Header Ads Widget

সূরা ইয়াসীন ডাউনলোড, নামাজের শেষে সুরা ইয়াসীন পাঠের গুরুত্ব, ৫ ওয়াক্ত সালাতে ইয়াসীন পড়ার গুরুত্ব,৫ ওয়াক্ত নামাজে ইয়াসীন আমল ও ফজিলত, ৫০৫ বার সূরা ইয়াসীন, ৯৯৯ বার সূরা ইয়াসীন

  

সূরা ইয়াসীন বাংলা উচ্চারণ সহ অনুবাদ,সূরা ইয়াসীন বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল ইয়াসীন বাংলা তরজমা,সূরা ইয়াসীন বাংলা তাফসীর, আমল সূরা আল ইয়াসীন, সকল আমল সূরা আল ইয়াসীন

৩৬ . ইয়াসীন - ( يس ) | ইয়াসীন

মাক্কী, মোট আয়াতঃ ৮৩


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


یٰسٓ ۚ


ইয়া-ছীন।


Mufti Taqi Usmani

Yā Sīn


মুফতী তাকী উসমানী

ইয়া-সীন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

ইয়া-সীন


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ইয়া-সীন,


মাওলানা জহুরুল হক

ইয়া সীন!



وَالۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ


ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।


Mufti Taqi Usmani

By the Qur’ān, that is full of wisdom,


মুফতী তাকী উসমানী

হেকমতপূর্ণ কুরআনের শপথ!


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

শপথ জ্ঞানগর্ভ কুরআনের,


মাওলানা জহুরুল হক

জ্ঞানগর্ভ কুরআনের শপথ, --



اِنَّکَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ۙ


ইন্নাকা লামিনাল মুরছালীন।


Mufti Taqi Usmani

You are truly one of the messengers of Allah,


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের একজন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত;


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ তুমি তো প্রেরিত পুরুষদের অন্যতম, --



عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ؕ


‘আলা-সিরাতিম মুছতাকীম।


Mufti Taqi Usmani

(and you are) on a straight path,


মুফতী তাকী উসমানী

সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।


মাওলানা জহুরুল হক

সহজ-সঠিক পথে অধিষ্ঠিত রয়েছে।



تَنۡزِیۡلَ الۡعَزِیۡزِ الرَّحِیۡمِ ۙ


তানঝীলাল ‘আঝীঝির রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

(this Qur’ān being) a revelation from the All- Mighty, the Very-Merciful,


মুফতী তাকী উসমানী

এ কুরআন অবতীর্ণ করা হচ্ছে সেই সত্তার পক্ষ হতে, যিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়াময়


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ,


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কুরআন অবতীর্ণ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু আল্লাহ্ র নিকট হতে,


মাওলানা জহুরুল হক

মহাশক্তিশালী, অফুরন্ত ফলদাতার থেকে এক অবতারণ, --



لِتُنۡذِرَ قَوۡمًا مَّاۤ اُنۡذِرَ اٰبَآؤُہُمۡ فَہُمۡ غٰفِلُوۡنَ


লিতুনযিরা কাওমাম্মাউনযিরা আ-বাউহুম ফাহুম গা-ফিলূন।


Mufti Taqi Usmani

so that you may warn a people whose fathers were not warned, and hence, they are unaware.


মুফতী তাকী উসমানী

যাতে তুমি সতর্ক কর এমন এক সম্প্রদায়কে, যাদের বাপ-দাদাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়নি। ১ ফলে তারা উদাসীনতায় নিপতিত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যাতে তুমি সতর্ক করতে পার এমন এক জাতিকে যাদের পিতৃপুরুষদেরকে সতর্ক করা হয় নাই, যার ফলে এরা গাফিল।


মাওলানা জহুরুল হক

যেন তুমি সতর্ক করতে পার সেই জাতিকে যাদের পিতৃপুরুষদের সতর্ক করা হয় নি, যার ফলে তারা অজ্ঞ রয়ে গেছে।


তাফসীরঃ

১. অর্থাৎ মক্কা মুকাররমা ও তার আশপাশে বহু কাল থেকে কোন নবী-রাসূলের আগমন হয়নি।



لَقَدۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ عَلٰۤی اَکۡثَرِہِمۡ فَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ


লাকাদ হাক্কাল কাওলু‘আলাআকছারিহিম ফাহুম লা-ইউ’মিনূন।


Mufti Taqi Usmani

The word has indeed come true about most of them, so they will not believe.


মুফতী তাকী উসমানী

বস্তুত তাদের অধিকাংশের ব্যাপারে কথা পূর্ণ হয়ে আছে। ২ সুতরাং তারা ঈমান আনবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের অধিকাংশের জন্যে সেই বাণী অবধারিত হয়েছে; সুতরাং এরা ঈমান আনবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

সুনিশ্চিত যে বক্তব্যটি তাদের অনেকের সন্বন্ধে সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে, তাই তারা বিশ্বাস করছে না।


তাফসীরঃ

২. অর্থাৎ তাদের সম্পর্কে তাকদীরে লেখা আছে, তারা ঈমান আনবে না। তাকদীরের সে কথাই পূর্ণ হচ্ছে যে, তারা ঈমান আনছে না। প্রকাশ থাকে যে, তাকদীরে লিপিবদ্ধ থাকার কারণে তারা কুফর করতে বাধ্য হয়ে গেছে একথা ঠিক না। কেননা তাকদীরে লেখা আছে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান আনার সুযোগ দেবেন এবং এখতিয়ারও দেবেন, কিন্তু তারা নিজেদের এখতিয়ারক্রমে ও আপন ইচ্ছায় জিদ ধরে বসে থাকবে। ফলে ঈমান আনবে না।



اِنَّا جَعَلۡنَا فِیۡۤ اَعۡنَاقِہِمۡ اَغۡلٰلًا فَہِیَ اِلَی الۡاَذۡقَانِ فَہُمۡ مُّقۡمَحُوۡنَ


ইন্না- জা‘আলনা-ফী আ‘না-কিহিম আগলা-লান ফাহিয়া ইলাল আযকা-নি ফাহুম মুকমাহূন।


Mufti Taqi Usmani

We have placed iron collars on their necks, so they are reaching up to their chins, and their heads are forced to remain upwards.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি তাদের গলায় চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। ৩


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি এদের গলদেশে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরাইয়াছি, ফলে এরা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে।


মাওলানা জহুরুল হক

আমরা নিশ্চয় তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে দিয়েছি, আর তা পৌঁছেছে চিবুক পর্যন্ত, ফলে তারা মাথা চড়ানো অবস্থায় রয়েছে।


তাফসীরঃ

৩. এ বক্তব্যটি প্রতীকী। এর দ্বারা তাদের জিদ ও হঠকারিতা যে কী পরিমাণ সেটাই বোঝানো হয়েছে। এর ব্যাখ্যা এই যে, সত্য সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তারা এমন জিদ ধরে বসে আছে যে, নিজেদেরকে সত্য দেখা থেকে বঞ্চিত রাখার সকল ব্যবস্থা করে রেখেছে, যেন তাদের গলায় বেড়ি পরানো আছে, ফলে মাথা উপরমুখো হয়ে আছে আর তাদের চারদিক প্রাচীর বেষ্টিত, যদ্দরুণ তারা কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। (তাদের সে বেড়ি ও অন্তরাল হল সামাজিক রসম-রেওয়াজ, প্রজন্ম-পরম্পরায় চলে আসা সংস্কার, অর্থ ও প্রতিপত্তির মোহ, বাপদাদার অন্ধ অনুকরণ, অজ্ঞতাপ্রসূত জাত্যাভিমান ও অহঙ্কার অহমিকা ইত্যাদি। এসব তাদেরকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল যে, মুক্তমনে কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা করা ও সত্যগ্রহণের তাগিদে কোন দিকে ফিরে তাকানোর অবকাশ তাদের ছিল না। -অনুবাদক)



وَجَعَلۡنَا مِنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ سَدًّا وَّمِنۡ خَلۡفِہِمۡ سَدًّا فَاَغۡشَیۡنٰہُمۡ فَہُمۡ لَا یُبۡصِرُوۡنَ


ওয়া জা‘আল না-মিম বাইনি আইদীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দান ফাআগশাইনা-হুম ফাহুম লা-ইউবসিরূন।


Mufti Taqi Usmani

And We have placed a barrier in front of them and a barrier behind them, and (thus) they are encircled by Us; so they do not see.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং আমি তাদের সামনে এক অন্তরাল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি এবং পিছনেও এক অন্তরাল দাঁড় করিয়ে দিয়েছি আর এভাবে তাদেরকে সব দিক থেকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা কোন কিছু দেখতে পায় না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অতঃপর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি এদের সামনে প্রাচীর ও পশ্চাতে প্রাচীর স্থাপন করেছি এবং এদেরকে আবৃত করেছি; ফলে এরা দেখতে পায় না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা তাদের সামনে স্থাপন করেছি এক বেড়া আর তাদের পেছনেও এক বেড়া, ফলে আমরা তাদের ঢেকে ফেলেছি, সুতরাং তারা দেখতে পায় না।


১০


وَسَوَآءٌ عَلَیۡہِمۡ ءَاَنۡذَرۡتَہُمۡ اَمۡ لَمۡ تُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ


ওয়া ছাওয়াউন ‘আলাইহিম আ আনযারতাহুম আম লাম তুনযিরহুম লা-ইউ’মিনূন।


Mufti Taqi Usmani

It is all equal for them whether you warn them or do not warn them, they will not believe.


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি তাদেরকে সতর্ক কর অথবা সতর্ক নাই কর উভয়টাই তাদের জন্য সমান। তারা ঈমান আনবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি এদেরকে সতর্ক কর বা না কর, এদের পক্ষে উভয়ই সমান; এরা ঈমান আনবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

এটি তাদের কাছে একাকার -- তুমি তাদের সতর্ক কর অথবা তুমি তাদের সতর্ক নাই কর, তারা বিশ্বাস করবে না।


১১

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#084dc4)

اِنَّمَا تُنۡذِرُ مَنِ اتَّبَعَ الذِّکۡرَ وَخَشِیَ الرَّحۡمٰنَ بِالۡغَیۡبِ ۚ فَبَشِّرۡہُ بِمَغۡفِرَۃٍ وَّاَجۡرٍ کَرِیۡمٍ


ইন্নামা-তুনযিরু মানিত্তাবা‘আযযিকরা ওয়া খাশিয়াররাহমা-না বিলগাইবি ফাবাশশিরহু বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীম।


Mufti Taqi Usmani

You can (usefully) warn only the one who follows the advice and fears the RaHmān (the All-Merciful Allah) without seeing (Him). So give him the good news of forgiveness and of a noble reward.


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি তো কেবল এমন ব্যক্তিকেই সতর্ক করতে পার, যে উপদেশ অনুযায়ী চলে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। সুতরাং এরূপ ব্যক্তিকে সুসংবাদ শোনাও মাগফিরাত ও সম্মানজনক পুরস্কারের।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি কেবল তাকেই সতর্ক করতে পার যে উপদেশ মেনে চলে এবং না দেখে দয়াময় আল্লাহ্কে ভয় করে। অতএব তাকে তুমি ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের সংবাদ দাও।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ তুমি তো সতর্ক করতে পার তাকে যে উপদেশ অনুসরণ করে চলে, আর পরম করুণাময়কে নিভৃতে ভয় করে। সুতরাং তাকে তুমি সুসংবাদ দাও পরিত্রাণের এবং এক মহান প্রতিদানের।


১২


اِنَّا نَحۡنُ نُحۡیِ الۡمَوۡتٰی وَنَکۡتُبُ مَا قَدَّمُوۡا وَاٰثَارَہُمۡ ؕؑ  وَکُلَّ شَیۡءٍ اَحۡصَیۡنٰہُ فِیۡۤ اِمَامٍ مُّبِیۡنٍ ٪


ইন্না-নাহনুনুহয়িল মাওতা-ওয়া নাকতুবুমা-কাদ্দামূওয়া আ-ছা-রাহুম ওয়া কুল্লা শাইয়িন আহসাইনা-হু ফীইমা-মিম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

Surely We will give new life to the dead, and We are recording whatever (deeds) they send before them and whatever effects they leave behind. Every thing is fully computed by Us in a manifest book of record.


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই আমিই মৃতদেরকে জীবিত করব এবং তারা যা কিছু সামনে পাঠায় তা লিখে রাখি আর তাদের কর্মের যে ফলাফল হয় তাও। ৪ এক সুস্পষ্ট কিতাবে প্রতিটি বিষয় সংরক্ষণ করে রেখেছি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমিই মৃতকে করি জীবিত এবং লিখে রাখি যা এরা অগ্রে প্রেরণ করে ও যা এরা পশ্চাতে রেখে যায়, আমি তো প্রত্যেক জিনিস স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ আমরা -- আমরা নিজেরাই মৃতকে জীবন্ত করি, আর আমরা লিখে রাখি যা তারা আগবাড়ায় আর তাদের পদচিহ্নসমূহ। আর সমস্ত ব্যাপার-স্যাপার -- আমরা তা সংরক্ষিত রেখেছি এক সুস্পষ্ট গ্রন্থে।


তাফসীরঃ

৪. অর্থাৎ তাদের সমস্ত দুষ্কর্মও লিখে রাখা হচ্ছে এবং সেসব দুষ্কর্মের যে কুফল তাদের মৃত্যুর পর বাকি থেকে যায় তাও।


১৩


وَاضۡرِبۡ لَہُمۡ مَّثَلًا اَصۡحٰبَ الۡقَرۡیَۃِ ۘ  اِذۡ جَآءَہَا الۡمُرۡسَلُوۡنَ ۚ


ওয়াদরিব লাহুম মাছালান আসহা-বাল কারইয়াহ । ইযজাআহাল মুরছালূন।


Mufti Taqi Usmani

Cite to them the example of the People of the Town, when the messengers came to it,


মুফতী তাকী উসমানী

এবং (হে রাসূল!) তুমি তাদের সামনে দৃষ্টান্ত পেশ কর এক জনপদবাসীর, যখন তাদের কাছে এসেছিল রাসূলগণ। ৫


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের নিকট বর্ণনা কর এক জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত; যখন তাদের নিকট এসেছিল রাসূলগণ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের জন্য উপমা ছোঁড়ো এক জনপদের অধিবাসীদের -- যখন সেখানে রসূলগণ এসেছিলেন।


তাফসীরঃ

৫. কুরআন মাজীদে না এ জনপদটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে আর না সেই রাসূলগণের নাম, যারা এ জনপদে প্রেরিত হয়েছিলেন। কোন কোন বর্ণনায় বলা হয়েছে এ জনপদটি হল শামের প্রসিদ্ধ শহর ‘আনতাকিয়া’। কিন্তু সেসব বর্ণনা তেমন শক্তিশালী নয় এবং ঐতিহাসিকভাবেও তা সমর্থিত নয়। অন্যদিকে আরবী ভাষায় রাসূল (প্রেরিত) শব্দটি দ্বারা এমন যে-কোন লোককে বোঝানো হয়, যে কারও বার্তা নিয়ে অন্য কারও কাছে যায়। কিন্তু কুরআন মাজীদে এ শব্দটি সাধারণত আল্লাহ তাআলার প্রেরিত নবী-রাসূলগণের জন্যই ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং এটাই বেশি প্রকাশ যে, এস্থলে যে তিনজনের কথা বলা হয়েছে তারা নবী ছিলেন। কোন কোন রেওয়ায়াতে তাদের নাম বলা হয়েছে ‘সাদিক’, সাদূক ও শালূম বা শামউন। কিন্তু এসব রেওয়ায়াতও তেমন শক্তিশালী নয়। কোন কোন মুফাসসিরের ধারণা তাঁরা নবী ছিলেন না; বরং তাঁরা ছিলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের শিষ্য। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামই তাঁদেরকে ওই জনপদে তাবলীগের জন্য পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মতে اَلْمُرْسَلُوْنَ শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এখানে তাঁদেরকে প্রেরণের কাজটিকে যেহেতু আল্লাহ তাআলা নিজের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন। তাই এটাই বেশি স্পষ্ট মনে হয় যে, তাঁরা নবীই ছিলেন। প্রথমে দু’জন নবী পাঠানো হয়েছিল, তারপর তৃতীয় আরেকজনকে। যাই হোক, এস্থলে কুরআন মাজীদ যে সবক দিতে চাচ্ছে তা সে জনপদটির নাম জানা এবং প্রেরিত ব্যক্তিবর্গের পরিচয় লাভের উপর নির্ভরশীল নয়। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা তাদের নাম জানাননি। আমাদেরও এর অনুসন্ধানের পেছনে পড়ার কোন দরকার নেই।


১৪


اِذۡ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلَیۡہِمُ اثۡنَیۡنِ فَکَذَّبُوۡہُمَا فَعَزَّزۡنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوۡۤا اِنَّاۤ اِلَیۡکُمۡ مُّرۡسَلُوۡنَ


ইয আরছালনা ইলাইলিমুছনাইনি ফাকাযযাবূহুমা-ফা‘আঝঝাঝনা-বিছা-লিছিন ফাকালূইন্নাইলাউকুম মুরছালূন।


Mufti Taqi Usmani

when We sent to them two (apostles), and they rejected both of them, so We confirmed them with a third one. So they said, “We are sent to you.”


মুফতী তাকী উসমানী

যখন আমি তাদের কাছে (প্রথমে) পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, তখন তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলল। তারপর তৃতীয়জনের মাধ্যমে আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম। তারপর তারা সকলে বলল, নিশ্চয়ই আমাদেরকে তোমাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠানো হয়েছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তাদের নিকট দুজন রসূল প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন এদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দু’জন রাসূল, তখন এরা তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল, এরপর আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দিয়ে। তারা বলেছিল, ‘আমরা তো তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।’


মাওলানা জহুরুল হক

দেখো! আমরা তাদের কাছে দুজনকে পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু তারা এদের দুজনেরই প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল, তখন আমরা তৃতীয় জনকে দিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করি। সুতরাং তাঁরা বলেছিলেন -- "নিঃসন্দেহ তোমাদের কাছে আমরা প্রেরিত হয়েছি।"


১৫


قَالُوۡا مَاۤ اَنۡتُمۡ اِلَّا بَشَرٌ مِّثۡلُنَا ۙ وَمَاۤ اَنۡزَلَ الرَّحۡمٰنُ مِنۡ شَیۡءٍ ۙ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا تَکۡذِبُوۡنَ


কা-লূমাআনতুম ইল্লা-বাশারুম মিছলুনা- ওয়ামাআনঝালাররাহমা-নুমিনশাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা-তাকযিবূন।


Mufti Taqi Usmani

They (the people of the Town) said, “You are no more than human beings like us, and the RaHmān (the All-Merciful Allah) has not sent down any thing. You are but telling a lie.”


মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মত মানুষই। দয়াময় আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা সম্পূর্ণ মিথ্যাই বলছ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা বলল, ‘তোমরা আমাদের মতই মানুষ, দয়াময় আল্লাহ্ তো কিছুই অবতীর্ণ করেন নাই। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলছো।’


মাওলানা জহুরুল হক

তারা বলেছিল -- "তোমরা তো আমাদের ন্যায় মানুষ ছাড়া আর কিছু নও, আর পরম করুণাময় কোনো কিছুই অবতারণ করেন নি, তোমরা তো কেবল মিথ্যা কথা বলছ।"


১৬


قَالُوۡا رَبُّنَا یَعۡلَمُ اِنَّاۤ اِلَیۡکُمۡ لَمُرۡسَلُوۡنَ


কা-লূরাব্বুনা-ইয়া‘লামুইন্না-ইলাইকুম লামুরছালূন।


Mufti Taqi Usmani

They (the messengers) said, “Our Lord knows that we are undoubtedly sent to you.

(ads4)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#084dc4)

মুফতী তাকী উসমানী

রাসূলগণ বলল, আমাদের প্রতিপালক ভালোভাবেই জানেন যে, আমাদেরকে বাস্তবিকই তোমাদের কাছে রাসূল বানিয়ে পাঠানো হয়েছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক জানেন-আমরা অবশ্যই তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি।


মাওলানা জহুরুল হক

তাঁরা বলেছিলেন -- "আমাদের প্রভু জানেন যে আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে প্রেরিতপুরুষই বটে।


১৭


وَمَا عَلَیۡنَاۤ اِلَّا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ


ওয়ামা-‘আলাইনাইল্লাল বালা-গুল মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

Our obligation is no more than to convey the message clearly.”


মুফতী তাকী উসমানী

আর আমাদের দায়িত্ব তো কেবল স্পষ্টভাবে বার্তা পৌঁছিয়ে দেওয়া।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমাদের উপরে হচ্ছে স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়।


১৮


قَالُوۡۤا اِنَّا تَطَیَّرۡنَا بِکُمۡ ۚ لَئِنۡ لَّمۡ تَنۡتَہُوۡا لَنَرۡجُمَنَّکُمۡ وَلَیَمَسَّنَّکُمۡ مِّنَّا عَذَابٌ اَلِیۡمٌ


কা-লূইন্না-তাতাইয়ারনা বিকুম লাইল্লাম তানতাহূলানারজুমান্নাকুম ওয়ালাইয়ামাছছান্নাকুম মিন্না-‘আযা-বুন আলীম।


Mufti Taqi Usmani

They (the People of the Town) said, “We take you as a bad omen for us. If you do not desist, we will certainly stone you and you will be afflicted by a painful punishment from us.”


মুফতী তাকী উসমানী

জনপদবাসী বলল, আমরা তোমাদের মধ্যে অশুভতা লক্ষ করছি। ৬ তোমরা নিবৃত্ত না হলে আমরা অবশ্যই তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপ করব এবং অবশ্যই আমাদের হাতে তোমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি ভোগ করতে হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা বলল, ‘আমরা তো তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি, যদি তোমরা বিরত না হও তোমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ হতে তোমাদের ওপর মর্মন্তুদ শাস্তি অবশ্যই আপতিত হবে।’


মাওলানা জহুরুল হক

তারা বললে, "তোমাদের থেকে আমরা অবশ্যই অমঙ্গল আশঙ্কা করি, যদি তোমরা বিরত না হও তবে আমরা অবশ্যই তোমাদের পাথর মেরে মেরে ফেলব, আর আমাদের থেকে মর্মন্তুদ শাস্তি তোমাদের স্পর্শ করবে।"


তাফসীরঃ

৬. কোন কোন বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, রাসূলগণ যখন সে জনপদে এসে সত্য দীনের দাওয়াত দিতে শুরু করলেন, তখন জনপদবাসী প্রচণ্ডভাবে তাদের বিরোধিতা করল। তাই সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তাআলা তাদেরকে খরায় আক্রান্ত করলেন। কিন্তু তারা এটাকে শাস্তি গণ্য না করে উল্টো রাসূলগণকে দোষারোপ করল এবং বলল, তারা অশুভ বলেই খরা দেখা দিয়েছে। এমনও হতে পারে, তাদের দাওয়াতের ফলে যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল সেটাকেই তারা তাদের অশুভতা সাব্যস্ত করেছে।


১৯


قَالُوۡا طَآئِرُکُمۡ مَّعَکُمۡ ؕ اَئِنۡ ذُکِّرۡتُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ قَوۡمٌ مُّسۡرِفُوۡنَ


কা-লূতাইরুকুম মা‘আকুম আইন যুক্কিরতুম বাল আনতুম কাওমুম মুছরিফূন।


Mufti Taqi Usmani

They said, “Your bad omen is with yourselves. (Do you take it as bad omen) if you are given a good counsel? Rather, you are a people who cross all limits.”


মুফতী তাকী উসমানী

রাসূলগণ বলল, তোমাদের অশুভতা খোদ তোমাদেরই সঙ্গে রয়েছে। ৭ তোমাদের কাছে উপদেশ-বাণী পৌঁছেছে বলেই কি (তোমরা একথা বলছ?) প্রকৃতপক্ষে তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারা বলল, ‘তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই সঙ্গে; এটা কি এইজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি ? বস্তুত তোমরা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’


মাওলানা জহুরুল হক

তাঁরা বললেন, "তোমাদের পাখিগুলো তোমাদের সঙ্গেই রয়েছে। তোমাদের তো স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে! বস্তুতঃ তোমরা হচ্ছ অমিতাচারী জাতি।


তাফসীরঃ

৭. অর্থাৎ তোমাদের অশুভতার মূল কারণ তো কুফর ও শিরক, যাতে তোমরা লিপ্ত রয়েছ।


২০


وَجَآءَ مِنۡ اَقۡصَا الۡمَدِیۡنَۃِ رَجُلٌ یَّسۡعٰی قَالَ یٰقَوۡمِ اتَّبِعُوا الۡمُرۡسَلِیۡنَ ۙ


ওয়াজাআ মিন আকসাল মাদীনাতি রাজুলুইঁ ইয়াছ‘আ- কা-লা ইয়াকাওমিত্তাবি‘উল মুরছালীন।


Mufti Taqi Usmani

And there came a man rushing from the farthest part of the city. He said, “O my people, follow the messengers.


মুফতী তাকী উসমানী

শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এক ব্যক্তি ছুটে আসল। ৮ সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলগণের অনুসরণ কর।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

নগরীর প্রান্ত হতে এক ব্যক্তি ছুটিয়া এলো। সে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর;


মাওলানা জহুরুল হক

আর শহরের দূর প্রান্ত থেকে একজন লোক দেড়ে এল, সে বললে -- "হে আমার স্বজাতি! প্রেরিতপুরুষগণকে অনুসরণ করো, --


তাফসীরঃ

৮. বিভিন্ন বর্ণনা দ্বারা জানা যায় এই ব্যক্তির নাম ‘হাবীব নাজ্জার’। তিনি পেশায় ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। রাসূলগণের দাওয়াতে প্রথমেই তিনি ঈমান এনেছিলেন। নগরের এক প্রান্তে নিভৃতচারী হয়ে তিনি ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতেন। তিনি খবর পেলেন তাঁর সম্প্রদায়ের লোক রাসূলগণের ডাকে সাড়া না দিয়ে বরং তাঁদেরকে নানাভাবে কষ্ট দিচ্ছে। খবর পেয়েই তিনি দ্রুত সেখান থেকে ছুটে আসলেন এবং সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে যে হৃদয়স্পর্শী ভাষণ দিয়েছিলেন সেটাই কুরআন মাজীদে এস্থলে উদ্ধৃত হয়েছে।


২১


اتَّبِعُوۡا مَنۡ لَّا یَسۡـَٔلُکُمۡ اَجۡرًا وَّہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ


ইত্তাবি‘ঊ মাল্লা-ইয়াছআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদূন।


Mufti Taqi Usmani

Follow those who do not claim any reward from you, and who are on the right path.


মুফতী তাকী উসমানী

অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চায় না এবং যারা সঠিক পথে আছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যারা সৎপথপ্রাপ্ত।


মাওলানা জহুরুল হক

অনুসরণ করো তাঁদের যারা তোমাদের কাছ থেকে কোনো পারিশ্রমিকের সওয়াল করেন না, আর তাঁরা হচ্ছেন সৎপথে চালিত।


২২


وَمَا لِیَ لَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ وَاِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ


ওয়া মা-লিয়া লাআ‘বুদুল্লাযী ফাতারানী ওয়া ইলাইহি তুর জা‘উন।


Mufti Taqi Usmani

What excuse do I have if I do not worship the One who has created me and to whom you will be returned?


মুফতী তাকী উসমানী

আমার কী যুক্তি আছে যে, আমি সেই সত্তার ইবাদত করব না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? এবং তারই দিকে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমার কি হল যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আমার কি যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁহার নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে আমি তাঁর ‘ইবাদত করব না ?


মাওলানা জহুরুল হক

"আর আমার কি হয়েছে যে আমি তাঁর উপাসনা করব না, যিনি আমাকে সৃজন করেছেন, আর তাঁরই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে?


২৩


ءَاَتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اٰلِہَۃً اِنۡ یُّرِدۡنِ الرَّحۡمٰنُ بِضُرٍّ لَّا تُغۡنِ عَنِّیۡ شَفَاعَتُہُمۡ شَیۡئًا وَّلَا یُنۡقِذُوۡنِ ۚ


আআত্তাখিযুমিন দুনিহীআ-লিহাতান ইয়ঁইউরিদনির রাহমা-নুবিদু ররিল লা-তুগনি ‘আন্নী শাফা-‘আতুহুম শাইআওঁ ওয়ালা-ইউনকিযূন।


Mufti Taqi Usmani

Shall I adopt those gods besides Him whose intercession, if RaHmān (the All-Merciful Allah) intends to do harm to me, cannot help me in the least, nor can they come to my rescue?


মুফতী তাকী উসমানী

আমি কি তাকে ছেড়ে এমন সব মাবুদ গ্রহণ করব, দয়াময় আল্লাহ আমার কোন অনিষ্ট করতে চাইলে যাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং যারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবে না?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য ইলাহ্ গ্রহণ করব ? দয়াময় আল্লাহ্ আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে এদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবে না এবং এরা আমাকে উদ্ধার করতেও পারবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

"আমি কি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য উপাস্যদের গ্রহণ করব, পরম করুণাময় যদি আমাকে দুঃখ-দুর্দশা দিতে চাইতেন তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনো কাজে আসবে না, আর তারা আমাকে উদ্ধার করতেও পারবে না?


২৪


اِنِّیۡۤ اِذًا لَّفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ


ইন্নী ইযাল্লাফী দালা-লিম্মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

In that case, I will be in open error indeed.


মুফতী তাকী উসমানী

তা করলে নিঃসন্দেহে আমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পতিত হব।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘এইরূপ করলে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পড়িব।


মাওলানা জহুরুল হক

"এমন ক্ষেত্রে আমি তো নিশ্চয় স্পষ্ট ভুলের মধ্যে পড়ব।


২৫


اِنِّیۡۤ اٰمَنۡتُ بِرَبِّکُمۡ فَاسۡمَعُوۡنِ ؕ


ইন্নীআ-মানতুবিরাব্বিকুম ফাছমা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

Undoubtedly I have believed in your Lord; so listen to me.”


মুফতী তাকী উসমানী

আমি তোমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি। সুতরাং তোমরা আমার কথা শোন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আমি তো তোমাদের প্রতিপালকের ওপর ঈমান এনেছি, অতএব তোমরা আমার কথা শোন।’


মাওলানা জহুরুল হক

আমি আলবৎ তোমাদের প্রভুর প্রতি ঈমান এনেছি, সেজন্য আমার কথা শোনো।


২৬


قِیۡلَ ادۡخُلِ الۡجَنَّۃَ ؕ  قَالَ یٰلَیۡتَ قَوۡمِیۡ یَعۡلَمُوۡنَ ۙ


কীলাদ খুলিল জান্নাতা কা-লা ইয়া-লাইতা কাওমী ইয়া‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

(Thereafter when his people killed him,) it was said to him, “Enter the Paradise”. He said, “Would that my people knew


মুফতী তাকী উসমানী

(শেষ পর্যন্ত জনপদবাাসী তাকে হত্যা করে ফেলল ৯ এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তাকে) বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। ১০ সে (জান্নাতের নি‘আমত রাজি দেখে) বলল, আহা! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত-


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাকে বলা হল, ‘জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সে বলে উঠিল, ‘হায়! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারত-


মাওলানা জহুরুল হক

বলা হলো -- "জান্নাতে প্রবেশ কর।" তিনি বললেন -- "হায় আফসোস! আমার স্বজাতি যদি জানতে পারত, --


তাফসীরঃ

৯. কোন কোন বর্ণনায় আছে, নিষ্ঠুর সম্প্রদায়টি তাঁর আন্তরিকতাপূর্ণ উপদেশের জবাবে তাঁকে লাথি-ঘুষি ও পাথর মেরে-মেরে শহীদ করে ফেলল।


১০. জান্নাতের আসল প্রবেশ তো হাশরের হিসাব-নিকাশের পর হবে, কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদেরকে বরযখ (মৃত্যু থেকে হাশরের মধ্যবর্তী) জগতেও জান্নাতের কিছু নি‘আমত দান করে থাকেন। এখানে তাঁকে এক দিকে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, তাঁর স্থান হল জান্নাত, অন্যদিকে জান্নাতের কিছু নি‘আমত বরযখের জগতেই তাঁকে দিয়ে দেওয়া হল, যা দেখে তাঁর আবার নিজ সম্প্রদায়ের কথা মনে পড়ল এবং তাঁদের কল্যাণকামিতায় উজ্জীবিত হয়ে বলল, আহা! তারা যদি জানতে পারত আমাকে কি-কি নি‘আমত দান করা হয়েছে, তাহলে হয়ত তাদের চোখ খুলত।


২৭


بِمَا غَفَرَ لِیۡ رَبِّیۡ وَجَعَلَنِیۡ مِنَ الۡمُکۡرَمِیۡنَ


বিমা-গাফারালী রাববী ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুকরামীন।


Mufti Taqi Usmani

how my Lord has forgiven me and placed me among the honoured ones!”


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ কিভাবে আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘কিরূপে আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত করেছেন।’


মাওলানা জহুরুল হক

কি কারণে আমার প্রভু আমাকে পরিত্রাণ করেছেন, আর আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।


২৮


وَمَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلٰی قَوۡمِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ مِنۡ جُنۡدٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَمَا کُنَّا مُنۡزِلِیۡنَ


ওয়ামাআনঝালনা-‘আলা-কাওমিহী মিম বা‘দিহী মিন জুনদিম মিনাছ ছামাইওয়ামা-কুন্নামুনঝিলীন।


Mufti Taqi Usmani

And We did not send down to his people any army from the heavens after him, nor were We (in need) to send down.


মুফতী তাকী উসমানী

সেই ব্যক্তির পর আমি তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আসমান থেকে কোন বাহিনী পাঠাইনি এবং আমার তা পাঠানোর প্রয়োজনও ছিল না। ১১


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি তার পরে তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আকাশ হতে কোন বাহিনী প্রেরণ করি নাই এবং প্রেরণের প্রয়োজনও ছিল না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাঁর পরে তাঁর লোকদের প্রতি আমরা আকাশ থেকে কোনো বাহিনী পাঠাই নি, আর আমরা কখনো প্রেরণকারী নই।


তাফসীরঃ

১১. অর্থাৎ সেই জালেম ও নাফরমান সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার জন্য আমার আসমান থেকে ফেরেশতাদের কোন বাহিনী পাঠানোর দরকার ছিল না। ব্যস, মাত্র একজন ফেরেশতা একটি বিকট আওয়াজ করল এবং তাতেই সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ কলজে ফেটে মারা গেল এবং সে জনপদটি এমন হয়ে গেল, যেন আগুন নিভে ছাইয়ের স্তূপ হয়ে গেছে। মহান আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।


২৯


اِنۡ کَانَتۡ اِلَّا صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً فَاِذَا ہُمۡ خٰمِدُوۡنَ


ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম খা-মিদূন।


Mufti Taqi Usmani

It was no more than a single Cry, and in no time they were extinguished.


মুফতী তাকী উসমানী

তা ছিল কেবল একটি মহানাদ, যাতে তারা সব নিভে নিথর হয়ে গেল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তা ছিল কেবল এক মহানাদ। ফলে এরা নিথর নিস্তব্ধ হয়ে গেল।


মাওলানা জহুরুল হক

এটি অবশ্য একটিমাত্র মহাগর্জন বৈ তো নয়, তখন দেখো, তারা নিথরদেহী হয়ে গেল!


৩০


یٰحَسۡرَۃً عَلَی الۡعِبَادِ ۚؑ مَا یَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ


ইয়া-হাছরাতান ‘আলাল ‘ইবা-দি মা-ইয়া’তীহিম মির রাছূলিন ইল্লা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।


Mufti Taqi Usmani

Alas for the slaves (of Allah)! No messenger came to them, but they have been mocking at him.


মুফতী তাকী উসমানী

আফসোস এসব বান্দার প্রতি! তাদের কাছে যে রাসূলই এসেছে তাকে নিয়ে তারা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিতাপ বান্দাদের জন্যে; এদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে তখনই এরা তাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে।


মাওলানা জহুরুল হক

হায় আফসোস বান্দাদের জন্য! তাদের কাছে এমন কোনো রসূল আসেন নি যাঁকে নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করেছে!


৩১


اَلَمۡ یَرَوۡا کَمۡ اَہۡلَکۡنَا قَبۡلَہُمۡ مِّنَ الۡقُرُوۡنِ اَنَّہُمۡ اِلَیۡہِمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ؕ


আলাম ইয়ারাও কাম আহলাকনা- কাবলাহুম মিনাল কুরূনি আন্নাহুম ইলাইহিম লাইয়ারজি‘উন।


Mufti Taqi Usmani

Did they not see how many generations We have destroyed before them who will not come back to them?


মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি দেখেনি তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যারা তাদের কাছে ফিরে আসছে না?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি লক্ষ্য করে না এদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠী আমি ধ্বংস করেছি যারা এদের মধ্যে ফিরে আসবে না ?


মাওলানা জহুরুল হক

তারা কি দেখে নি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে আমরা ধ্বংস করেছি, কেননা তারা তাঁদের প্রতি ফিরতো না?


৩২


وَاِنۡ کُلٌّ لَّمَّا جَمِیۡعٌ لَّدَیۡنَا مُحۡضَرُوۡنَ ٪


ওয়া ইন কুল্লুল লাম্মা-জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।


Mufti Taqi Usmani

All of them are but to be assembled together (and) to be arraigned before Us.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং যত লোক আছে তাদের সকলকে অবশ্যই একত্র করে আমার সামনে হাজির করা হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং অবশ্যই এদের সকলকে একত্রে আমার নিকট উপস্থিত করা হবে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর নিশ্চয়ই সবাইকে, -- আলবৎ সব ক’জনকে, আমাদের সামনে হাজির করা হবে।


৩৩


وَاٰیَۃٌ لَّہُمُ الۡاَرۡضُ الۡمَیۡتَۃُ ۚۖ اَحۡیَیۡنٰہَا وَاَخۡرَجۡنَا مِنۡہَا حَبًّا فَمِنۡہُ یَاۡکُلُوۡنَ


ওয়া আ-য়াতুল লাহুমুল আরদুল মাইতাতু আহইয়াইনা-হা-ওয়াআখরাজনা-মিনহাহাব্বান ফামিনহু ইয়া’কুলূন।


Mufti Taqi Usmani

And a sign for them is the dead land. We gave it life and brought forth grain from it; so from it they eat.


মুফতী তাকী উসমানী

আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হল মৃত ভূমি, যাকে আমি জীবন দান করেছি এবং তাতে শস্য উৎপন্ন করেছি অতঃপর তারা তা থেকে খেয়ে থাকে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত ধরিত্রী, যাকে আমি সঞ্জীবিত করি এবং তা হতে উৎপন্ন করি শস্য যা এরা আহার করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে মৃত ভূখন্ড, আমরা তাতে প্রাণ সঞ্চার করি, আর তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, ফলে সেটি থেকে তারা আহার করে।


৩৪


وَجَعَلۡنَا فِیۡہَا جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّاَعۡنَابٍ وَّفَجَّرۡنَا فِیۡہَا مِنَ الۡعُیُوۡنِ ۙ


ওয়া জা‘আল না-ফীহা-জান্না-তিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ‘না-বিও ওয়া ফাজ্জারনা-ফীহামিনাল ‘উইঊন।


Mufti Taqi Usmani

And We have placed gardens of date-palms and grapes, and caused springs to gush forth therein,


মুফতী তাকী উসমানী

আমি সে ভূমিতে সৃষ্টি করেছি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং তা থেকে উৎসারিত করেছি পানির প্রস্রবণ


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এতে আমি সৃষ্টি করি খর্জুর ও আঙুরের উদ্যান এবং এতে উৎসারিত করি প্রস্রবণ,


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা তাতে বানিয়েছি খেজুর ও আঙুরের বাগানসমূহ, আর তার মাঝে আমরা উৎসারিত করি প্রস্রবণ,


৩৫


لِیَاۡکُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِہٖ ۙ وَمَا عَمِلَتۡہُ اَیۡدِیۡہِمۡ ؕ اَفَلَا یَشۡکُرُوۡنَ


লিইয়া’কুলূমিন ছামারিহী ওয়ামা-‘আমিলাতহু আইদীহিম আফালা-ইয়াশকুরূন।


Mufti Taqi Usmani

so that they may eat fruits thereof, while it was not made by their hands. Would they not then offer gratitude?


মুফতী তাকী উসমানী

যাতে তারা তার ফল খেতে পারে। তাতো তাদের হাত তৈরি করেনি। ১২ তবুও কি তারা শোকর আদায় করবে না?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যাতে এরা আহার করতে পারে এর ফলমূল হতে, অথচ এদের হস্ত তা সৃষ্টি করে নাই। তবুও কি এরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না ?


মাওলানা জহুরুল হক

যেন তারা এর ফলমূল থেকে আহার করতে পারে, অথচ তাদের হাতে এটি বানায় নি। তবু কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?


তাফসীরঃ

১২. দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে এদিকে যে, মানুষ যখন ক্ষেত-খামার করে তখন তার সমস্ত দৌড়-ঝাপের সারাংশ তো কেবল এই যে, সে মাটি প্রস্তুত করে ও তাতে বীজ বপণ করে, কিন্তু সেই বীজকে পরিচর্যা করে তা থেকে মাটি ফাটিয়ে অঙ্কুর উদগত করা, তারপর তাকে পরিপুষ্ট করে বৃক্ষের রূপ দেওয়া, অবশেষে তাতে ফল-ফলাদি জন্মানো এসব তো মানুষের কাজ নয়। এটা কেবল আল্লাহ তাআলার রবূবিয়াত গুণেরই কারিশমা। গোটা উদ্ভিদ জগতে যা প্রতিনিয়ত ঘটে, সেই মহা গুণই তার প্রকৃত নিয়ামক।


৩৬


سُبۡحٰنَ الَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَزۡوَاجَ کُلَّہَا مِمَّا تُنۡۢبِتُ الۡاَرۡضُ وَمِنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَمِمَّا لَا یَعۡلَمُوۡنَ


ছুবহা-নাল্লাযী খালাকাল আঝাওয়া-জা কুল্লাহা- মিম্মা-তুমবিতুলআরদুওয়া মিন আনফুছিহিম ওয়া মিম্মা-লা-ইয়া‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

Pure (from every fault) is the One who has created all the pairs of whatever the earth grows and of the humans themselves and of that which they do not know.


মুফতী তাকী উসমানী

পবিত্র সেই সত্তা, যিনি প্রতিটি জিনিস জোড়া-জোড়া সৃষ্টি করেছেন ভূমি যা উৎপন্ন করে তাও এবং তাদের নিজেদেরকেও আর তারা (এখনও) যা জানে না তাও। ১৩


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং এরা যাদেরকে জানে না তাদের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেছেন জোড়া জোড়া করে।


মাওলানা জহুরুল হক

সকল মহিমা তাঁর যিনি জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন -- পৃথিবী যা উৎপাদন করে তার মধ্যের সব-কিছু, আর তাদের নিজেদের মধ্যেও, আর তারা যার কথা জানে না তাদের মধ্যেও।


তাফসীরঃ

১৩. কুরআন মাজীদ বহু স্থানে এই সত্য প্রকাশ করেছে যে, আল্লাহ তাআলা প্রতিটি বস্তুকে জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জোড়া তো নর-নারী রূপে সেই শুরু থেকেই চলে আসছে, যা সকলেই বোঝে। কিন্তু কুরআন মাজীদ বলছে, স্ত্রী-পুরুষের ব্যাপারটা উদ্ভিদের মধ্যেও আছে। এ তত্ত্ব কিন্তু বিজ্ঞান জেনেছে বহু পরে। সামনে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছেন যে, বহু জিনিস এমনও আছে, যার মধ্যে যুগল থাকার বিষয়টা এখনও পর্যন্ত তোমরা জানতে পারনি। সুতরাং আধুনিক বিজ্ঞান ক্রমান্বয়ে যেসব যুগল আবিষ্কার করে চলেছে, যেমন বিদ্যুতের ভেতর নেগেটিভ-পজেটিভ, এটমের ভেতর ইলেকট্রন-প্রোটন ইত্যাদি সবই কুরআন মাজীদের এই সাধারণ বয়ানের অন্তর্ভুক্ত।


৩৭


وَاٰیَۃٌ لَّہُمُ الَّیۡلُ ۚۖ  نَسۡلَخُ مِنۡہُ النَّہَارَ فَاِذَا ہُمۡ مُّظۡلِمُوۡنَ ۙ


ওয়া আ-য়াতুল্লাহুমুল্লাইলু নাছলাখুমিনহুন্নাহা-রা ফাইযা-হুম মুজলিমূন।


Mufti Taqi Usmani

And a sign for them is the night. We strip (the cover of) the day from it, and they are suddenly in darkness.


মুফতী তাকী উসমানী

তাদের জন্য আরেকটি নিদর্শন হল রাত, যা থেকে আমি দিনের আবরণ সরিয়ে নেই, অমনি তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ১৪


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, তা হতে আমি দিবালোক অপসারিত করি, তখন এরা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের কাছে একটি নিদর্শন হচ্ছে রাত্রি, তা থেকে আমরা বের করে আনি দিনকে, তারপর দেখো! তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে!


তাফসীরঃ

১৪. এখানে আল্লাহ তাআলা আরেকটি সত্য প্রকাশ করেছেন। তা এই যে, জগতে অন্ধকারই মূল অবস্থা। আল্লাহ তাআলা তা দূর করার জন্য সূর্যের আলো সৃষ্টি করেছেন। সূর্য যখন উদিত হয়, তখন সে জগতের অংশ-বিশেষের উপর আলোর একটি চাদর বিছিয়ে দেয়, ফলে জগতের সেই অংশ আলোকিত হয়ে ওঠে। অতঃপর যখন সূর্য অস্ত যায়, তখন আলোর সেই চাদর সরে যায়, অমনি আবার মূল অন্ধকার ফিরে আসে।


৩৮


وَالشَّمۡسُ تَجۡرِیۡ لِمُسۡتَقَرٍّ لَّہَا ؕ  ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ ؕ


ওয়াশশামছুতাজরী লিমুছতাকাররিল লাহা- যা-লিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম।


Mufti Taqi Usmani

And the sun is quickly proceeding towards its destination. That is the designing of the All-Mighty, the All-Knowing.


মুফতী তাকী উসমানী

সূর্য আপন গন্তব্যের দিকে পরিভ্রমণ করছে। এসব পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ সত্তার স্থিরীকৃত (ব্যবস্থাপনা)।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর সূর্য ভ্রমণ করে এর নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর সূর্য তার গন্তব্য পথে বিচরণ করে। এটিই মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতার নির্ধারিত বিধান।


৩৯


وَالۡقَمَرَ قَدَّرۡنٰہُ مَنَازِلَ حَتّٰی عَادَ کَالۡعُرۡجُوۡنِ الۡقَدِیۡمِ


ওয়াল কামারা কাদ্দারনা-হু মানা-ঝিলা হাত্তা-‘আ-দাকাল ‘উরজুনিল কাদীম।


Mufti Taqi Usmani

And for the moon We have appointed measured phases, until it turned (pale, curved and fine) like an old branch of date palm.


মুফতী তাকী উসমানী

আর চাঁদের জন্য আমি নির্দিষ্ট করে দিয়েছি বিভিন্ন মনজিল। পরিশেষে তা (নিজ মনজিলসমূহ অতিক্রম করে) ফিরে আসে পুরানো খেজুর ডালার মত (সরু হয়ে)। ১৫


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং চন্দ্রের জন্যে আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনযিল; অবশেষে তা শুষ্ক বক্র, পুরাতন খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর চন্দ্রের বেলা -- আমরা এর জন্য বিধান করেছি বিভিন্ন অবস্থান, শেষপর্যন্ত তা শুকনো পুরোনো খেজুরবৃন্তের ন্যায় হয়ে যায়।


তাফসীরঃ

১৫. অর্থাৎ পূর্ণ মাসের পরিভ্রমণ শেষে এক-দু’ রাত তো চাঁদের দেখাই পাওয়া যায় না। তারপর যখন দ্বিতীয় ভ্রমণ শুরু করে তখন সেটা খেজুর ডালা পুরনো হলে যেমন সরু ও বাঁকা হয়ে যায় ঠিক সে রকমই সরু ও বাঁকা হয়ে যায়। [আয়াতের তরজমায় যদিও ‘উরজূন’ অর্থ করা হয়েছে ‘খেজুর ডালা’, কিন্তু এর প্রকৃত আভিধানিক অর্থ হল সেই ডাঁটা, যার সাথে খেজুরের কাঁদি ঝুলে থাকে। এ ডাঁটা শুকালে সরু হয়ে বাঁকিয়ে যায়। শেষ মনজিলের চাঁদকে তারই সাথে তুলনা করা হয়েছে। -অনুবাদক]


৪০


لَا الشَّمۡسُ یَنۡۢبَغِیۡ لَہَاۤ اَنۡ تُدۡرِکَ الۡقَمَرَ وَلَا الَّیۡلُ سَابِقُ النَّہَارِ ؕ وَکُلٌّ فِیۡ فَلَکٍ یَّسۡبَحُوۡنَ


লাশশামছুইয়ামবাগী লাহাআন তুদরিকাল কামারা ওয়ালাল্লাইলুছা-বিকুন্নাহা-রি ওয়া কুল্লুন ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূন।


Mufti Taqi Usmani

Neither it is for the sun to overtake the moon, nor can the night outpace the day. Each one is floating in an orbit.


মুফতী তাকী উসমানী

সূর্য পারে না ১৬ চাঁদকে গিয়ে ধরতে আর রাতও পারে না দিনকে অতিক্রম করতে। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সাঁতার কাটে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করে।


মাওলানা জহুরুল হক

সূর্যের নিজের সাধ্য নেই চন্দ্রকে ধরার, আর রাতেরও নেই দিনকে অতিক্রম করার। আর সবক’টিই কক্ষপথে ভাসছে।


তাফসীরঃ

১৬. এর এক অর্থ তো এই যে, চাঁদ ও সুরুজ উভয়টি আপন-আপন কক্ষপথে ছুটে চলছে। সূর্যের সাধ্য নেই যে, সে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। দ্বিতীয় অর্থ হল সূর্যের সাধ্য নেই রাতের বেলা যখন আকাশে চাঁদ জ্বলজ্বল করে তখন উদিত হয়ে রাতকে দিন বানিয়ে দেবে।


৪১


وَاٰیَۃٌ لَّہُمۡ اَنَّا حَمَلۡنَا ذُرِّیَّتَہُمۡ فِی الۡفُلۡکِ الۡمَشۡحُوۡنِ ۙ

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#084dc4)

ওয়া আ-য়াতুল লাহুম আন্না-হামালনা-যুররিইয়াতাহুম ফিল ফুলকিল মাশহূন।


Mufti Taqi Usmani

And it is a sign for them that We boarded their children in the loaded ship,


মুফতী তাকী উসমানী

তাদের জন্য আরেকটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌযানে আরোহন করিয়েছিলাম। ১৭


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের জন্যে এক নিদর্শন এই যে, আমি এদের বংশধরদেরকে বোঝাই নৌযানে আরোহণ করিয়েছিলাম;


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে এই যে আমরা তাদের সন্তান-সন্ততিকে বহন করি বোঝাই করা জাহাজে, --


তাফসীরঃ

১৭. সন্তানদের কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে এ কারণে যে, সেকালে আরববাসী তাদের যুবক সন্তানদেরকে বাণিজ্য ব্যাপদেশে সামুদ্রিক ভ্রমণে পাঠাত।


৪২


وَخَلَقۡنَا لَہُمۡ مِّنۡ مِّثۡلِہٖ مَا یَرۡکَبُوۡنَ


ওয়া খালাকনা-লাহুম মিম মিছলিহী মা ইয়ারকাবূন।


Mufti Taqi Usmani

and created for them things similar to it on which they ride.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি তাদের জন্য অনুরূপ আরও জিনিস সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা সওয়ার হয়ে থাকে। ১৮


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং এদের জন্যে অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি যাতে এরা আরোহণ করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের জন্য আমরা বানিয়েছি এগুলোর অনুরূপ অন্যান্য যা তারা চড়বে।


তাফসীরঃ

১৮. নৌযানের অনুরূপ সৃষ্টি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? সাধারণত মুফাসসিরগণ এর ব্যাখ্যা করেছেন উটের দ্বারা। কেননা আরববাসী উটকে মরুভূমির জাহাজ বলে থাকে। কিন্তু কুরআন মাজীদের শব্দ সাধারণ। নৌকার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যে-কোনও বস্তুই এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বরং আরবী ব্যাকরণ অনুসারে আয়াতের তরজমা এভাবেও করা যেতে পারে, আমি তাদের জন্য এর মত অন্য জিনিসও সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা (ভবিষ্যতে) আরোহন করবে। এ হিসেবে কিয়ামত পর্যন্ত যত যানবাহন আবিষ্কৃত হবে সবই এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, যেমন বিভিন্ন রকমের আধুনিক জলযান। উড়োজাহাজও এক দিক থেকে পানির জাহাজ তুল্য। একটা সাতার কাটে পানিতে, অন্যটা বায়ুতে।


৪৩


وَاِنۡ نَّشَاۡ نُغۡرِقۡہُمۡ فَلَا صَرِیۡخَ لَہُمۡ وَلَا ہُمۡ یُنۡقَذُوۡنَ ۙ


ওয়া ইন নাশা’ নুগরিকহুম ফালা-ছারীখা লাহুম ওয়ালা-হুম ইউনকাযূন।


Mufti Taqi Usmani

And if We so will, We can drown them; then no one will respond to their cry, nor will they be rescued,


মুফতী তাকী উসমানী

আমি চাইলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি, তখন তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং তাদের প্রাণ রক্ষা সম্ভব হবে না


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি ইচ্ছা করলে এদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি; সে অবস্থায় এদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না এবং এরা পরিত্রাণও পাবে না-


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা যদি ইচ্ছা করি তবে তাদের ডুবিয়েও দিতে পারি, তখন তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী থাকবে না, আর তাদের উদ্ধার করাও হবে না, --


৪৪


اِلَّا رَحۡمَۃً مِّنَّا وَمَتَاعًا اِلٰی حِیۡنٍ


ইল্লা-রাহমাতাম মিন্না -ওয়া মাতা-‘আন ইলা-হীন।


Mufti Taqi Usmani

unless there be mercy from Us, and (unless) We let them enjoy for a while.


মুফতী তাকী উসমানী

তবে আমার পক্ষ হতে এক রহমত এবং এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত (জীবনের) আনন্দ ভোগের সুযোগ হিসেবে (আমিই তাদেরকে রক্ষা করে থাকি)।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমার অনুগ্রহ না হলে এবং কিছু কালের জন্যে জীবনোপভোগ করতে না দিলে।


মাওলানা জহুরুল হক

আমাদের থেকে করুণা ব্যতীত, আর কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগকরণ মাত্র।


৪৫


وَاِذَا قِیۡلَ لَہُمُ اتَّقُوۡا مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡکُمۡ وَمَا خَلۡفَکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ


ওয়া ইযা-কীলা লাহুমুত্তাকূ মা- বাইনা আইদীকুম ওয়ামা- খালফাকুম লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।


Mufti Taqi Usmani

And (they pay no heed) when it is said to them, “Save yourselves from that (punishment) which is before you (in this world) and that which will come after you (die), so that you may receive mercy”.

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#084dc4)

মুফতী তাকী উসমানী

যখন তাদেরকে বলা হয়, বাঁচ তা হতে (সেই শাস্তি হতে) যা তোমাদের সামনে আছে এবং যা আছে তোমাদের পেছনে, ১৯ যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয় (তখন তারা তা গ্রাহ্য করে না)।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন এদেরকে বলা হয়, ‘যা তোমাদের সামনে ও তোমাদের পশ্চাতে আছে সে সম্বন্ধে সাবধান হও যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার,’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন তাদের বলা হয় -- "ভয় করো যা তোমাদের সামনে রয়েছে আর যা তোমাদের পেছনে রয়েছে, যেন তোমাদের প্রতি করুণা করা হয়।"


তাফসীরঃ

১৯. এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে (ক) ‘যা আছে তোমাদের সামনে’ অর্থাৎ মৃত্যুর আগে ইহজীবনে যে শাস্তি তোমাদেরকে দেওয়া হতে পারে। আর ‘যা আছে তোমাদের পেছনে’ অর্থাৎ যে শাস্তি তোমাদের পেছনে লেগে রয়েছে, মৃত্যুর পর তার সম্মুখীন তোমরা হবে। (খ) ‘যা আছে সামনে’ অর্থাৎ অতীত জাতিসমূহকে প্রদত্ত শাস্তি, যা তোমাদের সামনে ইতিহাস হয়ে আছে; (গ) ‘যা আছে সামনে’ অর্থাৎ আগামী দিনসমূহে গুনাহ হতে বেঁচে থেকে তার শাস্তি হতে আত্মরক্ষা কর আর ‘যা আছে পেছনে’ মানে বিগত দিনে কৃত গুনাহ হতে তওবা করে তার শাস্তি হতে বাঁচ; (ঘ) যা আছে সামনে মানে আখিরাতের শাস্তি আর যা আছে পেছনে মানে নিজেদের কৃতকর্ম। অর্থাৎ যখন বলা হয় আখিরাতের শাস্তি ও নিজেদের দুষ্কর্মের পরিণাম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা কর, তা হলে তোমাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা দয়াপরবশ হবেন, তখন তারা সে উপদেশে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করে না। -অনুবাদক


৪৬


وَمَا تَاۡتِیۡہِمۡ مِّنۡ اٰیَۃٍ مِّنۡ اٰیٰتِ رَبِّہِمۡ اِلَّا کَانُوۡا عَنۡہَا مُعۡرِضِیۡنَ


ওয়ামা-তা’তীহিম মিন আ-য়াতিম মিন আ-য়া-তি রাব্বিহিম ইল্লা-কা-নূ‘আনহা-মু‘রিদীন।


Mufti Taqi Usmani

There comes to them no sign from the signs of your Lord, but they turn averse to it.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদের কাছে এমন কোন নিদর্শন আসে না, যা থেকে তারা মুখ ফেরায় না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং যখনই এদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীর কোন নিদর্শন এদের নিকট আসে, তখনই এরা তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের প্রভুর বাণীসমূহের মধ্যে থেকে এমন কোনো বাণী তাদের কাছে আসে নি যা থেকে তারা বরাবর ফিরে না গেছে।


৪৭


وَاِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ اَنۡفِقُوۡا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰہُ ۙ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنُطۡعِمُ مَنۡ لَّوۡ یَشَآءُ اللّٰہُ اَطۡعَمَہٗۤ ٭ۖ اِنۡ اَنۡتُمۡ اِلَّا فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ


ওয়া ইযা-কীলা লাহুম আনফিকূমিম্মা-রাঝাকাকুমুল্লা-হু কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আমানূ আনুত‘ইমুমাল্লাও ইয়াশাউল্লা-হু আত‘আমাহূ ইন আনতুম ইল্লা-ফী দালা-লিম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

And when it is said to them, “Spend (to the needy) from the provision Allah has given to you”, the disbelievers say to the believers, “Shall we feed those whom Allah could have fed, if Allah so willed? You are but in open error.”


মুফতী তাকী উসমানী

যখন তাদেরকে বলা হয় আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছেন তা থেকে (গরীবদের জন্যও) ব্যয় কর, তখন কাফেরগণ মুসলিমদেরকে বলে, আমরা কি তাদেরকে খাবার খাওয়াব, যাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা করলে নিজেই খাওয়াতেন? (হে মুসলিমগণ!) তোমাদের অবস্থা এ ছাড়া কিছুই নয় যে, তোমরা সুস্পষ্ট গোমরাহীতে পড়ে রয়েছ। ২০


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন এদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়েছেন তা হতে ব্যয় কর’ তখন কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘যাকে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে খাওয়াতে পারতেন আমরা কি তাকে খাওয়াব ? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রহিয়াছ।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন তাদের বলা হয় -- "আল্লাহ্ তোমাদের যা রিযেক দিয়েছেন তা থেকে খরচ করো।" তখন যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা বলে তাদের যারা বিশ্বাস করেছে -- "আমরা কি তাদের খাওয়াব যাদের, আল্লাহ্ যদি চাইতেন তবে তিনিই খাওয়াতে পারতেন? তোমরা স্পষ্ট ভুলের মধ্যে ছাড়া আর কোথাও তো নও।"


তাফসীরঃ

২০. অর্থাৎ কাফিরগণ বলে, হে মুমিনগণ! তোমরা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছ। একদিকে বলছ, আল্লাহ তাআলাই রিযক দান করেন। তিনি সকলকেই রিযক দিতে সক্ষম। আবার আমাদেরকে বলছ, আমরা যেন গরীবকে অন্নদান করি। তা জীবিকা যদি আল্লাহর হাতেই থাকে তবে তিনিই তো তাদেরকে খাওয়াতে পারেন। আমাদেরকে কেন অন্নদান করতে বলছ? আর যদি তিনি ইচ্ছাকৃতই তাদেরকে অভুক্ত রেখে থাকেন, তবে আমরা কেন তার ইচ্ছার বিপরীতে তাদেরকে খাওয়াতে যাব? প্রকৃতপক্ষে এটা তাদের মূঢ়তা। আল্লাহ তাআলা জীবিকাদাতা এর অর্থ এই নয় প্রত্যেককে তাঁর সরাসরি জীবিকা দিতে হবে। অন্যের মাধ্যমে দেওয়ালে সেটাও তাঁরই দেওয়া। মূলত মানুষকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যেই তিনি কাউকে ধনী ও কাউকে গরীব বানান। তিনি দেখতে চান ধনী কতটা শোকর আদায় করে আর গরীব কতটা সবর করে। সবরের দাবি হল গরীব সহজে কারও কাছে হাত পাতবে না আর শোকরের দাবি হল গরীবের প্রতি সহমর্মী হয়ে ধনী নিজ ধনের একটা অংশ তাদের পেছনে ব্যয় করবে। তা করলেই সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল আর এরই জন্য তাকে আদেশ করা হচ্ছে ‘তোমাদের জীবিকা থেকে অর্থাৎ আল্লাহর দেওয়া ধন থেকে গরীবদের জন্য ব্যয় কর’। -অনুবাদক


৪৮


وَیَقُوۡلُوۡنَ مَتٰی ہٰذَا الۡوَعۡدُ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ


ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কনতুম সা-দিকীন।


Mufti Taqi Usmani

And they say, “When will this promise come true, if you are truthful?”


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তারা বলে, (কিয়ামতের) এ প্রতিশ্রুতি কবে পূর্ণ হবে? (হে মুসলিমগণ!) তোমরা সত্যবাদী হলে এটা বলে দাও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এই প্রতিশ্রুতি কখন পূর্ণ হবে ?’


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা বলে -- "সেই ওয়াদা কখন পূর্ণ হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও?"


৪৯


مَا یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً تَاۡخُذُہُمۡ وَہُمۡ یَخِصِّمُوۡنَ


মা-ইয়ানজু রূনা ইল্লা সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান তা’খুযুহুম ইয়াখিসসিমূন।


Mufti Taqi Usmani

They are looking for nothing but for a single Cry that will seize them when they will be quarrelling.


মুফতী তাকী উসমানী

(প্রকৃতপক্ষে) তারা একটি মহানাদেরই অপেক্ষায় আছে, যা তাদেরকে পাকড়াও করবে তাদের বিতর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায়। ২১


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা তো অপেক্ষায় আছে এক মহানাদের যা এদেরকে আঘাত করবে এদের বাক-বিতণ্ডাকালে।


মাওলানা জহুরুল হক

তারা একটিমাত্র মহাগর্জন ছাড়া আর কিছুর অপেক্ষা করছে না, এটি তাদের আঘাত করবে যখন তারা কথা কাটাকাটি করছে।


তাফসীরঃ

২১. অর্থাৎ তারা বেচাকেনা, লেনদেন ও পার্থিব কাজ-কারবার নিয়ে পরস্পরে আলাপ-আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত থাকবে আর এ অবস্থায় হযরত ইসরাফীল (আ.) শিঙ্গায় ফুক দেবেন। তার ভয়াল আওয়াজে সকলেই আপন-আপন স্থানে ধ্বংস হয়ে যাবে। কেউ সেখান থেকে ঘর-বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবে না এবং ওসিয়ত করার মতো অবকাশও কারও থাকবে না। -অনুবাদক


৫০


فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ تَوۡصِیَۃً وَّلَاۤ اِلٰۤی اَہۡلِہِمۡ یَرۡجِعُوۡنَ ٪


ফালা-ইয়াছতাতী‘ঊনা তাওছিয়াতাওঁ ওয়ালাইলাআহলিহিম ইয়ারজি‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

So they will not be able to make a bequest, nor will they return to their household.


মুফতী তাকী উসমানী

তখন আর তারা কোন অসিয়ত করতে পারবে না এবং পারবে না নিজ পরিবারবর্গের কাছে ফিরে যেতে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তখন এরা ওসিয়াত করতে সমর্থ হবে না এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে আসতেও পারবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

তখন তারা ওসিয়ৎ করতেও সমর্থ হবে না, আর তারা তাদের পরিবারবর্গের কাছে ফিরতেও পারবে না।


৫১


وَنُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَاِذَا ہُمۡ مِّنَ الۡاَجۡدَاثِ اِلٰی رَبِّہِمۡ یَنۡسِلُوۡنَ


ওয়ানুফিখা ফিসসূরি ফাইযা-হুম মিনাল আজদা-ছিইলা-রাব্বিহিম ইয়ানছিলূন।


Mufti Taqi Usmani

And the Horn will be blown, and suddenly they will be rushing from their graves towards their Lord.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং শিঙ্গায় (দ্বিতীয়) ফুঁ দেওয়া হবে। অমনি তারা আপন-আপন কবর থেকে বের হয়ে তাদের প্রতিপালকের দিকে ছুটে চলবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে তখনই তারা কবর হতে ছুটিয়া আসবে তাদের প্রতিপালকের দিকে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর শিঙায় ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন দেখো! তারা কবরগুলো থেকে তাদের প্রভুর দিকে ছুটে আসবে।


৫২


قَالُوۡا یٰوَیۡلَنَا مَنۡۢ بَعَثَنَا مِنۡ مَّرۡقَدِنَا ٜۘؐ ہٰذَا مَا وَعَدَ الرَّحۡمٰنُ وَصَدَقَ الۡمُرۡسَلُوۡنَ


কা-লূইয়া-ওয়াইলানা-মাম বা‘আছানা-মিম মারকাদিনা-হা-যা-মাওয়া‘আদার রাহমা-নুওয়া সাদাকাল মুরছালূন।


Mufti Taqi Usmani

They will say, “Woe to us! Who has raised us from our sleeping place? “This is what RaHmān (the All-Merciful Allah) had promised, and the messengers had told the truth.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠাল? (উত্তর দেওয়া হবে,) এটা সেই জিনিস, যার প্রতিশ্রুতি দয়াময় আল্লাহ দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য কথা বলেছিল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা বলবে, ‘হায় ! দুর্ভোগ আমাদের ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল হতে উঠাল ? দয়াময় আল্লাহ্ তো এটারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্যই বলেছিলেন।’


মাওলানা জহুরুল হক

তারা বলবে -- "হায় ধিক্ আমাদের! কে আমাদের উঠিয়ে দিলে আমাদের ঘুমানোর স্থান থেকে? এটিই হচ্ছে যা পরম করুণাময় ওয়াদা করেছিলেন, আর রসূলগণ সত্য কথাই বলেছিলেন।"


৫৩


اِنۡ کَانَتۡ اِلَّا صَیۡحَۃً وَّاحِدَۃً فَاِذَا ہُمۡ جَمِیۡعٌ لَّدَیۡنَا مُحۡضَرُوۡنَ


ইন কা-নাত ইল্লা-সাইহাতাওঁ ওয়া-হিদাতান ফাইযা-হুম জামী‘উল লাদাইনা-মুহদারূন।


Mufti Taqi Usmani

It will be no more than a single Cry, and in no time they will all be arraigned before Us.


মুফতী তাকী উসমানী

আর কিছুই নয়, কেবল একটি মহানাদ হবে, অমনি তাদের সকলকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা হবে কেবল এক মহানাদ ; তখনই এদের সকলকে উপস্থিত করা হবে আমার সামনে,


মাওলানা জহুরুল হক

সেটি একটিমাত্র মহাগর্জন বৈ তো নয়, তখন দেখো! তাদের সমবেতভাবে আমাদের সামনে হাজির করা হবে।


৫৪


فَالۡیَوۡمَ لَا تُظۡلَمُ نَفۡسٌ شَیۡئًا وَّلَا تُجۡزَوۡنَ اِلَّا مَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ


ফালইয়াওমা লা-তুজলামুনাফছুন শাইয়াওঁ ওয়ালা-তুজঝাওনা ইল্লা-মা-কুনতুম তা‘মালূন।


Mufti Taqi Usmani

Then, nobody will be subjected to injustice in the least, and you will not be recompensed but for what you used to do.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং সে দিন কোন ব্যক্তির উপর জুলুম করা হবে না এবং তোমাদেরকে কেবল তোমাদের কৃতকর্মেরই প্রতিফল দেওয়া হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আজ কারও প্রতি কোন জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করতে কেবল তারই প্রতিফল দেওয়া হবে।


মাওলানা জহুরুল হক

সুতরাং সেইদিন কোনো লোকের প্রতি কিছুমাত্রও অবিচার করা হবে না, আর তোমরাও যা করে থাকতে তা ছাড়া তোমাদের অন্য প্রতিদান দেওয়া হবে না।


৫৫


اِنَّ اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ الۡیَوۡمَ فِیۡ شُغُلٍ فٰکِہُوۡنَ ۚ


ইন্না আসহা-বাল জান্নাতিল ইয়াওমা ফী শুগুলিন ফা-কিহূন।


Mufti Taqi Usmani

The people of the Paradise are engaged today in (their) activities, happily enjoying (them).


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই সে দিন জান্নাতবাসীগণ আপন ব্যস্ততায় মগ্ন থাকবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এই দিন জান্নাতবাসিগণ আনন্দে মগ্ন থাকবে,


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ জান্নাতের বাসিন্দারা সেইদিন আনন্দের মাঝে কালাতিপাত করবে।


৫৬


ہُمۡ وَاَزۡوَاجُہُمۡ فِیۡ ظِلٰلٍ عَلَی الۡاَرَآئِکِ مُتَّکِـُٔوۡنَ


হুম ওয়া আঝওয়া-জুহুম ফী জিলা-লিন ‘আলাল আরাইকি মুত্তাকিঊন।


Mufti Taqi Usmani

They and their spouses are in pleasant shades, reclining on couches.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা ও তাদের স্ত্রীগণ নিবিড় ছায়ায় আরামদায়ক আসনে হেলান দিয়ে থাকবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারা এবং তাদের স্ত্রীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে।


মাওলানা জহুরুল হক

তারা ও তাদের সঙ্গিনীরা স্নিগ্ধ ছায়ায় উঁচু আসনের উপরে হেলান দিয়ে বসবে।


৫৭


لَہُمۡ فِیۡہَا فَاکِہَۃٌ وَّلَہُمۡ مَّا یَدَّعُوۡنَ ۚۖ


লাহুম ফীহা-ফা-কিহাতুওঁ ওয়া লাহুম মা-ইয়াদ্দা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

For them there are fruits, and for them there is whatever they ask for.


মুফতী তাকী উসমানী

সেখানে তাদের জন্য থাকবে ফলমূল এবং তারা যা কিছুর ফরমায়েশ করবে তাই তারা পাবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সেখানে থাকবে তাদের জন্যে ফলমূল এবং তাদের জন্যে বাঞ্ছিত সমস্ত কিছু,


মাওলানা জহুরুল হক

তাদের জন্য সেখানে থাকবে ফলফসল, আর তাদের জন্য রইবে যা তারা কামনা করে।


৫৮


سَلٰمٌ ۟ قَوۡلًا مِّنۡ رَّبٍّ رَّحِیۡمٍ


ছালা-মুন কাওলাম মিররাব্বির রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

“Salām ”(Peace upon you) is the word (they receive) from Merciful Lord.


মুফতী তাকী উসমানী

দয়াময় প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে সালাম বলা হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হতে সম্ভাষণ।


মাওলানা জহুরুল হক

অফুরন্ত ফলদাতা প্রভুর তরফ থেকে সম্ভাষণ হচ্ছে -- "সালাম"।


৫৯


وَامۡتَازُوا الۡیَوۡمَ اَیُّہَا الۡمُجۡرِمُوۡنَ


ওয়াম তা-ঝুল ইয়াওমা আইয়ুহাল মুজরিমূন।


Mufti Taqi Usmani

And (it will be said to the infidels,) “Get apart (from the believers) today O the guilty ones.


মুফতী তাকী উসমানী

আর (কাফেরদেরকে বলা হবে) হে অপরাধীগণ! আজ তোমরা (মুমিনদের থেকে) পৃথক হয়ে যাও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর ‘হে অপরাধিগণ! তোমরা আজ পৃথক হয়ে যাও।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর "আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাও, হে অপরাধিগণ!


৬০


اَلَمۡ اَعۡہَدۡ اِلَیۡکُمۡ یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ اَنۡ لَّا تَعۡبُدُوا الشَّیۡطٰنَ ۚ  اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ۙ


আলাম আ‘হাদ ইলাইকুম ইয়া-বানীআ-দামা আল্লা-তা‘বুদুশশাইতা-না ইন্নাহূলাকুম ‘আদুওউম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

Did I not direct you, O children of ’Ādam (Adam), that you must not worship the Satan, (because) he is an open enemy for you,


মুফতী তাকী উসমানী

হে আদম সন্তানগণ! আমি কি তোমাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে বলিনি যে, তোমরা শয়তানের ইবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দিই নাই যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব কর না, কারণ সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ?


মাওলানা জহুরুল হক

"হে আদম-সন্তানগণ! আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিই নি যে তোমরা শয়তানের আরাধনা করবে না, নিঃসন্দেহ সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু, --


৬১


وَّاَنِ اعۡبُدُوۡنِیۡ ؕؔ ہٰذَا صِرَاطٌ مُّسۡتَقِیۡمٌ


ওয়া আনি‘বুদূ নী হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।


Mufti Taqi Usmani

and that you must worship Me, (because) this is the straight path?


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তোমরা আমার ইবাদত কর। এটাই সরল পথ?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর আমারই ‘ইবাদত কর, এটাই সরল পথ।


মাওলানা জহুরুল হক

"বরং তোমরা আমারই উপাসনা করো? এটিই তো শুদ্ধ-সঠিক পথ।


৬২


وَلَقَدۡ اَضَلَّ مِنۡکُمۡ جِبِلًّا کَثِیۡرًا ؕ اَفَلَمۡ تَکُوۡنُوۡا تَعۡقِلُوۡنَ


ওয়ালাকাদ আদাল্লা মিনকুম জিবিল্লান কাছীরা- আফালাম তাকূনূতা‘কিলূন।


Mufti Taqi Usmani

He had misguided lot many people from among you. So, did you not have sense?


মুফতী তাকী উসমানী

বস্তুত শয়তান তোমাদের মধ্য হতে একটি বড় দলকে গোমরাহ করেছিল। তবুও কি তোমরা বোঝনি?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

শয়তান তো তোমাদের বহু দলকে বিভ্রান্ত করেছিল, তবুও কি তোমরা বুঝ নাই ?


মাওলানা জহুরুল হক

"আর তোমাদের মধ্যের অনেক বড়বড় দলকে সে বিভ্রান্ত করেই ফেলেছে। তবুও কি তোমরা বুঝেসুঝে চলবে না?


৬৩


ہٰذِہٖ جَہَنَّمُ الَّتِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ


হা-যিহী জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।


Mufti Taqi Usmani

(Now) this is the Jahannam of which you were consistently warned.


মুফতী তাকী উসমানী

এটাই সেই জাহান্নাম, যার ভয় তোমাদেরকে দেখানো হত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটাই সেই জাহান্নাম, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল।


মাওলানা জহুরুল হক

"এটিই হচ্ছে জাহান্নাম যে-সন্বন্ধে তোমাদের ওয়াদা করা হয়েছিল।


৬৪


اِصۡلَوۡہَا الۡیَوۡمَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ


ইসলাওহাল ইয়াওমা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।


Mufti Taqi Usmani

Enter it today, because you have been persistently denying (the truth).”


মুফতী তাকী উসমানী

আজ এতে প্রবেশ কর। যেহেতু তোমরা কুফর করতে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আজ তোমরা এতে প্রবেশ কর; কারণ তোমরা এটাকে অবিশ্বাস করেছিলে।


মাওলানা জহুরুল হক

এতে তোমরা প্রবেশ করো আজকের দিনে যেহেতু তোমরা অবিশ্বাস করেছিলে।


৬৫


اَلۡیَوۡمَ نَخۡتِمُ عَلٰۤی اَفۡوَاہِہِمۡ وَتُکَلِّمُنَاۤ اَیۡدِیۡہِمۡ وَتَشۡہَدُ اَرۡجُلُہُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ


আলইয়াওমা নাখতিমু‘আলাআফওয়া-হিহিম ওয়াতুকালিলমুনা আইদীহিম ওয়া তাশহাদু আরজুলুহুম বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।


Mufti Taqi Usmani

Today We will set a seal on their mouths, and their hands will speak to Us, and their legs will bear witness about what they used to do.


মুফতী তাকী উসমানী

আজ আমি তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেব। ফলে তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা সাক্ষ্য দেবে তাদের কৃতকর্মের। ২২


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি আজ এদের মুখ মোহর করে দিব, এদের হস্ত কথা বলবে আমার সঙ্গে এবং এদের চরণ সাক্ষ্য দিবে এদের কৃতকর্মের।


মাওলানা জহুরুল হক

সেইদিন আমরা তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব, বরং তাদের হাত আমাদের সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে।


তাফসীরঃ

২২. কাফেরগণ যখন তাদের শিরক ও অন্যান্য অপরাধের কথা অস্বীকার করবে, তখন আল্লাহ তাআলা তাদের হাত-পা’কে বাকশক্তি দান করবেন। তখন তারা সাক্ষ্য দেবে যে, তারা অমুক-অমুক গুনাহ করেছিল। বিষয়টা বিস্তারিতভাবে সূরা নূর (২৪ : ২৪) ও সূরা হা-মীম আস-সাজদায় (৪১ : ২০) বর্ণিত আছে।


৬৬


وَلَوۡ نَشَآءُ لَطَمَسۡنَا عَلٰۤی اَعۡیُنِہِمۡ فَاسۡتَبَقُوا الصِّرَاطَ فَاَنّٰی یُبۡصِرُوۡنَ


ওয়ালাও নাশাউলাতামাছনা- আলা আ‘ইউনিহিম ফাছতাবাকুসসিরা-তা ফাআন্নাইউবসিরূন।


Mufti Taqi Usmani

If We so will, We would wipe out their eyes (right here in this world), and they would be racing towards the way, but how would they see?


মুফতী তাকী উসমানী

আমি চাইলে (ইহকালেই) তাদের চোখ লোপ করে দিতে পারতাম। তখন তারা পথের সন্ধানে ছোটাছুটি করত, কিন্তু তারা কোথায় কি দেখতে পেত?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি ইচ্ছা করলে অবশ্যই এদের চোখগুলিকে লোপ করে দিতাম, তখন এরা পথ চলতে চাইলে কি করে দেখতে পেত!


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা যদি চাইতাম তবে আমরা তাদের চোখের উপরে দৃষ্টিহীনতা এনে দিতাম, তখন তারা পথের দিকে ধাওয়া করত, কিন্তু কেমন করে তারা দেখতে পাবে?


৬৭


وَلَوۡ نَشَآءُ لَمَسَخۡنٰہُمۡ عَلٰی مَکَانَتِہِمۡ فَمَا اسۡتَطَاعُوۡا مُضِیًّا وَّلَا یَرۡجِعُوۡنَ ٪


ওয়ালাও নাশাউ লামাছাখনা-হুম ‘আলা মাকা-নাতিহিম ফামাছতাতা-‘ঊ মুদিইয়াওঁ ওয়ালাইয়ারজি‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

And If We so will, We would disfigure them at their places, and they would not be able to move, nor would they return.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব-স্ব স্থানে বসিয়ে তাদেরকে বিকৃত (পঙ্গু) করে দিতে পারতাম ফলে তারা সামনে অগ্রসর হতে পারত না এবং পিছনেও ফিরে আসতে পারত না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং আমি ইচ্ছা করলে অবশ্যই স্ব স্ব স্থানে এদের আকৃতি পরিবর্তন করে দিতাম, ফলে এরা চলতে পারত না এবং ফিরেও আসতে পারত না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা যদি চাইতাম তবে আমরা তাদের বাড়িগুলোতেই তাদের নিশ্চল-নিস্তব্ধ করে দিতাম, তখন তারা এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে না, ফিরে আসতেও পারবে না।


৬৮


وَمَنۡ نُّعَمِّرۡہُ نُنَکِّسۡہُ فِی الۡخَلۡقِ ؕ اَفَلَا یَعۡقِلُوۡنَ


ওয়ামান নু‘আম্মির হু নুনাক্কিছহু ফিল খালকি আফালা-ইয়া‘কিলূন।


Mufti Taqi Usmani

And whomsoever We give long life, we reverse him in creation. Then, do they have no sense?


মুফতী তাকী উসমানী

আমি যাকে দীর্ঘায়ু দান করি সৃষ্টিগতভাবে তাকে উল্টিয়ে দেই। ২৩ তথাপি কি তারা উপলব্ধি করবে না?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি প্রকৃতিগতভাবে তার অবনতি ঘটাই। তবুও কি এরা বুঝে না ?


মাওলানা জহুরুল হক

আর যাকে আমরা দীর্ঘ জীবন দান করি তাকে তো আমরা সৃষ্টিতে ঘুরিয়ে দিই। তবুও কি তারা বুঝে না।


তাফসীরঃ

২৩. মানুষ যখন অত্যধিক বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন তার শক্তিসমূহ নিঃশেষ হয়ে যায়। তার আর দেখার, শোনার, বলার ও বোঝার মত ক্ষমতা থাকে না, থাকলেও তা এতই সামান্য, যা বিশেষ কাজে আসে না। একদম শিশুর মত হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলছেন, মানুষ তো তাদের শারীরিক এসব পরিবর্তন হর-হামেশাই প্রত্যক্ষ করে। এর দ্বারা তাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা তাদের মধ্যে যখন এ রকম শারীরিক পরিবর্তন ঘটানোর ক্ষমতা রাখেন, তখন গুনাহের কারণে তাদেরকে তো বিলকুল অন্ধও করে দিতে এবং তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত করেও ফেলতে পারেন।


৬৯


وَمَا عَلَّمۡنٰہُ الشِّعۡرَ وَمَا یَنۡۢبَغِیۡ لَہٗ ؕ  اِنۡ ہُوَ اِلَّا ذِکۡرٌ وَّقُرۡاٰنٌ مُّبِیۡنٌ ۙ


ওয়ামা-‘আল্লামনা-হুশশি‘রা ওয়ামা-ইয়ামবাগী লাহূ ইন হুওয়া ইল্লা-যিকরুওঁ ওয়া কুরআ-নুম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

We did not teach him (the Holy Prophet) poetry, and it is not proper for him. It is nothing (of that sort,) but (it is) an advice and a readable book that explains (the Truth),


মুফতী তাকী উসমানী

আমি তাকে (অর্থাৎ রাসূলকে) কাব্য চর্চা করতে শিখাইনি এবং তা তার পক্ষে শোভনীয়ও নয়। ২৪ এটা তো এক উপদেশবাণী এবং এমন কুরআন যা (সত্যকে) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি রাসূলকে কাব্য রচনা করতে শিখাই নাই এবং এটা তার পক্ষে শোভনীয় নয়। এটা তো কেবল এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন;


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা তাঁকে কবিত্ব শেখাই নি, আর তা তাঁর পক্ষে সমীচীনও নয়। এটি স্মারক গ্রন্থ ও সুস্পষ্ট কুরআন বৈ তো নয়, --


তাফসীরঃ

২৪. মুশরিকদের মধ্যে অনেকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলত, তিনি একজন কবি এবং কুরআন মাজীদ তার রচিত কাব্যগ্রন্থ (নাউযুবিল্লাহ)। এ আয়াত তাদের সে দাবি রদ করছে।


৭০


لِّیُنۡذِرَ مَنۡ کَانَ حَیًّا وَّیَحِقَّ الۡقَوۡلُ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ


লিইউনযিরা মান কা-না হাইয়াওঁ ওয়া ইয়াহিক্কাল কাওলু‘আলাল কা-ফিরীন।


Mufti Taqi Usmani

so that it may warn him who is alive (to listen to the truth), and so that the word may prove true against the disbelievers.


মুফতী তাকী উসমানী

যাতে প্রত্যেক জীবিতজনকে সতর্ক করে ২৫ দেয় এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রমাণ চূড়ান্ত হয়ে যায়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যাতে সে সতর্ক করতে পারে জীবিতগণকে এবং যাতে কাফিরদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা সত্য হতে পারে।


মাওলানা জহুরুল হক

যেন তিনি সাবধান করতে পারেন তাকে যে জীবন্ত রয়েছে, আর অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে রায় ন্যায়সঙ্গত হয়েছে।


তাফসীরঃ

২৫. ‘জীবিতজনকে সতর্ক করে’ অর্থাৎ যার অন্তর জীবিত ও সচেতন এবং সত্যে উপনীত হতে আগ্রহী তাকে। এরূপ ব্যক্তিকে জীবিত বলার দ্বারা ইশারা করা হচ্ছে, যে ব্যক্তি সত্যের সন্ধানী নয় এবং গাফলতির ভেতর জীবন অতিবাহিত করছে, সে মৃততুল্য। সে জীবিত অভিধায় অভিহিত হওয়ার উপযুক্ত নয়।


৭১


اَوَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّا خَلَقۡنَا لَہُمۡ مِّمَّا عَمِلَتۡ اَیۡدِیۡنَاۤ اَنۡعَامًا فَہُمۡ لَہَا مٰلِکُوۡنَ


আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-খালাকনা- লাহুম মিম্মা- ‘আমিলাত আইদীনাআন‘আ-মান ফাহুম লাহা-মা-লিকূন।


Mufti Taqi Usmani

Did they not see that We have created for them cattle, among things made (directly) by Our hands, and then they become their owners?


মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি দেখেনি যে, আমি নিজ হাতে সৃষ্ট বস্তু রাজির মধ্যে তাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই তার মালিক হয়ে গেছে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি লক্ষ্য করে না যে, আমার হাতে সৃষ্ট বস্তুসমূহের মধ্যে এদের জন্যে আমি সৃষ্টি করেছি ‘আন‘আম’ এবং এরাই এইগুলির অধিকারী ?


মাওলানা জহুরুল হক

তারা কি লক্ষ্য করে নি যে আমরাই তো তাদের জন্য সৃষ্টি করেছি আমাদের হাত যা বানিয়েছে তা থেকে গবাদি-পশুগুলো, তারপর তারাই এগুলোর মালিক হয়ে যায়?


৭২


وَذَلَّلۡنٰہَا لَہُمۡ فَمِنۡہَا رَکُوۡبُہُمۡ وَمِنۡہَا یَاۡکُلُوۡنَ


ওয়া যাল্লালনা-হা-লাহুম ফামিনহা-রাকূবুহুম ওয়া মিনহা-ইয়া’কুলূন।


Mufti Taqi Usmani

And We have brought them under their control, so as some of them are their means of transport, and some of them they eat.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি সে জন্তুগুলিকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। সুতরাং সেগুলোর কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা আহার করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং আমি এইগুলিকে তাদের বশীভূত করে দিয়েছি। এইগুলির কতক তাদের বাহন এবং এদের কতক তারা আহার করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর এগুলোকে আমরা তাদের বশীভূত করে দিয়েছি, ফলে এদের মধ্যের কিছু তাদের বাহন আর এদের কিছু তারা খায়।


৭৩


وَلَہُمۡ فِیۡہَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ ؕ اَفَلَا یَشۡکُرُوۡنَ


ওয়া লাহুম ফীহা-মানা-ফি‘উ ওয়া মাশা-রিবু আফালা-ইয়াশকুরূন।


Mufti Taqi Usmani

And for them there are (other) benefits in them and things to drink. So, would they not be grateful?


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তাদের জন্যে এর মধ্যে আছে আরও বহু উপকারিতা এবং আছে পানীয় বস্তু। তথাপি কি তারা শোকর আদায় করবে না?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাদের জন্যে এইগুলিতে আছে বহু উপকারিতা আর আছে পানীয় বস্তু। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞ হবে না ?


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের জন্য এগুলোতে রয়েছে উপকারিতা, আর পানীয় বস্তু। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?


৭৪


وَاتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اٰلِہَۃً لَّعَلَّہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ؕ


ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লা‘আল্লাহুম ইউনসারূন।


Mufti Taqi Usmani

They have adopted gods other than Allah, so that they may be helped (by them).


মুফতী তাকী উসমানী

তারা আল্লাহ ছাড়া বহু মাবুদ গ্রহণ করেছে এই আশায় যে, হয়ত তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারা তো আল্লাহ্ র পরিবর্তে অন্য ইলাহ্ গ্রহণ করেছে এই আশায় যে, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে উপাস্যদের গ্রহণ করেছে যাতে তাদের সাহায্য করা হয়।


৭৫


لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَہُمۡ ۙ وَہُمۡ لَہُمۡ جُنۡدٌ مُّحۡضَرُوۡنَ


লা-ইয়াছতাতী‘ঊনা নাসরাহুম ওয়াহুম লাহুম জুনদুম মুহদারূন।


Mufti Taqi Usmani

They cannot help them, rather they (the disbelievers themselves) are (like) an army brought forth for (protecting) them (the so-called co-gods)


মুফতী তাকী উসমানী

(অথচ) তারা তাদের সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না; বরং তারা তাদের জন্য এমন এক বিরোধী সৈন্য হয়ে যাবে, যাদেরকে (কিয়ামতের দিন তাদের সামনে) উপস্থিত করা হবে। ২৬


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কিন্তু এইসব ইলাহ্ তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম নয়; তাদেরকে এদের বাহিনীরূপে উপস্থিত করা হবে।


মাওলানা জহুরুল হক

ওরা কোনো ক্ষমতা রাখে না তাদের সাহায্য করার, বরং তারা হবে এদের জন্য এক বাহিনী যাদের হাজির করা হবে।


তাফসীরঃ

২৬. অর্থাৎ যেসব মনগড়া উপাস্য সম্পর্কে তারা আশাবাদী ছিল যে, তারা তাদের সাহায্য করবে, তারা তাদের সাহায্য তো করতে পারবেই না, উল্টো কিয়ামতের দিন তাদের গোটা দল তাদের পূজারীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, যেমন সূরা সাবা (২৪ : ৪০) ও সূরা কাসাস (২৮ : ৬৩)-এ বর্ণিত হয়েছে।


৭৬


فَلَا یَحۡزُنۡکَ قَوۡلُہُمۡ ۘ اِنَّا نَعۡلَمُ مَا یُسِرُّوۡنَ وَمَا یُعۡلِنُوۡنَ


ফালা-ইয়াহঝুনকা কাওলুহুম । ইন্না-না‘লামুমা-ইউছিররূনা ওয়ামা-ইউ‘লিনূন।


Mufti Taqi Usmani

So, their remarks must not grieve you. Surely We know what they conceal and what they disclose.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং (হে রাসূল!) তাদের কথা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়। আমি অবশ্যই জানি তারা কী গোপন রাখছে আর কী প্রকাশ করছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অতএব তাদের কথা তোমাকে যেন দুঃখ না দেয়। আমি তো জানি যা তারা গোপন করে এবং যা তারা ব্যক্ত করে।


মাওলানা জহুরুল হক

সুতরাং তাদের কথাবার্তা তোমাকে যেন কষ্ট না দেয়। আমরা নিশ্চয়ই জানি যা তারা লুকিয়ে রাখে আর যা তারা প্রকাশ করে।


৭৭


اَوَلَمۡ یَرَ الۡاِنۡسَانُ اَنَّا خَلَقۡنٰہُ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ فَاِذَا ہُوَ خَصِیۡمٌ مُّبِیۡنٌ


আওয়ালাম ইয়ারাল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হুমিননুতফাতিন ফাইযা-হুওয়া খাসীমুম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

Did man not see that We have created him from a drop of semen? Then suddenly he stood as an open adversary (to Us).


মুফতী তাকী উসমানী

মানুষ কি লক্ষ করেনি আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু দ্বারা? অতঃপর সহসাই সে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী হয়ে গেল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু হতে ? অথচ পরে সে হয়ে পড়ে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী।


মাওলানা জহুরুল হক

আচ্ছা, মানুষ কি দেখে না যে আমারা তাকে নিশ্চয়ই এক শুক্রকীট থেকে সৃষ্টি করেছি? তারপর, কি আশ্চর্য! সে একজন প্রকাশ্য বিতর্ককারী হয়ে যায়।


৭৮


وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَّنَسِیَ خَلۡقَہٗ ؕ قَالَ مَنۡ یُّحۡیِ الۡعِظَامَ وَہِیَ رَمِیۡمٌ


ওয়া দারাবা লানা-মাছালাওঁ ওয়া নাছিয়া খালকাহূ কা-লা মাইঁ ইউহয়িল ‘ইজা-মা ওয়া হিয়া রামীম।


Mufti Taqi Usmani

He has set up an argument about Us and forgot his creation. He said, “Who will give life to the bones when they are decayed?”


মুফতী তাকী উসমানী

আমার সম্পর্কে সে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজ সৃজনের কথা ভুলে বসে আছে। সে বলে, কে এই অস্থিগুলিকে জীবিত করবে এগুলো পচে-গলে যাওয়া সত্ত্বেও?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং সে আমার সম্বন্ধে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায়। সে বলে, ‘কে অস্থিতে প্রাণ সঞ্চার করবে যখন তা পচিয়া গলিয়া যাবে ?’


মাওলানা জহুরুল হক

আর সে আমাদের সদৃশ বানায়, আর ভুলে যায় তার নিজের সৃষ্টির কথা। সে বলে -- "হাড়-গোড়ের মধ্যে কে প্রাণ দেবে যখন তা গলে-পচে যাবে?"


৭৯


قُلۡ یُحۡیِیۡہَا الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَہَاۤ اَوَّلَ مَرَّۃٍ ؕ  وَہُوَ بِکُلِّ خَلۡقٍ عَلِیۡمُۨ ۙ


কুল ইউহয়ী হাল্লাযী আনশাআহা আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া হুয়া বিকুল্লি খালকিন ‘আলীমু।


Mufti Taqi Usmani

Say, “These will be revived by the same One who had created them for the first time, and who is fully aware of every creation,


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, সেগুলোকে জীবিত করবেন সেই সত্তা, যিনি তাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি প্রত্যেক সৃষ্টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞাত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘এর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই যিনি এটা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "তিনিই তাতে প্রাণ সঞ্চার করবেন যিনি প্রথমবারে তাদের সৃজন করেছিলেন। আর তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সন্বন্ধে সর্বজ্ঞাতা, --


৮০


الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنَ الشَّجَرِ الۡاَخۡضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنۡتُمۡ مِّنۡہُ تُوۡقِدُوۡنَ


আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন।


Mufti Taqi Usmani

- the One who created for you fire from the green tree, and in no time you kindle from it.”


মুফতী তাকী উসমানী

তিনিই সবুজ-সতেজ বৃক্ষ হতে তোমাদের জন্য আগুন সৃষ্টি করেছেন। ২৭ অনন্তর তোমরা তা হতে প্রজ্বলনের কাজ নাও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি উৎপাদন করেন এবং তোমরা তা হতে প্রজ্বলিত কর।


মাওলানা জহুরুল হক

যিনি তোমাদের জন্য সবুজ গাছ থেকে আগুন তৈরি করেন, তারপর দেখো! তোমরা তা দিয়ে আগুন জ্বালো।


তাফসীরঃ

২৭. ‘সবুজ-সতেজ বৃক্ষ হতে আগুন সৃষ্টি করেছেন’ আরবে ‘র্মাখ’ ও ‘আফার’ নামে দু’রকম বৃক্ষ জন্মায়। আরববাসী তা দ্বারা চকমকির কাজ নেয়। তার একটিকে অন্যটির সাথে ঘষা দিলে আগুন জ্বলে ওঠে। বলা হচ্ছে যে, যেই মহান সত্তা এক তাজা গাছ থেকে আগুন সৃষ্টি করতে পারেন, তার পক্ষে অন্যান্য জড় পদার্থে জীবন দান করা কঠিন হবে কেন?

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#084dc4)

৮১


اَوَلَیۡسَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنۡ یَّخۡلُقَ مِثۡلَہُمۡ ؕ؃ بَلٰی ٭ وَہُوَ الۡخَلّٰقُ الۡعَلِیۡمُ


আওয়া লাইছাল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়াতি ওয়াল আরদা বিকা-দিরিন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুকা মিছলাহুম বালা- ওয়া হুওয়াল খাল্লা-কুল ‘আলীম।


Mufti Taqi Usmani

Is it that the One who has created the heavens and the earth has no power to create ones like them? Why not? He is the Supreme Creator, the All-Knowing.


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি যে সত্তা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ (পুনরায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? কেন নয়? তিনি তো মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ!


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সমর্থ নন ? হাঁ, নিশ্চয়ই তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।


মাওলানা জহুরুল হক

আচ্ছা, যিনি মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হাঁ, বস্তুতঃ তিনিই তো মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞাতা।


৮২


اِنَّمَاۤ اَمۡرُہٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَیۡئًا اَنۡ یَّقُوۡلَ لَہٗ کُنۡ فَیَکُوۡنُ


ইন্নামাআমরুহূ ইযাআরা-দা শাইআন আইঁ ইয়াকূলা লাহূকুন ফাইয়াকূন।


Mufti Taqi Usmani

His practice, when He intends to do something, is no more than He says, “Be”, and it comes to be.


মুফতী তাকী উসমানী

তাঁর ব্যাপার তো এই যে, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন কেবল বলেন, ‘হয়ে যা’। অমনি তা হয়ে যায়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাঁর ব্যাপার শুধু এই, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন, তিনি একে বলেন, ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়।


মাওলানা জহুরুল হক

যখন তিনি কোনো-কিছু ইচ্ছা করেন তখন তাঁর নির্দেশ হল যে তিনি সে-সন্বন্ধে শুধু বলেন -- "হও", আর তা হয়ে যায়।


৮৩


فَسُبۡحٰنَ الَّذِیۡ بِیَدِہٖ مَلَکُوۡتُ کُلِّ شَیۡءٍ وَّاِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ٪


ফাছুবহা-নাল্লাযী বিয়াদিহী মালাকূতুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

So, pure (from every fault) is the One in whose hand is the dominion of all things. And towards Him you are to be returned.


মুফতী তাকী উসমানী

অতএব পবিত্র সেই সত্তা, যার হাতে প্রতিটি জিনিসের শাসন-ক্ষমতা এবং তাঁরই কাছে তোমাদের সকলকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অতএব পবিত্র ও মহান তিনি, যাঁহার হস্তেই প্রত্যেক বিষয়ের সর্বময় কর্তৃত্ব; আর তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।


Post a Comment

0 Comments