সূরা যুমার বাংলা উচ্চারণ সহ অনুবাদ,সূরা যুমার বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল যুমার বাংলা তরজমা,সূরা যুমার বাংলা তাফসীর, আমল সূরা আল যুমার, সকল আমল সূরা আল যুমার

  

৩৯ . আয্‌-যুমার - ( الزمر ) | দলবদ্ধ জনতা

মাক্কী, মোট আয়াতঃ ৭৫


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰہِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَکِیۡمِ


তানঝীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আঝীঝিল হাকীম।


Mufti Taqi Usmani

This is the revelation of the Book from Allah, the Mighty, the Wise.


মুফতী তাকী উসমানী

এ কিতাব নাযিল করা হয়েছে আল্লাহর পক্ষ হতে, যিনি মহা ক্ষমতাবান, হেকমতওয়ালা।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এই কিতাব অবতীর্ণ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্ র নিকট হতে।


মাওলানা জহুরুল হক

এ গ্রন্থের অবতারণ আল্লাহ্‌র কাছে থেকে, মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।



اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ فَاعۡبُدِ اللّٰہَ مُخۡلِصًا لَّہُ الدِّیۡنَ ؕ


ইন্নাআনঝালনাইলাইকাল কিতা-বা বিলহাক্কিফা‘বুদিল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।


Mufti Taqi Usmani

Surely We have revealed the Book to you with truth; so worship Allah making your submission exclusive for Him.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) নিশ্চয়ই আমিই এ কিতাব তোমার প্রতি নাযিল করেছি সত্যসহ। সুতরাং তুমি আল্লাহর ইবাদত কর তাঁর জন্য আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি আপনার প্রতি এ কিতাব যথার্থরূপে নাযিল করেছি। অতএব, আপনি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করুন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি তোমার নিকট এই কিতাব সত্যসহ অবতীর্ণ করেছি। সুতরাং আল্লাহ্ র ‘ইবাদত কর তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ আমরা তোমার কাছে গ্রন্থখানা অবতারণ করেছি সত্যের সাথে, কাজেই আল্লাহ্‌র এবাদত করো তাঁর প্রতি ধর্মে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে।



اَلَا لِلّٰہِ الدِّیۡنُ الۡخَالِصُ ؕ وَالَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اَوۡلِیَآءَ ۘ مَا نَعۡبُدُہُمۡ اِلَّا لِیُقَرِّبُوۡنَاۤ اِلَی اللّٰہِ زُلۡفٰی ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَحۡکُمُ بَیۡنَہُمۡ فِیۡ مَا ہُمۡ فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ۬ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِیۡ مَنۡ ہُوَ کٰذِبٌ کَفَّارٌ


আলা-লিল্লা-হিদ্দীনুল খা-লিসু ওয়াল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিহীআওলিয়াআ । মানা‘বুদুহুম ইল্লা-লিইউকাররিবূনাইলাল্লা-হি ঝুলফা- ইন্নাল্লাহা ইয়াহকুমুবাইনাহুম ফী মা-হুম ফীহি ইয়াখতালিফূন ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহদী মান হুওয়া কা-যিবুন কাফ ফা-র।


Mufti Taqi Usmani

Remember, Allah alone deserves the exclusive submission. As for those who have adopted guardians other than Him (saying), “We worship them for no other reason but because they would bring us near to Allah closely”, Allah will judge between them in the matters in which they are differing. Surely, Allah does not guide anyone who is liar, highly infidel.


মুফতী তাকী উসমানী

স্মরণ রেখ, খালেস আনুগত্য তাঁরই প্রাপ্য। যারা তাঁকে ছাড়া অন্যসব অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে (এই কথা বলে যে,) আমরা তাদের উপাসনা করি কেবল এজন্য যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে, ১ আল্লাহ তাদের মধ্যে সেই বিষয়ে মীমাংসা করে দেবেন যার মাঝে তারা মতবিরোধ করছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন কোন ব্যক্তিকে পথে আনেন না, যে চরম মিথ্যুক, ঘোর কাফের।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

জেনে রাখ, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহ্ র ই প্রাপ্য। যারা আল্লাহ্ র পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের পূজা এইজন্যেই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহ্ র সান্নিধ্যে আনিয়া দিবে।’ এরা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করতেছে আল্লাহ্ তার ফয়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির, আল্লাহ্ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

খাঁটি ধর্ম কি আল্লাহ্‌রই জন্য নয়? আর যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে -- "আমরা তাদের উপাসনা করি না শুধু এজন্য ছাড়া যে তারা আমাদের আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী অবস্থায় এনে দেবে।" নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তাদের মধ্যে বিচার করবেন সেই বিষয়ে যাতে তারা মতভেদ করছিল। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না যে খোদ মিথ্যাবাদী অবিশ্বাসী।


তাফসীরঃ

১. আরবের মুশরিকগণ সাধারণভাবে আল্লাহ তাআলাকেই বিশ্ব-জগতের সৃষ্টিকর্তা বলে বিশ্বাস করত, কিন্তু তারা মনগড়া কিছু দেব-দেবীর প্রতিমা বানিয়ে তাদের সম্পর্কে এই বিশ্বাস জন্ম দিয়েছিল যে, আমরা এদের উপাসনা করলে এরা খুশী হয়ে আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে এবং তাদের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করতে পারব। কুরআন মাজীদে এটাকেও শিরক সাব্যস্ত করা হয়েছে। কেননা এক তো ওসব দেব-দেবীর কোন বাস্তবতা নেই। দ্বিতীয়ত ইবাদত কেবল আল্লাহ তাআলারই হক। অন্য কারও ইবাদত যে নিয়তেই করা হোক না কেন তা শিরক। এর দ্বারা জানা গেল, কোন ব্যক্তি যদি বাস্তবিকই আল্লাহর ওলী ও বুযুর্গ হয়, তবুও তার ইবাদত করা শিরক । তা এ নিয়তে করলেও যে, তার ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারবে।



لَوۡ اَرَادَ اللّٰہُ اَنۡ یَّتَّخِذَ وَلَدًا لَّاصۡطَفٰی مِمَّا یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ۙ سُبۡحٰنَہٗ ؕ ہُوَ اللّٰہُ الۡوَاحِدُ الۡقَہَّارُ


লাও আরাদাল্লা-হু আইঁ ইয়াত্তাখিযা ওয়ালাদাল্লাসতাফা-মিম্মা-ইয়াখলুকূমা ইয়াশাউ ছুবহা-নাহূ হুওয়াল্লা-হুল ওয়া-হিদুল কাহহা-র।


Mufti Taqi Usmani

Had Allah opted to have a son of His own, He would have definitely chosen anyone, as He wished, out of what He had created. (But), Pure is He. He is Allah, the Only One, the All-Dominant.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করতে চাইলে নিজ সৃষ্টির মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে পারতেন, (কিন্তু) তিনি (এ বিষয় হতে) পবিত্র (যে, তার কোন সন্তান থাকবে)। তিনি তো আল্লাহ, এক এবং প্রচণ্ড ক্ষমতার অধিকারী।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছা করতেন, তবে তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে যা কিছু ইচ্ছা মনোনীত করতেন, তিনি পবিত্র। তিনি আল্লাহ, এক পরাক্রমশালী।

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করতে চাইলে তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছিয়া নিতেন। পবিত্র ও মহান তিনি! তিনি আল্লাহ্, এক, প্রবল পরাক্রমশালী।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ যদি কোনো সন্তান গ্রহণ করতে চাইতেন তাহলে তিনি যাদের সৃষ্টি করেছেন তাদের থেকে যাকে তিনি ইচ্ছা করেন তাকেই তো তিনি পছন্দ করতে পারতেন। সকল মহিমা তাঁরই। তিনিই আল্লাহ্‌, -- একক, সর্ববিজয়ী।



خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ۚ یُکَوِّرُ الَّیۡلَ عَلَی النَّہَارِ وَیُکَوِّرُ النَّہَارَ عَلَی الَّیۡلِ وَسَخَّرَ الشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ یَّجۡرِیۡ لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اَلَا ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفَّارُ


খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিল হাক্কি ইউকাওবিরুল্লাইলা ‘আলান্নাহা-রি ওয়া ইউকাওবিরুন্নাহা-রা ‘আলাল্লাইলি ওয়া ছাখ খারাশশামছা ওয়াল কামারা কুল্লুইঁ ইয়াজরী লিআজালিম মুছাম্মান আলা-হুওয়াল ‘আঝীঝুল গাফফা-র।


Mufti Taqi Usmani

He created the heavens and the earth for just purpose. He wraps the night over the day and He wraps the day over the night, and He has put the sun and the moon under His command, each one of them moving for an appointed term. Remember, He is the Mighty, the Most-Forgiving.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাতকে দিনের উপর বিছিয়ে দেন এবং দিনকে রাতের উপর বিছিয়ে দেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রতিটি নির্দিষ্ট এক মেয়াদ পর্যন্ত সঞ্চরণ করছে। স্মরণ রেখ, তিনি অশেষ ক্ষমতার মালিক, পরম ক্ষমাশীল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি যথাযথভাবে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাত্রি দিয়ে দিবসকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেন দিবস দিয়ে। সূর্য ও চন্দ্রকে তিনি করেছেন নিয়মাধীন। প্রত্যেকেই পরিক্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। জেনে রাখ, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।


মাওলানা জহুরুল হক

তিনিই মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সত্যের সাথে। তিনি রাতকে দিয়ে দিনের উপরে ছাউনি বানান আর দিনকে ছাউনি বানান রাতের উপরে, এবং সূর্য ও চন্দ্রকে তিনি বশীভূত করেছেন, -- প্রত্যেকেই নির্ধারিত গতিপথে ধাবিত হচ্ছে। তিনিই কি মহাশক্তিশালী পরম ক্ষমাশীল নন?



خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنۡہَا زَوۡجَہَا وَاَنۡزَلَ لَکُمۡ مِّنَ الۡاَنۡعَامِ ثَمٰنِیَۃَ اَزۡوَاجٍ ؕ یَخۡلُقُکُمۡ فِیۡ بُطُوۡنِ اُمَّہٰتِکُمۡ خَلۡقًا مِّنۡۢ بَعۡدِ خَلۡقٍ فِیۡ ظُلُمٰتٍ ثَلٰثٍ ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ لَہُ الۡمُلۡکُ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ فَاَنّٰی تُصۡرَفُوۡنَ


খালাকাকুম মিন নাফছিওঁ ওয়া-হিদাতিন ছুম্মা জা‘আলা মিনহা-ঝাওজাহা-ওয়া আনঝালা লাকুম মিনাল আন‘আ-মি ছামা-নিয়াতা আঝওয়া-জিন ইয়াখলুকুকুম ফী বুতূনি উম্মাহা-তিকুম খাল কাম মিম বা‘দি খালকিন ফী জুলুমা-তিন ছালা-ছিন যালিকুমুল্লা-হু রাব্বুকুম লাহুল মুলকু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাআন্না-তুসরাফূন।


Mufti Taqi Usmani

He created you from a single person, then (once this person was created,) He made his match from him, and sent down for you eight pairs of the cattle. He creates you in the wombs of your mothers, creation after creation, in three layers of darkness. That is your Allah, your Lord. To Him belongs the whole Kingdom. There is no god but He. Then, to where are you being diverted (by your whims)?


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি তোমাদের সকলকে সৃষ্টি করেছেন একই ব্যক্তি হতে, ২ আর তার জোড়া বানিয়েছেন তারই থেকে। আর তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু হতে আটটি জোড়া সৃষ্টি করেছেন। ৩ তিনি তোমাদেরকে তোমাদের মাতৃগর্ভে এভাবে সৃষ্টি করেন যে, তিন অন্ধকারের মধ্যে তোমরা একের পর এক সৃজন স্তর অতিক্রম কর। ৪ তিনিই আল্লাহ, যিনি তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত রাজত্ব তাঁরই। তিনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই, তারপরও কে কোথা হতে তোমাদের মুখ ফিরিয়ে দিচ্ছে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তোমাদের জন্যে আট প্রকার চতুষ্পদ জন্তু অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মাতৃগর্ভে পর্যায়ক্রমে একের পর এক ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একই ব্যক্তি হতে। এরপর তিনি তা হতে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন আট প্রকার আন‘আম। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের মাতৃগর্ভের ত্রিবিধ অন্ধকারে পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই আল্লাহ্; তোমাদের প্রতিপালক; সর্বময় কর্তৃত্ব তাঁরই; তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। তবে তোমরা মুখ ফিরিয়ে কোথায় চলেছ ?


মাওলানা জহুরুল হক

তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একই সত্ত্বা থেকে, তারপর তা থেকে তিনি বানিয়েছেন তার সঙ্গিনী। আর তিনি তোমাদের জন্য পাঠিয়েছেন গবাদি-পশুর মধ্যে আটটি জোড়ায় জোড়ায়। তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মায়েদের পেট থেকে -- এক সৃষ্টির পরে অন্য সৃষ্টির মাধ্যমে, -- তিন স্তর অন্ধকারে। ইনিই হচ্ছেন আল্লাহ্‌, তোমাদের প্রভু, তাঁরই হচ্ছে সার্বভৌমত্ব তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, সুতরাং কোথা থেকে তোমরা ফিরে যাচ্ছ?

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

তাফসীরঃ

২. ‘তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একই ব্যক্তি হতে’ অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম হতে। আর তাঁর জোড়া হলেন হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম, যাকে হযরত আদম আলাইহিস সালামের পাঁজর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।


৩. ‘আট জোড়’ দ্বারা উট, গরু, ভেড়া ও ছাগল বোঝানো হয়েছে। এর প্রত্যেকটির নর ও মাদী মিলে আটটি হয়। এস্থলে এগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এ কারণে যে, সাধারণত এসব পশুই মানুষের বেশি কাজে আসে। সূরা আনআমেও এ আটটির কথাই বর্ণিত হয়েছে (৬ : ১৪৩)।


৪. ‘তিন অন্ধকারের ভেতর’ মাতৃগর্ভে মানব শিশু তিনটি অন্ধকারের মধ্যে থাকে (ক) পেটের অন্ধকার; (খ) গর্ভাশয়ের অন্ধকার ও (গ) শিশু যে পাতলা আবরণ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকে তার অন্ধকার। ‘একের পর এক সৃজন-স্তর অতিক্রম কর’, তার মানে মানুষ প্রথম থাকে শুক্রবিন্দুরূপে। তারপর তা রক্তে পরিণত হয়। সেই রক্ত হয়ে যায় মাংসপি-। তারপর অস্থি সৃষ্টি হয়। এভাবে একের পর এক ধাপ পার হয়ে সে পরিপূর্ণ মানব আকৃতি লাভ করে। এটা বিশদভাবে সূরা হজ্জ (২২ : ৫) ও সূরা মুমিনুনে (২৩ : ১৪) গত হয়েছে। সামনে সূরা ‘গাফির’ (৪০ : ৬৭)-এও আসবে।



اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَلَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَاِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَلَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ


ইন তাকফুরূফাইন্নাল্লা-হা গানিইয়ুন‘আনকুম ওয়ালা-ইয়ারদা-লি‘ইবা-দিহিল কুফরা, ওয়া ইনতাশকুরূইয়ারদাহু লাকুম ওয়ালা-তাঝিরু ওয়া-ঝিরাতুওঁবিঝরা উখরা- ছু ম্মা ইলা-রাব্বিকুম মার জি‘উকুম ফাইউনাব্বিউকুম বিমা-কনতুম তা‘মালূনা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।


Mufti Taqi Usmani

If you disbelieve, then, Allah does not need you at all, however He does not like for His servants to be disbelievers; and if you are grateful, He will like it for you. No one will bear the burden of someone else. Then, to your Lord is your return; so He will tell you about what you used to do. He is aware of whatever lies in the hearts.


মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা কুফর অবলম্বন করলে নিশ্চিত জেনে রেখ আল্লাহ তোমাদের কারও মুখাপেক্ষী নন। তিনি নিজ বান্দাদের জন্য কুফর পছন্দ করেন না। আর তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে, তিনি তোমাদের জন্য তা পছন্দ করবেন। কোনও বোঝা বহনকারী অন্য কারও বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের সকলকে তোমাদের প্রতিপালকের কাছেই ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন। নিশ্চয়ই তিনি অন্তরের কথাও ভালোভাবে জানেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যদি তোমরা অস্বীকার কর, তবে আল্লাহ তোমাদের থেকে বেপরওয়া। তিনি তাঁর বান্দাদের কাফের হয়ে পড়া পছন্দ করেন না। পক্ষান্তরে যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তবে তিনি তোমাদের জন্যে তা পছন্দ করেন। একের পাপ ভার অন্যে বহন করবে না। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবে। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কর্ম সম্বন্ধে অবহিত করবেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও অবগত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমরা অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ্ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন, তিনি তাঁর বান্দাদের অকৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন না। যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও, তিনি তোমাদের জন্যে এটাই পছন্দ করেন। একের ভার অন্যে বহন করবে না। এরপর তোমাদের প্রতিপালকের নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন এবং তোমরা যা করতে তিনি তোমাদেরকে তা অবহিত করবেন। অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।


মাওলানা জহুরুল হক

তোমরা যদি অকৃতজ্ঞতা দেখাও, তবে আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তোমাদের সম্পর্কে অনন্যনির্ভর। কিন্তু তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য অকৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন না। আর যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর তবে তাতে তিনি তোমাদের প্রতি প্রসন্ন হবেন। আর কোনো ভারবাহী অন্যের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের প্রভুর নিকটেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন, তখন তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন যা তোমরা করে যাচ্ছিলে। নিঃসন্দেহ বুকের ভেতরে যা আছে সে-সন্বন্ধে তিনি সম্যক অবগত।



وَاِذَا مَسَّ الۡاِنۡسَانَ ضُرٌّ دَعَا رَبَّہٗ مُنِیۡبًا اِلَیۡہِ ثُمَّ اِذَا خَوَّلَہٗ نِعۡمَۃً مِّنۡہُ نَسِیَ مَا کَانَ یَدۡعُوۡۤا اِلَیۡہِ مِنۡ قَبۡلُ وَجَعَلَ لِلّٰہِ اَنۡدَادًا لِّیُضِلَّ عَنۡ سَبِیۡلِہٖ ؕ قُلۡ تَمَتَّعۡ بِکُفۡرِکَ قَلِیۡلًا ٭ۖ اِنَّکَ مِنۡ اَصۡحٰبِ النَّارِ


ওয়া ইযা-মাছছালইনছা-না দুররুন দা‘আ-রাব্বাহূ মুনীবানইলাইহি ছুম্মা ইযাখাওওয়ালাহূনি‘মাতাম্মিনহু নাছিয়া মা-কা-না ইয়াদ‘ঊইলাইহি মিন কাবলুওয়া জা‘আলা লিল্লা-হি আনদাদালিলইউদিল্লা ‘আন ছাবীলিহী কুল তামাত্তা‘ বিকুফরিকা কালীলান ইন্নাকা মিন আসহা-বিন্না-র।


Mufti Taqi Usmani

And when man is afflicted by pain, he calls his Lord turning to Him passionately. Thereafter, when He blesses him with some favor from Him, he forgets that for which he was calling Him earlier, and sets up partners for Allah, so that he leads others astray from His way. Say, “Enjoy (the pleasure of) your disbelief for a while, (then) surely, you are from among the people of the Fire.”


মুফতী তাকী উসমানী

মানুষকে যখন কোন কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে নিজ প্রতিপালককে তাঁরই অভিমুখী হয়ে ডাকে। অতঃপর তিনি মানুষকে যখন নিজের পক্ষ থেকে কোন নি‘আমত দান করেন, তখন সে তা (অর্থাৎ সেই কষ্টের কথা) ভুলে যায়, যে জন্য সে ইতঃপূর্বে আল্লাহকে ডাকছিল। আর তখন সে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করে, যার ফলে সে অন্যকেও আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে। বল, কিছুদিন নিজ কুফরের মজা ভোগ করে নাও। নিশ্চয়ই তুমি জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন মানুষকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার পালনকর্তাকে ডাকে, অতঃপর তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান করেন, তখন সে কষ্টের কথা বিস্মৃত হয়ে যায়, যার জন্যে পূর্বে ডেকেছিল এবং আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে; যাতে করে অপরকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে। বলুন, তুমি তোমার কুফর সহকারে কিছুকাল জীবনোপভোগ করে নাও। নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে একনিষ্ঠভাবে তার প্রতিপালককে ডাকে। পরে যখন তিনি তার প্রতি অনুগ্রহ করেন তখন সে বিস্মৃত হয়ে যায়, তার পূর্বে যার জন্যে সে ডেকেছিল তাঁকে এবং সে আল্লাহ্ র সমকক্ষ দাঁড় করায়, অপরকে তাঁর পথ হতে বিভ্রান্ত করার জন্যে। বল, ‘কুফরীর জীবন অবস্থায় তুমি কিছুকাল উপভোগ করে নাও। বস্তুত তুমি জাহান্নামীদের অন্যতম।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন মানুষকে দুঃখকষ্ট স্পর্শ করে সে তখন তার প্রভুকে ডাকে তাঁর প্রতি নিষ্ঠাবান হয়ে, তারপর যখন তিনি তাকে তাঁর থেকে অনুগ্রহ প্রদান করেন, সে তখন ভুলে যায় যার জন্য সে ইতিপূর্বে তাঁকে ডেকেছিল, আর সে আল্লাহ্‌র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করায় যেন সে তাঁর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। বলো -- "তোমার অকৃতজ্ঞতার মাঝে কিছুকাল সুখভোগ করে নাও, তুমি তো আগুনের বাসিন্দাদের দলভুক্ত।"



اَمَّنۡ ہُوَ قَانِتٌ اٰنَآءَ الَّیۡلِ سَاجِدًا وَّقَآئِمًا یَّحۡذَرُ الۡاٰخِرَۃَ وَیَرۡجُوۡا رَحۡمَۃَ رَبِّہٖ ؕ  قُلۡ ہَلۡ یَسۡتَوِی الَّذِیۡنَ یَعۡلَمُوۡنَ وَالَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ؕ  اِنَّمَا یَتَذَکَّرُ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ٪


আম্মান হুওয়া কা-নিতুন আ-নাআল্লাইলি ছা-জিদাওঁ ওয়া কাইমাইঁ ইয়াহযারুল আখিরাতা ওয়া ইয়ারজূরাহমাতা রাব্বিহী কুল হাল ইয়াছতাবিল্লাযীনা ইয়া‘লামূনা ওয়াল্লাযীনা লা-ইয়া‘লামূনা ইন্নামা-ইয়াতাযাক্কারূ উলুল আলবা-ব।


Mufti Taqi Usmani

Can (such people be equal to) the one who worships during the hours of night, prostrating himself and standing, fearing the Hereafter and having hopes in his Lord’s mercy? Say, “Can those who know and those who do not know become equal?” It is only the people of understanding who are receptive of the advice.


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি (এরূপ ব্যক্তি সেই ব্যক্তির সমতুল্য হতে পারে,) যে রাতের মুহূর্তগুলোতে ইবাদত করে, কখনও সিজদাবস্থায়, কখনও দাঁড়িয়ে, যে আখেরাতকে ভয় করে এবং নিজ প্রতিপালকের রহমতের আশা করে? বল, যারা জানে আর যারা জানে না উভয়ে কি সমান? ৫ (কিন্তু) উপদেশ গ্রহণ তো কেবল বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরাই করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যে ব্যক্তি রাত্রির বিভিন্ন যামে সিজ্দাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তাঁর প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে তা করে না ? বল, ‘যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান ?’ বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।


মাওলানা জহুরুল হক

সে কি যে রাতের প্রহরগুলোতে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য করে, পরকাল সন্বন্ধে সাবধানতা অবলন্বন করে এবং তার প্রভুর অনুগ্রহ কামনা করে? বলো -- "যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি একসমান? নিঃসন্দেহ বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই শুধু মনোযোগ দেয়।


তাফসীরঃ

৫. আখেরাতের হিসাব-নিকাশ না থাকলে তার অর্থ দাঁড়ায় মুমিন ও কাফের এবং পুণ্যবান ও পাপী সব সমান। এটা আল্লাহ তাআলার হেকমত ও ইনসাফের পরিপন্থী। (অর্থাৎ জ্ঞানী ও অজ্ঞানী যেমন সমান নয়, তেমনি পুণ্যবান ও পাপীও সমান নয়। -অনুবাদক)


১০


قُلۡ یٰعِبَادِ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوۡا رَبَّکُمۡ ؕ لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوۡا فِیۡ ہٰذِہِ الدُّنۡیَا حَسَنَۃٌ ؕ وَاَرۡضُ اللّٰہِ وَاسِعَۃٌ ؕ اِنَّمَا یُوَفَّی الصّٰبِرُوۡنَ اَجۡرَہُمۡ بِغَیۡرِ حِسَابٍ


কুল ইয়া-‘ইবা-দিল্লাযীনা আ-মানুত্তাকূরাব্বাকুম লিল্লাযীনা আহছানূফী হাযিহিদ্দুনইয়া-হাছানাতুওঁ ওয়াআরদুল্লা-হি ওয়া-ছি‘আতুন ইন্নামাইউওয়াফফাসসা-বিরূনা আজরাহুম বিগাইরি হিছা-ব।


Mufti Taqi Usmani

Say (on My behalf) “O My servants who believe, fear your Lord. Those who do good deeds in this world will have a good return, and the earth of Allah is wide. Certainly those who observe patience will be given their reward in full without measure.


মুফতী তাকী উসমানী

বল, হে আমার মুমিন বান্দাগণ! অন্তরে তোমাদের প্রতিপালকের ভয় রাখ। যারা এ দুনিয়াতে ভালো কাজ করে তাদের জন্য আছে কল্যাণ। আল্লাহর যমীন প্রশস্ত। ৬ যারা সবর অবলম্বন করে তাদেরকে তাদের সওয়াব দেওয়া হবে অপরিমিত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘হে আমার মু’মিন বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। যারা এই দুনিয়াতে কল্যাণকর কাজ করে তাদের জন্যে আছে কল্যাণ। আর আল্লাহ্ র যমীন প্রশস্ত, ধৈর্যশীল-দেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলে দাও -- "হে আমার বান্দারা যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের প্রভুকে ভয়ভক্তি করো। যারা এই দুনিয়াতে ভালো কাজ করে তাদের জন্য ভাল রয়েছে। আর আল্লাহ্‌র পৃথিবী সুপ্রসারিত। নিঃসন্দেহ অধ্যবসায়ীদের তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে হিসাবপত্র ব্যতিরেকে।"


তাফসীরঃ

৬. ইশারা করা হয়েছে, নিজ দেশে দীনের উপর চলা সম্ভব না হলে অথবা অত্যন্ত কঠিন হলে হিজরত করে এমন কোন স্থানে চলে যাও, যেখানে দীনের উপর চলা সহজ হবে। আর দেশত্যাগ করতে যদি কষ্ট হয় তবে সবর কর। কেননা সবর করলে অপরিমিত সওয়াব পাবে।


১১


قُلۡ اِنِّیۡۤ اُمِرۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ اللّٰہَ مُخۡلِصًا لَّہُ الدِّیۡنَ ۙ


কুল ইন্নীউমিরতুআন আ‘বুদাল্লা-হা মুখলিসাল্লাহুদ্দীন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “I have been ordered to worship Allah, making my submission exclusive to Him.


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, আমাকে তো আদেশ করা হয়েছে, যেন আল্লাহর ইবাদত করি তার জন্য আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, আমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর এবাদত করতে আদিষ্ট হয়েছি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘আমি তো আদিষ্ট হয়েছি, আল্লাহ্ র আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর ‘ইবাদত করতে;


মাওলানা জহুরুল হক

বলো -- "নিঃসন্দেহ আমাকে আদেশ করা হয়েছে আমি যেন আল্লাহ্‌র উপাসনা করি তাঁর প্রতি ধর্মকে পূতপবিত্র করে,


১২


وَاُمِرۡتُ لِاَنۡ اَکُوۡنَ اَوَّلَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ


ওয়া উমিরতুলিআন আকূনা আওওয়ালাল মুছলিমীন।


Mufti Taqi Usmani

And I have been ordered to be the first of those who submit.”


মুফতী তাকী উসমানী

এবং আমাকে আদেশ করা হয়েছে যে, যেন আমি হই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী। ৭


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আরও আদিষ্ট হয়েছি, সর্ব প্রথম নির্দেশ পালনকারী হওয়ার জন্যে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আর আদিষ্ট হয়েছি, আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের অগ্রণী হই।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমাকে আদেশ করা হয়েছে যেন আমি আ‌ত্ম-সমর্পণকারীদের অগ্রণী হতে পারি।


তাফসীরঃ

৭. এতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যে ব্যক্তি অন্যকে কোন ভালো কাজের দাওয়াত দেবে তার কর্তব্য প্রথমে সে ভালো কাজটি নিজে করা।


১৩


قُلۡ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اِنۡ عَصَیۡتُ رَبِّیۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ


কুল ইন্নীআখা-ফুইন ‘আসাইতুরাববী ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।


Mufti Taqi Usmani

Say, “If I were to disobey my Lord, I fear the punishment of a great day.”


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করি, তবে আমার ভয় রয়েছে এক মহা দিবসের শাস্তির।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, আমি আমার পালনকর্তার অবাধ্য হলে এক মহাদিবসের শাস্তির ভয় করি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই, তবে আমি ভয় করি মহাদিবসের শাস্তির।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "আমি আলবৎ ভয় করি, যদি আমি আমার প্রভুর অবাধ্যাচরণ করি তবে এক কঠিন দিনের শাস্তি।"


১৪


قُلِ اللّٰہَ اَعۡبُدُ مُخۡلِصًا لَّہٗ دِیۡنِیۡ ۙ


কুল্লিলা-হা আ‘বুদুমুখলিসাল্লাহূদীনী।


Mufti Taqi Usmani

Say, “It is Allah whom I worship, making my submission exclusive to Him.


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, আমি তো আল্লাহর ইবাদত করি নিজ আনুগত্যকে তারই জন্য খালেস করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, আমি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহ তা’আলারই এবাদত করি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘আমি ‘ইবাদত করি আল্লাহ্ র ই তাঁর প্রতি আমার আনুগত্যকে একনিষ্ঠ রেখে।


মাওলানা জহুরুল হক

বলো -- "আমি আল্লাহ্‌রই আরাধনা করি তাঁর প্রতি আমার ধর্ম বিশুদ্ধ করে।


১৫


فَاعۡبُدُوۡا مَا شِئۡتُمۡ مِّنۡ دُوۡنِہٖ ؕ قُلۡ اِنَّ الۡخٰسِرِیۡنَ الَّذِیۡنَ خَسِرُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ وَاَہۡلِیۡہِمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اَلَا ذٰلِکَ ہُوَ الۡخُسۡرَانُ الۡمُبِیۡنُ


ফা‘বুদূমা-শি’তুম মিন দূ নিহী কুল ইন্নাল খা-ছিরীনাল্লাযীনা খাছিরূআনফুছাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘আলা-যা-লিকা হুওয়াল খুছরা-নুল মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

So, worship what you wish other than Him.” Say, “Indeed, the losers are those who (will) lose their selves and their people on the Day of Judgment. Beware, that is really the obvious loss.”


মুফতী তাকী উসমানী

অতএব, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইচ্ছা ইবাদত কর। ৮ বলে দাও, (ব্যবসায়ে) ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই, যারা কিয়ামতের দিন নিজেদের প্রাণ ও নিজেদের পরিবারবর্গের সবই হারাবে। মনে রেখ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতএব, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার এবাদত কর। বলুন, কেয়ামতের দিন তারাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা নিজেদের ও পরিবারবর্গের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জেনে রাখ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আর তোমরা আল্লাহ্ র পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার ‘ইবাদত কর।’ বল, ‘ক্ষতিগ্রস্ত তারাই যারা কিয়ামতের দিন নিজেদের ও নিজেদের পরিজনবর্গের ক্ষতিসাধন করে। জেনে রাখ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি।’


মাওলানা জহুরুল হক

"অতএব তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা যাকে ইচ্ছা কর, তার উপাসনা কর।" বলো -- "নিঃসন্দেহ ক্ষতিগ্রস্ত তারা যারা কিয়ামতের দিনে ক্ষতিসাধন করেছে তাদের নিজেদের ও তাদের পরিজনদের। এটিই কি খোদ স্পষ্ট ক্ষতি নয়?”


তাফসীরঃ

৮. এর অর্থ এ নয় যে, কাফেরদেরকে কুফর করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেননা পরের বাক্যেই তো পরিষ্কার বলা হয়েছে, এটা লোকসানের ব্যবসা এবং পূর্বে ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ কুফরকে পছন্দ করেন না। বরং এর অর্থ হল, তোমাদেরকে স্বাধীন ক্ষমতা অবশ্যই দেওয়া হয়েছে। তোমরা যদি কুফর অবলম্বন করতে চাও, তবে তা করার ক্ষমতা তোমাদের আছে। তোমাদেরকে জোরপূর্বক মুমিন বানানো হবে না। কিন্তু তার পরিণাম হবে এই যে, তোমরা কিয়ামতের দিন সবকিছু হারাবে। হযরত ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, জান্নাতে প্রত্যেকের জন্য বাড়ি, পরিবার ও দাস-দাসী আছে। যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করে সে তা পাবে আর যে ব্যক্তি অবাধ্যতা করে সে জাহান্নামে যাওয়ার কারণে তা হারাবে। -অনুবাদক


১৬


لَہُمۡ مِّنۡ فَوۡقِہِمۡ ظُلَلٌ مِّنَ النَّارِ وَمِنۡ تَحۡتِہِمۡ ظُلَلٌ ؕ ذٰلِکَ یُخَوِّفُ اللّٰہُ بِہٖ عِبَادَہٗ ؕ یٰعِبَادِ فَاتَّقُوۡنِ


লাহুম মিন ফাওকিহিম জু লালুম মিনান্না-রি ওয়া মিন তাহতিহিম জু লালুন যা-লিকা ইউখাওবিফুল্লা-হু বিহী ‘ইবা-দাহূ ইয়া-‘ইবাদি ফাত্তাকূন।


Mufti Taqi Usmani

For them there are canopies of fire on top of them and canopies (of fire) underneath them. That is the thing against which Allah warns His servants. “So, O servants of Mine, fear Me.”


মুফতী তাকী উসমানী

তাদের জন্য তাদের উপর দিক থেকেও থাকবে আগুনের মেঘ এবং তাদের নিচের দিকেও থাকবে অনুরূপ মেঘ। এটাই সেই জিনিস যা দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন। সুতরাং হে আমার বান্দাগণ অন্তরে আমার ভয় রাখ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের জন্যে উপর দিক থেকে এবং নীচের দিক থেকে আগুনের মেঘমালা থাকবে। এ শাস্তি দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন যে, হে আমার বান্দাগণ, আমাকে ভয় কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাদের জন্যে থাকবে তাদের ঊর্ধ্বদিকে অগ্নির আচ্ছাদন এবং নিম্নদিকেও আচ্ছাদন। এতা দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন। হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমাকে ভয় কর।


মাওলানা জহুরুল হক

তাদের জন্য তাদের উপর থেকে থাকবে আগুনের আচ্ছাদনী আর তাদের নীচে থেকে থাকবে এক আবরণী। এইভাবে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের এর দ্বারা ভয় দেখান, অতএব আমাকে ভয়ভক্তি করো, হে আমার বান্দারা!


১৭


وَالَّذِیۡنَ اجۡتَنَبُوا الطَّاغُوۡتَ اَنۡ یَّعۡبُدُوۡہَا وَاَنَابُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ لَہُمُ الۡبُشۡرٰی ۚ  فَبَشِّرۡ عِبَادِ ۙ


ওয়াল্লাযীনাজ তানাবুত্তা-গূতা আইঁ ইয়া‘বুদূ হা-ওয়া আনাবূইল্লাল্লা-হি লাহুমুল বুশরা- ফাবাশশির ‘ইবা-দ।


Mufti Taqi Usmani

And those who abstain from worshipping the Tāghūt and turn fervently to Allah, for them there is good news. So, give the good news to My servants


মুফতী তাকী উসমানী

যারা তাগুতের পূজা পরিহার করেছে ৯ ও আল্লাহর অভিমুখী হয়েছে, সুসংবাদ তাদেরই জন্য। সুতরাং আমার সেই বান্দাদেরকে সুসংবাদ শোনাও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা শয়তানী শক্তির পূজা-অর্চনা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহ অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ। অতএব, সুসংবাদ দিন আমার বান্দাদেরকে।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা তাগূতের পূজা হতে দূরে থাকে এবং আল্লাহ্ র অভিমুখী হয়, তাদের জন্যে আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদেরকে-


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা তাগুতকে এড়িয়ে চলে তাদের পূজাঅর্চনা থেকে, আর আল্লাহ্‌র দিকে অনুগত হয় তাদেরই জন্য রয়েছে সুসংবাদ, সেজন্য সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদের --


তাফসীরঃ

৯. ‘তাগূত’ অর্থ শয়তান এবং যে-কোনও ভ্রান্ত জিনিস।


১৮


الَّذِیۡنَ یَسۡتَمِعُوۡنَ الۡقَوۡلَ فَیَتَّبِعُوۡنَ اَحۡسَنَہٗ ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ ہَدٰىہُمُ اللّٰہُ وَاُولٰٓئِکَ ہُمۡ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ


আল্লাযীনা ইয়াছতামি‘ঊনাল কাওলা ফাইয়াত্তাবি‘ঊনা আহছানাহূ উলাইকাল্লাযীনা হাদা-হুমুল্লা-হু ওয়া উলাইকা হুম ঊলুল আলবা-ব।


Mufti Taqi Usmani

who listen to what is said, then, follow the best of it. Those are the ones whom Allah has guided, and those are the ones who possess understanding.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা কথা শোনে মনোযোগ দিয়ে, অতঃপর তার মধ্যে যা-কিছু উত্তম তার অনুসরণ করে, ১০ তারাই এমন লোক, যাদেরকে আল্লাহ হেদায়াত দান করেছেন এবং তারাই বোধশক্তিসম্পন্ন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং এর মধ্যে যা উত্তম তা গ্রহণ করে। এদেরকে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং এরাই বোধশক্তিসম্পন্ন।


মাওলানা জহুরুল হক

যারা বক্তব্য শোনে এবং তার ভালগুলোর অনুসরণ করে -- এরাই তারা যাদের আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেছেন, আর এরাই স্বয়ং বোধশক্তিসম্পন্ন।


তাফসীরঃ

১০. অর্থাৎ তারা শোনে তো সবকিছুই, কিন্তু অনুসরণ করে কেবল তার মধ্যে যে কথা উৎকৃষ্ট তার (রূহুল মাআনী, আয-যাজ্জাজের বরাতে)।


১৯


اَفَمَنۡ حَقَّ عَلَیۡہِ کَلِمَۃُ الۡعَذَابِ ؕ  اَفَاَنۡتَ تُنۡقِذُ مَنۡ فِی النَّارِ ۚ


আফামান হাক্কা ‘আলাইহি কালিমাতুল ‘আযা-ব আফাআনতা তুনকিযুমান ফিন্না-র।


Mufti Taqi Usmani

So tell Me about the one for whom the word of punishment is destined, - is it you, then, who would save someone who is already in the Fire?


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি যার উপর শাস্তি-বাণী অবধারিত হয়ে গেছে, তুমি রক্ষা করতে পারবে তাকে, যে আগুনের ভেতর পৌঁছে গেছে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যার জন্যে শাস্তির হুকুম অবধারিত হয়ে গেছে আপনি কি সে জাহান্নামীকে মুক্ত করতে পারবেন?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যার ওপর দণ্ডাদেশ অবধারিত হয়েছে; তুমি কি রক্ষা করতে পারবে সেই ব্যক্তিকে, যে জাহান্নামে আছে ?


মাওলানা জহুরুল হক

তবে কি যার উপরে শাস্তির রায় সাব্যস্ত হয়েছে? তুমি কি তবে তাকে উদ্ধার করতে পার যে আগুনের মধ্যে রয়েছে?


২০


لٰکِنِ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّہُمۡ لَہُمۡ غُرَفٌ مِّنۡ فَوۡقِہَا غُرَفٌ مَّبۡنِیَّۃٌ ۙ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۬ؕ وَعۡدَ اللّٰہِ ؕ لَا یُخۡلِفُ اللّٰہُ الۡمِیۡعَادَ


লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম লাহুম গুরাফুম মিন ফাওকিহা-গুরাফুম মাবনিইয়াতুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু ওয়া‘দাল্লা-হি লা-ইউখলিফুল্লা-হুল মী‘আদ।


Mufti Taqi Usmani

But, for those who fear their Lord, there are chambers with chambers built on top of them, with rivers running from underneath them. This is Allah’s promise. Allah does not go back on any promise.


মুফতী তাকী উসমানী

তবে যারা অন্তরে নিজ প্রতিপালকের ভয় রাখে, তাদের জন্য আছে বহু প্রাসাদ, যেগুলোর উপরে নির্মিত বহু প্রাসাদ, যার নিচে বয়ে চলে নদ-নদী। এটা আল্লাহর ওয়াদা। আল্লাহ কখনও ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কিন্তু যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, তাদের জন্যে নির্মিত রয়েছে প্রাসাদের উপর প্রাসাদ। এগুলোর তলদেশে নদী প্রবাহিত। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ প্রতিশ্রুতির খেলাফ করেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবে যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্যে আছে বহু প্রাসাদ যার ওপর নির্মিত আরও প্রাসাদ, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; এটা আল্লাহ্ র ওয়াদা, আল্লাহ্ ওয়াদা খেলাফ করেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

পক্ষান্তরে যারা তাদের প্রভুকে ভয়-ভক্তি করে তাদের জন্য রয়েছে উঁচু আবাসস্থল, তাদের উপরে উঁচু আবাসস্থল সুপ্রতিষ্ঠিত, তাদের নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনারাজি। আল্লাহ্‌র ওয়াদা, আল্লাহ্ ওয়াদার খেলাপ করেন না।


২১


اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَسَلَکَہٗ یَنَابِیۡعَ فِی الۡاَرۡضِ ثُمَّ یُخۡرِجُ بِہٖ زَرۡعًا مُّخۡتَلِفًا اَلۡوَانُہٗ ثُمَّ یَہِیۡجُ فَتَرٰىہُ مُصۡفَرًّا ثُمَّ یَجۡعَلُہٗ حُطَامًا ؕ  اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَذِکۡرٰی لِاُولِی الۡاَلۡبَابِ ٪


আলাম তারা আন্নাল্লা-হা আনঝালা মিনাছছামাই মাআন ফাছালাকাহূইয়ানা-বী‘আ ফিল আরদিছুম্মা ইউখরিজূবিহী ঝার‘আম মুখতালিফান আলওয়া-নুহূছু ম্মা ইয়াহীজুফাতারাঁ-হু মুসফাররান ছুম্মা ইয়াজ‘আলুহূহুতা-মা- ইন্না ফী যা-লিকা লাযিকরা-লিঊলিল আলবা-ব।


Mufti Taqi Usmani

Have you not seen that Allah sent down water from the sky, then made it penetrate into the earth (and gush forth) in the form of springs? Then He brings forth with it crops of different colors, and afterwards they wither, and you see them turned yellow, then He makes them chaff. Surely in that there is a lesson for the people of understanding.


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি কি দেখনি আল্লাহ আকাশ থেকে বারিপাত করেছেন, তারপর তা ভূমির নির্ঝরে প্রবাহিত করেছেন? ১১ তারপর তা দ্বারা বিভিন্ন রংয়ের ফসল উৎপন্ন করেন। তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তুমি দেখতে পাও তা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর তিনি তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উপদেশ আছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি যমীনের ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি কি দেখ না, আল্লাহ্ আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন, এরপর তা ভ‚মিতে নির্ঝররূপে প্রবাহিত করেন এবং তা দিয়ে বিবিধ বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, এরপর এটা শুকিয়ে যায় ? ফলে তোমরা এটা পীতবর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তিনি তা খড়-কুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে।


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি কি দেখ না যে আল্লাহ্ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, তারপর তাকে মাটিতে স্রোতরূপে প্রবাহিত করেন, তারপর তার দ্বারা তিনি উৎপাদন করেন গাছপালা যাদের বর্ণ বিবিধ ধরনের, তারপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে হলদে হয়ে যেতে দেখতে পাও, তারপর তিনি তাকে খড় কুটো বানিয়ে ফেলেন। নিঃসন্দেহ এতে তো উপদেশ রয়েছে বোধশক্তি-সম্পন্নদের জন্য।


তাফসীরঃ

১১. এর এক অর্থ তো এই হতে পারে যে, আকাশ থেকে পাহাড়ে বৃষ্টি বর্ষণ হয় তারপর সেখান থেকে তা গলে-গলে নদ-নদীর রূপ ধারণ করে এবং ভূমিতে যেসব প্রস্রবণ আছে তাতে গিয়ে মিলিত হয়। আরেক অর্থ হতে পারে এ রকম, আল্লাহ তাআলা নিখিল-সৃষ্টির সূচনা করেছেন পানি সৃষ্টির মাধ্যমে। তিনি আকাশ থেকে তা নামিয়ে সরাসরি ভূমির প্রস্রবণে পৌঁছিয়ে দেন (রূহুল মাআনী)।


২২


اَفَمَنۡ شَرَحَ اللّٰہُ صَدۡرَہٗ لِلۡاِسۡلَامِ فَہُوَ عَلٰی نُوۡرٍ مِّنۡ رَّبِّہٖ ؕ فَوَیۡلٌ لِّلۡقٰسِیَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ مِّنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ


আফামান শারাহাল্লা-হু সাদরাহূলিলইছলা-মি ফাহুওয়া ‘আলা-নূরিম মিররাব্বিহী ফাওয়াইলুলিললকা-ছিয়াতি কু লূবুহুম মিন যিকরিল্লা-হি উলাইকা ফী দালা-লিম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

So I ask about a person whose heart Allah has opened up for Islam, and consequently he proceeds in a light from his Lord. (Can he be equal to the one whose heart is hardened?) So, woe to those whose hearts are too hard to remember Allah. Those are wandering in open error.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ খুলে দিয়েছেন, ফলে সে তার প্রতিপালকের দেওয়া আলোতে এসে গেছে (সে কি কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের সমতুল্য হতে পারে?) সুতরাং ধ্বংস সেই কঠোরপ্রাণদের জন্য, যারা আল্লাহর যিকির থেকে বিমুখ। তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিপতিত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ ইসলামের জন্যে যার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং যে তার প্রতিপালক-প্রদত্ত আলোতে রয়েছে, সে কি তার সমান যে এরূপ নয় ? দুর্ভোগ সেই কঠোরহৃদয় ব্যক্তিদের জন্যে যারা আল্লাহ্ র স্মরণে পরাক্সমুখ! এরা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।


মাওলানা জহুরুল হক

যার বুক আল্লাহ্ ইসলামের প্রতি প্রশস্ত করেছেন, ফলে সে তার প্রভুর কাছ থেকে এক আলোকে রয়েছে, সে কি --? সুতরাং ধিক্ তাদের জন্য যাদের হৃদয় আল্লাহ্‌র স্মরণে সুকঠিন! এরাই রয়েছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।


২৩


اَللّٰہُ نَزَّلَ اَحۡسَنَ الۡحَدِیۡثِ کِتٰبًا مُّتَشَابِہًا مَّثَانِیَ ٭ۖ تَقۡشَعِرُّ مِنۡہُ جُلُوۡدُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ ۚ ثُمَّ تَلِیۡنُ جُلُوۡدُہُمۡ وَقُلُوۡبُہُمۡ اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُدَی اللّٰہِ یَہۡدِیۡ بِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَمَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ ہَادٍ


আল্লা-হু নাঝঝালা আহছানাল হাদীছিকিতা-বাম মুতাশা-বিহাম মাছা-নিয়া তাকশা‘ইররু মিনহু জূলূদুল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম ছু ম্মা তালীনুজুলূদুহুম ওয়াকু লূবুহুম ইলা-যিকরিল্লা-হি যা-লিকা হুদাল্লা-হি ইয়াহদী বিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।


Mufti Taqi Usmani

Allah has sent down the best discourse, a book containing subjects resembling each other, mentioned again and again, shivered from which are the skins of those who have awe of their Lord. Then, their skins and their hearts become soft enough to tend to the remembrance of Allah. This is the Guidance of Allah with which He brings to the right path whomsoever He wills. As for the one whom Allah lets go astray, for him there is no one to guide.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম বাণী এমন এক কিতাব যার বিষয়বস্তুসমূহ পরস্পর সুসামঞ্জস্য, (যার বক্তব্যসমূহ) পুনরাবৃত্তিকৃত ১২, যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এর দ্বারা তাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়। তারপর তাদের দেহ-মন বিগলিত হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এটা আল্লাহর হেদায়াত, যার মাধ্যমে তিনি যাকে চান সঠিক পথে নিয়ে আসেন আর আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তাকে সঠিক পথে আনার কেউ নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যা সুসমঞ্জস এবং যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। এতে, যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, এরপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহ্ র স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এটাই আল্লাহ্ র পথনির্দেশ, তিনি তা দিয়ে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ অবতারণ করেছেন শ্রেষ্ঠ বিবৃতি -- একখানা গ্রন্থ, সুবিন্যস্ত, পুনরাবৃত্তিময়, এতে যারা তাদের প্রভুকে ভয় করে তাদের চামড়া শিউরে ওঠে, তারপর তাদের ছাল ও তাদের দিল নরম হয় আল্লাহ্‌র স্মরণে। এটিই আল্লাহ্‌র পথ-নির্দেশ, এর দ্বারা তিনি পথ দেখিয়ে থাকেন যাকে তিনি ইচ্ছা করেন। যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন, তার জন্য তবে হেদায়তকারীদের কেউ নেই।


তাফসীরঃ

১২. অর্থাৎ যার বিধানাবলী, উপদেশসমূহ, দৃষ্টান্তমূলক ঘটনাবলী ও প্রমাণাদি বিভিন্নস্থানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে, কিন্তু সে পুনরাবৃত্তি পাঠ করলে ক্লান্তি ও অবসাদ জন্মায় না; বরং প্রতিটি স্থানে নতুন নতুন স্বাদ যোগায় এবং গ্রহণ ও অনুসরণের প্রেরণা দান করে। -অনুবাদক


২৪


اَفَمَنۡ یَّتَّقِیۡ بِوَجۡہِہٖ سُوۡٓءَ الۡعَذَابِ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَقِیۡلَ لِلظّٰلِمِیۡنَ ذُوۡقُوۡا مَا کُنۡتُمۡ تَکۡسِبُوۡنَ


আফামাইঁ ইয়াত্তাকী বিওয়াজহিহী ছূআল ‘আযা-ব ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া কীলা লিজ্জা-লিমীনা যূকূমা-কুনতুম তাকছিবূন।


Mufti Taqi Usmani

Tell Me about the one who tries to save himself from the worst punishment with his face on the Day of Judgment, (whether he is equal to the one who is not liable to any punishment.) And it will be said to the wrongdoers, “Have a taste of what you used to earn.”


মুফতী তাকী উসমানী

(সেই ব্যক্তির অবস্থা কতই না মন্দ হবে) যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার চেহারা দ্বারা নিকৃষ্ট শাস্তি ঠেকাতে চাবে? ১৩ জালেমদেরকে বলা হবে, তোমরা যা অর্জন করতে তার স্বাদ গ্রহণ কর।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন তার মুখ দ্বারা অশুভ আযাব ঠেকাবে এবং এরূপ জালেমদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তার স্বাদ আস্বাদন কর,-সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার মুখমণ্ডল দিয়ে কঠিন শাস্তি ঠেকাতে চাইবে, সে কি তার মত যে নিরাপদ ? জালিমদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা যা অর্জন করতে তার শাস্তি আস্বাদন কর।’


মাওলানা জহুরুল হক

যে তার মুখ দিয়ে ঠেকাতে চাইবে কিয়ামতের দিনের কঠোর শাস্তি সে কি --? আর অন্যায়কারীদের বলা হবে -- "তোমরা যা অর্জন করেছিলে তা আস্বাদন করো।"


তাফসীরঃ

১৩. এটা জাহান্নামের এক ভয়াবহ অবস্থার চিত্রাঙ্কণ। সাধারণ মানুষ কোন কষ্টদায়ক জিনিসকে নিজের দিকে আসতে দেখলে তা নিজের হাত বা পা দ্বারা ঠেকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু জাহান্নামে তা সম্ভব হবে না, যেহেতু তখন হাত-পা থাকবে বাঁধা। তাই মানুষ আযাব থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য চেহারাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে। কিন্তু বলাবাহুল্য, এ চেষ্টা তার কোন কাজে আসবে না। কেননা কষ্ট তো চেহারাতেই বেশি অনুভূত হয়।


২৫


کَذَّبَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ فَاَتٰىہُمُ الۡعَذَابُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَشۡعُرُوۡنَ


কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফাআতা-হুমুল ‘আযা-বুমিন হাইছুলা-ইয়াশ‘ঊরূন।


Mufti Taqi Usmani

Those before them had also rejected (the messengers) and consequently, the punishment came upon them in a way that they had never imagined.


মুফতী তাকী উসমানী

তাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও (তাদের নবীগণকে) অস্বীকার করেছিল। পরিণামে এমন দিক থেকে শাস্তি তাদের কাছে আসল যা তারা ধারণাও করতে পারছিল না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল, ফলে তাদের কাছে আযাব এমনভাবে আসল, যা তারা কল্পনাও করত না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের পূর্ববর্তিগণও অস্বীকার করেছিল, ফলে শাস্তি এমনভাবে এদেরকে গ্রাস করল যে, এরা ধারণাও করতে পারে নাই।


মাওলানা জহুরুল হক

তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও প্রত্যাখ্যান করেছিল, সেজন্য শাস্তি তাদের কাছে এসে পড়েছিল এমন দিক থেকে যা তারা বুঝতে পারে নি।


২৬


فَاَذَاقَہُمُ اللّٰہُ الۡخِزۡیَ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَلَعَذَابُ الۡاٰخِرَۃِ اَکۡبَرُ ۘ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ


ফাআযা-কাহুমুল্লা-হুল খিঝইয়া ফিল হায়া-তিদ্দুনইয়া- ওয়ালা ‘আযা-বুল আখিরাতি আকবারু । লাও কা-নূইয়া‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

Then Allah made them taste disgrace in the worldly life, and of course the punishment of the Hereafter is much greater. Only if they knew!


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনেই লাঞ্ছনা ভোগ করালেন আর আখেরাতের শাস্তি তো আরও বড় যদি তারা জানত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার স্বাদ আস্বাদন করালেন, আর পরকালের আযাব হবে আরও গুরুতর, যদি তারা জানত!


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ফলে আল্লাহ্ এদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা ভোগ করালেন এবং আখিরাতের শাস্তি তো কঠিনতর। যদি এরা জানত!


মাওলানা জহুরুল হক

ফলে আল্লাহ্ তাদের এই দুনিয়ার জীবনেই লাঞ্ছনা আস্বাদ করিয়েছিলেন, আর পরকালের শাস্তি তো আরো বিরাট। তারা যদি জানতো!


২৭


وَلَقَدۡ ضَرَبۡنَا لِلنَّاسِ فِیۡ ہٰذَا الۡقُرۡاٰنِ مِنۡ کُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّہُمۡ یَتَذَکَّرُوۡنَ ۚ


ওয়ালাকাদ্দারাবনা-লিন্না-ছি ফীহা-যাল কুরআ-নি মিন কুল্লি মাছালিল লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।


Mufti Taqi Usmani

And We have cited for people all sorts of examples in this Qur’ān, so that they may receive the message


মুফতী তাকী উসমানী

বস্তুত আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য সব রকমের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যাতে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে;


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি এই কুরআনে মানুষের জন্যে সর্বপ্রকার দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছি, যাতে এরা উপদেশ গ্রহণ করে,


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা অবশ্যই এই কুরআনে মানুষের জন্য হরেক রকমের দৃষ্টান্ত ছোঁড়ে মেরেছি, যেন তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে, --


২৮


قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا غَیۡرَ ذِیۡ عِوَجٍ لَّعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ


কুরআ-নান ‘আরাবিইয়ান গাইরা যী ‘ইওয়াজিল লা‘আল্লাহুম ইয়াত্তাকূন।


Mufti Taqi Usmani

through an Arabic Qur’ān that has no digression (from the truth), so that they may be God-fearing.


মুফতী তাকী উসমানী

এটা আরবী কুরআন, নয় বক্রতাপূর্ণ, যাতে মানুষ তাকওয়া অবলম্বন করে। ১৪


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আরবী ভাষায় এ কোরআন বক্রতামুক্ত, যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আরবী ভাষায় এই কুরআন বক্রতামুক্ত, যাতে মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আরবী কুরআন, কোনো জটিলতা বিহীন, যেন তারা ধর্মভীরুতা অবলন্বন করতে পারে।


তাফসীরঃ

১৪. অর্থাৎ কুরআনের ভাষা নয় প্যাঁচানো এবং বিষয়বস্তু নয় জটিল ও বিসদৃশ, যা কারও পক্ষে বোঝা ও মানা কষ্টসাধ্য হবে। মানার ইচ্ছায় পাঠ করলে যে কেউ এর দ্বারা অনুপ্রেরণা লাভ করবে, পথের সন্ধান পাবে এবং তাকওয়া অবলম্বনে প্রস্তুত হয়ে যাবে। -অনুবাদক


২৯


ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا رَّجُلًا فِیۡہِ شُرَکَآءُ مُتَشٰکِسُوۡنَ وَرَجُلًا سَلَمًا لِّرَجُلٍ ؕ ہَلۡ یَسۡتَوِیٰنِ مَثَلًا ؕ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ ۚ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ


দারাবাল্লা-হু মাছালার রাজূলান ফীহি শুরাকাউ মুতাশা-কিছূনা ওয়া রাজূলান ছালামাল লিরাজুলিন হাল ইয়াছতাবিইয়া-নি মাছালান আলহামদুলিল্লা-হি বাল আকছারুহুম লা-ইয়া‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

Allah has given an example: There is a man (enslaved and) owned by some partners having rivalry with each other, and (on the other hand,) there is a man solely owned by a single man. Can they be equal in comparison? Praise be to Allah! (The truth stands established). But, most of them do not know.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন এই যে, এক ব্যক্তি (অর্থাৎ এক গোলাম) এমন, যার মধ্যে কয়েক ব্যক্তি অংশীদার; যারা পরস্পর বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন আর অপর ব্যক্তি (অন্য গোলাম) এমন, যে সম্পূর্ণরূপে একই ব্যক্তির মালিকানায়। এ উভয় ব্যক্তির অবস্থা একই রকম হতে পারে? ১৫ আলহামদুলিল্লাহ! (এ দৃষ্টান্ত দ্বারা বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে গেছে), কিন্তু তাদের অধিকাংশেই বোঝে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ এক দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেনঃ একটি লোকের উপর পরস্পর বিরোধী কয়জন মালিক রয়েছে, আরেক ব্যক্তির প্রভু মাত্র একজন-তাদের উভয়ের অবস্থা কি সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ একটি দৃষ্টান্ত পেশ করছেন : এক ব্যক্তির প্রভু অনেক, যারা পরস্পর বিরুদ্ধভাবাপন্ন এবং আর এক ব্যক্তির প্রভু কেবল একজন; এই দুইজনের অবস্থা কি সমান ? প্রশংসা আল্লাহ্ র ই প্রাপ্য; কিন্তু এদের অধিকাংশই এটা জানে না।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ একটি দৃষ্টান্ত ছোড়ে মারছেন -- একজন লোক, তার সঙ্গে রয়েছে অনেক অংশী-দেবতা, পরস্পরের সঙ্গে বিবাদ-রত, আর একজন লোক, একজনের সঙ্গেই অনুরক্ত। এদের দু’জন কি অবস্থার ক্ষেত্রে একসমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র, কিন্তু তাদের অনেকেই জানে না।


তাফসীরঃ

১৫. যে গোলাম যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির মালিকানায় থাকে আর মালিকগণও এমন যে, তাদের মধ্যে বিবাদ ও রেষারেষি লেগেই থাকে, সে সব সময় এই দুর্ভাবনায় থাকে যে, কার কথা মেনে তাকে খুশী করব আর কার কথা না মেনে তাকে নারাজ করব? পক্ষান্তরে যে গোলাম একজন মাত্র মনিবের মালিকানাধীন, তার এই পেরেশানী থাকে না। সে একনিষ্ঠভাবে নিজ মনিবের আনুগত্য করতে পারে। এভাবেই যে ব্যক্তি তাওহীদে বিশ্বাসী সে সর্বদা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকেই ডাকে এবং তারই ইবাদত করে। অপর দিকে যারা বহু মাবুদ বানিয়ে নিয়েছে তারা কখনও এক দেবতার আশ্রয় নেয়, কখনও অন্য দেবতার। তারা কখনও একাগ্রচিত্ত হতে পারে না, পায় না মনের শান্তি। এটা যেমন তাওহীদের দলীল, তেমনি তার তাৎপর্যও বটে।


৩০


اِنَّکَ مَیِّتٌ وَّاِنَّہُمۡ مَّیِّتُوۡنَ ۫


ইন্নাকা মাইয়িতুওঁ ওয়া ইন্নাহুম মাইয়িতূন।


Mufti Taqi Usmani

Verily, you are to die and they are to die.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) নিশ্চয় তুমি মরণশীল এবং তারাও অবশ্যই মরণশীল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় তোমারও মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি তো মরণশীল এবং এরাও মরণশীল।


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি তো নিশ্চয় মৃত্যুবরণ করবে, আর তারাও নিশ্চয়ই মৃত্যুমুখে পড়বে।


৩১


ثُمَّ اِنَّکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ عِنۡدَ رَبِّکُمۡ تَخۡتَصِمُوۡنَ ٪


ছু ম্মা ইন্নাকুম ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ‘ইনদা রাব্বিকুম তাখতাসিমূন।


Mufti Taqi Usmani

After that, on the Day of Doom, you will surely place your disputes before your Lord.


মুফতী তাকী উসমানী

অবশেষে তোমরা সকলে কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রতিপালকের সামনে বাদানুবাদ করবে। ১৬


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা সবাই তোমাদের পালনকর্তার সামনে কথা কাটাকাটি করবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা তো পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সামনে বাকবিতণ্ডা করবে।


মাওলানা জহুরুল হক

তারপর কিয়ামতের দিনে নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভুর সামনে তোমরা একেঅন্যে বাকবিতন্ডা করবে।


তাফসীরঃ

১৬. অর্থাৎ বিভ্রান্তকারী নেতৃবর্গ ও তাদের অনুসারীগণ পরস্পরকে দোষারোপ করবে এবং দীন ও দুনিয়ার যে সব বিষয়ে দুনিয়ায় মানুষ পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়ে থাকে, আল্লাহ তাআলার আদালতে তারা তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হবে এবং পরিশেষে আল্লাহ তাআলা কে ন্যায়ের উপর এবং কে অন্যায়ের উপর তার মীমাংসা করে দেবেন। -অনুবাদক


৩২


فَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ کَذَبَ عَلَی اللّٰہِ وَکَذَّبَ بِالصِّدۡقِ اِذۡ جَآءَہٗ ؕ اَلَیۡسَ فِیۡ جَہَنَّمَ مَثۡوًی لِّلۡکٰفِرِیۡنَ


ফামান আজলামুমিম্মান কাযাবা ‘আলাল্লা-হি ওয়া কাযযাবা বিসসিদকিইযজাআহূ আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়ালিললকা-ফিরীন।


Mufti Taqi Usmani

So, who is more unjust than him who forges a lie against Allah and rejects the truth when it reached him? Is it not that in Jahannam (Hell) there is an abode for the disbelievers?


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং বল, সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে আর যখন তার কাছে সত্য কথা আসে তা প্রত্যাখ্যান করে? কাফেরদের ঠিকানা কি জাহান্নামে নয়?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার কাছে সত্য আগমন করার পর তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তার চেয়ে অধিক যালেম আর কে হবে? কাফেরদের বাসস্থান জাহান্নামে নয় কি?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা বলে এবং সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে তার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে ? কাফিরদের আবাসস্থল কি জাহান্নাম নয় ?


মাওলানা জহুরুল হক

তবে তার চাইতে কে বেশী অন্যায়কারী যে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে এবং সত্য প্রত্যাখ্যান করে যখন তা তার কাছে আসে? জাহান্নামে কি অবিশ্বাসীদের জন্য একটি আবাসস্থল নেই?


৩৩


وَالَّذِیۡ جَآءَ بِالصِّدۡقِ وَصَدَّقَ بِہٖۤ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُتَّقُوۡنَ


ওয়াল্লাযী জাআ বিসসিদকিওয়া সাদ্দাকা বিহীউলাইকা হুমুল মুত্তাকূন।


Mufti Taqi Usmani

As for the one who has come with the truth and believed it to be true, then such people are the ones who are God-fearing.


মুফতী তাকী উসমানী

আর যে ব্যক্তি সত্য কথা নিয়ে আসে এবং নিজেও তা বিশ্বাস করে, এরূপ লোকই মুত্তাকী। ১৭


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা সত্য নিয়ে আগমন করছে এবং সত্যকে সত্য মেনে নিয়েছে; তারাই তো খোদাভীরু।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা সত্য এনেছে এবং যারা সত্যকে সত্য বলে মেনেছে তারাই তো মুত্তাকী।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা সত্য নিয়ে এসেছে ও একে সত্য বলে স্বীকার করেছে এরাই খোদ মুত্তাকী।


তাফসীরঃ

১৭. অর্থাৎ আল্লাহভীরুদের পরিচয় হল, তারা সদা সত্য বলে, সত্য উপস্থিত করে এবং অন্যের উপস্থাপিত সত্যকে বিশ্বাস করে। আয়াতটির আরেক অর্থ হতে পারে, ‘যে ব্যক্তি সত্য কথা নিয়ে আসে (অর্থাৎ নবী-রাসূল) এবং যে তা বিশ্বাস করে (অর্থাৎ নবীর অনুসারী) এই উভয় শ্রেণীর লোকই মুত্তাকী। -অনুবাদক


৩৪


لَہُمۡ مَّا یَشَآءُوۡنَ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ؕ  ذٰلِکَ جَزٰٓوٴُا الۡمُحۡسِنِیۡنَ ۚۖ


লাহুম মা-ইয়াশাঊনা ‘ইনদা রাব্বিহিম যা-লিকা জাঝাউল মুহছিনীন।


Mufti Taqi Usmani

For them, with their Lord, there is what they wish. That is the reward of those who are good in their deeds,


মুফতী তাকী উসমানী

তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে পাবে বাঞ্ছিত সবকিছু- এটাই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের জন্যে পালনকর্তার কাছে তাই রয়েছে, যা তারা চাইবে। এটা সৎকর্মীদের পুরস্কার।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের বাঞ্ছিত সমস্ত কিছুই আছে এদের প্রতিপালকের নিকট। এটাই সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার।


মাওলানা জহুরুল হক

তাদের জন্য তাদের প্রভুর কাছে রয়েছে তারা যা চায় তাই। এটিই হচ্ছে সৎকর্মীদের পুরস্কার, --


৩৫


لِیُکَفِّرَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ اَسۡوَاَ الَّذِیۡ عَمِلُوۡا وَیَجۡزِیَہُمۡ اَجۡرَہُمۡ بِاَحۡسَنِ الَّذِیۡ کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ


লিইউকাফফিরাল্লা-হু ‘আনহুম আছওয়া আল্লাযী ‘আমিলূওয়া ইয়াজঝিয়াহুম আজরাহুম বিআহছানিল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।


Mufti Taqi Usmani

so that Allah wipes out from them the worst deeds they did, and gives their reward to them for the best of what they used to do.


মুফতী তাকী উসমানী

তা এজন্য যে, তারা যে মন্দকাজ করেছিল আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিবেন আর যেসব উৎকৃষ্ট কাজে রত ছিল তাদেরকে তার পুরস্কার দান করবেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যাতে আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের উত্তম কর্মের পুরস্কার তাদেরকে দান করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যাতে এরা যেসব মন্দ কর্ম করেছিল আল্লাহ্ তা ক্ষমা করে দেন এবং এদেরকে এদের সৎকর্মের জন্যে পুরস্কৃত করেন।


মাওলানা জহুরুল হক

কাজেই তারা যা করেছিল তার মন্দতম আল্লাহ্ তাদের থেকে মুছে দেবেন, আর তারা যা করে চলেছে তার জন্য তিনি তাদের পারিশ্রমিক শ্রেষ্ঠতমভাবে তাদের প্রদান করবেন।


৩৬


اَلَیۡسَ اللّٰہُ بِکَافٍ عَبۡدَہٗ ؕ  وَیُخَوِّفُوۡنَکَ بِالَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ ؕ  وَمَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ ہَادٍ ۚ


আলাইছাল্লা-হু বিকা-ফিন ‘আবদাহূ; ওয়া ইউখাওবিফূনাকা বিল্লাযীনা মিন দূ নিহী ওয়া মাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।


Mufti Taqi Usmani

Is Allah not sufficient for (the protection of) His slave? They are frightening you of those (false gods whom they worship) other than Him. Whomsoever Allah would let go astray, for him there is no one to guide.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) আল্লাহ কি তার বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? তারা তোমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যদের ভয় দেখায়। ১৮ আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন তাকে পথে আনার কেউ নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ কি তাঁর বান্দার পক্ষে যথেষ্ট নন? অথচ তারা আপনাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যান্য উপাস্যদের ভয় দেখায়। আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ কি তাঁর বান্দার জন্যে যথেষ্ট নন ? অথচ তারা তোমাকে আল্লাহ্ র পরিবর্তে অপরের ভয় দেখায়। আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্যে কোন পথপ্রদর্শক নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ কি তাঁর বান্দাদের জন্য যথেষ্ট নন? তথাপি তারা তোমাকে ভয় দেখাতে চায় তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের দ্বারা। আর যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন তার জন্য তবে হেদায়তকারী কেউ নেই।


তাফসীরঃ

১৮. কুরায়শের লোকেরা বলেছিল, মুহাম্মাদ যদি আমাদের দেব-দেবীর নিন্দা করা হতে বিরত না হয়, তবে তারা প্রতিশোধ নেবে। হয় তাকে উন্মাদ বানিয়ে দেবে, নয়তো কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত করবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন এবং এর মাধ্যমে মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আশ্বস্ত করে দেন যে, ওই পাথরের মূর্তির তো কোনো ক্ষমতাই নেই, আপাতদৃষ্টিতে যাদের কিছুটা ক্ষমতা আছে সেই পৌত্তলিক, এমনকি সারা জাহানও যদি তার বিরুদ্ধে চলে যায়, তাতেও চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা নিজ বান্দা ও রাসূলের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা আছেন। তিনিই তাঁর হেফাজতের জন্য যথেষ্ট। -অনুবাদক


৩৭


وَمَنۡ یَّہۡدِ اللّٰہُ فَمَا لَہٗ مِنۡ مُّضِلٍّ ؕ اَلَیۡسَ اللّٰہُ بِعَزِیۡزٍ ذِی انۡتِقَامٍ


ওয়া মাইঁ ইয়াহদিল্লা-হু ফামা-লাহূমিম মুদিলিলন আলাইছাল্লা-হু বি‘আঝীঝিন যিন তিকাম।


Mufti Taqi Usmani

And whomsoever Allah gives guidance, for him there is no one to misguide. Is it not that Allah is Mighty, Powerful to avenge?


মুফতী তাকী উসমানী

আর আল্লাহ যাকে সুপথে আনেন, তাকে বিপথগামী করারও কেউ নেই। আল্লাহ কি পরাক্রান্ত, শাস্তিদাতা নন?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আল্লাহ কি পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং যাকে আল্লাহ্ হিদায়াত করেন তার জন্যে কোন পথভ্রষ্টকারী নেই; আল্লাহ্ কি পরাক্রমশালী, দণ্ডবিধায়ক নন ?


মাওলানা জহুরুল হক

আর আল্লাহ্ যাকে পথ দেখান তার জন্য তবে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আল্লাহ্ কি মহাশক্তিশালী, শেষ-পরিণতির অধিকর্তা নন?


৩৮


وَلَئِنۡ سَاَلۡتَہُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ لَیَقُوۡلُنَّ اللّٰہُ ؕ قُلۡ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ اَرَادَنِیَ اللّٰہُ بِضُرٍّ ہَلۡ ہُنَّ کٰشِفٰتُ ضُرِّہٖۤ اَوۡ اَرَادَنِیۡ بِرَحۡمَۃٍ ہَلۡ ہُنَّ مُمۡسِکٰتُ رَحۡمَتِہٖ ؕ قُلۡ حَسۡبِیَ اللّٰہُ ؕ عَلَیۡہِ یَتَوَکَّلُ الۡمُتَوَکِّلُوۡنَ


ওয়া লাইন ছাআলতাহুম মান খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা লাইয়াকূলুন্নাল্লা-হু কুল আফারাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ইন আরা-দানিয়াল্লা-হু বিদুররিন হাল হুন্না কা-শিফা-তুদুররিহীআও আরা-দানী বিরাহমাতিন হাল হুন্না মুমছিকা-তুরাহমাতিহী কুল হাছবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন।


Mufti Taqi Usmani

If you ask them as to who created the heavens and the earth, they will certainly say, “Allah.” Say, “Then, tell me about those whom you invoke other than Allah, if Allah intends to cause some harm to me, are they (able) to remove the harm caused by Him? Or if He intends to bless me with mercy, are they (able) to hold back His mercy (from me)?” Say, “Allah is sufficient for me. In Him trust those who (rightly) trust (in someone).”


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ! (তাদেরকে) বল, তোমরা বল তো, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের (অর্থাৎ যেই প্রতিমাদের)কে ডাক, আল্লাহ আমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা আল্লাহ যদি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চান, তবে তারা কি তাঁর সেই রহমত ঠেকাতে পারবে? বল, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ভরসাকারীগণ তো তাঁরই উপর ভরসা করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে-আল্লাহ। বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর নির্ভর করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তুমি যদি এদেরকে জিজ্ঞাসা কর, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন ? এরা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ্।’ বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, আল্লাহ্ আমার অনিষ্ট চাইলে তোমরা আল্লাহ্ র পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কি সেই অনিষ্ট দূর করতে পারবে ? বা তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করতে চাইলে তারা কি সেই অনুগ্রহকে রোধ করতে পারবে ?’ বল, ‘আমার জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।’ নির্ভরকারীগণ আল্লাহ্ র ই ওপর নির্ভর করে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞেস কর 'কে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন,’ তারা নিশ্চয়ই বলবে 'আল্লাহ্‌’। তুমি বলো -- "তোমরা কি তবে ভেবে দেখেছ -- তোমরা আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে যাদের উপাসনা করছ, যদি আল্লাহ্ আমার জন্য দুঃখকষ্ট চেয়ে থাকেন তবে কি তারা তাঁর কষ্ট দূর করতে পারবে, অথবা তিনি যদি আমার জন্য করুণা চেয়ে থাকেন তবে কি তারা তাঁর অনুগ্রহকে রোধ করতে পারবে? বলো -- "আল্লাহ্‌ই আমার জন্য যথেষ্ট। তাঁরই উপরে নির্ভর করুক নির্ভরশীল সব।"


৩৯


قُلۡ یٰقَوۡمِ اعۡمَلُوۡا عَلٰی مَکَانَتِکُمۡ اِنِّیۡ عَامِلٌ ۚ  فَسَوۡفَ تَعۡلَمُوۡنَ ۙ


কুল ইয়া-কাওমি‘মালূ‘আলা-মাকা-নাতিকুম ইন্নী ‘আ-মিলুন ফাছাওফা তা‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “O my people, do at your place (what you are doing). I am to do (what I have been ordered to). Very soon, you will come to know


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, হে আমার কওম! তোমরা আপন নিয়ম অনুসারে কাজ করতে থাক, আমিও (আমার নিয়মে) কাজ করছি। অচিরেই তোমরা জানতে পারবে


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের জায়গায় কাজ কর, আমিও কাজ করছি। সত্ত্বরই জানতে পারবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা স্ব স্ব অবস্থায় কাজ করতে থাক, আমিও আমার কাজ করছি। শীঘ্রই জানতে পারবে-


মাওলানা জহুরুল হক

বলো -- "হে আমার লোকদল! তোমাদের স্থানে কাজ করে যাও, আমিও নিঃসন্দেহ কাজ করে যাচ্ছি। সুতরাং শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে --


৪০


مَنۡ یَّاۡتِیۡہِ عَذَابٌ یُّخۡزِیۡہِ وَیَحِلُّ عَلَیۡہِ عَذَابٌ مُّقِیۡمٌ


মাইঁ ইয়া’তীহি ‘আযা-বুইঁ ইউখঝীহি ওয়া ইয়াহিল্লু‘আলাইহি ‘আযা-বুম মুকীম।


Mufti Taqi Usmani

as to who will be visited by a punishment that will disgrace him, and upon whom a lasting punishment will rest.


মুফতী তাকী উসমানী

কার প্রতি আসে এমন শাস্তি, যা তাকে লাঞ্ছিত করে ছাড়বে এবং কার প্রতি অবতীর্ণ হয় স্থায়ী শাস্তি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কার কাছে অবমাননাকর আযাব এবং চিরস্থায়ী শাস্তি নেমে আসে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘কাহার ওপর আসবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আর আপতিত হবে তার ওপর স্থায়ী শাস্তি।’


মাওলানা জহুরুল হক

কে সে যার কাছে আসছে শাস্তি যা তাকে লাঞ্ছিত করবে, আর কার উপরে বিধেয় হয়েছে স্থায়ী শাস্তি।


৪১


اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ لِلنَّاسِ بِالۡحَقِّ ۚ  فَمَنِ اہۡتَدٰی فَلِنَفۡسِہٖ ۚ  وَمَنۡ ضَلَّ فَاِنَّمَا یَضِلُّ عَلَیۡہَا ۚ  وَمَاۤ اَنۡتَ عَلَیۡہِمۡ بِوَکِیۡلٍ ٪


ইন্নাআনঝালনা-‘আলাইকাল কিতা-বা লিন্না-ছি বিলহাক্কি ফামানিহতাদাফালিনাফছিহী ওয়া মান দাল্লা ফাইন্নামা-ইয়াদিল্লু‘আলাইহা- ওয়ামাআনতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।


Mufti Taqi Usmani

We have sent down to you the Book for the people with truth. So, whoever follows the guidance, it is for his own good, and whoever goes astray, he will go astray only to his own detriment - and you are not responsible for them.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) আমি মানুষের কল্যাণার্থে তোমার প্রতি সত্যসহ এ কিতাব নাযিল করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি সঠিক পথে এসে যাবে সে আসবে নিজেরই কল্যাণার্থে আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্টতা অবলম্বন করবে, সে তার পথভ্রষ্টতা দ্বারা নিজেরই ক্ষতি করবে। তুমি তাদের তত্ত্বাবধায়ক নও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি আপনার প্রতি সত্য ধর্মসহ কিতাব নাযিল করেছি মানুষের কল্যাণকল্পে। অতঃপর যে সৎপথে আসে, সে নিজের কল্যাণের জন্যেই আসে, আর যে পথভ্রষ্ট হয়, সে নিজেরই অনিষ্টের জন্যে পথভ্রষ্ট হয়। আপনি তাদের জন্যে দায়ী নন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি মানুষের জন্যে; এরপর যে সৎপথ অবলম্বন করে সে তা করে নিজেরই কল্যাণের জন্যে এবং যে বিপথগামী হয় সে তো বিপথগামী হয় নিজেরই ধ্বংসের জন্যে এবং তুমি এদের তত্ত্বাবধায়ক নও।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ আমরা তোমার কাছে গ্রন্থখানা অবতারণ করেছি মানবজাতির জন্য সত্যের সাথে, সুতরাং যে-কেউ সৎপথ অবলন্বন করে সে তো তবে তার নিজের জন্যে, এবং যে কেউ ভ্রান্ত পথে চলে, সে তো বিভ্রান্ত হয় তার নিজেরই বিরুদ্ধে। আর তুমি তো তাদের উপরে কর্ণধার নও।


৪২


اَللّٰہُ یَتَوَفَّی الۡاَنۡفُسَ حِیۡنَ مَوۡتِہَا وَالَّتِیۡ لَمۡ تَمُتۡ فِیۡ مَنَامِہَا ۚ فَیُمۡسِکُ الَّتِیۡ قَضٰی عَلَیۡہَا الۡمَوۡتَ وَیُرۡسِلُ الۡاُخۡرٰۤی اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یَّتَفَکَّرُوۡنَ


আল্লা-হু ইয়াতাওয়াফফাল আনফুছা হীনা মাওতিহা-ওয়াল্লাতী লাম তামুত ফী মানা-মিহা- ফাইউমছিকুল্লাতী কাদা-‘আলাইহাল মাওতা ওয়া ইউরছিলুল উখরাইলাআজালিম মুছাম্মান ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।


Mufti Taqi Usmani

Allah fully takes away the souls (of the people) at the time of their death, and (of) those who do not die, in their sleep. Then He withholds those on whom He had decreed death, and sends others back, up to an appointed term. Surely, in this, there are signs for a people who ponder.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ রূহসমূহকে কবয করেন তাদের মৃত্যুকালে আর এখনও যার মৃত্যু আসেনি তাকেও (কবয করেন) তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার সম্পর্কে তিনি মৃত্যুর ফায়সালা করেছেন, তাকে রেখে দেন আর অন্যান্য রূহকে এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ছেড়ে দেন। ১৯ নিশ্চয়ই এর মধ্যে বহু নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ই প্রাণ হরণ করেন জীবসমূহের তাদের মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যু আসে নাই তাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। এরপর তিনি যার জন্যে মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অপরগুলি ফিরিয়ে দেন, এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ আ‌ত্মাগুলো গ্রহণ করেন তাদের মৃত্যুর সময়ে, আর যারা মরে না তাদের ঘুমের মধ্যে, তারপর তিনি রেখে দেন তাদের ক্ষেত্রে যাদের উপরে মৃত্যু অবধারিত করেছেন, আর অন্যগুলো ফেরত পাঠান একটি নির্ধারিত কাল পর্যন্ত। নিঃসন্দেহ এতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে।


তাফসীরঃ

১৯. নিদ্রাবস্থায়ও মানুষের রূহ এক পর্যায়ের কবয হয়ে যায়। কিন্তু সেটা যেহেতু চূড়ান্ত পর্যায়ের নয়, তাই সেটা মৃত্যুক্ষণ না হলে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় আবার ফিরে আসে। আর যার মৃত্যুক্ষণ এসে গেছে তার রূহ পরিপূর্ণভাবে কবয করা হয়।


৪৩


اَمِ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ شُفَعَآءَ ؕ قُلۡ اَوَلَوۡ کَانُوۡا لَا یَمۡلِکُوۡنَ شَیۡئًا وَّلَا یَعۡقِلُوۡنَ


আমিত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি শুফা‘আআ কুল আওয়ালাও কা-নূলা-ইয়ামলিকূনা শাইআওঁ ওয়ালা-ইয়া‘কিলূন।


Mufti Taqi Usmani

Is it that they have adopted intercessors out of those (whom they invoke) other than Allah? Say, “(Do you take them as intercessors) even though they have no power at all, nor do they understand?”


মুফতী তাকী উসমানী

তবে কি তারা আল্লাহ (-এর অনুমতি) ছাড়া সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে। (তাদেরকে) বল, তাদের (অর্থাৎ সেই সুপারিশকারীদের) কোন ক্ষমতা না থাকলেও এবং তারা কোন বোধবুদ্ধি না রাখলেও (তাদেরকে সুপারিশকারী মানতে থাকবে)? ২০


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি আল্লাহ ব্যতীত সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? বলুন, তাদের কোন এখতিয়ার না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবে কি এরা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে সুপারিশকারী ধরেছে ? বল, ‘এদের কোন ক্ষমতা না থাকলেও এবং এরা না বুঝিলেও ?’


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তারা কি আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে সুপারিশকারীদের ধরেছে? তুমি বলো -- "কি! যদিও তারা হচ্ছে এমন যে তারা কোনো- কিছুতেই কোনো ক্ষমতা রাখে না আর কোনো জ্ঞানবুদ্ধিও রাখে না?"


তাফসীরঃ

২০. এর দ্বারা মুশরিকদের সেই সকল মনগড়া দেব-দেবীকে বোঝানো হয়েছে, যাদের তারা আল্লাহ তাআলার সামনে তাদের পক্ষে সুপারিশকারী মনে করত।


৪৪


قُلۡ لِّلّٰہِ الشَّفَاعَۃُ جَمِیۡعًا ؕ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ ثُمَّ اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ


কুল লিল্লা-হিশশাফা-‘আতুজামী‘আন লাহূমুলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ছু ম্মা ইলাইহি তুর জা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “Intercession belongs entirely to Allah.”


মুফতী তাকী উসমানী

বল, সমস্ত সুপারিশ তো আল্লাহরই এখতিয়ারে। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই হাতে। পরিশেষে তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘সকল সুপারিশ আল্লাহ্্রই ইখ্তিয়ারে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সর্বময় কর্তৃত্ব আল্লাহ্ র ই, এরপর তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যানীত হবে।’


মাওলানা জহুরুল হক

বলো -- "সুপারিশ সর্বতোভাবে আল্লাহ্‌রই জন্যে। মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই, তারপর তাঁরই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।"


৪৫


وَاِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَحۡدَہُ اشۡمَاَزَّتۡ قُلُوۡبُ الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡاٰخِرَۃِ ۚ وَاِذَا ذُکِرَ الَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اِذَا ہُمۡ یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ


ওয়া ইযা-যুকিরাল্লা-হু ওয়াহদাহুশমাআঝঝাত কুলূবুল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআখিরাতি ওয়া ইযা-যুকিরাল্লাযীনা মিন দূ নিহী ইযা-হুম ইয়াছতাবশিরূন।


Mufti Taqi Usmani

When Allah is mentioned alone, the hearts of those who do not believe in the Hereafter are filled with disgust, and when those (whom they worship) other than Him are mentioned, they become happy forthwith.


মুফতী তাকী উসমানী

যখন এক আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন যারা আখেরাতে ঈমান রাখে না তাদের অন্তর বিরক্ত হয় আর যখন তাঁকে ছাড়া অন্যের কথা বলা হয়, অমনি তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্যদের নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তারা আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

শুধু এক আল্লাহ্ র কথা বলা হলে যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তাদের অন্তর বিতৃষ্ণায় সংকুচিত হয় এবং আল্লাহ্ র পরিবর্তে উপাস্যগুলির উল্লেখ করা হলে তারা আনন্দে উল্লসিত হয়।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন আল্লাহ্‌র, তাঁর একত্বের উল্লেখ করা হয় তখন, যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তাদের হৃদয় সংকূচিত হয়, পক্ষান্তরে যখন তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য যারা রয়েছে, তাদের উল্লেখ করা হয় তখন দেখো! তারা উল্লাস করে।

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

৪৬


قُلِ اللّٰہُمَّ فَاطِرَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ عٰلِمَ الۡغَیۡبِ وَالشَّہَادَۃِ اَنۡتَ تَحۡکُمُ بَیۡنَ عِبَادِکَ فِیۡ مَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ


কুল্লিলা-হুম্মা ফা-তিরাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি আনতা তাহকুমুবাইনা ‘ইবা-দিকা ফী মা-কা-নূফীহি ইয়াখতালিফূন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “O Allah, the Creator of the heavens and the earth, the Knower of the unseen and the seen, you will judge between Your servants in that about which they used to differ.


মুফতী তাকী উসমানী

বল, হে আল্লাহ! হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা! সমস্ত অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞাতা! তুমিই তোমার বান্দাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে সেই বিষয়ে যা নিয়ে তারা মতবিরোধে লিপ্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, হে আল্লাহ আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মত বিরোধ করত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘হে আল্লাহ্! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তোমার বান্দাগণ যে বিষয়ে মতবিরোধ করে, তুমি তাদের মধ্যে এর ফয়সালা করে দিবে।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "হে আল্লাহ্‌! মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আদি-স্রষ্টা! অদৃশ্য ও প্রকাশ্যের পরিজ্ঞাতা! তোমার বান্দাদের মধ্যে তুমি বিচার করে দাও সেই বিষয়ে যাতে তারা মতবিরোধ করছিল।"


৪৭


وَلَوۡ اَنَّ لِلَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مَا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا وَّمِثۡلَہٗ مَعَہٗ لَافۡتَدَوۡا بِہٖ مِنۡ سُوۡٓءِ الۡعَذَابِ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَبَدَا لَہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مَا لَمۡ یَکُوۡنُوۡا یَحۡتَسِبُوۡنَ


ওয়ালাও আন্না লিল্লাযীনা জালামূমা-ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়া মিছলাহূমা‘আহূ লাফতাদাও বিহী মিন ছূইল ‘আযা-বি ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়া বাদা-লাহুম মিনাল্লা-হি মা-লাম ইয়াকূনূইয়াহতাছিবূন।


Mufti Taqi Usmani

Were the wrongdoers to own all that is on earth, and even twice as much, they would surely seek to ransom themselves with it against the evil punishment on the Day of Judgment. There will appear to them from Allah what they have never imagined.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা জুলুমে লিপ্ত হয়েছে, যদি দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ তাদের থাকে এবং তার সমপরিমাণ আরও, তবে কিয়ামতের দিন নিকৃষ্টতম শাস্তি হতে বাঁচার জন্য তা সবই মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে। আর আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের সামনে এমন কিছু প্রকাশ পাবে, যা তারা কল্পনাও করেনি। ২১


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যদি গোনাহগারদের কাছে পৃথিবীর সবকিছু থাকে এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে অবশ্যই তারা কেয়ামতের দিন সে সবকিছুই নিস্কৃতি পাওয়ার জন্যে মুক্তিপন হিসেবে দিয়ে দেবে। অথচ তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি, যা তারা কল্পনাও করত না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা জুলুম করেছে যদি তাদের থাকে, দুনিয়ায় যা আছে তা সম্পূর্ণ এবং এটার সমপরিমাণ সম্পদও, তবে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি হতে মুক্তিপণস্বরূপ সেই সকলই তারা দিয়ে দিবে এবং তাদের জন্যে আল্লাহ্ র নিকট হতে এমন কিছু প্রকাশিত হবে যা এরা কল্পনাও করে নাই।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অন্যায়াচরণ করছিল তাদের জন্য যদি পৃথিবীতে যা আছে সে-সবটাই থাকত এবং তার সঙ্গে এর সমান আরও, তারা এর দ্বারা পরিত্রাণ পেতে চাইত কিয়ামতের দিনের শাস্তির ভীষণতা থেকে। আর আল্লাহ্‌র কাছ থেকে এমন তাদের সামনে পরিস্ফুট হবে যা তারা কখনো হিসেব করে দেখে নি।


তাফসীরঃ

২১. অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য যে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন তা তাদের সামনে প্রকাশ পাবে। সে শাস্তি এমনই বিভীষিকাময়, যা ইহজগতে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। এটা চরম সতর্কবাণী। এরচে’ কঠিন হুশিয়ারি আর কিছু হতে পারে না। পুরস্কারের সুসংবাদের ক্ষেত্রে এর দৃষ্টান্ত হল ‘কেউ জানে না, তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কী লুক্কায়িত রাখা হয়েছে।’ (সূরা সাজদা ৩২ : ১৭) -অনুবাদক


৪৮


وَبَدَا لَہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوۡا وَحَاقَ بِہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ


ওয়া বাদা-লাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূওয়াহা-কা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিঊন।


Mufti Taqi Usmani

Unveiled to them will be the evils of what they used to earn; and encircled they will be by what they used to ridicule.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা যা-কিছু অর্জন করেছিল, তার মন্দ ফল তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে যাবে এবং তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত, তা তাদেরকে চারদিক থেকে বেষ্টন করে ফেলবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর দেখবে, তাদের দুস্কর্মসমূহ এবং যে বিষয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তা তাদেরকে ঘিরে নেবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের কৃতকর্মের মন্দ ফল এদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং এরা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত তা এদেরকে পরিবেষ্টন করবে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা যা অর্জন করেছিল তার মন্দ তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বে, আর যা নিয়ে তারা বিদ্রূপ করত তা তাদের ঘিরে ফেলবে।


৪৯


فَاِذَا مَسَّ الۡاِنۡسَانَ ضُرٌّ دَعَانَا ۫ ثُمَّ اِذَا خَوَّلۡنٰہُ نِعۡمَۃً مِّنَّا ۙ قَالَ اِنَّمَاۤ اُوۡتِیۡتُہٗ عَلٰی عِلۡمٍ ؕ بَلۡ ہِیَ فِتۡنَۃٌ وَّلٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ


ফাইযা-মাছছাল ইনছা-না দুররুন দা‘আ-না- ছু ম্মা ইযা-খাওওয়ালনা-হু নি‘মাতাম মিন্না- কা-লা ইন্নামাঊতীতুহূ‘আলা-‘ইলমিম বাল হিয়া ফিতনাতুওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

When man is visited by a trouble, he prays to Us, but when, after that, We favor him with some blessing from Us, he says, “This is given to me because of (my) knowledge.” No, but this is a trial, yet most of them do not know.


মুফতী তাকী উসমানী

মানুষকে যখন কোন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকে ২২ তারপর যখন আমি আমার পক্ষ হতে তাকে কোন নি‘আমত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি লাভ করেছি (আমার) জ্ঞানবলে। না, বরং এটা একটা পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশেই জানে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি পূর্বের জানা মতেই প্রাপ্ত হয়েছি। অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মানুষকে বিপদ-আপদ স্পর্শ করলে সে আমাকে আহ্বান করে; এরপর যখন আমি আমার কোন নিয়ামত দিয়ে তাকে অনুগৃহীত করি তখন সে বলে, ‘আমাকে তো এটা দেওয়া হয়েছে আমার জ্ঞানের কারণে।’ বস্তুত এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু এদের অধিকাংশই বুঝে না।


মাওলানা জহুরুল হক

কিন্তু যখন কোনো দুঃখকষ্ট মানুষকে স্পর্শ করে তখন সে আমাদের ডাকে, তারপর যখন আমরা তাকে আমাদের থেকে অনুগ্রহ প্রদান করি, সে বলে -- "আমাকে তো এ দেওয়া হয়েছে জ্ঞানের দরুন।" বস্তুতঃ এ এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।


তাফসীরঃ

২২. অর্থাৎ কাফেরগণ একদিকে তো তাওহীদকে অস্বীকার করে, অন্যদিকে তারা কোন দুঃখ-কষ্টে পড়লে তখন দেব-দেবীকে নয়; বরং আমাকেই ডাকে।


২৩. কারূন একথাই বলেছিল যে, আমার যত অর্থ-সম্পদ, তা আমি নিজ বিদ্যা-বুদ্ধি দ্বারা অর্জন করেছি। দেখুন সূরা কাসাস (২৮ : ৭৮)।


৫০


قَدۡ قَالَہَا الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ فَمَاۤ اَغۡنٰی عَنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ


কাদ কা-লাহাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফামাআগনা-‘আনহুম মা-কা-নূইয়াকছিবূন।


Mufti Taqi Usmani

The same was said by those before them, but what they used to earn was of no avail to them,


মুফতী তাকী উসমানী

একথাই বলেছিল তাদের পূর্ববর্তী (কিছু) লোক। ২৩ ফলে, তারা যা অর্জন করত, তা তাদের কোন কাজে আসল না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের পূর্ববর্তীরাও তাই বলত, অতঃপর তাদের কৃতকর্ম তাদের কোন উপকারে আসেনি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের পূর্ববর্তিগণও এটাই বলত, কিন্তু এদের কৃতকর্ম এদের কোন কাজে আসে নাই।


মাওলানা জহুরুল হক

তাদের আগে যারা ছিল তারাও এটাই বলে থাকত, কিন্তু তারা যা অর্জন করেছিল তা তাদের কোনো কাজে আসে নি।


৫১


فَاَصَابَہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوۡا ؕ وَالَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡ ہٰۤؤُلَآءِ سَیُصِیۡبُہُمۡ سَیِّاٰتُ مَا کَسَبُوۡا ۙ وَمَا ہُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ


ফাআসা-বাহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়াল্লাযীনা জালামূমিন হাউলাই ছাইউসীবুহুম ছাইয়িআ-তুমা-কাছাবূ ওয়া মা-হুম বিমু‘জিঝীন।


Mufti Taqi Usmani

and they were overtaken by the evils of what they had earned; and the wrongdoers from these (infidels too) will be overtaken by the evils of what they have earned - and they will not be able to escape.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তারা যা অর্জন করেছিল তার মন্দ ফল তাদের উপর আপতিত হয়েছে এবং তাদের (অর্থাৎ আরবদের) মধ্যে যারা জুলুম করেছে তাদের কৃতকর্মের মন্দফলও অচিরে তাদের উপর আপতিত হবে এবং তারা (আল্লাহকে) ব্যর্থ করতে পারবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের দুস্কর্ম তাদেরকে বিপদে ফেলেছে, এদের মধ্যেও যারা পাপী, তাদেরকেও অতি সত্ত্বর তাদের দুস্কর্ম বিপদে ফেলবে। তারা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের কৃতকর্মের মন্দ ফল এদের ওপর আপতিত হয়েছে, এদের মধ্যে যারা জুলুম করে এদের ওপরও এদের কৃতকর্মের মন্দ ফল আপতিত হবে এবং এরা ব্যর্থও করতে পারবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

কাজেই তারা যা অর্জন করেছিল তার মন্দ তাদের পাকড়াও করল। আর এদের মধ্যে যারা অন্যায়াচরণ করছে তাদের উপরেও তারা যা অর্জন করেছে তার মন্দ অচিরেই আপতিত হবে, আর তারা এড়িয়ে যাবার পাত্র নয়।


৫২


اَوَلَمۡ یَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَیَقۡدِرُ ؕ  اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ ٪


আওয়ালাম ইয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াবছুতু র রিঝকালিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়াইয়াকদিরু ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইউ’মিনূন।


Mufti Taqi Usmani

Do they not know that it is Allah who extends provision to whomsoever He wills, and straitens (it for whomsoever He wills). Surely in that, there are signs for a people who believe.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি জানে না আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা রিযক প্রশস্ত করে দেন এবং তিনিই সঙ্কুচিতও করেন? নিশ্চয়ই এর মধ্যে বহু নিদর্শন আছে সেই সব লোকের জন্য, যারা ঈমান আনে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি জানেনি যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত দেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি জানে না, আল্লাহ্ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন বা যার জন্যে ইচ্ছা সীমিত করেন ? এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্যে।


মাওলানা জহুরুল হক

তারা কি জানে না যে আল্লাহ্ রিযেক বাড়িয়ে দেন যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন এবং মেপে-জোখেও দেন। নিশ্চয় এতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে ঈমান আনে এমন লোকদের জন্য।


৫৩


قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ


কুল ইয়া-‘ইবা-দিয়াল্লাযীনা আছরাফূ‘আলাআনফুছিহিম লা-তাকনাতূমির রাহমাতিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা ইয়াগফিরুয যুনূবা জামী‘আন ইন্নাহূহুওয়াল গাফূরুর রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

Say (on My behalf), “O servants of Mine who have acted recklessly against their own selves, do not despair of Allah’s mercy. Surely, Allah will forgive all sins. Surely, He is the One who is the Most-Forgiving, the Very-Merciful.


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজ সত্তার উপর সীমালংঘন করেছে, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করেন। ২৪ নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ-আল্লাহ্ র অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ্ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলে দাও -- "হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের বিরুদ্ধে অমিতাচার করেছ! তোমরা আল্লাহ্‌র করুণা হতে নিরাশ হয়ো না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সমুদয় পাপ ক্ষমা করেও দেন। নিঃসন্দেহ তিনি নিজেই পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।


তাফসীরঃ

২৪. অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি সারাটা জীবন কুফর, শিরক কিংবা অন্যান্য গুনাহের ভেতর কাটিয়ে দেয়, তবে এই ভেবে তার হতাশ হওয়ার কারণ নেই যে, এখন আর তার তাওবা কবুল হবে না; বরং আল্লাহ তাআলার রহমত এমন যে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত যখনই কোন মানুষ নিজেকে সংশোধনের পাকা নিয়ত করে ফেলে এবং তারপর নিজের পূর্ব জীবনের সমস্ত গুনাহের জন্য ক্ষমা চায় ও তাওবা করে তবে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন।


৫৪


وَاَنِیۡبُوۡۤا اِلٰی رَبِّکُمۡ وَاَسۡلِمُوۡا لَہٗ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنۡصَرُوۡنَ


ওয়া আনীবূইলা-রাব্বিকুম ওয়া আছলিমূলাহূমিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বু ছু ম্মা লা-তুনসারূন।


Mufti Taqi Usmani

Turn passionately towards your Lord, and submit to Him before the punishment comes to you, after which you will not be helped.


মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হয়ে যাও এবং তাঁর সমীপে আনুগত্য প্রকাশ কর তোমাদের নিকট শাস্তি আসার আগে, যার পর আর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না;


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ কর তোমাদের নিকট শাস্তি আসার পূর্বে; তৎপর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

"আর তোমাদের প্রভুর দিকে ফেরো এবং তোমাদের উপরে শাস্তি আসার আগেভাগে তাঁর প্রতি পূর্ণ আ‌ত্মসমর্পণ করো, তখন আর তোমাদের সাহায্য করা হবে না।


৫৫


وَاتَّبِعُوۡۤا اَحۡسَنَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ الۡعَذَابُ بَغۡتَۃً وَّاَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ ۙ


ওয়াত্তাবি‘ঊআহছানা মাউনঝিলা ইলাকুম মির রাব্বিকুম মিন কাবলি আইঁ ইয়া’তিয়াকুমুল ‘আযা-বুবাগতাতাওঁ ওয়া আনতুম লা-তাশ‘ঊরূন।


Mufti Taqi Usmani

And follow the best of what has been sent down to you from your Lord before the punishment comes to you suddenly when you do not even expect,


মুফতী তাকী উসমানী

এবং তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের উপর উত্তম যা-কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতভাবে শাস্তি আসার আগে, অথচ তোমরা তা জানতেও পারবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ উত্তম বিষয়ের অনুসরণ কর তোমাদের কাছে অতর্কিতে ও অজ্ঞাতসারে আযাব আসার পূর্বে,


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অনুসরণ কর তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে উত্তম যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার, তোমাদের ওপর অতর্কিতভাবে তোমাদের অজ্ঞাতসারে শাস্তি আসার পূর্বে-


মাওলানা জহুরুল হক

"আর তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে তোমাদের নিকট যা শ্রেষ্ঠ অবতীর্ণ হয়েছে তার অনুসরণ করো তোমাদের উপরে অতর্কিতভাবে শাস্তি এসে পড়ার আগেই, যখন তোমরা খেয়াল করছ না --


৫৬


اَنۡ تَقُوۡلَ نَفۡسٌ یّٰحَسۡرَتٰی عَلٰی مَا فَرَّطۡتُّ فِیۡ جَنۡۢبِ اللّٰہِ وَاِنۡ کُنۡتُ لَمِنَ السّٰخِرِیۡنَ ۙ


আন তাকূলা নাফছুইঁ ইয়া-হাছরাতা-‘আলা-মা-ফাররাত্তুফী জামবিল্লা-হি ওয়া ইন কুনতু লামিনাছ ছা-খিরীন।


Mufti Taqi Usmani

lest someone should say, “Pity on me, because I fell short in respect of (observing the rights of) Allah and in fact, I was one of those who mocked”,


মুফতী তাকী উসমানী

যাতে কাউকে বলতে না হয় যে, হায়! আল্লাহর ব্যাপারে আমি যে অবহেলা করেছি তার জন্য আফসোস! প্রকৃতপক্ষে আমি (আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান নিয়ে) ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যাতে কেউ না বলে, হায়, হায়, আল্লাহ সকাশে আমি কর্তব্যে অবহেলা করেছি এবং আমি ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যাতে কাউকেও বলিতে না হয়, ‘হায়! আল্লাহ্ র প্রতি আমার কর্তব্যে আমি যে শৈথিল্য করেছি তার জন্যে আফসোস! আমি তো ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।’


মাওলানা জহুরুল হক

"পাছে কোনো সত্ত্বাকে বলতে হয় -- 'হায় আফসোস আমার জন্য যে আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্যে আমি অবহেলা করছিলাম! আর আমি তো ছিলাম বিদ্রূপকারীদের দলের’,


৫৭


اَوۡ تَقُوۡلَ لَوۡ اَنَّ اللّٰہَ ہَدٰىنِیۡ لَکُنۡتُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ ۙ


আও তাকূলা লাও আন্নাল্লা-হা হাদা-নী লাকুনতুমিনাল মুত্তাকীন।


Mufti Taqi Usmani

or, (lest) someone should say, “If Allah were to show me the way, I would have surely been among those who fear Allah”,


মুফতী তাকী উসমানী

অথবা কাউকে বলতে না হয় যে, আল্লাহ যদি আমাকে হেদায়াত দিতেন তবে আমিও মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অথবা না বলে, আল্লাহ যদি আমাকে পথপ্রদর্শন করতেন, তবে অবশ্যই আমি পরহেযগারদের একজন হতাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অথবা কেউ যেন না বলে, ‘আল্লাহ্ আমাকে পথপ্রদর্শন করলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’


মাওলানা জহুরুল হক

'অথবা তাকে বলতে হয় -- - 'আল্লাহ্ যদি আমাকে সৎপথ দেখাতেন তাহলে আমি নিশ্চয়ই ধর্মভীরুদের মধ্যেকার হতাম’,


৫৮


اَوۡ تَقُوۡلَ حِیۡنَ تَرَی الۡعَذَابَ لَوۡ اَنَّ لِیۡ کَرَّۃً فَاَکُوۡنَ مِنَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ


আও তাকূলা হীনা তারাল ‘আযা-বা লাও আন্না লী কাররাতান ফাআকূনা মিনাল মুহছিনীন।


Mufti Taqi Usmani

or, (lest) someone should say when he sees the punishment, “Would that I have a chance to return, so that I may become one of those who are good in their deeds.”


মুফতী তাকী উসমানী

অথবা শাস্তি চাক্ষুষ দেখার পর যেন কাউকে বলতে না হয়, আহা! আমার যদি একটিবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তবে আমি সৎকর্মশীলদের একজন হয়ে যেতাম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অথবা আযাব প্রত্যক্ষ করার সময় না বলে, যদি কোনরূপে একবার ফিরে যেতে পারি, তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হয়ে যাব।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অথবা শাস্তি প্রত্যক্ষ করলে যেন কাউকেও বলিতে না হয়, ‘আহা, যদি একবার পৃথিবীতে আমার প্রত্যাবর্তন ঘটত তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হতাম!’


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা বলতে হয় যখন সে শাস্তি প্রত্যক্ষ করে -- 'যদি আমার জন্য আরেকটা সুযোগ হতো তাহলে আমি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম’।


৫৯


بَلٰی قَدۡ جَآءَتۡکَ اٰیٰتِیۡ فَکَذَّبۡتَ بِہَا وَاسۡتَکۡبَرۡتَ وَکُنۡتَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ


বালা-কাদ জাআতকা আ-য়া-তী ফাকাযযাবতা বিহা-ওয়াছতাকবারতা ওয়াকুনতা মিনাল কা-ফিরীন।


Mufti Taqi Usmani

No! My verses had reached you, but you called them untrue, and waxed proud, and became of those who disbelieved.


মুফতী তাকী উসমানী

অবশ্যই (তোমাকে হেদায়াত দেওয়া হয়েছিল)। আমার নিদর্শনাবলী তোমার কাছে এসেছিল, কিন্তু তুমি তাকে মিথ্যা বলেছিলে এবং অহমিকা দেখিয়েছিলে আর তুমি ছিলে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হাঁ, তোমার কাছে আমার নির্দেশ এসেছিল; অতঃপর তুমি তাকে মিথ্যা বলেছিলে, অহংকার করেছিলে এবং কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছিলে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

প্রকৃত ব্যাপার তো এই যে, আমার নিদর্শন তোমার নিকট এসেছিল, কিন্তু তুমি এইগুলিকে মিথ্যা বলেছিলে ও অহংকার করেছিলে; আর তুমি তো ছিলে কাফিরদের একজন।


মাওলানা জহুরুল হক

না, তোমার কাছে তো আমার বাণীসমূহ এসেই ছিল, কিন্তু তুমি সে-সব প্রত্যাখ্যান করেছিলে আর তুমি হামবড়াই করেছিলে, আর তুমি হয়েছিলে অবিশ্বাসীদের একজন।


৬০


وَیَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ تَرَی الَّذِیۡنَ کَذَبُوۡا عَلَی اللّٰہِ وُجُوۡہُہُمۡ مُّسۡوَدَّۃٌ ؕ اَلَیۡسَ فِیۡ جَہَنَّمَ مَثۡوًی لِّلۡمُتَکَبِّرِیۡنَ


ওয়া ইয়াওমাল কিয়া-মাতি তারাল্লাযীনা কাযাবূ‘আলাল্লা-হি ঊজূহুহুম মুছওয়াদ্দাতুন আলাইছা ফী জাহান্নামা মাছওয়াল লিলমুতাকাব্বিরীন।


Mufti Taqi Usmani

And on the Day of Judgment, you will see those who had forged lies against Allah (in a state) that their faces are turned black. Is it not that in Jahannam there is an abode for the arrogant?


মুফতী তাকী উসমানী

কিয়ামতের দিন তুমি দেখবে, যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল, তাদের চেহারা কালো হয়ে গেছে। এরূপ অহংকারীদের ঠিকানা কি জাহান্নামে নয়?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কেয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কাল দেখবেন। অহংকারীদের আবাসস্থল জাহান্নামে নয় কি?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা আল্লাহ্ র প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, তুমি কিয়ামতের দিন তাদের মুখ কালো দেখবে। উদ্ধতদের আবাসস্থল কি জাহান্নাম নয় ?


মাওলানা জহুরুল হক

আর কিয়ামতের দিনে তুমি দেখতে পাবে তাদের যারা আল্লাহ্‌কে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তাদের মুখমন্ডল কালিমাচ্ছন্ন। জাহান্নামে কি গর্বিতদের জন্য আবাসস্থল নেই?


৬১


وَیُنَجِّی اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا بِمَفَازَتِہِمۡ ۫ لَا یَمَسُّہُمُ السُّوۡٓءُ وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ


ওয়া ইউনাজ্জিল্লা-হুল্লাযীনাত্তাকাও বিমাফা-ঝাতিহিম লা-ইয়ামাছছুহুমুছ ছূউ ওয়ালাহুম ইয়াহঝানূন।


Mufti Taqi Usmani

And Allah will save the God-fearing (from Jahannam ), with utmost success granted to them, so as no evil will touch them, nor will they grieve.


মুফতী তাকী উসমানী

যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, আল্লাহ তাদেরকে মুক্তি দেবেন তাদের আমলসহ। কোন কষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করবে না এবং তাদের থাকবে না কোন দুঃখ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যারা শিরক থেকে বেঁচে থাকত, আল্লাহ তাদেরকে সাফল্যের সাথে মুক্তি দেবেন, তাদেরকে অনিষ্ট স্পর্শ করবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ মুত্তাকীদেরকে উদ্ধার করবেন তাদের সাফল্যসহ; তাদেরকে অমঙ্গল স্পর্শ করবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা ধর্মভীরুতা অবলন্বন করে তাদের আল্লাহ্ উদ্ধার করবেন তাদের সাফল্যময় স্থানসমূহে, মন্দ তাদের স্পর্শ করবে না, আর তারা দুঃখও করবে না।


৬২


اَللّٰہُ خَالِقُ کُلِّ شَیۡءٍ ۫ وَّہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ وَّکِیۡلٌ


আল্লা-হু খা-লিকুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িওঁ ওয়াকীল।


Mufti Taqi Usmani

Allah is Creator of everything, and He is the Guardian over everything.


মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সমস্ত কিছুর রক্ষক।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আল্লাহ সর্বকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আল্লাহ্ সমস্ত কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সমস্ত কিছুর কর্মবিধায়ক।


মাওলানা জহুরুল হক

আল্লাহ্ সব-কিছুর স্রষ্টা, আর তিনি সব-কিছুর উপরে কর্ণধার।


৬৩


لَہٗ مَقَالِیۡدُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ  وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ٪


লাহূমাকা-লিদুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়াল্লাযীনা কাফারূবিআ-য়া-তিল্লা-হি উলাইকা হুমুল খা-ছিরূন।


Mufti Taqi Usmani

To Him belong the keys to the heavens and the earth. As for those who have rejected the verses of Allah, it is they who are the losers.


মুফতী তাকী উসমানী

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কুঞ্জিরাশি তাঁরই নিকট। যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আসমান ও যমীনের চাবি তাঁরই নিকট। যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কুঞ্জি তাঁরই নিকট। আর যারা আল্লাহ্ র আয়াতকে অস্বীকার করে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা জহুরুল হক

মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর চাবিকাঠি তাঁরই নিকট। আর যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশসমূহে অবিশ্বাস করে তারাই স্বয়ং ক্ষতিগ্রস্ত।


৬৪


قُلۡ اَفَغَیۡرَ اللّٰہِ تَاۡمُرُوۡٓنِّیۡۤ اَعۡبُدُ اَیُّہَا الۡجٰہِلُوۡنَ


কুল আফাগাইরাল্লা-হি তা’মুরূন্নীআ‘বুদুআইয়ুহাল জা-হিলূন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “Is it, then, someone other than Allah that you ask me to worship, O ignorant people?”


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, হে অজ্ঞ ব্যক্তিরা! তারপরও কি তোমরা আমাকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করতে বল?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, হে মুর্খরা, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের এবাদত করতে আদেশ করছ?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘হে অজ্ঞ ব্যক্তিরা ! তোমরা কি আমাকে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের ‘ইবাদত করতে বলতেছ ?’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "তবে কি তোমরা আমাকে আদেশ করছ যে আমি আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের উপাসনা করি, ওহে মূর্খজনেরা!"


৬৫


وَلَقَدۡ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ وَاِلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۚ لَئِنۡ اَشۡرَکۡتَ لَیَحۡبَطَنَّ عَمَلُکَ وَلَتَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ


ওয়ালা কাদ ঊহিয়া ইলাইকা ওয়া ইলাল্লাযীনা মিন কাবলিকা লাইন আশরাকতা লাইয়াহবাতান্না ‘আমালুকা ওয়া লাতাকূনান্না মিনাল খা-ছিরীন।


Mufti Taqi Usmani

It has already been revealed to you and to those before you (that): If you associate (partners with Allah), your deeds shall be rendered useless, and you shall be among the losers.


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই তোমাকে এবং তোমার পূর্বের নবীগণকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তুমি যদি শিরক কর, তবে নির্ঘাত তোমার সমস্ত কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই ওহী হয়েছে, ‘তুমি আল্লাহ্ র শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হবে এবং অবশ্যই তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তোমার কাছে ও তোমার আগে যারা ছিলেন তাঁদের কাছে নিশ্চয়ই ইতিপূর্বে প্রত্যাদিষ্ট হয়েছে -- "যদি তুমি শরিক কর তাহলে তোমার কাজকর্ম নিশ্চয়ই নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং তুমি নিশ্চয়ই হয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যেকার।"


৬৬


بَلِ اللّٰہَ فَاعۡبُدۡ وَکُنۡ مِّنَ الشّٰکِرِیۡنَ


বালিল্লা-হা ফা‘বুদ ওয়াকুম মিনাশশা-কিরীন।


Mufti Taqi Usmani

On the contrary, it is Allah whom you should worship; and be among the grateful.


মুফতী তাকী উসমানী

বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত থাক।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বরং আল্লাহরই এবাদত করুন এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত থাকুন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘অতএব তুমি আল্লাহ্ র ই ‘ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞ হও।’


মাওলানা জহুরুল হক

না, তুমি সতত আল্লাহ্‌রই উপাসনা করবে, আর কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত রইবে।


৬৭


وَمَا قَدَرُوا اللّٰہَ حَقَّ قَدۡرِہٖ ٭ۖ وَالۡاَرۡضُ جَمِیۡعًا قَبۡضَتُہٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَالسَّمٰوٰتُ مَطۡوِیّٰتٌۢ بِیَمِیۡنِہٖ ؕ سُبۡحٰنَہٗ وَتَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ


ওয়ামা-কাদারুল্লা-হা হাক্কা কাদরিহী ওয়াল আরদুজামী‘আন কাবদাতুহূ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ওয়াছ ছামা-ওয়া-তুমাতবিইয়া-তুম বিয়ামীনিহী ছুবহা-নাহূ ওয়া তা‘আ-লা-‘আম্মা-ইউশরিকূন।


Mufti Taqi Usmani

They did not hold Allah in His true esteem. The whole earth will be in a single grip of His hand on the Day of Doom, and the heavens (will be) rolled up on his right hand. Pure is He, far too higher than what they associate with Him.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা আল্লাহকে মর্যাদা দেয়নি তাঁর যথোচিত মর্যাদা, অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তার মুঠোর ভেতর এবং আকাশমণ্ডলী গুটানো অবস্থায় থাকবে তার ডান হাতে। তিনি পবিত্র এবং তারা যে শিরক করে তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র। আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা আল্লাহ্ র যথোচিত সম্মান করে না। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুষ্টিতে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর দক্ষিণ হস্তে। পবিত্র ও মহান তিনি, এরা যাকে শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা আল্লাহ্‌কে সম্মান করে না তাঁর যথোচিত সম্মানের দ্বারা, অথচ সমস্ত পৃথিবীটাই তাঁর মুঠোয় থাকবে কিয়ামতের দিনে, আর মহাকাশমন্ডলীটা গুটিয়ে নেয়া হবে তাঁর ডান হাতে। সকল মহিমা তাঁরই আর তারা যেসব অংশী দাঁড় করায় তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।


৬৮


وَنُفِخَ فِی الصُّوۡرِ فَصَعِقَ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَمَنۡ فِی الۡاَرۡضِ اِلَّا مَنۡ شَآءَ اللّٰہُ ؕ ثُمَّ نُفِخَ فِیۡہِ اُخۡرٰی فَاِذَا ہُمۡ قِیَامٌ یَّنۡظُرُوۡنَ


ওয়া নুফিখা ফিসসূরি ফাসা‘ইকা মান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়া মান ফিল আরদিইল্লা-মান শাআল্লা-হু ছু ম্মা নুফিখা ফীহি উখরা-ফাইযা-হুম কিয়া-মুইঁ ইয়ানজু রূন।


Mufti Taqi Usmani

And Horn (Sūr ) will be blown, and all those in the heavens and all those in the earth will faint, except the one whom Allah wills (otherwise). Thereafter, it will be blown once again, and suddenly they will stand up, looking around.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে। ফলে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করবেন সে ছাড়া ২৫ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই মূর্ছিত হয়ে পড়বে। তারপর তাতে দ্বিতীয় ফুঁক দেওয়া হবে, অমনি তারা দ-ায়মান হয়ে তাকিয়ে থাকবে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, ফলে আসমান ও যমীনে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন। অতঃপর আবার শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে, ফলে যাদেরকে আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তারা ব্যতীত আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সকলে মূর্ছিত হয়ে পড়বে। এরপর আবার শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে, তৎক্ষণাৎ এরা দণ্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর শিঙায় ফুঁকা হবে, ফলে মহাকাশমন্ডলীতে যারা আছে ও পৃথিবীতে যারা রয়েছে তারা মূর্চ্ছা যাবে -- তারা ব্যতীত যাদের সন্বন্ধে আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন। তারপর তাতে পুনরায় ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন দেখো! তারা উঠে দাঁড়াবে বিস্ফরিত নয়নে।


তাফসীরঃ

২৫. অর্থাৎ শিঙ্গার প্রথম ফুকে সকলেই মূর্ছিত হয়ে পড়বে জিবরাঈল, ইসরাফীল ও মালাকুত-মাওত ছাড়া তাঁরা মূর্ছিত হবে না। কেউ কেউ নবী-রাসূল ও শহীদদেরকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মূলত আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন কে কে ব্যতিক্রম থাকবে। -অনুবাদক


৬৯


وَاَشۡرَقَتِ الۡاَرۡضُ بِنُوۡرِ رَبِّہَا وَوُضِعَ الۡکِتٰبُ وَجِایۡٓءَ بِالنَّبِیّٖنَ وَالشُّہَدَآءِ وَقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡحَقِّ وَہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ


ওয়া আশরাকাতিল আরদু বিনূরি রাব্বিহা- ওয়াউদি‘আল কিতা-বু ওয়াজীআ বিন্নাবিইয়ীনা ওয়াশশুহাদাই ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিল হাক্কিওয়াহুম লা-ইউজলামূন।


Mufti Taqi Usmani

And the earth will shine with the light of its Lord, and the book (of everyone’s deeds) will be placed, and the prophets and the witnesses will be brought, and matters will be decided between them with justice, and they will not be wronged.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং পৃথিবী নিজ প্রতিপালকের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, আমলনামা সামনে রেখে দেওয়া হবে এবং নবীগণকে ও সাক্ষীগণকে উপস্থিত করা হবে আর মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

পৃথিবী তার পালনকর্তার নূরে উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, পয়গম্বরগণ ও সাক্ষীগণকে আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায় বিচার করা হবে-তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বিশ্ব এর প্রতিপালকের জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা পেশ করা হবে এবং নবীগণকে ও সাক্ষিগণকে উপস্থিত করা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে ও তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর পৃথিবী উদ্ভাসিত হবে তার প্রভুর জ্যোতিতে, আর গ্রন্থ উপস্থাপিত করা হবে, আর নবীগণকে ও সাক্ষীগণকে নিয়ে আসা হবে, আর তাদের মধ্যে বিচার-মীমাংসা করা হবে সততার সঙ্গে, আর তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।


৭০


وَوُفِّیَتۡ کُلُّ نَفۡسٍ مَّا عَمِلَتۡ وَہُوَ اَعۡلَمُ بِمَا یَفۡعَلُوۡنَ ٪


ওয়া উফফিয়াত কুল্লুনাফছিম মা-‘আমিলাত ওয়া হুওয়া আ‘লামুবিমা-ইয়াফ‘আলূন।


Mufti Taqi Usmani

And everyone will be paid in full for what he did - and He knows best what they do.


মুফতী তাকী উসমানী

প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেওয়া হবে। আর তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ পরিপূর্ণ জ্ঞাত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

প্রত্যেকে যা করেছে, তার পূর্ণ প্রতিফল দেয়া হবে। তারা যা কিছু করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

প্রত্যেকের কৃতকর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেওয়া হবে। এরা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর প্রত্যেক সত্ত্বাকে সে যা করেছে তার পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে, আর তিনি ভাল জানেন তারা যা করে সে-সম্পর্কে।


৭১


وَسِیۡقَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِلٰی جَہَنَّمَ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡہَا فُتِحَتۡ اَبۡوَابُہَا وَقَالَ لَہُمۡ خَزَنَتُہَاۤ اَلَمۡ یَاۡتِکُمۡ رُسُلٌ مِّنۡکُمۡ یَتۡلُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ اٰیٰتِ رَبِّکُمۡ وَیُنۡذِرُوۡنَکُمۡ لِقَآءَ یَوۡمِکُمۡ ہٰذَا ؕ قَالُوۡا بَلٰی وَلٰکِنۡ حَقَّتۡ کَلِمَۃُ الۡعَذَابِ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ


ওয়া ছীকাল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা ঝুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়া কা-লা লাহুম খাঝানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম রুছুলুম মিনকুম ইয়াতলূনা ‘আলাইকুম আ-য়া-তি রাব্বিকুম ওয়া ইউনযিরূনাকুম লিকাআ ইয়াওমিকুম হাযা- কা-লূবালা-ওয়ালা-কিন হাক্কাত কালিমাতুল ‘আযা-বি ‘আলাল কা-ফিরীন।


Mufti Taqi Usmani

Those who disbelieved will be driven towards Jahannam in groups, until when they reach it, its gates will be opened, and its keepers will say to them, “Did messengers from among you not come to you reciting to you the verses of your Lord, and warning you about the meeting of this day of yours?” They will say, “Yes (they did),but the word of punishment had become certain against those who disbelieved.”


মুফতী তাকী উসমানী

যারা কুফর অবলম্বন করেছিল তাদেরকে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নেওয়া হবে দলে দলে। যখন তারা তার নিকট পৌঁছবে, তার দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে এবং তার রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের কাছে কি তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে রাসূলগণ আসেনি, যারা তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহ পড়ে শোনাত এবং তোমাদেরকে এই দিনের সাক্ষাত সম্পর্কে সতর্ক করত? তারা বলবে নিশ্চয়ই এসেছিল, কিন্তু কাফেরদের প্রতি শাস্তির কথা বাস্তবায়িত হয়ে গেছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। তারা যখন সেখানে পৌছাবে, তখন তার দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বর আসেনি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করত এবং সতর্ক করত এ দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে? তারা বলবে, হঁ্যা, কিন্তু কাফেরদের প্রতি শাস্তির হুকুমই বাস্তবায়িত হয়েছে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কাফিরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন এরা জাহান্নামের নিকট উপস্থিত হবে তখন এটার প্রবেশদ্বারগুলি খুলে দেওয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা এদেরকে বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রাসূল আসে নাই যারা তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত আবৃত্তি করত, এবং এই দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তোমাদেরকে সতর্ক করত ?’ এরা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল।’ বস্তুত কাফিরদের প্রতি শাস্তির কথা বাস্তবায়িত হয়েছে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দলবদ্ধভাবে। যেতে যেতে যখন তারা তার কাছে আসবে তখন এর দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে আর তার রক্ষকরা তাদের বলবে -- "তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্যে থেকে রসূলগণ আসেন নি যাঁরা তোমাদের কাছে বিবৃত করতেন তোমাদের প্রভুর বাণীসমূহ এবং তোমাদের সাবধান করে দিতেন তোমাদের এই দিনটির সাক্ষাৎ পাওয়া সন্বন্ধে?" তারা বলবে -- "হ্যাঁ।" আর বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের উপর শাস্তিদানের রায় বাস্তবায়িত হয়েছে।


৭২


قِیۡلَ ادۡخُلُوۡۤا اَبۡوَابَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ۚ فَبِئۡسَ مَثۡوَی الۡمُتَکَبِّرِیۡنَ


কীলাদখুলূআবওয়া-বা জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা- ফাবি’ছা মাছওয়াল মুতাকাব্বিরীন।


Mufti Taqi Usmani

It will be said, “Enter the gates of Jahannam to live in it forever.” So, how evil is the dwelling-place of the arrogant!


মুফতী তাকী উসমানী

বলা হবে, জাহান্নামের দরজাসমূহে প্রবেশ কর তাতে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। যারা অহমিকা প্রদর্শন করে তাদের ঠিকানা কত মন্দ!


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্যে। কত নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদেরকে বলা হবে, ‘জাহান্নামের দ্বারসমূহে প্রবেশ কর এতে স্থায়িভাবে অবস্থিতির জন্যে। কত নিকৃষ্ট উদ্ধতদের আবাসস্থল!’


মাওলানা জহুরুল হক

বলা হবে -- "তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে ঢুকে পড় সেখানে দীর্ঘকাল অবস্থানের জন্য। সুতরাং কত মন্দ গর্বিতদের এই অবস্থানস্থল!"


৭৩


وَسِیۡقَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّہُمۡ اِلَی الۡجَنَّۃِ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡہَا وَفُتِحَتۡ اَبۡوَابُہَا وَقَالَ لَہُمۡ خَزَنَتُہَا سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ طِبۡتُمۡ فَادۡخُلُوۡہَا خٰلِدِیۡنَ


ওয়াছীকাল্লাযীনাত্তাকাও রাব্বাহুম ইলাল জান্নাতি ঝুমারা- হাত্তাইযা-জাঊহাওয়া ফুতিহাত আবওয়া-বুহা-ওয়াকালা-লাহুম খাঝানাতুহা-ছালা-মুন ‘আলাইকুম তিবতুম ফাদখুলূহা-খা-লিদীন।


Mufti Taqi Usmani

And those who used to fear their Lord will be led towards Jannah (Paradise) in groups, until when they reach it, while its gates will be (already) opened (for them), and its keepers will say to them, “Salāmun-’alaikum (peace be on you). How good are you! So, enter it to live here forever.”


মুফতী তাকী উসমানী

আর যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে চলেছে, তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা সেখানে পৌঁছবে এবং তাদের জন্য তার দরজাসমূহ পূর্ব হতেই উন্মুক্ত থাকবে (তখন বড় আনন্দঘন দৃশ্য হবে)। তার রক্ষীগণ তাদেরকে বলবে, আপনাদের প্রতি সালাম। আপনারা সুখী থাকুন। আপনারা এতে প্রবেশ করুন স্থায়ীভাবে থাকার জন্য।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা উম্মুক্ত দরজা দিয়ে জান্নাতে পৌছাবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা সুখে থাক, অতঃপর সদাসর্বদা বসবাসের জন্যে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। যখন তারা জান্নাতের নিকট উপস্থিত হবে ও এটার দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি ‘সালাম’, তোমরা সুখী হও এবং জান্নাতে প্রবেশ কর স্থায়িভাবে অবস্থিতির জন্যে।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা তাদের প্রভুকে ভয়ভক্তি করে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে দলবদ্ধভাবে জান্নাতের দিকে। যেতে যেতে যখন তারা তার কাছে আসবে ও এর দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে তখন তার রক্ষীরা তাদের বলবে, "সালাম তোমাদের উপরে! তোমরা পবিত্র-চরিত্র, সুতরাং তোমরা এতে চিরস্থায়ীভাবে প্রবেশ করো।"


৭৪


وَقَالُوا الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡ صَدَقَنَا وَعۡدَہٗ وَاَوۡرَثَنَا الۡاَرۡضَ نَتَبَوَّاُ مِنَ الۡجَنَّۃِ حَیۡثُ نَشَآءُ ۚ فَنِعۡمَ اَجۡرُ الۡعٰمِلِیۡنَ


ওয়া কা-লুল হামদুলিল্লা-হিল্লাযী সাদাকানা-ওয়া‘দাহূওয়া আওরাছানাল আরদা নাতাবাওওয়াউ মিনাল জান্নাতি হাইছুনাশাউ ফানি‘মা আজরুল ‘আ-মিলীন।


Mufti Taqi Usmani

And they will say, “AlHamdulillāh : Praise belongs to Allah who made His promise come true for us, and made us inherit the territory, so as we can dwell anywhere we wish in Jannah (Paradise) . So, excellent is the reward of those who did (good) deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা (অর্থাৎ জান্নাতবাসীগণ) বলবে, সমস্ত শোকর আল্লাহর, যিনি আমাদের সঙ্গে নিজ ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন এবং আমাদেরকে (জান্নাতের) ভূমির এমন অধিকারী বানিয়েছেন যে, আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা হয় ঠিকানা বানাতে পারি। সুতরাং সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কত উত্তম!


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ ভূমির উত্তরাধিকারী করেছেন। আমরা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা বসবাস করব। মেহনতকারীদের পুরস্কার কতই চমৎকার।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারা প্রবেশ করে বলবে, ‘প্রশংসা আল্লাহ্ র , যিনি আমাদের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে অধিকারী করেছেন এই ভ‚মির; আমরা জান্নাতে যেখানে ইচ্ছা বসবাস করব।’ সদাচারীদের পুরস্কার কত উত্তম!


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা বলবে -- "সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র যিনি তাঁর ওয়াদা আমাদের কাছে পরিপূর্ণ করেছেন, আর তিনি পৃথিবীটা আমাদের উত্তরাধিকার করতে দিয়েছেন, আমরা এই জান্নাতে বসবাস করব যেখানে আমরা চাইব।" সুতরাং কর্মীদের এই পারিশ্রমিক কত উত্তম!


৭৫


وَتَرَی الۡمَلٰٓئِکَۃَ حَآفِّیۡنَ مِنۡ حَوۡلِ الۡعَرۡشِ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّہِمۡ ۚ  وَقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡحَقِّ وَقِیۡلَ الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ٪


ওয়া তারাল মালাইকাতা হাফফীনা মিন হাওলিল ‘আরশি ইউছাববিহূ না বিহামদি রাব্বিহিম, ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিলহাক্কি ওয়াকীলাল হামদুলিল্লা-হি রাব্বিল ‘আলামীন।


Mufti Taqi Usmani

And you will see the angels ringed around the Throne proclaiming the purity of their Lord, along with His praise, and matters will stand settled between them rightfully, and it will be said: “AlHamdulillāhi-rabbil‘ālamīn : Praise belongs to Allah, the Lord of the worlds.”


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাবে, তারা আরশের চারপাশ ঘিরে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে তাঁর তাসবীহ পাঠ করছে এবং মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচার করে দেওয়া হবে আর বলা হবে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনি ফেরেশতাগণকে দেখবেন, তারা আরশের চার পাশ ঘিরে তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষনা করছে। তাদের সবার মাঝে ন্যায় বিচার করা হবে। বলা হবে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং তুমি ফেরেশতাদেরকে দেখতে পাবে যে, এরা ‘আরশের চতুষ্পার্শ্বে ঘিরে এদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে। আর তাদের বিচার করা হবে ন্যায়ের সঙ্গে। বলা হবে, সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ র প্রাপ্য।


Post a Comment

0 Comments