কোরআন সূরা আল শূরা,বৈশিষ্ট্য গুলো সূরা আল শূরা,সূরা শূরা আরবি লেখা,সূরা শূরা ব্যাখ্যা,সুরা শূরা প্রত্যেক রোগের ওষুধ বিশেষ, সূরা শূরা বাংলা তাফসীর

সূরা শূরা বাংলা উচ্চারণ সহ অনুবাদ,সূরা শূরা বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল শূরা বাংলা তরজমা,সূরা শূরা বাংলা তাফসীর, আমল সূরা আল শূরা, সকল আমল সূরা আল শূরা

৪২ . আশ্‌-শূরা - ( الشورى ) | পরামর্শ

মাক্কী, মোট আয়াতঃ ৫৩


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ۚ


হা-মীম।


Mufti Taqi Usmani

Hā Mīm


মুফতী তাকী উসমানী

হা-মীম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হা-মীম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

হা-মীম।


মাওলানা জহুরুল হক

হা মীম!



عٓسٓقٓ


‘আইূন ছীন কাফ।


Mufti Taqi Usmani

‘Ain Sīn Qāf


মুফতী তাকী উসমানী

আইন-সীন-কাফ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আইন, সীন ক্বা-ফ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আইন-সীন-কাফ।


মাওলানা জহুরুল হক

'আইন সীন ক্কাফ।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)


کَذٰلِکَ یُوۡحِیۡۤ اِلَیۡکَ وَاِلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۙ اللّٰہُ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ


কাযা-লিকা ইউহীইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকাল্লা-হুল ‘আঝীঝুল হাকীম।


Mufti Taqi Usmani

This is how Allah, the Mighty, the Wise, sends revelation to you and to those who were before you.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ এভাবেই ওহী নাযিল করেন তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তী (রাসূলগণ)-এর প্রতি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এমনিভাবে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ আপনার প্রতি ও আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এভাবেই তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্।


মাওলানা জহুরুল হক

এইভাবেই তোমার কাছে ও তোমার পূর্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের কাছে প্রত্যাদেশ দিয়েছিলেন -- মহাশক্তিশালী পরমজ্ঞানী আল্লাহ্‌।



لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ


লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদি ওয়াহুয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আজীম।


Mufti Taqi Usmani

To him belongs all that is in the heavens and all that is in the earth, and He is the High, the Supreme.


মুফতী তাকী উসমানী

যা-কিছু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং যা-কিছু আছে পৃথিবীতে তা তাঁরই। তিনিই সমুচ্চ, মর্যাদাবান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নভোমন্ডলে যা কিছু আছে এবং ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর। তিনি সমুন্নত, মহান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা তাঁরই। তিনি সমুন্নত, মহান।


মাওলানা জহুরুল হক

যা-কিছু আছে মহাকাশমন্ডলীতে ও যা-কিছু আছে পৃথিবীতে সে-সবই তাঁর। আর তিনি মহোচ্চ, মহিমান্বিত।



تَکَادُ السَّمٰوٰتُ یَتَفَطَّرۡنَ مِنۡ فَوۡقِہِنَّ وَالۡمَلٰٓئِکَۃُ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّہِمۡ وَیَسۡتَغۡفِرُوۡنَ لِمَنۡ فِی الۡاَرۡضِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ


তাকা-দুছছামা-ওয়া-তুইয়াতাফাত্তারনা মিন ফাওকিহিন্না ওয়াল মালাইকাতুইউছাব্বিহূনা বিহামদি রাব্বিহিম ওয়া ইয়াছতাগফিরূনা লিমান ফিল আরদি আলাইন্নাল্লা-হা হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

The heavens almost burst apart from their above side, and angels proclaim the purity and praise of their Lord, and pray for forgiveness of those on the earth. Be aware that Allah is the Most-Forgiving, the Very-Merciful.


মুফতী তাকী উসমানী

আকাশমণ্ডলী উপর থেকে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়, ১ ফেরেশতাগণ তাদের প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে তাসবীহ পাঠ করে এবং পৃথিবীবাসীর জন্য ইসতিগফার করে। মনে রেখ, আল্লাহই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আকাশমণ্ডলী ঊর্ধ্বদেশ হতে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় এবং ফেরেশতাগণ তাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং মর্ত্যবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। জেনে রাখ, আল্লাহ্, তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


মাওলানা জহুরুল হক

মহাকাশমন্ডলী তাদের উপর থেকে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে, কিন্ত ফিরিশ্‌তারা তাদের প্রভুর প্রশংসায় জপতপ করে এবং পৃথিবীতে যারা আছে তাদের জন্য পরিত্রাণ খোঁজে। এটি কি নয় যে নিঃসন্দেহ আল্লাহ্‌, তিনি পরম ক্ষমাশীল, অফুরন্ত ফলদাতা?


তাফসীরঃ

১. অর্থাৎ আকাশমণ্ডলে এত বিপুল সংখ্যক ফেরেশতা আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মশগুল আছে, যেন তাদের ভারে আকাশমণ্ডল ভেঙ্গে পড়বে।



وَالَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اَوۡلِیَآءَ اللّٰہُ حَفِیۡظٌ عَلَیۡہِمۡ ۫ۖ وَمَاۤ اَنۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِوَکِیۡلٍ


ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআল্লা-হু হাফীজুন ‘আলাইহিম ওয়ামা আনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।


Mufti Taqi Usmani

And those who have adopted patrons instead of Him, Allah is on watch against them, and you are not responsible for them.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা তাকে ছাড়া অন্যকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে, আল্লাহ তাদের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। আর তুমি নও তাদের যিম্মাদার।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন। আপনার উপর নয় তাদের দায়-দায়িত্ব।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা আল্লাহ্ র পরিবর্তে অপরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ্ তাদের প্রতি সম্যক দৃষ্টি রাখেন। তুমি তাদের কর্মবিধায়ক নও।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, -- আল্লাহ্ তাদের উপরে পর্যবেক্ষক, আর তুমি তাদের উপরে কর্ণধার নও।



وَکَذٰلِکَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا لِّتُنۡذِرَ اُمَّ الۡقُرٰی وَمَنۡ حَوۡلَہَا وَتُنۡذِرَ یَوۡمَ الۡجَمۡعِ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ ؕ فَرِیۡقٌ فِی الۡجَنَّۃِ وَفَرِیۡقٌ فِی السَّعِیۡرِ


ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা কুরআ-নান ‘আরাবিইইয়াল লিতুনযিরা উম্মাল কুরা-ওয়া মান হাওলাহা-ওয়া তুনযিরা ইয়াওমাল জাম‘ই লা-রাইবা ফীহি ফারীকুন ফিল জান্নাতি ওয়া ফারীকুন ফিছ ছা‘ঈর।


Mufti Taqi Usmani

And thus We have revealed to you an Arabic Qur’ān, so that you may warn the mother town, and those around it, and warn (them) of the Day of Gathering, about which there is no doubt-(when) one group of people will be in Paradise, and another group in blazing Fire.


মুফতী তাকী উসমানী

এভাবেই আমি তোমার উপর নাযিল করেছি আরবী কুরআন, যাতে তুমি সতর্ক কর কেন্দ্রীয় জনপদ (মক্কা) ও তার আশপাশের মানুষকে এবং সতর্ক কর সেই দিন সম্পর্কে, যে দিন সকলকে একত্র করা হবে, যে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। একদল যাবে জান্নাতে এবং একদল প্রজ্ব্লিত আগুনে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি আরবী ভাষায়, যাতে তুমি সতর্ক করতে পার মক্কা ও এর চতুর্দিকের জনগণকে এবং সতর্ক করতে পার কিয়ামত দিবস সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। সেদিন একদল জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর এইভাবে আমরা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ দিয়েছি এই ভাষণ আরবীতে যেন তুমি নগর-জননী ও তার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের সতর্ক করতে পার, আর যেন তুমি সতর্ক করতে পার জমায়েৎ হওয়ার দিন সম্পর্কে -- যাতে কোনো সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে ও আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।



وَلَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَجَعَلَہُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّلٰکِنۡ یُّدۡخِلُ مَنۡ یَّشَآءُ فِیۡ رَحۡمَتِہٖ ؕ وَالظّٰلِمُوۡنَ مَا لَہُمۡ مِّنۡ وَّلِیٍّ وَّلَا نَصِیۡرٍ


ওয়ালাও শাআল্লা-হু লাজা‘আলাহুম উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতাওঁ ওয়ালা-কিইঁ ইউদ খিলুমাইঁ ইয়াশাউ ফী রাহমাতিহী ওয়াজ্জা-লিমূনা মা-লাহুম মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।


Mufti Taqi Usmani

Had Allah willed, He would have made all of them a single group; but He admits whomsoever He wills into His mercy. As for the wrongdoers, they have neither a patron nor a helper.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ চাইলে তাদের সকলকে একই দল বানাতে পারতেন। ২ কিন্তু তিনি যাকে চান নিজ রহমতের ভেতর দাখিল করেন। আর যারা জালেম তাদের নেই কোন অভিভাবক, না কোন সাহায্যকারী।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ ইচ্ছা করলে সমস্ত লোককে এক দলে পরিণত করতে পারেন। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমতে দাখিল করেন। আর যালেমদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে মানুষকে একই উম্মত করতে পারতেন; বস্তুত তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে স্বীয় অনুগ্রহের অধিকারী করেন; আর জালিমরা, এদের কোন অভিভাবক নেই, কোন সাহায্যকারীও নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আল্লাহ্ যদি চাইতেন তাহলে তিনি তাদের একই সম্প্রদায় করতে পারতেন, কিন্ত তিনি তাঁর করুণার মধ্যে প্রবেশ করান যাকে তিনি ইচ্ছে করেন। আর অনাচারীরা -- তাদের জন্যে কোনো অভিভাবক নেই আর কোনো সাহায্যকারীও নেই।


তাফসীরঃ

২. অর্থাৎ জোরপূর্বক সকলকে মুসলিম বানাতে পারতেন, কিন্তু মানুষকে সৃষ্টি করার মূল উদ্দেশ্যই ছিল তাদেরকে পরীক্ষা করা যে, কে বিনা চাপে স্বেচ্ছায় বুঝে-শুনে সত্য গ্রহণ করে আর কে তা থেকে বিমুখ থাকে। এ পরীক্ষার উপরই আখেরাতের পুরস্কার ও শাস্তি নির্ভর করে। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কাউকে জোরপূর্বক মুসলিম বানান না।



اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اَوۡلِیَآءَ ۚ  فَاللّٰہُ ہُوَ الۡوَلِیُّ وَہُوَ یُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ۫  وَہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ٪


আমিত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ ফাল্লা-হু হুওয়াল ওয়ালিইয়ুওয়া হুওয়া ইউহয়িল মাওতা- ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।


Mufti Taqi Usmani

Is it that they have adopted patrons instead of Him? So, it is Allah who is the Patron, and He gives life to the dead, and He is Powerful to do every thing.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি তাঁকে ছেড়ে অন্য অভিভাবক গ্রহণ করেছে? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহই তো অভিভাবক। তিনিই মৃতদেরকে জীবিত করেন এবং তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক স্থির করেছে? পরন্তু আল্লাহই তো একমাত্র অভিভাবক। তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি আল্লাহ্ র পরিবর্তে অপরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছে, কিন্তু আল্লাহ্, অভিভাবক তো তিনিই, এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তারা কি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছে? কিন্ত আল্লাহ্ -- তিনিই তো মনিব, আর তিনি মৃতকে জীবন দান করেন, আর তিনি সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।


১০


وَمَا اخۡتَلَفۡتُمۡ فِیۡہِ مِنۡ شَیۡءٍ فَحُکۡمُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبِّیۡ عَلَیۡہِ تَوَکَّلۡتُ ٭ۖ وَاِلَیۡہِ اُنِیۡبُ


ওয়ামাখ তালাফতুম ফীহি মিন শাইয়িন ফাহুকমুহূইলাল্লা-হি যা-লিকুমুল্লা-হু রাববী ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইহি উনীব।


Mufti Taqi Usmani

And (Say O prophet to your opponents,) “Whatever dispute you have in any matter, its judgment lies with Allah. That One is Allah, the Lord of mine; in Him alone I have placed my trust, and to Him alone I turn (in every matter).”


মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর তার মীমাংসা আল্লাহরই উপর ন্যস্ত। তিনিই আল্লাহ, যিনি আমার প্রতিপালক। আমি তাঁরই উপর ভরসা করেছি এবং আমি তাঁরই অভিমুখী হয়েছি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে সোপর্দ। ইনিই আল্লাহ আমার পালনকর্তা আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই অভিমুখী হই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন-এর মীমাংসা তো আল্লাহ্ র ই নিকট। তিনিই আল্লাহ্-আমার প্রতিপালক; তাঁরই ওপর আমি নির্ভর করি আর তাঁরই অভিমুখী আমি।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তোমরা যে কোনো বিষয়েই মতভেদ কর না কেন তার রায় তো আল্লাহ্‌রই নিকট। "ইনিই আল্লাহ্‌, আমার প্রভু, তাঁরই উপরে আমি নির্ভর করি, আর তাঁরই দিকে আমি ফিরি।


১১


فَاطِرُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ اَزۡوَاجًا وَّمِنَ الۡاَنۡعَامِ اَزۡوَاجًا ۚ یَذۡرَؤُکُمۡ فِیۡہِ ؕ لَیۡسَ کَمِثۡلِہٖ شَیۡءٌ ۚ وَہُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ


ফা-তিরুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি জা‘আলা লাকুম মিন আনফুছিকুম আঝওয়া-জাওঁ ওয়া মিনাল আন‘আ-মি আঝওয়া-জাইঁ ইয়াযরাঊকুম ফীহি লাইছা কামিছলিহী শাইউওঁ ওয়া হুওয়াছ ছামী‘উল বাসীর।


Mufti Taqi Usmani

He is the Creator of the heavens and the earth. He has made for you pairs from among yourselves, and pairs from the cattle. He makes you expand in this way. Nothing is like Him. And He is the All-Hearing, the All-Seeing.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। তিনি তোমাদেরই মধ্য হতে তোমাদের জন্য জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং চতুষ্পদ জন্তুদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছেন জোড়া। এর মাধ্যমে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোনও জিনিস নয় তার অনুরূপ। তিনিই সব কথা শোনেন, সবকিছু দেখেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং আন‘আমের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন এদের জোড়া। এইভাবে তিনি তোমাদের বংশবিস্তার করেন; কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।


মাওলানা জহুরুল হক

"তিনি মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আদিস্রষ্টা। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্যে থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন, আর গবাদি- পশুর মধ্যেও জোড়া, এর মধ্যে থেকেই তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।


১২


لَہٗ مَقَالِیۡدُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ۚ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَیَقۡدِرُ ؕ اِنَّہٗ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ


লাহূমাকা-লীদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াবছুতু র রিঝকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।


Mufti Taqi Usmani

To Him belong the keys of the heavens and the earth. He extends provision for whomsoever He wills, and straitens (it for whomsoever He wills). Surely He is All-Knowing in respect of every thing.


মুফতী তাকী উসমানী

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমস্ত কুঞ্জি তাঁরই হাতে। তিনি যার জন্য ইচ্ছে করেন রিযক প্রশস্ত করে দেন এবং (যার জন্য চান) সংকীর্ণ করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছুর জ্ঞাতা।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আকাশ ও পৃথিবীর চাবি তাঁর কাছে। তিনি যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কুঞ্জি তাঁরই নিকট। তিনি যার জন্যে ইচ্ছা তার রিযিক বর্ধিত করেন এবং সংকুচিত করেন। তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত।


মাওলানা জহুরুল হক

মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর চাবিকাঠি তাঁরই কাছে, তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তার প্রতি রিযেক সম্প্রসারিত করেন আর মেপেজোখেও দেন। নিঃসন্দেহ তিনি সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞাতা।


১৩


شَرَعَ لَکُمۡ مِّنَ الدِّیۡنِ مَا وَصّٰی بِہٖ نُوۡحًا وَّالَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ وَمَا وَصَّیۡنَا بِہٖۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَمُوۡسٰی وَعِیۡسٰۤی اَنۡ اَقِیۡمُوا الدِّیۡنَ وَلَا تَتَفَرَّقُوۡا فِیۡہِ ؕ کَبُرَ عَلَی الۡمُشۡرِکِیۡنَ مَا تَدۡعُوۡہُمۡ اِلَیۡہِ ؕ اَللّٰہُ یَجۡتَبِیۡۤ اِلَیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ وَیَہۡدِیۡۤ اِلَیۡہِ مَنۡ یُّنِیۡبُ


শারা‘আ লাকুম মিনাদ্দীনি মা-ওয়াসসা-বিহী নূহাওঁ ওয়াল্লাযীআওহাইনাইলাইকা ওয়ামা-ওয়াসসাইনা-বিহীইবরা-হীমা ওয়া মূছা-ওয়া ‘ঈছাআন আকীমুদ্দীনা ওয়া লাতাতাফাররাকূফীহি কাবুরা ‘আলাল মুশরিকীনা মা-তাদ‘ঊহুম ইলাইহি আল্লা-হু ইয়াজতাবীইলাইহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদীইলাইহি মাইঁ ইউনীব।


Mufti Taqi Usmani

He has ordained for you people the same religion as He had enjoined upon NūH, and that which We have revealed to you (O prophet,) and that which We had enjoined upon Ibrāhīm and Mūsā and ‘Īsā by saying, “Establish the religion, and be not divided therein.” Arduous for the mushriks (polytheists) is that to which you are inviting them. Allah chooses (and pulls) toward Himself anyone He wills, and guides to Himself anyone who turns to Him (to seek guidance).


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি তোমাদের জন্য দীনের সেই পন্থাই স্থির করেছেন, যার হুকুম দিয়েছিলেন তিনি নূহকে ৩ এবং (হে রাসূল!) যা আমি ওহীর মাধ্যমে তোমার কাছে পাঠিয়েছি এবং যার হুকুম দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে, তোমরা দীন কায়েম কর এবং তাতে বিভেদ সৃষ্টি করো না। (তা সত্ত্বেও) তুমি মুশরিকদেরকে যে দিকে ডাকছ তা তাদের কাছে অত্যন্ত কঠিন মনে হয়। আল্লাহ যাকে চান বেছে নিয়ে নিজের দিকে টানেন। আর যে-কেউ তার অভিমুখী হয় তাকে নিজের কাছে পৌঁছে দেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নিধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। আপনি মূশরেকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি আমন্ত্রণ জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করেছেন দীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নূহ্কে, আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং এতে মতভেদ কর না। তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহ্বান করছো তা এদের নিকট দুর্বহ মনে হয়। আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী, তাকে দীনের দিকে পরিচালিত করেন।


মাওলানা জহুরুল হক

তিনি তোমাদের জন্য সেই ধর্ম থেকে বিধান দিচ্ছেন যার দ্বারা তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর যা আমরা তোমার কাছে প্রত্যাদেশ করছি, আর যার দ্বারা আমরা ইব্রাহীমকে ও মূসাকে ও ঈসাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম এই বলে -- "ধর্মকে কায়েম করো, আর এতে একে-অন্যে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।" মুশরিকদের জন্য এ বড় কঠিন ব্যাপার যার প্রতি তুমি তাদের আহ্‌বান করছ! আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে তাঁর কারণে নির্বাচিত করেন, আর তাঁর দিকে পরিচালিত করেন তাকে যে ফেরে।

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

তাফসীরঃ

৩. নবুওয়াতের ধারা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু হলেও সর্বপ্রথম রাসূল ছিলেন হযরত নূহ আলাইহিস সালাম। প্রকৃতপক্ষে শরয়ী বিধি-বিধানের সিলসিলা তাঁর থেকেই শুরু হয়। আর নবুওয়াত ও রিসালাতের ধারা শেষ হয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে। হযরত ইবরাহীম, হযরত মূসা ও হযরত ঈসা আলাইহিমুস সালাম মাঝখানের বিখ্যাত নবী। এ আয়াতে জানানো হচ্ছে, সমস্ত নবী-রাসূলের মূল দীন ছিল একই। আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদত-আখলাক ইত্যাদিতে মৌলিকভাবে একই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সকল দীনে। পার্থক্য কেবল শাখাগত বিষয়ে, যা কালভেদে বিভিন্ন রকম হয়েছে (-অনুবাদক, তাফসীরে উসমানী অবলম্বনে)।


১৪


وَمَا تَفَرَّقُوۡۤا اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَہُمُ الۡعِلۡمُ بَغۡیًۢا بَیۡنَہُمۡ ؕ وَلَوۡلَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتۡ مِنۡ رَّبِّکَ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی لَّقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ ؕ وَاِنَّ الَّذِیۡنَ اُوۡرِثُوا الۡکِتٰبَ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ لَفِیۡ شَکٍّ مِّنۡہُ مُرِیۡبٍ


ওয়ামা-তাফাররাকূইল্লা-মিম বা‘দি মা-জাআহুমুল ‘ইলমুবাগইয়াম বাইনাহুম ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মির রাব্বিকা ইলাআজালিম মুছাম্মাল লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাল্লাযীনা ঊরিছুল কিতা-বা মিম বা‘দিহিম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।


Mufti Taqi Usmani

And they were not divided, in jealousy with each other, but after the knowledge had come to them. Had it not been for a word that had come forth earlier from your Lord (and was effective) until a specified time, the matter would have been decided between them. And those who were made to inherit the Book after them are in confounding doubt about it.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং মানুষ তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরই কেবল পারস্পরিক শত্রুতার কারণে (দীনের ভেতর) বিভেদ সৃষ্টি করেছে। তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যদি একটি কথা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পূর্বেই স্থিরীকৃত না থাকত, তবে তাদের বিষয়ে ফায়সালা হয়ে যেত। ৪ তাদের পর যাদেরকে কিতাবের ওয়ারিশ বানানো হয়েছে, তারা এ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে পড়ে আছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরই তারা পারস্পরিক বিভেদের কারণে মতভেদ করেছে। যদি আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ফয়সালা হয়ে যেত। তাদের পর যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের নিকট জ্ঞান আসার পর কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত এরা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ঘটায়। এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে এদের বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যেত। এদের পর যারা কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়েছে তারা তো সেই সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা নিজেদের কাছে জ্ঞান আসার পরেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত না যদি-না নিজেদের মধ্যে ঈর্ষা-বিদ্বেষ থাকত। আর যদি তোমার প্রভুর কাছ থেকে একটি নির্ধারিত কাল পর্যন্ত একটি বাণী ইতিপূর্বে ধার্য হয়ে না থাকত তাহলে নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে হেস্তনেস্ত হয়ে যেত। আর তাঁদের পরে যারা ধর্মগ্রন্থ উত্তরাধিকার করেছিল তারা তো এটি সন্বন্ধে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে।


তাফসীরঃ

৪. অর্থাৎ পূর্ব থেকেই একথা স্থির রয়েছে যে, শাস্তি দিয়ে সকলকে এক সঙ্গে ধ্বংস করা হবে না; বরং অবকাশ দেওয়া হবে, যাতে কেউ চাইলে ঈমান আনতে পারে।


১৫


فَلِذٰلِکَ فَادۡعُ ۚ  وَاسۡتَقِمۡ کَمَاۤ اُمِرۡتَ ۚ  وَلَا تَتَّبِعۡ اَہۡوَآءَہُمۡ ۚ  وَقُلۡ اٰمَنۡتُ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ مِنۡ کِتٰبٍ ۚ  وَاُمِرۡتُ لِاَعۡدِلَ بَیۡنَکُمۡ ؕ  اَللّٰہُ رَبُّنَا وَرَبُّکُمۡ ؕ  لَنَاۤ اَعۡمَالُنَا وَلَکُمۡ اَعۡمَالُکُمۡ ؕ  لَا حُجَّۃَ بَیۡنَنَا وَبَیۡنَکُمۡ ؕ  اَللّٰہُ یَجۡمَعُ بَیۡنَنَا ۚ  وَاِلَیۡہِ الۡمَصِیۡرُ ؕ


ফালিযা-লিকা ফাদ‘উ ওয়াছতাকিম কামাউমিরতা ওয়ালা-তাত্তাবি‘ আহওয়াআহুম ওয়া কুল আ-মানতুবিমাআনঝালাল্লা-হু মিন কিতা-বিওঁ ওয়া উমিরতুলিআ‘দিলা বাইনাকুম আল্লা-হু রাব্বুনা-ওয়া রাব্বাকুম লানাআ‘মা-লুনাওয়ালাকুম আ‘মা-লুকুম লা-হুজ্জাতা বাইনানা-ওয়া বাইনাকুম আল্লা-হু ইয়াজমা‘উ বাইনানা- ওয়া ইলাইহিল মাসীর।


Mufti Taqi Usmani

So, (O prophet,) towards that (faith) invite (people), and be steadfast as you are commanded, and do not follow their desires, and say, “I believe in whatever book Allah has sent down. And I have been ordered to do justice among you. Allah is our Lord and your Lord. For us are our deeds, and for you, your deeds. There is no argumentation between us and you. Allah will bring us together, and to Him is the final return.”


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং (হে রাসূল!) তুমি ওই বিষয়ের দিকেই মানুষকে ডাকতে থাক এবং তুমি অবিচলিত থাক (এ দীনের উপর), যেমন তোমাকে আদেশ করা হয়েছে। আর তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। বলে দাও, আমি তো আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি আর আমাকে তোমাদের মধ্যে ইনসাফ করতে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমাদেরও রব্ব। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে (এখন) কোন বিতর্ক নেই। আল্লাহ আমাদের সকলকে একত্র করবেন এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরই কাছে সকলকে ফিরে যেতে হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সুতরাং আপনি এর প্রতিই দাওয়াত দিন এবং হুকুম অনুযায়ী অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন, আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সমবেত করবেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তণ হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সুতরাং তুমি এর দিকে আহ্বান কর ও এতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেভাবে তুমি আদিষ্ট হয়েছ এবং এদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন আমি তাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হয়েছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নেই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁরই নিকট।’


মাওলানা জহুরুল হক

কাজেই এর প্রতি তুমি তবে আহ্বান করতে থাকো, আর তোমাকে যেমন আদেশ করা হয়েছে তেমনিভাবে তুমি অটল থাকো, আর তাদের খেয়ালখুশির অনুগমন করো না, বরং বলো -- "আমি বিশ্বাস করি তাতে যা আল্লাহ্ অবতারণ করেছেন এ গ্রন্থ থেকে, আর আমাকে আদেশ করা হয়েছে তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে। আল্লাহ্ আমাদের প্রভু এবং তোমাদেরও প্রভু। আমাদের কাজ হবে আমাদের জন্য এবং তোমাদের কাজ হবে তোমাদের জন্য। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে কোনো বিবাদ-বিসংবাদ নেই। আল্লাহ্ আমাদের একত্রিত করবেন। আর তাঁর কাছেই তো প্রত্যাবর্তন।"


১৬


وَالَّذِیۡنَ یُحَآجُّوۡنَ فِی اللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا اسۡتُجِیۡبَ لَہٗ حُجَّتُہُمۡ دَاحِضَۃٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ وَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ وَّلَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ


ওয়াল্লাযীনা ইঊহাজ্জূনা ফিল্লা-হি মিম বা‘দি মাছতুজীবা লাহূহুজ্জাতুহুম দা-হিদাতুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া ‘আলাইহিম গাদাবুওঁ ওয়া লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।


Mufti Taqi Usmani

Those who argue about Allah after He has been responded to, ৫ their argument is void in the sight of their Lord, and upon them is wrath, and for them is a severe punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক সৃষ্টি করে, লোকে তাঁর কথা মেনে নেওয়ার পরও, তাদের বিতর্ক তাদের প্রতিপালকের কাছে বাতিল। তাদের উপর (আল্লাহর) গজব এবং তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহর দ্বীন মেনে নেয়ার পর যারা সে সম্পর্কে বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়, তাদের বিতর্ক তাদের পালনকর্তার কাছে বাতিল, তাদের প্রতি আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্কে স্বীকার করার পর যারা আল্লাহ্ সম্পর্কে বিতর্ক করে তাদের যুক্তি-তর্ক তাদের প্রতিপালকের দৃষ্টিতে অসার এবং এরা তাঁর ক্রোধের পাত্র এবং এদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা আল্লাহ্ সন্বন্ধে তর্ক করে তাঁর কথায় সাড়া দেবার পরেও, তাদের তর্কবিতর্ক তাদের প্রভুর কাছে অসার, আর তাদের উপরে ক্রোধ, আর তাদের জন্য রয়েছে ভীষণ শাস্তি।


১৭


اَللّٰہُ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ وَالۡمِیۡزَانَ ؕ وَمَا یُدۡرِیۡکَ لَعَلَّ السَّاعَۃَ قَرِیۡبٌ


আল্লা-হুল্লাযীআনঝালাল কিতা-বা বিলহাক্কিওয়াল মীযা-না ওয়ামা ইউদরীকা লা‘আল্লাছছা-‘আতা কারীব।


Mufti Taqi Usmani

Allah is the One who has sent down the Book with truth, and the Balance as well. And what can let you know? May be, the Hour (the Day of Judgment) is near.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনিই আল্লাহ, যিনি সত্য সম্বলিত এ কিতাব ও ন্যায়ের তুলাদণ্ড অবতীর্ণ করেছেন। ৫ তুমি কী জান, কিয়ামত হয়ত নিকটেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহই সত্যসহ কিতাব ও ইনসাফের মানদন্ড নাযিল করেছেন। আপনি কি জানেন, সম্ভবতঃ কেয়ামত নিকটবর্তী।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ই অবতীর্ণ করেছেন সত্যসহ কিতাব এবং তুলাদণ্ড। তুমি কি জান, সম্ভবত কিয়ামত আসন্ন ?


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি সত্যসহ এই গ্রন্থ অবতারণ করেছেন আর দাঁড়িপাল্লা। আর কী তোমাকে জানাতে পারে -- সম্ভবতঃ ঘড়িঘন্টা আসন্ন।


তাফসীরঃ

৫. জড়বস্তু মাপার জন্যও আল্লাহ তাআলা তুলাদণ্ড দিয়েছেন এবং আকীদা-বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা, বিচার-বিবেচনা ও মতামত মাপারও তুলাদণ্ড দিয়েছেন, সে তুলাদণ্ড হল মানুষের বিবেক-বুদ্ধি এবং তারও উপরে দীন ও কিতাব। মানুষের বিবেক-বুদ্ধি যেখানে ন্যায্য মীমাংসা দান করতে ব্যর্থ হয়ে যায়, সেখানে আল্লাহর কিতাবই যথার্থ মীমাংসা দান করতে পারে। -অনুবাদক


১৮


یَسۡتَعۡجِلُ بِہَا الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِہَا ۚ وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مُشۡفِقُوۡنَ مِنۡہَا ۙ وَیَعۡلَمُوۡنَ اَنَّہَا الۡحَقُّ ؕ اَلَاۤ اِنَّ الَّذِیۡنَ یُمَارُوۡنَ فِی السَّاعَۃِ لَفِیۡ ضَلٰلٍۭ بَعِیۡدٍ


ইয়াছতা‘জিলূবিহাল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিহা- ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমুশফিকূনা মিনহা- ওয়া ইয়া‘লামূনা আন্নাহাল হাক্কু আলাইন্নাল্লাযীনা ইউমা-রূনা ফিছছা‘আতি লাফী দালা-লিম বা‘ঈদ।


Mufti Taqi Usmani

Those who do not believe in it demand that it should come soon, and those who believe are fearful of it, and they know for sure that it is the truth. Be aware that those who dispute concerning the Hour are wandering afar from the right path.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা তাতে ঈমান রাখে না, তারাই তার জন্য তাড়াহুড়া করে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা তার ব্যাপারে ভীত থাকে এবং তারা জানে তা সত্য। জেনে রেখ, যারা কিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা ঘোর গোমরাহীতে পতিত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা তাতে বিশ্বাস করে না তারা তাকে তড়িৎ কামনা করে। আর যারা বিশ্বাস করে, তারা তাকে ভয় করে এবং জানে যে, তা সত্য। জেনে রাখ, যারা কেয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা দূরবর্তী পথ ভ্রষ্টতায় লিপ্ত রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা এটা বিশ্বাস করে না তারাই এটা ত্বরান্বিত করতে চায়। আর যারা বিশ্বাসী তারা একে ভয় করে এবং জানে এটাই সত্য। জেনে রাখ, কিয়ামত সম্পর্কে যারা বাক-বিতণ্ডা করে তারা ঘোর বিভ্রান্তিতে রয়েছে।


মাওলানা জহুরুল হক

যারা এতে বিশ্বাস করে না তারাই এটি ত্বরান্বিত করতে চায়, কিন্ত যারা বিশ্বাস করে তারা এ সন্বন্ধে ভীত-সন্ত্রস্ত, এবং তারা জানে যে এটি নিঃসন্দেহ সত্য। এটি কি নয় যে যারা ঘড়িঘন্টা সন্বন্ধে বাক্‌-বিতন্ডা করে তারাই তো সুদূর প্রসারী ভ্রান্তি তে রয়েছে?


১৯


اَللّٰہُ لَطِیۡفٌۢ بِعِبَادِہٖ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ  وَہُوَ الۡقَوِیُّ الۡعَزِیۡزُ ٪


আল্লা-হু লাতীফুম বি‘ইবা-দিহী ইয়ারঝুকুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া হুওয়াল কাবিইয়ুল ‘আঝীঝ।


Mufti Taqi Usmani

Allah is kind to His servants. He gives provision to whom He wills, and He is the Strong, the Mighty.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ নিজ বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে চান রিযক দান করেন এবং তিনিই শক্তিমান, পরাক্রমশালী।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা, রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু; তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল পরাক্রমশালী।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি পরম দয়ালু, তিনি যাকে ইচ্ছা করেন রিযেক দান করেন, আর তিনি মহাবলীয়ান, মহাশক্তিশালী।


২০


مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ حَرۡثَ الۡاٰخِرَۃِ نَزِدۡ لَہٗ فِیۡ حَرۡثِہٖ ۚ وَمَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ حَرۡثَ الدُّنۡیَا نُؤۡتِہٖ مِنۡہَا وَمَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ نَّصِیۡبٍ


মান কা-না ইউরীদুহারছাল আ-খিরাতি নাঝিদ লাহূফী হারছিহী ওয়ামান কা-না ইউরীদুহারছাদ্দুনইয়া-নু’তিহী মিনহা-ওয়ামা-লাহূফিল আ-খিরাতি মিন নাসীব।


Mufti Taqi Usmani

Whoever intends (to have) the harvest of the Hereafter, We will increase in his harvest; and whoever intends (to have) the harvest of the world (only), We will give him thereof, while in the Hereafter he will have no share.


মুফতী তাকী উসমানী

যে ব্যক্তি আখেরাতের ফসল কামনা করে, তার জন্য আমি তার ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ব্যক্তি (কেবল) দুনিয়ার ফসল কামনা করে, তাকে আমি তা থেকেই খানিকটা দান করি। ৬ আখেরাতে তার কোন অংশ নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্যে সেই ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ইহকালের ফসল কামনা করে, আমি তাকে তার কিছু দিয়ে দেই এবং পরকালে তার কোন অংশ থাকবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যে কেউ আখিরাতের ফসল কামনা করে তার জন্যে আমি তার ফসল বর্ধিত করে দেই এবং যে কেউ দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে এরই কিছু দেই, আখিরাতে তার জন্যে কিছুই থাকবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

যে কেউ পরলোকের শস্যক্ষেত্র চায়, আমরা তার জন্য তার চাষ-আবাদ বাড়িয়ে দিই, আর যে কেউ এই দুনিয়ার চাষ-আবাদ চায় তাকে আমরা তা থেকেই দিয়ে থাকি, আর তার জন্য পরলোকে কোনো ভাগ থাকবে না।


তাফসীরঃ

৬. এই একই কথা সূরা বনী ইসরাঈলেও (১৭ : ১৮) বলা হয়েছে। সেখানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কেবল দুনিয়ার মঙ্গল চায়, তাকে কেবল দুনিয়ার নি‘আমত দেওয়া হয় এবং তাও তার বাঞ্ছিত সবকিছু নয়; বরং আল্লাহ যাকে যতটুকু দিতে চান ততটুকুই দিয়ে থাকেন।


২১


اَمۡ لَہُمۡ شُرَکٰٓؤُا شَرَعُوۡا لَہُمۡ مِّنَ الدِّیۡنِ مَا لَمۡ یَاۡذَنۡۢ بِہِ اللّٰہُ ؕ وَلَوۡلَا کَلِمَۃُ الۡفَصۡلِ لَقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ ؕ وَاِنَّ الظّٰلِمِیۡنَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ


আম লাহুম শুরাকাউ শারা‘ঊ লাহুম মিনাদ্দীনি মা -লাম ইয়া’যাম বিহিল্লা-হু ওয়া লাওলা-কালিমাতুল ফাসলি লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাজ্জা-লিমীনা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।


Mufti Taqi Usmani

Is it that they have associate-gods who have prescribed for them a religion that is not sanctioned by Allah? Had it not been for a decisive word, the matter would have been decided between them (here in this world). And of course, for the wrongdoers there is a painful punishment (in the Hereafter).


মুফতী তাকী উসমানী

তাদের (অর্থাৎ কাফেরদের) কি এমন শরীক আছে, যারা তাদের জন্য এমন দীন স্থির করে দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? (আল্লাহর পক্ষ হতে) যদি মীমাংসাকর বাণী স্থিরীকৃত না থাকত তবে তাদের ব্যাপারটা চুকিয়েই দেওয়া হত। অবশ্যই জালেমদের জন্য আছে যন্ত্রণাময় শাস্তি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি ? যদি চুড়ান্ত সিন্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয় যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের কি এমন কতকগুলি দেবতা আছে যারা এদের জন্যে বিধান দিয়েছে এমন দীনের, যার অনুমতি আল্লাহ্ দেন নাই ? ফয়সালার ঘোষণা না থাকলে এদের বিষয়ে তো সিদ্ধান্ত হয়েই যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্যে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তাদের কারণে কি অংশীদাররা রয়েছে যারা তাদের এমন এক ধর্মের বিধান দেয় যার জন্য আল্লাহ্ কোনো অনুমতি দেন নি? আর যদি একটি সিদ্ধান্তপূর্ণ বাণী না থাকত তাহলে নিশ্চয় তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়েই যেত। আর অবশ্য অনাচারীরা -- তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।


২২


تَرَی الظّٰلِمِیۡنَ مُشۡفِقِیۡنَ مِمَّا کَسَبُوۡا وَہُوَ وَاقِعٌۢ بِہِمۡ ؕ وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فِیۡ رَوۡضٰتِ الۡجَنّٰتِ ۚ لَہُمۡ مَّا یَشَآءُوۡنَ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَضۡلُ الۡکَبِیۡرُ


তারাজ্জা-লিমীনা মুশফিকীনা মিম্মা-কাছাবূওয়া হুওয়া ওয়া-কি‘উম বিহিম ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ফী রাওদা-তিল জান্না-তি লাহুম মাইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা হুওয়াল ফাদলুল কাবীর।


Mufti Taqi Usmani

You will see the wrongdoers fearful of what they earned, and it is sure to befall them. As for those who believed and did righteous deeds, they will be in meadows of the Gardens. For them there is, with their Lord, whatever they wish. That is the great bounty.


মুফতী তাকী উসমানী

(তখন) জালেমদেরকে দেখবে, তারা যা অর্জন করেছে তার (পরিণামের) ব্যাপারে শঙ্কিত থাকবে। আর তা তো তাদের উপর আপতিত হবেই। যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা থাকবে জান্নাতের কেয়ারিতে। তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে যা চাবে তাই পাবে। এটাই বিরাট অনুগ্রহ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনি কাফেরদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে ভীতসন্ত্রস্ত দেখবেন। তাদের কর্মের শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর পতিত হবে। আর যারা মুমিন ও সৎকর্মী, তারা জান্নাতের উদ্যানে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাই তাদের জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। এটাই বড় পুরস্কার।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি জালিমদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখবে এদের কৃতকর্মের জন্যে; আর এটা আপতিত হবেই এদের ওপর। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা থাকবে জান্নাতের মনোরম স্থানে। তারা যা কিছু চাইবে তাদের প্রতিপালকের নিকট তাই পাবে। এটাই তো মহাঅনুগ্রহ।


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি দেখতে পাবে অন্যায়কারীরা ভীত-সন্ত্রস্ত রয়েছে তারা যা অর্জন করেছে সে জন্য, আর তা তাদের উপরে পড়তেই যাচ্ছে। পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে জান্নাতের ফুলময় ময়দানে, -- তাদের জন্য তাদের প্রভুর কাছে রয়েছে তারা যা চায় তাই। এইটি -- এইই তো হচ্ছে বিরাট করুণাভান্ডার।


২৩


ذٰلِکَ الَّذِیۡ یُبَشِّرُ اللّٰہُ عِبَادَہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ قُلۡ لَّاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ اَجۡرًا اِلَّا الۡمَوَدَّۃَ فِی الۡقُرۡبٰی ؕ وَمَنۡ یَّقۡتَرِفۡ حَسَنَۃً نَّزِدۡ لَہٗ فِیۡہَا حُسۡنًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ شَکُوۡرٌ


যা-লিকাল্লাযী ইয়ুবাশশিরুল্লা-হু ‘ইবা-দাহুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি কুল লাআছআলুকুম ‘আলাইহি আজরান ইল্লাল মাওয়াদ্দাতা ফিল কুরবা- ওয়া মাইঁ ইয়াকতারিফ হাছানাতান নাঝিদ লাহূফীহা-হুছনান ইন্নাল্লা-হা গাফূরুন শাকূর।


Mufti Taqi Usmani

That is the good news that Allah gives to His servants who believed and did righteous deeds. Say, “I do not ask you any fee for it, except the love of kinship.” And whoever performs a good act, We will increase for him goodness therein. Surely Allah is Most-Forgiving, Very-Appreciative.


মুফতী তাকী উসমানী

এরই সুসংবাদ আল্লাহ তার সেই সকল বান্দাকে দান করেন, যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে। (হে রাসূল! কাফেরদেরকে) বলে দাও, আমি এর (অর্থাৎ তাবলীগের) বিনিময়ে তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না আত্মীয়ের সৌহার্দ্য ছাড়া। ৭ যে-কেউ সৎকর্ম করবে আমি তার জন্য সে সৎকর্মে অতিরিক্ত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করব। ৮ নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অত্যন্ত গুণগ্রাহী।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এরই সুসংবাদ দেন আল্লাহ তার সেসব বান্দাকে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে। বলুন, আমি আমার দাওয়াতের জন্যে তোমাদের কাছে কেবল আত্নীয়তাজনিত সৌহার্দ চাই। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্যে তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, গুণগ্রাহী।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এই সুসংবাদই আল্লাহ্ দেন তাঁর বান্দাদেরকে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। বল, ‘আমি এটার বিনিময়ে তোমাদের নিকট হতে আত্মীয়ের সৌহার্দ্য ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান চাই না।’ যে উত্তম কাজ করে আমি তার জন্যে এতে কল্যাণ বর্ধিত করি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।


মাওলানা জহুরুল হক

এইটি যার সুসংবাদ আল্লাহ্ দিচ্ছেন তাঁর বান্দাদের -- যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করছে। তুমি বলো -- "আমি তোমাদের থেকে এর জন্যে নিকটা‌ত্মীয়দের মধ্যে ভালবাসা ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিদান চাইছি না।" আর যে কেউ ভাল কাজ অর্জন করে আমরা তার জন্য এতে আরো ভাল যোগ দিই। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, গুণগ্রাহী।


তাফসীরঃ

৭. মক্কার কুরাইশদের সাথে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে আত্মীয়তা ছিল তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, আমি তোমাদের কাছে তাবলীগের জন্য কোন পারিশ্রমিক চাই না, কিন্তু অন্ততপক্ষে তোমাদের সঙ্গে আমার আত্মীয়তার বিষয়টা তো লক্ষ রাখ এবং সেই খাতিরে আমাকে কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাক ও আমার কাজে বাধা সৃষ্টি হতে নিবৃত্ত থাক।


৮. অর্থাৎ সেই সৎকর্মের কারণে যতটুকু প্রতিদান তার প্রাপ্য তা অপেক্ষা বেশি দেব।


২৪


اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰی عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا ۚ فَاِنۡ یَّشَاِ اللّٰہُ یَخۡتِمۡ عَلٰی قَلۡبِکَ ؕ وَیَمۡحُ اللّٰہُ الۡبَاطِلَ وَیُحِقُّ الۡحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ


আম ইয়াকূলূনাফ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান ফাইয়ঁইয়াশাইল্লা-হু ইয়াখতিম ‘আলাকালবিকা ওয়া ইয়ামহুল্লা-হুল বা-তিলা ওয়া ইউহিক্কুল হাক্কা বিকালিমা-তিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।


Mufti Taqi Usmani

Is it that they say, “He has forged a lie against Allah”? So, if Allah wills, He may put a seal on your heart. And Allah blots out falsehood and establishes truth with His words. Surely, He is fully aware of what lies in the hearts.


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি তারা বলে, সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করেছে? অথচ আল্লাহ চাইলে তোমার অন্তরে মোহর করে দিতে পারেন। আল্লাহ তো মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন ও সত্যকে নিজ বাণীর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেন। ৯ নিশ্চয়ই তিনি অন্তরে লুকায়িত বিষয়াবলীও জানেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নাকি তারা একথা বলে যে, তিনি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করেছেন? আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার অন্তরে মোহর এঁটে দিতেন। বস্তুতঃ তিনি মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন এবং নিজ বাক্য দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয় তিনি অন্তর্নিহিত বিষয় সম্পর্কে সর্বিশেষ জ্ঞাত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি বলে যে, সে আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে ? যদি তাই হত তবে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তোমার হৃদয় মোহর করে দিতেন। আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অন্তরে যা আছে সে বিষয়ে তিনি তো সবিশেষ অবহিত।


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তারা কি বলে -- "সে আল্লাহ্ সম্পর্কে এক মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে?" কিন্ত আল্লাহ্ যদি চাইতেন তাহলে তোমার হৃদয়ে তিনি মোহর মেরে দিতেন। বস্তুত আল্লাহ্ মিথ্যাকে মুছে ফেলেন এবং সত্যকে সত্য প্রতিপন্ন করবেন তাঁর বাণীর দ্বারা। নিঃসন্দেহ তাদের অন্তরে যা রয়েছে সে-সন্বন্ধে তিনি সম্যক জ্ঞাতা।


তাফসীরঃ

৯. অর্থাৎ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি নিজের পক্ষ থেকে এ কুরআন রচনা করতেন (নাউযুবিল্লাহ) তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর অন্তরে মোহর করে দিতেন, ফলে তাঁর পক্ষে এরূপ বাণী পেশ করা সম্ভবই হত না। কেননা আল্লাহ তাআলার রীতিই হল মিথ্যা নবুওয়াতের দাবীদারকে সফল হতে না দেওয়া। যখনই কেউ মিথ্যা নবুওয়াতের দাবি করে, তিনি তার কথাবার্তাকে অকার্যকর করে দেন এবং তার মিথ্যাচারকে মিটিয়ে দেন। পক্ষান্তরে যার নবুওয়াত দাবি সত্য হয়, তাকে নিজ বাণীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেন।


২৫


وَہُوَ الَّذِیۡ یَقۡبَلُ التَّوۡبَۃَ عَنۡ عِبَادِہٖ وَیَعۡفُوۡا عَنِ السَّیِّاٰتِ وَیَعۡلَمُ مَا تَفۡعَلُوۡنَ ۙ


ওয়া হুওয়াল্লাযীইয়াকবালুত্তাওবাতা ‘আন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়া‘ফূ‘আনিছ ছাইয়িআ-তি ওয়া ইয়া‘লামুমা-তাফ‘আলূন।


Mufti Taqi Usmani

And He is the One who accepts repentance from His servants and forgives evil deeds and knows whatever you do.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তিনিই নিজ বান্দাদের তাওবা কবুল করেন ও গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। আর তোমরা যা-কিছু কর তা তিনি জানেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন পাপসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমাদের কৃত বিষয় সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনিই তাঁর বান্দাদের তওবা কবূল করেন ও পাপ মোচন করেন এবং তোমরা যা কর তিনি তা জানেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তিনিই সেইজন যিনি তাঁর বান্দাদের থেকে তওবা কবুল করেন, আর মন্দ ক্রিয়াকলাপ থেকে ক্ষমা করেন, আর তোমরা যা কর তিনি তা জানেন।


২৬


وَیَسۡتَجِیۡبُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَیَزِیۡدُہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَالۡکٰفِرُوۡنَ لَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ


ওয়া ইয়াছতাজীবুল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ওয়া ইয়াঝীদুহুম মিন ফাদলিহী ওয়াল কা-ফিরূনা লাহুম ‘আযা-বুন শাদীদ।


Mufti Taqi Usmani

And He responds to (the prayer of) those who believe and do righteous deeds, and gives them more out of His grace. As for the disbelievers, for them there is a severe punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের দুআ তিনি শোনেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরও বেশি দান করেন। আর কাফেরদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি মুমিন ও সৎকর্মীদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণদের আহ্বানে সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ধিত করেন; কাফিরদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তিনি সাড়া দেন তাদের প্রতি যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আর তাদের তিনি বাড়িয়ে দেন তাঁর করুণাভান্ডার থেকে। আর অবিশ্বাসীরা -- তাদের জন্য রয়েছে ভীষণ শাস্তি।


২৭


وَلَوۡ بَسَطَ اللّٰہُ الرِّزۡقَ لِعِبَادِہٖ لَبَغَوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَلٰکِنۡ یُّنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا یَشَآءُ ؕ اِنَّہٗ بِعِبَادِہٖ خَبِیۡرٌۢ بَصِیۡرٌ


ওয়ালাও বাছাতাল্লা-হুর রিঝকালি‘ইবা-দিহী লাবাগাও ফিল আরদিওয়ালা-কিইঁ ইউনাঝঝিলুবিকাদারিম মা-ইয়াশাউ ইন্নাহূবি‘ইবা-দিহী খাবীরুম বাসীর।


Mufti Taqi Usmani

Should Allah expand the provision for His servants (to its full extent), they would spread mischief on earth; but He sends down what He wills in (due) measure. Surely, with regard to His slaves, He is All-Aware, Ever-Watchful.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ যদি তার সমস্ত বান্দার জন্য রিযককে বিস্তার করে দিতেন, তবে পৃথিবীতে তারা তার অবাধ্যতায় লিপ্ত হত, কিন্তু তিনি যে পরিমাণে ইচ্ছা তা অবতীর্ণ করে থাকেন। নিশ্চয়ই তিনি নিজ বান্দাদের সম্পর্কে পরিপূর্ণরূপে জানেন, তাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ তাঁর সকল বান্দাকে জীবনোপকরণে প্রাচুর্য দিলে তারা পৃথিবীতে অবশ্যই বিপর্যয় সৃষ্টি করত; কিন্তু তিনি তাঁর ইচ্ছামত পরিমাণেই নাযিল করে থাকেন। তিনি তাঁর বান্দাদেরকে সম্যক জানেন ও দেখেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যদি আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি রিযেক বাড়িয়ে দিতেন তাহলে তারা অবশ্যই দুনিয়াতে বিদ্রোহ করত, কিন্ত তিনি পাঠান যেমন তিনি চান তেমন পরিমাপ মতো। নিঃসন্দেহ তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি পূর্ণ ওয়াকিফহাল, সর্বদ্রষ্টা।


২৮


وَہُوَ الَّذِیۡ یُنَزِّلُ الۡغَیۡثَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا قَنَطُوۡا وَیَنۡشُرُ رَحۡمَتَہٗ ؕ وَہُوَ الۡوَلِیُّ الۡحَمِیۡدُ


ওয়া হুওয়াল্লাযী ইউনাঝঝিলুল গাইছা মিম বা‘দি মা-কানাতূওয়া ইয়ানশুরু রাহমাতাহূ ওয়া হুওয়াল ওয়ালিইয়ুল হামীদ।


Mufti Taqi Usmani

And He is the One who sends down rain after they have lost hope, and He extends His mercy. And He is the Guardian, Worthy of all praise.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনিই মানুষ হতাশ হয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং নিজ রহমত বিস্তার করেন। তিনিই (সকলের) প্রশংসাযোগ্য অভিভাবক।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন। তিনিই কার্যনির্বাহী, প্রশংসিত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা যখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখনই তিনি বৃষ্টি প্রেরণ করেন এবং তাঁর করুণা বিস্তার করেন। তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসার্হ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তিনিই সেইজন যিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন তারা হতাশ হয়ে পড়ার পরে, আর প্রসারিত করেন তাঁর করুণা। আর তিনিই মুরব্বী, পরম প্রশংসিত।


২৯


وَمِنۡ اٰیٰتِہٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَثَّ فِیۡہِمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ ؕ  وَہُوَ عَلٰی جَمۡعِہِمۡ اِذَا یَشَآءُ قَدِیۡرٌ ٪


ওয়া মিন আ-য়া-তিহী খালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদিওয়ামা-বাছছা ফীহিমা-মিন দাব্বাতিওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-জাম‘ইহিম ইযা-ইয়াশাউ কাদীর।


Mufti Taqi Usmani

Among His signs is the creation of the heavens and the earth and the creatures He has spread in them. He is Powerful to assemble them whenever He so wills.


মুফতী তাকী উসমানী

তাঁর অন্যতম নিদর্শন হল আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজন এবং সেই সকল জীবজন্তু যা তিনি এ দু’য়ের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এদেরকে সমবেত করতে সক্ষম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাঁর অন্যতম নিদর্শন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এই দুইয়ের মধ্যে তিনি যে সকল জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেইগুলি। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এদেরকে সমবেত করতে সক্ষম।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি, আর এ দুইয়ের মধ্যে জীবজন্তুর যে-সব তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলি। আর যখন তিনি চান তখনই তাদের জমায়েৎ করণে তিনি পরম ক্ষমতাবান।


৩০


وَمَاۤ اَصَابَکُمۡ مِّنۡ مُّصِیۡبَۃٍ فَبِمَا کَسَبَتۡ اَیۡدِیۡکُمۡ وَیَعۡفُوۡا عَنۡ کَثِیۡرٍ ؕ


ওয়ামাআসা-বাকুম মিম মুসীবাতিন ফাবিমা-কাছাবাত আইদীকুম ওয়া ইয়া‘ফূ‘আন কাছীর।


Mufti Taqi Usmani

Whatever hardship befalls you is because of what your own hands have committed, while He overlooks many (of your faults).


মুফতী তাকী উসমানী

তোমাদের যে বিপদ দেখা দেয়, তা তোমাদের নিজ হাতের কৃতকর্মেরই কারণে দেখা দেয়। আর তিনি তোমাদের অনেক কিছুই (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তো তিনি ক্ষমা করে দেন।


মাওলানা জহুরুল হক

আর বিপদ-আপদের যা তোমাদের আঘাত করে তা তো তোমার হাত যা অর্জন করেছে সে-জন্য, আর তিনি অনেকটা ক্ষমা করে দেন।


৩১


وَمَاۤ اَنۡتُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ۚۖ وَمَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّلَا نَصِیۡرٍ


ওয়ামাআনতুম বিমু‘জিঝীনা ফিল আরদি ওয়ামা-লাকুম মিন দূ নিল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-নাসীর।


Mufti Taqi Usmani

You are not able to frustrate (Him) in the earth. And, besides Allah, you have neither someone to protect, nor someone to help.


মুফতী তাকী উসমানী

পৃথিবীতে (আল্লাহকে) ব্যর্থ করে দেওয়ার ক্ষমতা তোমাদের নেই এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, নেই সাহায্যকারীও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমরা পৃথিবীতে পলায়ন করে আল্লাহকে অক্ষম করতে পার না এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন কার্যনির্বাহী নেই, সাহায্যকারীও নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহ্ র অভিপ্রায়কে ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, সাহায্যকারীও নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তোমরা পৃথিবীতে এড়িয়ে যেতে পারবে না। আর আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে তোমাদের জন্য কোনো অভিভাবক নেই আর সাহায্যকারীও নেই।


৩২


وَمِنۡ اٰیٰتِہِ الۡجَوَارِ فِی الۡبَحۡرِ کَالۡاَعۡلَامِ ؕ


ওয়া মিন আ-য়া-তিহিল জাওয়া-রি ফিল বাহরি কালআ‘লা-ম।


Mufti Taqi Usmani

And among His signs are ships in the sea, like mountains.


মুফতী তাকী উসমানী

তাঁর অন্যতম নিদর্শন হল সাগরে (বিচরণকারী) পর্বত প্রমাণ জাহাজ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সমুদ্রে ভাসমান পর্বতসম জাহাজসমূহ তাঁর অন্যতম নিদর্শন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাঁর অন্যতম নিদর্শন পর্বতসদৃশ সমুদ্রে চলমান নৌযানসমূহ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে সমুদ্রে পাহাড়ের মতো জাহাজগুলো --


৩৩


اِنۡ یَّشَاۡ یُسۡکِنِ الرِّیۡحَ فَیَظۡلَلۡنَ رَوَاکِدَ عَلٰی ظَہۡرِہٖ ؕ  اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّکُلِّ صَبَّارٍ شَکُوۡرٍ ۙ


ইয়ঁইয়াশা’ ইউছকিনিররীহা ফাইয়াজলালনা রাওয়া-কিদা ‘আলা-জাহরিহী ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।


Mufti Taqi Usmani

If He so wills, He may stop the wind, and they stand still on its surface. Surely in this, there are signs for everyone who is ever patient, fully grateful.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি চাইলে বায়ুকে স্তব্ধ করে দিতে পারেন। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠে তা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে প্রত্যেক ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি ইচ্ছা করলে বাতাসকে থামিয়ে দেন। তখন জাহাজসমূহ সমুদ্রপৃষ্ঠে নিশ্চল হয়ে পড়ে যেন পাহাড়। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক সবরকারী, কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি ইচ্ছা করলে বায়ুকে স্তব্ধ করে দিতে পারেন; ফলে নৌযানসমূহ নিশ্চল হয়ে পড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠে। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রহিয়াছ ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে।


মাওলানা জহুরুল হক

তিনি যদি ইচ্ছা করেন তবে তিনি বাতাসকে নিশ্চল করে দিতে পারেন, ফলে তারা তার পিঠে নিশ্চল হয়ে পড়ে। এতে তো অবশ্যই নিদর্শনাবলী রয়েছে প্রত্যেক অধ্যবসায়ী কৃতজ্ঞের জন্য।


৩৪


اَوۡ یُوۡبِقۡہُنَّ بِمَا کَسَبُوۡا وَیَعۡفُ عَنۡ کَثِیۡرٍ ۫


আও ইঊবিকহুন্না বিমা-কাছাবূওয়া ইয়া‘ফু‘আন কাছীর।


Mufti Taqi Usmani

Or He may destroy them because of what they earned, and may overlook many (whom He may save at least in this world),


মুফতী তাকী উসমানী

কিংবা (আল্লাহ চাইলে) মানুষের কোন কোন কৃতকর্মের কারণে জাহাজগুলোকে বিধ্বস্ত করে দিতে পারেন এবং পারেন অনেককে ক্ষমাও করতে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্যে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেন এবং অনেককে ক্ষমাও করে দেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অথবা তিনি তাদের কৃতকর্মের জন্যে সেইগুলিকে বিধ্বস্ত করে দিতে পারেন এবং অনেককে তিনি ক্ষমাও করেন;


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তারা যা অর্জন করেছে সে-জন্য তিনি সেগুলো ভেঙেচুরে ফেলেন, আর তিনি অনেকের থেকে মাফও করে দেন, --


৩৫


وَّیَعۡلَمَ الَّذِیۡنَ یُجَادِلُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا ؕ مَا لَہُمۡ مِّنۡ مَّحِیۡصٍ


ওয়া ইয়া‘লামাল্লাযীনা ইউজা-দিলূনা ফীআ-য়া-তিনা- মা-লাহুম মিম মাহীস।


Mufti Taqi Usmani

and (in such an event) those who raise disputes in Our verses will come to know that there is no way for them to escape.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং যারা আমার আয়াতসমূহে বিতর্ক সৃষ্টি করে, তারা বুঝতে পারত, তাদের জন্য নিষ্কৃতির কোন স্থান নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এবং যারা আমার ক্ষমতা সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা যেন জানে যে, তাদের কোন পলায়নের জায়গা নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর আমার নিদর্শন সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জানতে পারে যে, তাদের কোন নিষ্কৃতি নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যেন যারা আমাদের নিদর্শনগুলো সন্বন্ধে তর্কবিতর্ক করে তারা জানতে পারে। তাদের জন্য কোনো আশ্রয়স্থল নেই।


৩৬


فَمَاۤ اُوۡتِیۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَمَتَاعُ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ  وَمَا عِنۡدَ اللّٰہِ خَیۡرٌ وَّاَبۡقٰی لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ۚ


ফামাঊতীতুম মিন শাইয়িন ফমাতা-‘উল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ামা-‘ইনদাল্লা-হি খাইরুওঁ ওয়া আব কা-লিল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।


Mufti Taqi Usmani

So, whatever thing has been given to you is an enjoyment of the worldly life. And that which is with Allah is much better, and much more durable for those who believe and place their trust in Allah,


মুফতী তাকী উসমানী

তোমাদেরকে যা-কিছু দেওয়া হয়েছে, তা পার্থিব জীবনের ভোগ। আল্লাহর কাছে যা আছে, তা অনেক শ্রেয় ও স্থায়ী তাদের জন্য, যারা ঈমান এনেছে ও নিজ প্রতিপালকের উপর ভরসা রাখে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বস্তুুত তোমাদেরকে যা কিছু দেওয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ, কিন্তু আল্লাহ্ র নিকট যা আছে তা উত্তম ও স্থায়ী তাদের জন্যে, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে,


মাওলানা জহুরুল হক

বস্তুতঃ তোমাদের যা-কিছু দেওয়া হয়েছে তা তো এই দুনিয়ার জীবনের ভোগবিলাস, আর যা আল্লাহ্‌র কাছে রয়েছে তা বেশী ভাল ও দীর্ঘস্থায়ী তাদের জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের প্রভুর উপরে নির্ভর করে থাকে, --


৩৭


وَالَّذِیۡنَ یَجۡتَنِبُوۡنَ کَبٰٓئِرَ الۡاِثۡمِ وَالۡفَوَاحِشَ وَاِذَا مَا غَضِبُوۡا ہُمۡ یَغۡفِرُوۡنَ ۚ


ওয়াল্লাযীনা ইয়াজতানিবূনা কাবাইরাল ইছমি ওয়াল ফাওয়া-হিশা ওয়া ইযা- মাগাদিবূহুম ইয়াগফিরূন।


Mufti Taqi Usmani

and (for) those who abstain from the major sins and from shameful acts; and (for those who) when they get angry, they forgive,


মুফতী তাকী উসমানী

এবং যারা বড় বড় গুনাহ ও অশ্লীল কর্ম পরিহার করে এবং যখন তাদের ক্রোধ দেখা দেয়, তখন ক্ষমা প্রদর্শন করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে,


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হতে বোঁচে থাকে এবং ক্রোধাবিষ্ট হলে ক্ষমা করে দেয়,


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা এড়িয়ে চলে পাপাচারের বড়গুলো এবং অশ্লীল আচরণ, আর যারা যখন রেগে যায় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়,


৩৮


وَالَّذِیۡنَ اسۡتَجَابُوۡا لِرَبِّہِمۡ وَاَقَامُوا الصَّلٰوۃَ ۪  وَاَمۡرُہُمۡ شُوۡرٰی بَیۡنَہُمۡ ۪  وَمِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ۚ


ওয়াল্লাযীনাছ তাজা-বূলিরাব্বিহিম ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আমরুহুম শূরাবাইনাহুম ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূন।


Mufti Taqi Usmani

and those who have responded to their Lord (in submission to Him), and have established Salāh, and whose affairs are (settled) with mutual consultation between them, and who spend out of what We have given to them,


মুফতী তাকী উসমানী

এবং যারা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিয়েছে, নামায কায়েম করেছে এবং যাদের কাজকর্ম পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সম্পন্ন হয় এবং আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে (সৎকর্মে) ব্যয় করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে,


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা তাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে এবং তাদেরকে আমি যে রিযিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা তাদের প্রভুর প্রতি সাড়া দেয়, এবং নামায কায়েম করে, আর তাদের কাজকর্ম হয় নিজেদের মধ্যে পরামর্শক্রমে, আর আমরা তাদের যা রিযেক দিয়েছি তা থেকে তারা খরচ করে থাকে,


৩৯


وَالَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَصَابَہُمُ الۡبَغۡیُ ہُمۡ یَنۡتَصِرُوۡنَ


ওয়াল্লাযীনা ইযাআসা-বাহুমুল বাগইউহুম ইয়ানতাসিরূন।


Mufti Taqi Usmani

and those who, when they are subjected to aggression, defend themselves.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং যখন তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হয় তখন তারা তা প্রতিহত করে। ১০


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা তাদের প্রতি যখন বিদ্রোহ আঘাত হানে তারা তখন আ‌ত্মরক্ষা করে।


তাফসীরঃ

১০. কারও প্রতি জুলুম করা হলে সামর্থ্য অনুযায়ী তা প্রতিহত করাও ঈমানের দাবি। কেননা জুলুম সয়ে যাওয়ার অর্থ নিজেকে অপমানিত করা। নিজেকে অপমানিত করা কোন মুমিনের জন্য শোভন নয়। তা ছাড়া জুলুমকে প্রতিহত করা না হলে জুলুমকারী স্পর্ধিত হয়ে ওঠে। ফলে তার জুলুমের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক সময় সে ব্যক্তি-বিশেষকেই নয়; বরং গোটা মুসলিম সমাজকেই নিজ অত্যাচারে জর্জরিত করে তোলে এমনকি আল্লাহ তাআলার দীনও তার সীমালংঘনের শিকার হয়। যাতে এই পর্যায়ে পৌঁছতে না পারে তাই প্রথম যাত্রাতেই তাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে প্রতিশোধ গ্রহণ সীমালংঘনে পর্যবসিত না হয়, যেমন পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে (-অনুবাদক, তাফসীরে উসমানী, কুরতুবী, রূহুল মাআনী প্রভৃতি তাফসীর গ্রন্থ অবলম্বনে)।


৪০


وَجَزٰٓؤُا سَیِّئَۃٍ سَیِّئَۃٌ مِّثۡلُہَا ۚ فَمَنۡ عَفَا وَاَصۡلَحَ فَاَجۡرُہٗ عَلَی اللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الظّٰلِمِیۡنَ


ওয়া জাঝাউ ছাইয়িআতিন ছাইয়িআতুম মিছলুহা- ফামান ‘আফা-ওয়া আসলাহা ফাআজরুহূ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূলা-ইউহিবজ জা-লিমীন।


Mufti Taqi Usmani

The recompense of evil is evil like it. Then the one who forgives and opts for compromise has his reward undertaken by Allah. Surely, He does not like the unjust.


মুফতী তাকী উসমানী

মন্দের বদলা অনুরূপ মন্দ। ১১ তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও সংশোধনের চেষ্টা করে, তার সওয়াব আল্লাহর যিম্মায়। নিশ্চয়ই তিনি জালেমদেরকে পছন্দ করেন না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং যে ক্ষমা করে দেয় ও আপোস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহ্ র নিকট আছে। আল্লাহ্ জালিমদেরকে পছন্দ করেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর মন্দের প্রতিফল তার অনুরূপ মন্দ, কিন্ত যে কেউ ক্ষমা করে আর সদ্ভাব সৃষ্টি করে, তাহলে তার পুরস্কার রয়েছে আল্লাহ্‌র নিকটে। নিঃসন্দেহ অন্যায়কারীদের তিনি ভালবাসেন না।


তাফসীরঃ

১১. অর্থাৎ কারও উপর কোন জুলুম করা হলে, সেই মজলুমের এ অধিকার আছে যে, জালেম তাকে যে পরিমাণ কষ্ট দিয়েছে, সেও তাকে সেই পরিমাণ কষ্ট দেবে। কিছুতেই তার বেশি কষ্ট দেওয়া যাবে না। আর এ প্রতিশোধ গ্রহণ তার অধিকার মাত্র। পরের বাক্যে জানানো হয়েছে যে, প্রতিশোধ না নিয়ে যদি সবর করে ও জালেমকে ক্ষমা করে দেয়, তবে সেটা খুবই ফযীলতের কাজ।


৪১


وَلَمَنِ انۡتَصَرَ بَعۡدَ ظُلۡمِہٖ فَاُولٰٓئِکَ مَا عَلَیۡہِمۡ مِّنۡ سَبِیۡلٍ ؕ


ওয়া লামানিন তাসারা বা‘দা জুলমিহী ফাউলাইকা মা-‘আলাইহিম মিন ছাবীল।


Mufti Taqi Usmani

The one who defends himself after having been wronged, there is no blame on such people.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা নিজেদের উপর জুলুম হওয়ার পর (সমপরিমাণে) বদলা নেয়, তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবে অত্যাচারিত হওয়ার পর যারা প্রতিবিধান করে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না;


মাওলানা জহুরুল হক

তবে যে কেউ আ‌ত্মরক্ষা করে তার প্রতি অত্যাচার হবার পরে -- তবে তারাই, তাদের বিরুদ্ধে কোনো রাস্তা নেই।


৪২


اِنَّمَا السَّبِیۡلُ عَلَی الَّذِیۡنَ یَظۡلِمُوۡنَ النَّاسَ وَیَبۡغُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ ؕ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ


ইন্নামাছ ছাবীলু‘আলাল্লাযীনা ইয়াজলিমূনান্না-ছা ওয়া ইয়াবগূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কি উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুন আলীম।


Mufti Taqi Usmani

Blame, in fact, is upon those who wrong people and make mischief on earth unjustly. For such people there is a painful punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর জুলুম করে ও পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। এরূপ লোকদের জন্য আছে যন্ত্রণাময় শাস্তি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়, এদের জন্যে মর্মন্তুদ শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

পথ কেবল তাদেরই বিরুদ্ধে যারা লোকজনের উপরে অত্যাচার করে এবং দুনিয়াতে বিদ্রোহ করে ন্যায়সঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে। এরাই -- এদেরই জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।


৪৩


وَلَمَنۡ صَبَرَ وَغَفَرَ اِنَّ ذٰلِکَ لَمِنۡ عَزۡمِ الۡاُمُوۡرِ ٪


ওয়ালামান সাবারা ওয়া গাফারা ইন্না যা-লিকা লামিন ‘আঝমিল উমূর।


Mufti Taqi Usmani

And if one observes patience and forgives, it is, of course, one of the courageous conducts.


মুফতী তাকী উসমানী

প্রকৃতপক্ষে যে সবর অবলম্বন করে ও ক্ষমা প্রদর্শন করে, তো এটা অবশ্যই অত্যন্ত হিম্মতের কাজ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অবশ্য যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয়, তা তো হবে দৃঢ় সংকল্পেরই কাজ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যে কেউ অধ্যবসায় অবলন্বন করে ও ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তাই তো হচ্ছে বীরত্বজনক কাজের মধ্যের অন্যতম।


৪৪


وَمَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ وَّلِیٍّ مِّنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ  وَتَرَی الظّٰلِمِیۡنَ لَمَّا رَاَوُا الۡعَذَابَ یَقُوۡلُوۡنَ ہَلۡ اِلٰی مَرَدٍّ مِّنۡ سَبِیۡلٍ ۚ


ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিওঁ ওয়ালিইয়িম মিম বা‘দিহী ওয়াতারাজ্জালিমীনা লাম্মা-রায়াউল ‘আযা-বা ইয়াকূলূনা হাল ইলা-মারাদ্দিম মিন ছাবীল।


Mufti Taqi Usmani

The one whom Allah lets go astray, there is no one for him to protect thereafter. And you will see the wrongdoers, when they will see the punishment, that they will say, “Is there any way to be sent back (to the world)? ”


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তারপর তার কোনো অভিভাবক নেই। জালেমগণ যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন তুমি তাদেরকে বলতে দেখবে, ফিরে যাওয়ার কি কোন পথ আছে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন, তার জন্যে তিনি ব্যতীত কোন কার্যনির্বাহী নেই। পাপাচারীরা যখন আযাব প্রত্যক্ষ করবে, তখন আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা বলছে আমাদের ফিরে যাওয়ার কোন উপায় আছে কি?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তৎপর তার জন্যে কোন অভিভাবক নেই। জালিমরা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তুমি এদেরকে বলিতে শুনবে, ‘প্রত্যাবর্তনের কোন উপায় আছে কি ?’


মাওলানা জহুরুল হক

আর আল্লাহ্ যাকে ভ্রান্তপথে যেতে দেন তার জন্যে তবে তাঁর বাহিরে কোনো অভিভাবক নেই। আর তুমি অন্যায়াচারীদের দেখতে পাবে -- যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে -- তারা বলতে থাকবে -- "ফিরে যাবার মতো কোনো পথ আছে কি?"


৪৫


وَتَرٰىہُمۡ یُعۡرَضُوۡنَ عَلَیۡہَا خٰشِعِیۡنَ مِنَ الذُّلِّ یَنۡظُرُوۡنَ مِنۡ طَرۡفٍ خَفِیٍّ ؕ وَقَالَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّ الۡخٰسِرِیۡنَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ وَاَہۡلِیۡہِمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ الظّٰلِمِیۡنَ فِیۡ عَذَابٍ مُّقِیۡمٍ


ওয়া তারা-হুম ইউ‘রাদূনা ‘আলাইহা-খা-শি‘ঈনা মিনাযযুলিল ইয়ানজু রূনা মিন তারফিন খাফীইয়িওঁ ওয়াকা-লাল্লাযীনা আমানূইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আলাইন্নাজ্জা-লিমীনা ফী ‘আযা-বিম মুকীম।


Mufti Taqi Usmani

And you will see them that they will be presented to it (the Fire), downcast because of humiliation, looking with stealthy glance. And those who believe will say, “The real losers are those who have lost their own selves and their families on the Day of Judgment.” Be aware that the wrongdoers are in lasting punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি তাদেরকে দেখবে, তাদেরকে জাহান্নামের সামনে এভাবে পেশ করা হবে যে, তারা অপমানে অবনত অবস্থায় অস্ফুট চোখে তাকাচ্ছে। আর মুমিনগণ বলবে, বাস্তবিকই সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত তারাই, যারা কিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং পরিবারবর্গকে ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। মনে রেখ, জালেমগণ স্থায়ী আযাবের ভেতর থাকবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করার সময় আপনি তাদেরকে দেখবেন, অপমানে অবনত এবং অর্ধ নিমীলিত দৃষ্টিতে তাকায়। মুমিনরা বলবে, কেয়ামতের দিন ক্ষতিগ্রস্ত তারাই, যারা নিজেদের ও তাদের পরিবার-পরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। শুনে রাখ, পাপাচারীরা স্থায়ী আযাবে থাকবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি এদেরকে দেখতে পাবে যে, এদেরকে জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করা হচ্ছে; তারা অপমানে অবনত অবস্থায় অর্ধনিমীলিত নেত্রে তাকাচ্ছে। মু’মিনরা কিয়ামতের দিন বলবে, ‘ক্ষতিগ্রস্ত তারাই যারা নিজেদের ও নিজেদের পরিজনবর্গের ক্ষতিসাধন করেছে।’ জেনে রাখ, জালিমরা অবশ্যই ভোগ করবে স্থায়ী শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তুমি তাদের দেখতে পাবে এর সামনে আনা হয়েছে লাঞ্ছনার ফলে বিনত অবস্থায়, তাকিয়ে রয়েছে ভীত-সন্ত্রস্ত চোখে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে -- "নিঃসন্দেহ ক্ষতিগ্রস্ত তো তারা যারা কিয়ামতের দিনে তাদের নিজেদের ও তাদের পরিবারবর্গের ক্ষতি সাধন করেছে। এটি কি নয় যে অন্যাযাচারীরা দীর্ঘস্থায়ী শাস্তিতে রয়েছে?"


৪৬


وَمَا کَانَ لَہُمۡ مِّنۡ اَوۡلِیَآءَ یَنۡصُرُوۡنَہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ  وَمَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ سَبِیۡلٍ ؕ


ওয়ামা-কা-না লাহুম মিন আওলিয়াআ ইয়ানসুরূনাহুম মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু; ফামা-লাহূমিন ছাবীল।


Mufti Taqi Usmani

And for them there will not be any friends who may help them besides Allah. And the one whom Allah lets go astray, for him there is no way (to save himself).


মুফতী তাকী উসমানী

তারা এমন কোন অভিভাবক পাবে না, যারা আল্লাহর বিপরীতে তাদের কোন সাহায্য করতে পারবে। আর আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তার (নিষ্কৃতির) কোন পথ থাকে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না, যে তাদেরকে সাহায্য করবে। আল্লাহ তা’আলা যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন গতি নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ ব্যতীত এদেরকে সাহায্য করার জন্যে এদের কোন অভিভাবক থাকবে না এবং আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন গতি নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাদের সাহায্য করার কারণে আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে তাদের জন্য অভিভাবকদের কেউ থাকবে না। আর যাকে আল্লাহ্ ভুলপথে চলতে দেন তার জন্য তবে কোনো গতি থাকবে না।


৪৭


اِسۡتَجِیۡبُوۡا لِرَبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ یَوۡمٌ لَّا مَرَدَّ لَہٗ مِنَ اللّٰہِ ؕ مَا لَکُمۡ مِّنۡ مَّلۡجَاٍ یَّوۡمَئِذٍ وَّمَا لَکُمۡ مِّنۡ نَّکِیۡرٍ


ইছতাজীবূলিরাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়া ইয়াওমুল্লা-মারাদ্দা লাহূমিনাল্লা-হি মালাকুম মিম মালজায়িইঁ ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়ামা-লাকুম মিন নাকীর।


Mufti Taqi Usmani

Respond to your Lord before there comes a day for which there will be no reversal from Allah’s side. For you there will be neither a refuge that day, nor an opportunity to question (Allah about your fate).


মুফতী তাকী উসমানী

(হে মানুষ!) তোমাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দাও সেই দিন আসার আগেই, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে রদ করা যাবে না। ১২ সে দিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তোমাদের কোন আপত্তিরও সুযোগ থাকবে না। ১৩


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দাও আল্লাহ্ র পক্ষ হতে সেই দিবস আসার পূর্বে, যা অপ্রতিরোধ্য; যেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তোমাদের জন্যে তা নিরোধ করার কেউ থাকবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

তোমাদের প্রভুর প্রতি সাড়া দাও সেইদিন আসার আগে যাকে আল্লাহ্‌র কাছ থেকে ফেরানো যাবে না। তোমাদের জন্য সেইদিন কোনো আশ্রয়স্থল থাকবে না, আর তোমাদের জন্য রইবে না কোনো ধরনের অস্বীকারকরণ।


তাফসীরঃ

১২. অর্থাৎ একবার যখন আল্লাহ তাআলা সেদিনটি সংঘটিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, তারপর আর তাঁর পক্ষ হতে তা রদ করা হবে না, তা হয়ে যাবে তার অটল ফয়সালা। অথবা مِنَ اللّٰهِ এর সম্পর্ক يَأْتِىْ এর সাথে’, অর্থ হবে ‘আল্লাহর পক্ষ হতে সেই দিন আসার আগেই, যা রদ করা হবে না (-অনুবাদক, আল-কাশশাফ অবলম্বনে)।


১৩. অর্থাৎ কারও আল্লাহ তাআলাকে একথা জিজ্ঞেস করার সাধ্য হবে না যে, তাকে এরূপ শাস্তি কেন দেওয়া হচ্ছে? কেননা তার আগেই তো প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। [ইবনে কাছীর বাক্যটির অর্থ করেছেন, কেউ এমন কোন জায়গা পাবে না, যেখানে সে অপরিচিত থেকে যাবে -অনুবাদক]


৪৮


فَاِنۡ اَعۡرَضُوۡا فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا ؕ اِنۡ عَلَیۡکَ اِلَّا الۡبَلٰغُ ؕ وَاِنَّاۤ اِذَاۤ اَذَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنَّا رَحۡمَۃً فَرِحَ بِہَا ۚ وَاِنۡ تُصِبۡہُمۡ سَیِّئَۃٌۢ بِمَا قَدَّمَتۡ اَیۡدِیۡہِمۡ فَاِنَّ الۡاِنۡسَانَ کَفُوۡرٌ


ফাইন আ‘রাদূফামাআরছালনা-কা ‘আলাইহিম হাফীজান ইন ‘আলাইকা ইল্লাল বালা-গু ওয়া ইন্নাইযাআযাকনাল ইনছা-না মিন্না-রাহমাতান ফারিহা বিহা- ওয়া ইন তুসিবহুম ছাইয়িআতুম বিমা-কাদ্দামাত আইদীহিম ফাইন্নাল ইনছা-না কাফূর।


Mufti Taqi Usmani

So, if they turn away, then We did not send you (O Prophet,) as a supervisor over them. You are not responsible but for conveying the message. And when We make man taste mercy from Us, he rejoices with it, and if an evil befalls him because of what their hands sent ahead, then man becomes ungrateful.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) তথাপি যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আমি তোমাকে তো তাদের তত্ত্বাবধায়ক করে পাঠাইনি। (বাণী) পৌঁছানো ছাড়া তোমার কোন দায়িত্ব নেই এবং (মানুষের অবস্থা হল) আমি যখন মানুষকে আমার পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহের স্বাদ গ্রহণ করাই, তখন তারা তাতে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে আবার যখন তাদের নিজেদের হাতের কামাইয়ের কারণে তাদের কোন বিপদ দেখা দেয়, তখন সেই মানুষই ঘোর অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনাকে আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা। আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উল্লসিত, আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট ঘটে, তখন মানুষ খুব অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমাকে তো আমি এদের রক্ষক করে পাঠাই নাই। তোমার কাজ তো কেবল বাণী পৌঁছে দেওয়া। আমি মানুষকে যখন অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে এতে উৎফুল¬ হয় এবং যখন এদের কৃতকর্মের জন্যে এদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন মানুষ হয়ে পড়ে অকৃতজ্ঞ।


মাওলানা জহুরুল হক

কিন্ত তারা যদি বিমুখ হয় তবে আমরা তোমাকে তো তাদের উপরে একজন রক্ষাকারীরূপে পাঠাই নি। তোমার উপরে তো শুধু বাণী পৌঁছে দেওয়া। আর অবশ্য আমরা যখন মানুষকে আমাদের কাছ একে করুণা আস্বাদন করাই তখন সে এতে আনন্দ করে, কিন্ত তাদের হাত যা আগবাড়িয়েছে সেজন্য যদি কোনো মন্দ তাদের আঘাত করে, তবে মানুষ নিশ্চয়ই হয়ে যায় অকৃতজ্ঞ।


৪৯


لِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ  یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ؕ  یَہَبُ لِمَنۡ یَّشَآءُ اِنَاثًا وَّیَہَبُ لِمَنۡ یَّشَآءُ الذُّکُوۡرَ ۙ


লিল্লা-হি মুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ইয়াখলুকুমা-ইয়াশাউ ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউ ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াহাবুলিমাইঁ ইয়াশাউযযুকূর।


Mufti Taqi Usmani

To Allah belongs the kingdom of the heavens and the earth. He creates what He wills. He grants females to whom He wills, and grants males to whom He wills.


মুফতী তাকী উসমানী

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা দেন এবং যাকে চান পুত্র দেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর আধিপত্য আল্লাহ্ র ই। তিনি যা ইচ্ছা তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন,


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহরই হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব। তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে চান কন্যাসন্তান দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা করেন পুত্রসন্তান দেন,


৫০


اَوۡ یُزَوِّجُہُمۡ ذُکۡرَانًا وَّاِنَاثًا ۚ وَیَجۡعَلُ مَنۡ یَّشَآءُ عَقِیۡمًا ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌ قَدِیۡرٌ


আও ইউঝাওবিজুহুম যুকরা-নাওঁ ওয়া ইনা-ছাওঁ ওয়া ইয়াজ‘আলুমাইঁ ইয়াশাউ ‘আকীমান ইন্নাহূ‘আলীমুন কাদীর।


Mufti Taqi Usmani

Or He combines for them couples, both males and females, and makes whom He wills barren. Surely, He is All-Knowing, Very-Powerful.


মুফতী তাকী উসমানী

অথবা পুত্র ও কন্যা উভয় মিলিয়ে দেন। আবার যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অথবা দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে করে দেন বন্ধ্যা; তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তিনি তাদের জোড়ে দেন পুত্রসন্তান ও কন্যা-সন্তান, আবার যাকে চান তাকে তিনি বন্ধ্যা বানিয়ে দেন। নিঃসন্দেহ তিনি সর্বজ্ঞাতা, সর্বশক্তিমান।


৫১


وَمَا کَانَ لِبَشَرٍ اَنۡ یُّکَلِّمَہُ اللّٰہُ اِلَّا وَحۡیًا اَوۡ مِنۡ وَّرَآیِٔ حِجَابٍ اَوۡ یُرۡسِلَ رَسُوۡلًا فَیُوۡحِیَ بِاِذۡنِہٖ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّہٗ عَلِیٌّ حَکِیۡمٌ


ওয়ামা-কা-না লিবাশারিন আইঁ ইউকালিলমাহুল্লা-হু ইল্লা-ওয়াহইয়ান আও মিওঁ ওয়ারাই হিজা-বিন আও ইউরছিলা রাছূলান ফাইঊহিয়া বিইযনিহী মা ইয়াশাউ ইন্নাহূ ‘আলিইয়ুন হাকীম।


Mufti Taqi Usmani

It is not (possible) for a human being that Allah speaks to him, except by way of revelation, or from behind a curtain, or that He sends a messenger, and he reveals, with His permission, what He wills. Surely, He is All-High, All-Wise.


মুফতী তাকী উসমানী

কোন মানুষের এ যোগ্যতা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ১৪ (সামনা সামনি), তবে ওহীর মাধ্যমে (বলতে পারেন) অথবা কোন পর্দার আড়াল থেকে কিংবা তিনি কোন বার্তাবাহী (ফেরেশতা) পাঠিয়ে দেবেন, যে তাঁর নির্দেশে তিনি যা চান সেই ওহীর বার্তা পৌঁছে দেবে। নিশ্চয়ই তিনি অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, প্রজ্ঞাময়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কোন মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। কিন্তু ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা তিনি কোন দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ্ তার সঙ্গে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে, বা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে, বা এমন দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে, যেই দূত তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়।


মাওলানা জহুরুল হক

আর কোনো মানবের জন্যে এটি নয় যে আল্লাহ্ তার সাথে কথা বলবেন ওহী ব্যতীত, অথবা পর্দার আড়ালে থেকে, অথবা তিনি কোনো বাণীবাহককে পাঠান ফলে সে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী যা তিনি চান তা প্রত্যাদেশ করে। নিঃসন্দেহ তিনি সর্বোন্নত, পরমজ্ঞানী।


তাফসীরঃ

১৪. এ দুনিয়ায় আল্লাহ তাআলা কোন মানুষের সাথে সামনা সামনি কথা বলেন না। কেননা মানুষের তা সহ্য করার ক্ষমতা নেই। মানুষের সাথে কথা বলার জন্য তিনি তিনটি পদ্ধতির কোনও একটি গ্রহণ করেন। (এক) একটি পদ্ধতিকে তিনি ‘ওহী’ নামে অভিহিত করেছেন। তার মানে তিনি যে কথা বলতে চান, তা কারও অন্তরে ঢেলে দেন। (দুই) দ্বিতীয় পদ্ধতি হল পর্দার আড়াল থেকে বলা। অর্থাৎ কে বলছে তা দেখা ছাড়াই তার কথা কানের মাধ্যমেই শুনতে পাওয়া। যেমন হযরত মূসা আলাইহিস সালামের সাথে এভাবে আল্লাহ তাআলা কথা বলেছিলেন। (তিন) নিজ বাণী কোন ফেরেশতার মাধ্যমে কোন নবীর কাছে পাঠানো।


৫২


وَکَذٰلِکَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ رُوۡحًا مِّنۡ اَمۡرِنَا ؕ  مَا کُنۡتَ تَدۡرِیۡ مَا الۡکِتٰبُ وَلَا الۡاِیۡمَانُ وَلٰکِنۡ جَعَلۡنٰہُ نُوۡرًا نَّہۡدِیۡ بِہٖ مَنۡ نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَا ؕ  وَاِنَّکَ لَتَہۡدِیۡۤ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ۙ


ওয়া কাযা-লিকা আওহাইনাইলাইকা রূহাম মিন আমরিনা- মা-কুনতা তাদরী মাল কিতা-বুওয়ালাল ঈমা-নুওয়ালা-কিন জা‘আলনা-হু নূরান নাহদী বিহী মান নাশাউ মিন ‘ইবা-দিনা- ওয়া ইন্নাকা লা তাহদীইলা সিরা-তিম মুছতাকীম।


Mufti Taqi Usmani

In similar way, We have revealed to you a Spirit from Our command. You did not know earlier what was the Book or what was Īmān (true faith), but We have made it (the Qur’ān) a light with which We guide whomsoever We will from among Our servants. And indeed you are guiding (people) to a straight path,


মুফতী তাকী উসমানী

এভাবেই আমি আমার নির্দেশে তোমার প্রতি ওহীরূপে নাযিল করেছি এক রূহ। ১৫ ইতঃপূর্বে তুমি জানতে না কিতাব কী এবং (জানতে) না ঈমান। কিন্তু আমি একে (অর্থাৎ কুরআনকে) বানিয়েছি এক নূর, যার মাধ্যমে আমি আমার বান্দাদের মধ্য হতে যাকে চাই হেদায়াত দান করি। নিশ্চয়ই তুমি মানুষকে দেখাচ্ছ হেদায়াতের সেই সরল পথ


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন-


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এইভাবে আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করেছি রূহ্ তথা আমার নির্দেশ; তুমি তো জানতে না কিতাব কি এবং ঈমান কি। পক্ষান্তরে আমি এটাকে করেছি আলো যা দিয়ে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করি; তুমি তো প্রদর্শন কর কেবল সরল পথ-


মাওলানা জহুরুল হক

আর এইভাবে আমরা তোমার কাছে আমাদের নির্দেশক্রমে প্রত্যাদেশ করেছি অনুপ্রাণিত গ্রন্থ। তুমি তো জানতে না গ্রন্থখানা কেমনতর, আর ধর্মবিশ্বাসও নয়, কিন্ত আমরা এটিকে বানিয়েছি এক আলোক, -- এর দ্বারা আমরা পথ দেখাচ্ছি আমাদের বান্দাদের যাদের আমরা ইচ্ছা করছি। আর তুমি তো নিশ্চয়ই পথ দেখাচ্ছ সঠিক পথের দিকে --


তাফসীরঃ

১৫. ‘রূহ’ দ্বারা এ আয়াতে কুরআন মাজীদ ও তার বিধানাবলী বোঝানো হয়েছে। কেননা এর দ্বারা মানুষের মৃত আত্মায় প্রাণ সঞ্চার হয়, তার রূহানী জীবন সঞ্জীবিত হয়। এটাও সম্ভব যে, রূহ দ্বারা হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে বোঝানো উদ্দেশ্য। তাঁকে রূহুল কুদসও বলা হয়। কুরআন মাজীদ নাযিল করার জন্য আল্লাহ তাআলা তাঁকেই মাধ্যম বানিয়েছিলেন।


৫৩


صِرَاطِ اللّٰہِ الَّذِیۡ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ  اَلَاۤ اِلَی اللّٰہِ تَصِیۡرُ الۡاُمُوۡرُ ٪


সিরাতিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি আলাইলাল্লা-হি তাসীরুল উমূর।


Mufti Taqi Usmani

the path of Allah, the One to whom belongs all that is in the heavens and all that is in the earth. Be aware that towards Allah all matters shall finally return.


মুফতী তাকী উসমানী

যা আল্লাহর পথ, যার মালিকানায় রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সবই। জেনে রেখ, যাবতীয় বিষয় শেষ পর্যন্ত আল্লাহরই কাছে ফিরবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহর পথ। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল যা কিছু আছে, সব তাঁরই। শুনে রাখ, আল্লাহ তা’আলার কাছেই সব বিষয়ে পৌঁছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সেই আল্লাহ্ র পথ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার মালিক। জেনে রাখ, সকল বিষয়ের পরিণাম আল্লাহ্ র ই দিকে প্রত্যাবর্তন করে।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্‌র পথ, যিনি তাঁর দখলে রেখেছেন মহাকাশমন্ডলীতে যা-কিছু আছে এবং যা-কিছু আছে পৃথিবীতে। এটি কি নয় যে সব ব্যাপারই আল্লাহ্‌র কাছে পেছে যাঁয়?


মুসলিম বাংলা ফেসবুক পেইজফেসবুক গ্রুপ

 

Post a Comment

0 Comments