সূরা নাহ্ল কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত,সকল রোগের ঔষধ সূরা নাহ্ল,সূরা আল-নাহ্ল বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ এবং বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত অডিও সূরা আল নাহ্ল,
১৬ . আন নাহ্ল - ( النحل ) | মৌমাছি
মাক্কী, মোট আয়াতঃ ১২৮
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
১
أَتَىٰ أَمْرُ اللَّهِ فَلَا تَسْتَعْجِلُوهُ ۚ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ
আতাআমরুল্লা-হি ফালা-তাছতা‘জিলূহু ছুবহা-নাহূওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মাইউশরিকূন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
আল্লাহর হুকুম এসে গেছে। কাজেই তার জন্য তাড়াহুড়া করো না। ১ তারা যে শিরক করছে, তিনি তা থেকে পবিত্র ও সমুচ্চ।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে। অতএব এর জন্যে তাড়াহুড়া করো না। ওরা যেসব শরীক সাব্যস্ত করছে সেসব থেকে তিনি পবিত্র ও বহু উর্ধ্বে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আল্লাহ্ র আদেশ আসবেই; সুতরাং তা ত্বরান্বিত করতে চেয়ো না। তিনি মহিমান্বিত এবং এরা যাকে শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।
তাফসীরঃ
১. আরবী ভাষার বাকরীতি অনুযায়ী এটি অত্যন্ত বলিষ্ঠ বাক্য। ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই ঘটবে এরূপ ঘটনাকে আরবীতে অতীত ক্রিয়ায় ব্যক্ত করা হয়ে থাকে। এর শক্তি ও প্রভাব অন্য কোন ভাষায় আদায় করা খুবই কঠিন। এস্থলে যে ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, তার পটভূমি এই, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাফেরদেরকে বলতেন, কুফর করতে থাকলে তার পরিণামে আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর আযাব নাযিল করবেন এবং মুসলিমদেরকে বিজয়ী করবেন, তখন তারা ঠাট্টাচ্ছলে বলত, আল্লাহ তাআলা যদি আযাব নাযিল করেনই, তবে তাকে বলুন যেন এখনই তা নাযিল করেন। এই বলে তারা বোঝাতে চাচ্ছিল, শাস্তির শাসানি ও মুসলিমদের জয়লাভের প্রতিশ্রুতি তাঁর মনগড়া কথা, এর কোন বাস্তবতা নেই (নাউযুবিল্লাহ)। তাদের সে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের উত্তর দ্বারাই সূরাটির সূচনা হয়েছে। বলা হয়েছে, কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রেরিতব্য শাস্তি ও মুসলিমদের জয়লাভের যে সংবাদকে তোমরা অসম্ভব মনে করছ, প্রকৃতপক্ষে তা আল্লাহ তাআলার অনড় ফায়সালা এবং তা এতটা নিশ্চিত, যেন তা ঘটেই গেছে। সুতরাং তোমরা তার আগমনের জন্য তাড়া দেখানোর ছলে তার প্রতি ব্যঙ্গ প্রদর্শন করো না। কেননা তা তোমাদের মাথার উপর খাড়া রয়েছে। পরবর্তী বাক্যে এ শাস্তির অবশ্যম্ভাবী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহ তাআলার সাথে অন্যকে শরীক করে থাক। অথচ আল্লাহ তাআলা যে কোনও রকমের অংশীদারিত্ব থেকে কেবল পবিত্রই নন, বরং তিনি তার বহু উর্ধ্বে। সুতরাং কাউকে তাঁর শরীক সাব্যস্ত করা তাঁর প্রতি চরম অমর্যাদা প্রকাশের নামান্তর। বিশ্ব-জগতের সৃষ্টিকর্তাকে অসম্মান করার অনিবার্য পরিণাম তো এটাই যে, যে ব্যক্তি তাঁকে অসম্মান করবে তার উপর আযাব পতিত হবে। (তাফসীরুল মাহাইমী, ১ম খণ্ড, ৪০২ পৃষ্ঠা)
২
يُنَزِّلُ الْمَلَائِكَةَ بِالرُّوحِ مِنْ أَمْرِهِ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ أَنْ أَنذِرُوا أَنَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنَا فَاتَّقُونِ
ইউনাঝঝিলুল মালাইকাতা বিররূহি মিন আমরিহী ‘আলা- মাইঁ ইয়াশাউমিন ‘ইবাদিহীআন আনযিরূআন্নাহূলাইলা-হা ইল্লাআনা-ফাত্তাকূন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনি নিজ বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা নিজ হুকুমে রূহ (অর্থাৎ প্রাণ সঞ্চারক ওহী) সহ ফিরিশতা অবতীর্ণ করেন, এই মর্মে সতর্ক করার জন্য যে, আমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। ২ সুতরাং তোমরা আমাকেই ভয় কর (অন্য কাউকে নয়)।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
তিনি স্বীয় নির্দেশে বান্দাদের মধ্যে যার কাছে ইচ্ছা, নির্দেশসহ ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব আমাকে ভয় কর।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় নির্দেশে ওহীসহ ফেরেশতা প্রেরণ করেন এই বলে যে, তোমরা সতর্ক কর, নিশ্চয়ই আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; সুতরাং আমাকে ভয় কর।
তাফসীরঃ
২. রূহ দ্বারা ‘ওহী’ বোঝানো হয়েছে, যেমন অন্যত্র কুরআন মাজীদকেও রূহ বলা হয়েছে। সূরা শূরায় আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِّنْ أَمْرِنَا আমার নির্দেশে ওহীরূপে তোমার প্রতি নাযিল করেছি এক রূহ, অর্থাৎ কুরআন (সূরা শূরা ৪২ : ৫২)। ওহী ও কুরআনকে রূহ বলা হয়েছে এর সঞ্জীবনী শক্তির কারণে। রূহ যেমন দেহকে জীবিত করে তোলে, তেমনি ওহী ও কুরআন ও মানুষের মৃত আত্মায় জীবন সঞ্চার করে। -অনুবাদক
৩
خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ ۚ تَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ
খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিলহাক্কি তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।
অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে যথার্থ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। তারা যে শিরক করে তা থেকে তিনি বহু উর্ধ্বে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যিনি যথাবিধি আকাশরাজি ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন। ত