্রিয়বাদী এবং নও উন্মাদ।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতএব, আপনি উপদেশ দান করুন। আপনার পালনকর্তার কৃপায় আপনি অতীন্দ্রিয়বাদী নন এবং উম্মাদও নন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অতএব তুমি উপদেশ দান করতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণক নও, উন্মাদও নও।

৩০

أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِهِ رَيْبَ الْمَنُونِ

আম ইয়াকূলূনা শা-‘ইরুন নাতারাব্বাসুবিহী রাইবাল মানূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা কি বলে, সে একজন কবি, যার জন্য আমরা কালচক্রের অপেক্ষায় আছি? ৬

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা কি বলতে চায়ঃ সে একজন কবি আমরা তার মৃত্যু-দুর্ঘটনার প্রতীক্ষা করছি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা কি বলিতে চায় সে একজন কবি ? আমরা তার মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছি।’

তাফসীরঃ
৬. আরবী ব্যাকরণ অনুসারে বাক্যটির অর্থ এ রকমও করা যায় যে, ‘সে একজন কবি, আমরা যার মৃত্যু ঘটার অপেক্ষা করছি।’ আল্লামা সুয়ুতী (রহ.) বর্ণনা করেছেন যে, কুরাইশের কতিপয় নেতা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলত, সে তো একজন কবি মাত্র এবং অন্যান্য কবিরা যেমন মরে শেষ হয়ে গেছে এবং তাদের কবিত্বও তাদের মৃত্যুর সাথে দাফন হয়ে গেছে, তেমনি এরও একদিন মৃত্যু ঘটবে এবং এর সব কথাবার্তাও কবরে চলে যাবে। সুতরাং আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আয়াতে তাদের এ কথারই জবাব দেওয়া হয়েছে।

৩১

قُلْ تَرَبَّصُوا فَإِنِّي مَعَكُم مِّنَ الْمُتَرَبِّصِينَ

কুল তারাব্বাসূফাইন্নী মা‘আকুম মিনাল মুতারাব্বিসীন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
বলে দাও, অপেক্ষা করতে থাক, আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান আছি।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
বলুনঃ তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষারত আছি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
বল, ‘তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করছি।’

৩২

أَمْ تَأْمُرُهُمْ أَحْلَامُهُم بِهَـٰذَا ۚ أَمْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ

আম তা’মুরুহুম আহলা-মুহুম বিহা-যাআম হুম কাওমুন তা-গূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাদের বুদ্ধি কি তাদেরকে এসব করতে বলে, নাকি তারা এক অবাধ্য সম্প্রদায়। ৭

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাদের বুদ্ধি কি এ বিষয়ে তাদেরকে আদেশ করে, না তারা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তবে কি এদের বুদ্ধি এদেরকে এই বিষয়ে প্ররোচিত করে, না এরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় ?

তাফসীরঃ
৭. অর্থাৎ তারা তো নিজেদেরকে খুবই বুদ্ধিমান বলে দাবি করে। তা তাদের বুদ্ধির কি এমনই দশা যে, একেবারে সামনের বিষয়টাও তারা বুঝতে পারছে না? ফলে এ রকম আবোল তাবোল কথা বলছে? না কি সত্য কথা তারা ঠিকই উপলব্ধি করতে পারে, কিন্তু স্বভাবগত অবাধ্যতার কারণে তা তারা মানতে পারছে না?

৩৩

أَمْ يَقُولُونَ تَقَوَّلَهُ ۚ بَل لَّا يُؤْمِنُونَ

আম ইয়াকূলূনা তাকাওওয়ালাহূ বাল্লা-ইউ’মিনূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা কি বলে, সে এটা (এই কুরআন) নিজে রচনা করে নিয়েছে? না, বরং তারা (জিদের কারণে) ঈমান আনছে না।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তারা বলেঃ এই কোরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা কি বলে, ‘এই কুরআন তার নিজের রচনা ?’ বরং এরা অবিশ্বাসী।

৩৪

فَلْيَأْتُوا بِحَدِيثٍ مِّثْلِهِ إِن كَانُوا صَادِقِينَ

ফালইয়া’তূবিহাদীছিম মিছলিহীইন কা-নূসা-দিকীন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা সত্যবাদী হলে এর মত কোন বাণী (নিজেরা রচনা করে) নিয়ে আসুক। ৮

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবেএর অনুরূপ কোন রচনা উপস্থিত করুক।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা যদি সত্যবাদী হয় তবে এটার সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না!

তাফসীরঃ
৮. কুরআন মাজীদ কয়েক জায়গায় এ রকম চ্যালেঞ্জ দিয়েছে যে, তোমরা যদি কুরআনকে মানব রচিত বল, তবে তোমাদের মধ্যেও তো বড়-বড় কবি-সাহিত্যিক ও অলঙ্কারবিদ আছে, সকলে মিলে এ রকম কোন বাণী তৈরি করে আন তো দেখি! (দেখুন সূরা বাকারা ২ : ২৩, সূরা ইউনুস ১০ : ৩৮; সূরা হুদ ১১ : ১৩ ও সূরা বনী ইসরাঈল ১৭ : ৮৮)। কিন্তু এই খোলা চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য তাদের কেউ এগিয়ে আসতে পারেনি।

৩৫

أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ

আম খুলিকূমিন গাইরি শাইয়িন আম হুমুল খা-লিকূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা কি কারও ছাড়া আপনা-আপনিই সৃষ্টি হয়ে গেছে, না কি তারাই (নিজেদের) স্রষ্টা?

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে, না এরা নিজেরাই স্রষ্টা ?

৩৬

أَمْ خَلَقُوا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۚ بَل لَّا يُوقِنُونَ

আম খালাকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বাল্লা-ইঊকিনূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
না কি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী তারা সৃষ্টি করেছে? না; বরং (মূল কথা হচ্ছে) তারা বিশ্বাসই রাখে না।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তারা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করে না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
না কি এরা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে ? বরং এরা তো অবিশ্বাসী।

৩৭

أَمْ عِندَهُمْ خَزَائِنُ رَبِّكَ أَمْ هُمُ الْمُصَيْطِرُونَ

আম ‘ইনদাহুম খাঝাইনুরাব্বিকা আম হুমুল মুসাইতিরূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তোমার প্রতিপালকের ভাণ্ডার কি তাদের কাছে, নাকি তারাই (সবকিছুর) নিয়ন্ত্রক? ৯

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাদের কাছে কি আপনার পালনকর্তার ভান্ডার রয়েছে, না তারাই সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তোমার প্রতিপালকের ভাণ্ডার কি এদের নিকট রয়েছে, না এরা এই সমুদয়ের নিয়ন্তা?

তাফসীরঃ
৯. মক্কা মুকাররমার কাফেরগণ বলত, আল্লাহ তাআলার যদি কোন নবী পাঠানোর দরকারই ছিল, তবে মক্কা মুকাররমা বা তায়েফের কোন বড় সর্দারকে কেন নবী বানালেন না? (দেখুন সূরা যুখরুফ ৪৩ : ৩১)। আল্লাহ তাআলা বলছেন, আল্লাহ তাআলার রহমতের ভাণ্ডার, কাউকে নবী বানানোও যার অন্তর্ভুক্ত, তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার অধীন নাকি যে, তারা যাকে ইচ্ছা করবে তাকেই নবী বানানো হবে?

৩৮

أَمْ لَهُمْ سُلَّمٌ يَسْتَمِعُونَ فِيهِ ۖ فَلْيَأْتِ مُسْتَمِعُهُم بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ

আম লাহুম ছুল্লামুইঁ ইয়াছতামি‘ঊনা ফীহি ফালইয়া’তি মুছতামি‘উহুম বিছুলতা-নিম মুবীন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
না কি তাদের কাছে আছে কোন সিঁড়ি, যাতে চড়ে তারা এটা (ঊর্ধ্ব জগতের কথাবার্তা) শুনতে পায়। তাই যদি হয়, তবে তাদের মধ্যে যে শোনে, সে সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ উপস্থিত করুক। ১০

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তাদের কোন সিঁড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা শ্রবণ করে? থাকলে তাদের শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
না কি এদের কোন সিঁড়ি আছে যাতে আরোহণ করে এর শোনে? থাকলে এদের সেই শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক!

আরো পড়ুন :-

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দোয়া,মেধা বৃদ্ধির দোয়া,স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর দোয়া!নামাজের পর ২১ বাড় পড়ুন

গর্ভের সন্তান কখন নষ্ট করা যাবে?,কতদিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হবে না?, বাচ্চা নষ্ট করা জায়েজ আছে?, 

দোয়াটি পড়লে সাথে সাথে রাগ কমে যায়, রাগ কমানোর দোয়া,শিশুদের রাগ কমানোর আমল

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(demo) #size=(2)


তাফসীরঃ
১০. মক্কার মুশরিকগণ এমন কিছু বিশ্বাস পোষণ করত, যার সম্পর্ক ছিল ঊর্ধ্ব জগতের সাথে, যেমন (ক) আল্লাহ তাআলার সহযোগিতার জন্য অনেক ছোট-ছোট খোদা রয়েছে। তাদের হাতে তিনি বহু এখতিয়ার দিয়ে রেখেছেন। (খ) আল্লাহ তাআলা কোন নবী পাঠাননি। (গ) ফেরেশতাগণ আল্লাহ তাআলার কন্যা। পরের আয়াতে তাদের এই শেষোক্ত বিশ্বাসের প্রতিই ইশারা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলছেন, এই ঊর্ধ্ব জগতের বিষয়াবলী তোমরা কোথা হতে জানতে পারলে? তোমাদের কাছে কি এমন কোন সিঁড়ি আছে, যাতে চড়ে তোমরা সে জগতের জ্ঞান অর্জন কর?

৩৯

أَمْ لَهُ الْبَنَاتُ وَلَكُمُ الْبَنُونَ

আম লাহুল বানা-তুওয়া লাকুমুল বানূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তবে কি কন্যা সন্তান পড়ল আল্লাহর ভাগে আর পুত্র সন্তান তোমাদের ভাগে?

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তার কন্যা-সন্তান আছে আর তোমাদের আছে পুত্রসন্তান?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তবে কি কন্যা সন্তান তাঁর জন্যে এবং পুত্র সন্তান তোমাদের জন্যে ?

৪০

أَمْ تَسْأَلُهُمْ أَجْرًا فَهُم مِّن مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُونَ

আম তাছআলূহুম আজরান ফাহুম মিম মাগরামিম মুছকালূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
নাকি তুমি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ, যে কারণে তারা জরিমানা-ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে?

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না আপনি তাদের কাছে পারিশ্রমিক চান যে, তাদের উপর জরিমানার বোঝা চেপে বসে?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তবে কি তুমি এদের নিকট পারিশ্রমিক চাইছো যে, এরা এটাকে একটি দুর্বহ বোঝা মনে করে ?

৪১

أَمْ عِندَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ

আম ‘ইনদা হুমুল গাইবুফাহুম ইয়াকতুবূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
নাকি তাদের কাছে গায়েবের জ্ঞান আছে, যা তারা লিপিবদ্ধ করছে? ১১

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তাদের কাছে অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আছে যে, তারাই তা লিপিবদ্ধ করে?

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
না কি অদৃশ্য বিষয়ে এদের কোন জ্ঞান আছে যে, এরা এই বিষয়ে কিছু লিখে ?

তাফসীরঃ
১১. পূর্বের টীকায় মুশরিকদের যেসব আকীদা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সবই অদৃশ্য জগতের সাথে সম্পৃক্ত। তাই বলা হচ্ছে, তাদের কাছে কি গায়েবের জ্ঞান আছে, যে জ্ঞান তারা লিখে সংরক্ষণ করছে?

৪২

أَمْ يُرِيدُونَ كَيْدًا ۖ فَالَّذِينَ كَفَرُوا هُمُ الْمَكِيدُونَ

আম ইউরীদূ না কাইদান ফাল্লাযীনা কাফারূহুমুল মাকীদূ ন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
নাকি তারা কোন ষড়যন্ত্র করতে চাচ্ছে। তবে যারা কুফরী করেছে পরিণামে সে ষড়যন্ত্র তাদেরই বিরুদ্ধে যাবে। ১২

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তারা চক্রান্ত করতে চায়? অতএব যারা কাফের, তারই চক্রান্তের শিকার হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অথবা এরা কি কোন ষড়যন্ত্র করতে চায় ? পরিণামে কাফিররাই হবে ষড়যন্ত্রের শিকার।

তাফসীরঃ
১২. ইশারা সেই সব ষড়যন্ত্রের দিকে, যা কাফেরগণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে চালাত।

৪৩

أَمْ لَهُمْ إِلَـٰهٌ غَيْرُ اللَّهِ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ

আম লাহুম ইলা-হুন গাইরুল্লা-হি ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তাদের কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ আছে? তারা যে শিরক করে, তা হতে আল্লাহ পবিত্র!

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
না তাদের আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন উপাস্য আছে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা’আলা তা থেকে পবিত্র।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
না কি আল্লাহ্ ব্যতীত এদের অন্য কোন ইলাহ্ আছে ? এরা যাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তা হতে পবিত্র।

৪৪

وَإِن يَرَوْا كِسْفًا مِّنَ السَّمَاءِ سَاقِطًا يَقُولُوا سَحَابٌ مَّرْكُومٌ

ওয়া ইয়ঁইয়ারাও কিছফাম মিনাছছামাই ছা-কিতাইঁ ইয়াকূলূছাহা-বুম মার কূম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা যদি আকাশের কোন খন্ড ভেঙ্গে পড়তে দেখে, তবে বলবে, এটা জমাট মেঘ। ১৩

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে এটা তো পুঞ্জীভুত মেঘ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এরা আকাশের কোন খণ্ড ভাঙ্গিয়া পড়তে দেখলে বলবে, ‘এটা তো এক পুঞ্জীভ‚ত মেঘ।’

তাফসীরঃ
১৩. মক্কার মুশরিকগণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিত্য-নতুন মুজিযা দেখানোর দাবি জানাত। যেমন বলত, আমাদেরকে আকাশের একটা খণ্ড ভেঙ্গে এনে দেখাও। আল্লাহ তাআলা বলছেন, তাদের এসব দাবি-দাওয়া সত্য সন্ধানের প্রেরণা থেকে উদ্ভূত নয়। সত্য লাভের কোন ইচ্ছাই আসলে তাদের নেই। তারা এসব দাবি করছে কেবল জিদ ও বিদ্বেষবশত। তাদের দাবি অনুযায়ী তাদেরকে এ রকম কোন মুজিযা দেখানো হলেও তারা তাতে বিশ্বাস করবে না। বরং তারা বলে দেবে, এটা আকাশের কোন খণ্ড নয়; বরং জমাট বাঁধা মেঘের খণ্ড।

৪৫

فَذَرْهُمْ حَتَّىٰ يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي فِيهِ يُصْعَقُونَ

ফাযারহুম হাত্তা-ইউলা-কূইয়াওমাহুমুল্লাযী ফীহি ইউস‘আকূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
সুতরাং (হে রাসূল!) তুমি তাদেরকে (আপন অবস্থায়) ছেড়ে দাও, যাবত না তারা সেই দিনের সম্মুখীন হয়, যে দিন তারা অচেতন হয়ে পড়বে।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এদের উপেক্ষা করে চল সেদিন পর্যন্ত যেদিন এরা বজ্রাঘাতে হতচেতন হবে।

৪৬

يَوْمَ لَا يُغْنِي عَنْهُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

ইয়াওমা লা-ইউগনী ‘আনহুম কাইদুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-হুম ইউনসারূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
যে দিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তারা কোন সাহায্যও লাভ করবে না।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
সেদিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
সেদিন এদের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না এবং এদেরকে সাহায্যও করা হবে না।

৪৭

وَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا عَذَابًا دُونَ ذَٰلِكَ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

ওয়া ইন্না লিল্লাযীনা জালামূ‘আযা-বান দূনা যা-লিকা ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লাইয়া‘লামূন।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তার পূর্বেও এ জালেমদের জন্য এক শাস্তি আছে। ১৪ কিন্তু তাদের অধিকাংশেই তা জানে না।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
গোনাহগারদের জন্যে এছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এটা ছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে জালিমদের জন্যে। কিন্তু এদের অধিকাংশই তা জানে না।

তাফসীরঃ
১৪. অর্থাৎ আখেরাতে জাহান্নামের যে শাস্তি আছে, তার আগে এ দুনিয়াতেই কাফেরদেরকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং তাদের অনেককেই বদরের যুদ্ধে নিহত হতে হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত তো আরব উপদ্বীপের কোথাও তাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকেনি।

৪৮

وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا ۖ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِينَ تَقُومُ

ওয়াসবির লিহূকমি রাব্বিকা ফাইন্নাকা বিআ‘ইউনিনা-ওয়াছাব্বিহবিহামদি রাব্বিকা হীনা তাকূম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তুমি নিজ প্রতিপালকের আদেশের উপর অবিচলিত থাক। কেননা তুমি আমার দৃষ্টির মধ্যে রয়েছ। ১৫ আর তুমি যখন ওঠ, তখন প্রশংসার সাথে নিজ প্রতিপালকের তাসবীহ পাঠ কর। ১৬

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আপনি আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনে আছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি গাত্রোত্থান করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়; তুমি আমার চোখের সামনেই রয়েছ। তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর,

তাফসীরঃ
১৫. এর এক অর্থ হতে পারে এই যে, আপনি যখন তাহাজ্জুদের জন্য ওঠেন তখন তাসবীহ পাঠ করুন। আরেক অর্থ হতে পারে, আপনি যখন কোন মজলিস থেকে উঠবেন, তখন তা তাসবীহের মাধ্যমে শেষ করে উঠবেন। এক হাদীসে আছে, মজলিসের শেষে দুআ হল سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ اَسْتَغْفِرُكَ وَاَتُوْبُ اِلَيْكَ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং তোমার প্রশংসা করছি। তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার কাছে তাওবা করছি’। কোন মজলিস শেষে এ দুআ পড়া হলে তা সে মজলিসের জন্য কাফফারা হয়ে যায় (আবু দাঊদ, হাদীস নং ৪২১৬)। অর্থাৎ মজলিসে দীনী দিক থেকে কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে এ দুআ দ্বারা তার প্রতিকার হয়ে যায়।

১৬. এর দ্বারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অত্যন্ত স্নেহসিক্ত ভাষায় সান্তনা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, আপনি নিজ কাজে লেগে থাকুন। কেউ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কেননা আপনার প্রতি আমার নজর রয়েছে। আমিই আপনাকে হেফাজত করব।

৪৯

وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَإِدْبَارَ النُّجُومِ

ওয়া মিনাল্লাইলি ফাছাব্বিহহু ওয়া ইদবা-রান নুজূম।

অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং রাতের কিছু অংশেও তার তাসবীহ পাঠ কর এবং যখন তারকারাজি অস্ত যায়, তখনও। ১৭

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্তমিত হওয়ার সময় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এবং তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা কর রাত্রিকালে ও তারকার অস্তগমনের পর।

তাফসীরঃ
১৭. এর দ্বারা সাহরী বা ফজরের ওয়াক্ত বোঝানো হয়েছে, যখন তারকারাজি অস্ত যেতে থাকে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  

আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড

Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !! 

Post a Comment

0 Comments