কোরআন সূরা আল ফুছছিলাত,বৈশিষ্ট্য গুলো সূরা আল ফুছছিলাত,সূরা ফুছছিলাত আরবি লেখা,সূরা ফুছছিলাত ব্যাখ্যা,সুরা ফুছছিলাত প্রত্যেক রোগের ওষুধ বিশেষ, সূরা ফুছছিলাত বাংলা তাফসীর

সূরা ফুছছিলাত বাংলা উচ্চারণ সহ অনুবাদ,সূরা ফুছছিলাত বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল ফুছছিলাত বাংলা তরজমা,সূরা ফুছছিলাত বাংলা তাফসীর, আমল সূরা আল ফুছছিলাত, সকল আমল সূরা আল ফুছছিলাত

৪১ . হা-মীম আস-সিজদাহ্ (ফুছছিলাত) - ( فصّلت ) | সুস্পষ্ট বিবরণ

মাক্কী, মোট আয়াতঃ ৫৪


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ۚ


হা-মীম।


Mufti Taqi Usmani

Hā Mīm


মুফতী তাকী উসমানী

হা-মীম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হা-মীম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

হা-মীম।


মাওলানা জহুরুল হক

হা মীম!



تَنۡزِیۡلٌ مِّنَ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ۚ


তানঝীলুম মিনার রাহমা-নির রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

This is a revelation from the All-Merciful, the Very-Merciful-


মুফতী তাকী উসমানী

এ বাণী সেই সত্তার পক্ষ হতে অবতীর্ণ, যিনি সকলের প্রতি দয়াবান, পরম দয়ালু।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা অবতীর্ণ পরম করুণাময়, দয়ালুর পক্ষ থেকে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা দয়াময়, পরম দয়ালুর নিকট হতে অবতীর্ণ।


মাওলানা জহুরুল হক

পরম করুণাময় অফুরন্ত ফলদাতার কাছ থেকে এ এক অবতারণ --



کِتٰبٌ فُصِّلَتۡ اٰیٰتُہٗ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا لِّقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ ۙ


কিতা-বুন ফুসসিলাত আ-য়া-তুহূকুরআ-নান ‘আরাবিইয়াল লিকাওমিইঁ ইয়া‘লামূন।


Mufti Taqi Usmani

- a book whose verses are elaborated in the form of an Arabic Qur’ān for a people who understand,


মুফতী তাকী উসমানী

আরবী কুরআনরূপে এটি এমন কিতাব, জ্ঞান অর্জনকারীদের জন্য যার আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এক কিতাব, বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে এটার আয়াতসমূহ, আরবী ভাষায় কুরআন, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে,


মাওলানা জহুরুল হক

একটি গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত, আরবী কুরআন সেই লোকদের জন্য যারা জানে --



بَشِیۡرًا وَّنَذِیۡرًا ۚ فَاَعۡرَضَ اَکۡثَرُہُمۡ فَہُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡنَ


বাশীরাওঁ ওয়া নাযীরান ফাআ‘রাদা আকছারুহুম ফাহুম লা-ইয়াছমা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

as a bearer of good news and warning. Yet most of them turned away, so they do not listen.


মুফতী তাকী উসমানী

যা অবতীর্ণ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। তা সত্ত্বেও তাদের অধিকাংশই মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। ফলে তারা শুনতে পায় না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, অতঃপর তাদের অধিকাংশই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা শুনে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সুতরাং এরা শুনবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

সুসংবাদবাহক ও সতর্ককারী; কিন্ত তাদের অনেকেই সরে যায়, কাজেই তারা শোনে না।



وَقَالُوۡا قُلُوۡبُنَا فِیۡۤ اَکِنَّۃٍ مِّمَّا تَدۡعُوۡنَاۤ اِلَیۡہِ وَفِیۡۤ اٰذَانِنَا وَقۡرٌ وَّمِنۡۢ بَیۡنِنَا وَبَیۡنِکَ حِجَابٌ فَاعۡمَلۡ اِنَّنَا عٰمِلُوۡنَ ؓ


ওয়াকা-লূকুলূবুনা-ফীআকিন্নাতিম মিম্মা-তাদ‘ঊনাইলাইহি ওয়া ফীআ-যা-নিনাওয়াকরুওঁ ওয়া মিম বাইনিনা-ওয়া বাইনিকা হিজা-বুন ফা‘মাল ইন্নানা-‘আ-মিলূন।


Mufti Taqi Usmani

And they say, “Our hearts are (wrapped) in covers against that (faith) to which you invite us, and there is deafness in our ears, and there is a barrier between you and us. So, do (in your way). We too are doing (in our own way)”.


মুফতী তাকী উসমানী

(রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে) তারা বলে, তুমি আমাদেরকে যার দিকে ডাকছ, সে বিষয়ে আমাদের অন্তর গিলাফে ঢাকা, আমাদের কান বধির এবং আমাদের ও তোমার মাঝখানে আছে এক অন্তরাল। সুতরাং তুমি আপন কাজ করতে থাক আমরা আমাদের কাজ করছি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলে আপনি যে বিষয়ের দিকে আমাদের কে দাওয়াত দেন, সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণে আবৃত, আমাদের কর্ণে আছে বোঝা এবং আমাদের ও আপনার মাঝখানে আছে অন্তরাল। অতএব, আপনি আপনার কাজ করুন এবং আমরা আমাদের কাজ করি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা বলে, ‘তুমি যার প্রতি আমাদেরকে আহ্বান করছো সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আবরণ-আচ্ছাদিত, আমাদের কর্ণে আছে বধিরতা এবং তোমার ও আমাদের মধ্যে আছে অন্তরাল; সুতরাং তুমি তোমার কাজ কর এবং আমরা আমাদের কাজ করি।’

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা বলে -- "তুমি যার প্রতি আমাদের ডাকছ তা থেকে আমাদের হৃদয় ঢাকনির ভেতরে রয়েছে, আর আমাদের কানে রয়েছে বধিরতা, আর আমাদের মধ্যে ও তোমার মধ্যে রয়েছে একটি পর্দা কাজ করে যাও, আমরাও অবশ্য কাজ করে চলেছি।"



قُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ فَاسۡتَقِیۡمُوۡۤا اِلَیۡہِ وَاسۡتَغۡفِرُوۡہُ ؕ  وَوَیۡلٌ لِّلۡمُشۡرِکِیۡنَ ۙ


কুল ইন্নামাআনা বাশারুম মিছলুকুম ইঊহাইলাইয়া আন্নামাইলা-হুকুম ইলা-হুওঁ ওয়াহিদুন ফাছতাকীমূইলাইহি ওয়াছতাগফিরূহু ওয়া ওয়াইলুলিলল মুশরিকীন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “I am but a human being like you; it is revealed to me that your god is only One God. So, turn straight towards Him, and seek forgiveness from Him, and woe to the Mushriks (those who ascribe partners to Allah)


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) বলে দাও, আমি তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ। (অবশ্য) আমার প্রতি ওহী নাযিল হয় যে, তোমাদের মাবুদ একই মাবুদ। সুতরাং তোমরা তাঁরই অভিমুখী থাক এবং তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। ধ্বংস মুশরিকদের জন্য


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, আমিও তোমাদের মতই মানুষ, আমার প্রতি ওহী আসে যে, তোমাদের মাবুদ একমাত্র মাবুদ, অতএব তাঁর দিকেই সোজা হয়ে থাক এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর মুশরিকদের জন্যে রয়েছে দুর্ভোগ,


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্। অতএব তোমরা তাঁরই পথ দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর এবং তাঁরই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। দুর্ভোগ অংশীবাদীদের জন্যে-


মাওলানা জহুরুল হক

বলো, "আমি তো তোমাদের মতো একজন মানুষ মাত্র, আমার কাছে প্রত্যাদেশ হয়েছে যে তোমাদের উপাস্য নিশ্চয়ই একক উপাস্য, সুতরাং তাঁর দিকে সোজাসুজি পথ ধরো, আর তাঁরই কাছে পরিত্রাণ খোঁজো।" আর ধিক্ বহুখোদাবাদীদের প্রতি --



الَّذِیۡنَ لَا یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَہُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ کٰفِرُوۡنَ


আল্লাযীনা লা-ইউ’তূনাঝঝাকা-তা ওয়া হুম বিলআ-খিরাতি হুম কা-ফিরূন।


Mufti Taqi Usmani

who do not pay Zakāh ; and of the life of the Hereafter, they are deniers.”


মুফতী তাকী উসমানী

যারা যাকাত আদায় করে না। ১ আবার তারা আখেরাতের প্রতি সম্পূর্ণ অবিশ্বাসী।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা যাকাত দেয় না এবং পরকালকে অস্বীকার করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা যাকাত প্রদান করে না এবং এরা আখিরাতেও অবিশ্বাসী।


মাওলানা জহুরুল হক

যারা যাকাত প্রদান করে না, আর আখেরাত সম্পর্কে তারা স্বয়ং অবিশ্বাসী।


তাফসীরঃ

১. এ সূরাটি মক্কী। এ ছাড়া আরও কিছু মক্কী সূরায় যাকাত আদায়ের নির্দেশ রয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায়, যাকাত মক্কা মুকাররমায়ই ফরয হয়েছিল। অবশ্য এর বিস্তারিত বিধি-বিধান দেওয়া হয়েছে মদীনা মুনাওয়ারায়।



اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ اَجۡرٌ غَیۡرُ مَمۡنُوۡنٍ ٪


ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি লাহুম আজরুন গাইরু মামনূন।


Mufti Taqi Usmani

As for those who believe and do righteous deeds, for them there is a reward that will never be interrupted.


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য আছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।


মাওলানা জহুরুল হক

পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদের জন্য রয়েছে বাধাহীন প্রতিদান।



قُلۡ اَئِنَّکُمۡ لَتَکۡفُرُوۡنَ بِالَّذِیۡ خَلَقَ الۡاَرۡضَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ وَتَجۡعَلُوۡنَ لَہٗۤ اَنۡدَادًا ؕ  ذٰلِکَ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ۚ


কুল আইন্নাকুম লাতাকফুরূনা বিল্লাযী খালাকাল আরদা ফী ইয়াওমাইনি ওয়া তাজ‘আলূনা লাহূআনদা-দান যা-লিকা রাব্বুল ‘আ-লামীন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “Do you really disbelieve in the One who has created the earth in two days, and ascribe to Him partners? That is the Lord of the worlds.


মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, সত্যিই কি তোমরা সেই সত্তার সাথে কুফরী পন্থা অবলম্বন করছ, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তার সাথে অন্যকে শরীক করছ? তিনি তো জগতসমূহের প্রতিপালক!


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতেছ? তিনি তো জগতসমূহের প্রতিপালক!


মাওলানা জহুরুল হক

বলো -- "তোমরা কি ঠিকঠিকই তাঁকে অস্বীকার করছ যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে, আর তোমরা কি তাঁর সঙ্গে সমকক্ষ দাঁড় করাও? এমনজনই হচ্ছেন বিশ্বজগতের প্রভু।"


১০


وَجَعَلَ فِیۡہَا رَوَاسِیَ مِنۡ فَوۡقِہَا وَبٰرَکَ فِیۡہَا وَقَدَّرَ فِیۡہَاۤ اَقۡوَاتَہَا فِیۡۤ اَرۡبَعَۃِ اَیَّامٍ ؕ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِیۡنَ


ওয়া জা‘আলা ফীহা-রাওয়া-ছিআ মিন ফাওকিহা- ওয়া বা-রাকাফীহা-ওয়াকাদ্দারাফীহা আকওয়া-তাহা- ফীআরবা‘আতি আইয়া-মিন ছাওয়াআললিছছাইলীন।


Mufti Taqi Usmani

He has placed firm mountains in it (the earth) towering above it, and put blessings in it, and proportioned its foods therein, in four days, equal for those who ask.


মুফতী তাকী উসমানী

তিনি ভূমিতে সৃষ্টি করেছেন অবিচলিত পাহাড়, যা তার উপর উত্থিত রয়েছে। আর তাতে দিয়েছেন বরকত ২ এবং তাতে তার খাদ্য সৃষ্টি করেছেন সুষমভাবে (সবকিছুই) চারদিনে ৩ সকল যাচনাকারীর জন্য সমান। ৪


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তিনি স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা ভূপৃষ্ঠে এবং এতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনের মধ্যে এতে ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের সমভাবে, যাচ্ঞাকারীদের জন্যে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তার মধ্যে তার বহির্ভাগে তিনি স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, আর তাতে তিনি অনুগ্রহ অর্পণ করেছেন, আর তাতে তিনি ব্যবস্থা করেছেন এর খাদ্যসামগ্রী -- চার দিনে। অনুসন্ধানকারীদের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।


তাফসীরঃ

২. ভূমিতে বরকত দেওয়ার অর্থ, তিনি ভূমিতে সৃষ্টরাজির জন্য উপকারী ও কল্যাণকর বস্তু নিহিত রেখেছেন এবং এর জন্য এমন ব্যবস্থাপনা করেছেন যে, তা সৃষ্টির প্রয়োজন অনুযায়ী পরিমিত আকারে উদগত হয়।

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

৩. ‘সবকিছুই চারদিনে’ এর ভেতর পৃথিবী সৃষ্টির দু’দিনও রয়েছে, যেমন পূর্বের আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে। অর্থাৎ তিনি দু’দিনে সৃষ্টি করেছেন পৃথিবী এবং দু’দিনে সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীর পাহাড়-পর্বত, খাদ্য প্রভৃতি মানুষের প্রয়োজনীয় বস্তুরাজি। এভাবে পৃথিবী ও পৃথিবীর অন্তর্গত সমুদয় জিনিস মোট চারদিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর দু’দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে সাত আসমান। সুতরাং মোট ছয় দিনে সমগ্র বিশ্বজগতের সৃজন পূর্ণতা লাভ করেছে। যেমন সূরা আরাফ (৭ : ৫৪), সূরা ইউনুস (১০ : ৩), সূরা হুদ (১১ : ৭), সূরা ফুরকান (২৫ : ৫৯), সূরা আলিফ-লাম-মীম সাজদা (৩২ : ৪) ও সূরা হাদীদ (৫৭ : ৪)-এ বলা হয়েছে। আমরা সূরা আরাফে বলে এসেছি, এটা সেই সময়ের কথা, যখন দিনের হিসাব সূর্যের উদয়-অস্ত দ্বারা নয়, বরং অন্য কোন মাপকাঠি দ্বারা করা হত, যার যথাযথ জ্ঞান আল্লাহ তাআলারই আছে। যদিও আল্লাহ তাআলার এক মুহূর্তের মধ্যেই মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষমতা ছিল, কিন্তু তা না করে এভাবে দীর্ঘ সময় লাগানোর মাধ্যমে তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, তারা যেন কোন কাজে তাড়াহুড়া না করে; বরং ধীর-স্থিরভাবেই যেন সবকিছু আঞ্জাম দেয়। তাছাড়া এর মধ্যে আরও কত রহস্য নিহিত আছে, তা কেবল আল্লাহ তাআলারই জানা আছে।


৪. ‘সকল যাচনাকারীর জন্য সমান’ এ বাক্যটির দু’টি অর্থ হতে পারে। (এক) যে ব্যক্তিই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে প্রশ্ন করবে, তাদের সকলের জন্যই এই একই রকম উত্তর। (দুই) এস্থলে যাচনাকারী বলতে সমস্ত মাখলুক বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ, জিন, পশু-পাখি যে-কেউ ভূমি থেকে খাদ্য পেতে চাইবে আল্লাহ তাআলা সকলকেই সমান সুযোগ দিয়েছেন যে, প্রত্যেকেই তা থেকে নিজ-নিজ খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবে। মুফাসসিরগণ এ বাক্যটির এ দু’রকম তাফসীরই করেছেন। তরজমায়ও উভয়ের অবকাশ আছে।


১১


ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ وَہِیَ دُخَانٌ فَقَالَ لَہَا وَلِلۡاَرۡضِ ائۡتِیَا طَوۡعًا اَوۡ کَرۡہًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَیۡنَا طَآئِعِیۡنَ


ছু ম্মাছ তাওয়াইলাছ ছামাই ওয়াহিয়া দুখা-নুন ফাকা-লা লাহা-ওয়ালিল আরদি’তিয়া তাও‘আন আও কার হান কা-লাতাআতাইনা-তাই‘ঈন।


Mufti Taqi Usmani

Then He turned straight to the sky, while it was a smoke, and said to it and to the earth, “Come (to My obedience), both of you, willingly or unwillingly.” Both said, “We come willingly.”


মুফতী তাকী উসমানী

তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দান করলেন, যা ছিল ধোঁয়া রূপে। ৫ তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা চলে এসো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। উভয়ে বলল, আমরা ইচ্ছাক্রমেই আসলাম। ৬


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অনন্তর তিনি একে ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।’ এরা বলল, ‘আমরা এলাম অনুগত হয়ে।’


মাওলানা জহুরুল হক

তারপর তিনি ফিরলেন আকাশের দিকে আর সেটি ছিল এক ধূম্রজাল। অনন্তর তিনি এটিকে ও পৃথিবীকে বললেন -- "তোমরা উভয়ে এসো স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়।" তারা বললে -- "আমরা আসছি অনুগত হয়ে।"


তাফসীরঃ

৫. প্রথম দিকে আল্লাহ তাআলা আকাশের মূল উপাদান সৃষ্টি করেছিলেন, যা ছিল ধোঁয়ার আকারে। তারপর দু’দিনে তাকে সাত আকাশের রূপ দান করেন এবং তার জন্য স্বতন্ত্র ব্যবস্থা স্থির করে দেন।


৬. ‘চলে এসো’এর অর্থ আমার আজ্ঞাধীন হয়ে যাও। সেই সঙ্গে এটাও বলে দেওয়া হল যে, তোমরা যদি স্বেচ্ছায় আমার আজ্ঞাধীন হতে না চাও, তবুও তোমাদেরকে জোরপূর্বক আমার আদেশ মানতে বাধ্য করা হবে। আমার হুকুমের বাইরে তোমরা যেতে পারবে না। অর্থাৎ আসমান ও যমীনে কাজ সেটাই হবে, যার নির্দেশ আমি নিজ হেকমত অনুযায়ী সৃষ্টিগতভাবে করব। তোমাদের মধ্যে এই ক্ষমতাই দেওয়া হয়নি যে, তোমরা আমার সৃষ্টিগত ও প্রাকৃতিক আদেশের বিরোধিতা করবে। সুতরাং তোমরা আপন খুশিতে করতে না চাইলেও জবরদস্তিমূলকভাবে করতে হবে সেটাই, যা আমার আদেশ হবে। এর দ্বারা স্পষ্ট করা হয়েছে, মানুষের ব্যাপার সৃষ্টি জগতের অন্য সব মাখলুক থেকে আলাদা। মানুষ আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে দু’রকম বিধান পেয়েছে। এক তো তাকবীনী বা প্রাকৃতিক বিধান, যেমন সে কখন জন্ম নেবে, কত বয়স পাবে, তার কি কি রোগ হবে, তার সন্তান-সন্ততি কত হবে, কেমন হবে ইত্যাদি। এসব বিষয় আল্লাহ তাআলার ইচ্ছাধীন। এক্ষেত্রে মানুষে আর অন্যান্য মাখলুকে কোন তফাত নেই। অন্যদের মত মানুষও আল্লাহ তাআলার হুকুম অনুযায়ী চলতে বাধ্য। এস্থলে আসমান-যমীনের সাথে আল্লাহ তাআলার এ কথাবার্তা আক্ষরিক অর্থেও হতে পারে এবং প্রতীকী অর্থেও হতে পারে। কিন্তু সে যাই হোক না কেন এর দ্বারা মানুষকে বলা উদ্দেশ্য হল, প্রাকৃতিক বিধানের ক্ষেত্রে যেহেতু সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহ তাআলার হুকুম মত চলতে বাধ্য, তাই তারা সে অনুযায়ী ইচ্ছায় চলুক বা অনিচ্ছায়, হবে সেটাই যা আল্লাহ তাআলা চান। সুতরাং একজন বান্দা হিসেবে মানুষের উচিত সেই পন্থাই অবলম্বন করা, যা অবলম্বন করেছে আসমান-যমীন। তারা বলেছিল, আমরা খুশী মনে আল্লাহ তাআলার আজ্ঞাধীন হয়ে থাকব। সুতরাং মানুষেরও কর্তব্য যেসব বিষয়ে নিজ ইচ্ছার কোন ভূমিকা নেই, সেসব বিষয়কে আল্লাহ তাআলার হুকুম মনে করে অন্ততপক্ষে বৌদ্ধিকভাবে খুশী থাকা। আল্লাহ তাআলার দ্বিতীয় রকমের বিধান হল শরীয়তগত। অর্থাৎ কোন জিনিস হালাল, কোনটি হারাম এবং আল্লাহ তাআলা কোন কাজ পছন্দ করেন ও কোন কাজ অপছন্দ করেন এ সংক্রান্ত বিধানাবলী। মানুষকে আদেশ করা হয়েছে, সে যেন আল্লাহ তাআলার যা পছন্দ সেই কাজই করে, কিন্তু এজন্য তাকে প্রাকৃতিক বিধানাবলীর মত বাধ্য করে দেওয়া হয়নি যে, চাক বা না চাক তা না করে সে পারবে না। বরং এসব বিধান দেওয়ার পর তাকে এই এখতিয়ারও দেওয়া হয়েছে যে, চাইলে সে তা পালন করবে আর চাইলে করবে না। এভাবে তার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে যে, সে স্বেচ্ছায় আনুগত্য করে না অবাধ্যতা করে। এর পরিণামে হয় জান্নাত লাভ করবে, নয়ত জাহান্নামে যাবে। অন্যান্য সৃষ্টিকে যেহেতু এ রকম পরীক্ষায় ফেলা হয়নি, তাই তাদেরকে শরীয়তগত বিধানও দেওয়া হয়নি এবং অবাধ্যতা করার ক্ষমতাও নয়। মানুষের কর্তব্য এ জাতীয় বিধানকেও স্বেচ্ছায়, সাগ্রহে মেনে চলা। কেননা তার স্থায়ী জীবনের সাফল্য এর উপর নির্ভরশীল।


১২


فَقَضٰہُنَّ سَبۡعَ سَمٰوَاتٍ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ وَاَوۡحٰی فِیۡ کُلِّ سَمَآءٍ اَمۡرَہَا ؕ وَزَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِمَصَابِیۡحَ ٭ۖ وَحِفۡظًا ؕ ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ


ফাকাদা-হুন্না ছাব ‘আ ছামা-ওয়া-তিন ফী ইয়াওমাইনি ওয়া আওহা-ফী কুল্লি ছামাইন আমরাহা- ওয়া ঝাইয়ান্নাছ ছামাআদ্দুনইয়া-বিমাসা-বীহা ওয়া হিফজান যালিকা তাকদীরুল ‘আঝীঝিল ‘আলীম।


Mufti Taqi Usmani

So He accomplished them as seven skies in two days, and settled in every sky its (due) thing. And We have decorated the closest sky with lamps, and protected it properly. All this is the determination of the All-Mighty, the All-Knowing.


মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর তিনি নিজ ফায়সালা অনুযায়ী দু’দিনে তাকে সাত আকাশে পরিণত করলেন এবং প্রতি আকাশে তার উপযোগী আদেশ প্রেরণ করলেন। ৭ আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সাজিয়েছি এবং তাকে করেছি সুরক্ষিত। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)-এর পরিমিত ব্যবস্থাপনা।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরপর তিনি আকাশমণ্ডলকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশে এর বিধান ব্যক্ত করলেন, এবং আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দিয়ে এবং করলাম সুরক্ষিত। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহ্ র ব্যবস্থাপনা।


মাওলানা জহুরুল হক

তারপর তিনি তাদের সম্পূর্ণ করলেন সাত আসমানে, দুই দিনে, আর প্রত্যেক আকাশে তিনি আদেশ করেছেন তার করণীয়। আর আমরা নিকটবর্তী আকাশকে শোভিত করেছি প্রদীপমালা দিয়ে, আর সুরক্ষিত অবস্থায়। এটিই মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতার বিধান।


তাফসীরঃ

৭. অর্থাৎ আকাশমণ্ডলীর নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যেসব বিধান উপযোগী ছিল, সংশ্লিষ্ট মাখলুকদেরকে তা প্রদান করলেন।


১৩


فَاِنۡ اَعۡرَضُوۡا فَقُلۡ اَنۡذَرۡتُکُمۡ صٰعِقَۃً مِّثۡلَ صٰعِقَۃِ عَادٍ وَّثَمُوۡدَ ؕ


ফাইন আ‘রাদূ ফাকুলআনযারতুকুম সা-‘ইকাতাম মিছলা সা-‘ইকাতি ‘আ-দিওঁ ওয়া ছামূদ।


Mufti Taqi Usmani

So, if they turn away, then say, “I have warned you of a calamity like the calamity of ‘Ād and Thamūd,


মুফতী তাকী উসমানী

তারপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দাও, আমি তোমাদেরকে সতর্ক করেছি তেমনি বজ্র সম্পর্কে, যেমন বজ্র অবতীর্ণ হয়েছিল আদ ও ছামূদ (জাতি)-এর উপর।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলুন, আমি তোমাদেরকে সতর্ক করলাম এক কঠোর আযাব সম্পর্কে আদ ও সামুদের আযাবের মত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবুও এরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বল, ‘আমি তো তোমাদেরকে সতর্ক করছি এক ধ্বংসকর শাস্তির, আদ ও সামূদের শাস্তির অনুরূপ।’


মাওলানা জহুরুল হক

এর পরেও তারা যদি ফিরে যায় তাহলে তুমি বলো -- "আমি তোমাদের হুশিয়াঁর করে দিচ্ছি 'আদ ও ছামূদের বজ্রাঘাতের ন্যায় এক বজ্রাঘাত সন্বন্ধে।"


১৪


اِذۡ جَآءَتۡہُمُ الرُّسُلُ مِنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ وَمِنۡ خَلۡفِہِمۡ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّا اللّٰہَ ؕ قَالُوۡا لَوۡ شَآءَ رَبُّنَا لَاَنۡزَلَ مَلٰٓئِکَۃً فَاِنَّا بِمَاۤ اُرۡسِلۡتُمۡ بِہٖ کٰفِرُوۡنَ


ইযজাআতহুমুর রুছুলুমিম বাইনি আইদীহিম ওয়া মিন খালফিহিম আল্লা-তা‘বুদূ ইল্লাল্লাহা কা-লূলাও শাআ রাব্বুনা-লাআনঝালা মালাইকাতান ফাইন্না-বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।


Mufti Taqi Usmani

when the messengers came to them from their front and from their rear, saying, “Do not worship anyone but Allah.” They said, “Had our Lord (really) willed (to send someone as messenger), He would have sent down angels. So, we are deniers of what you have been sent with.”


মুফতী তাকী উসমানী

এটা সেই সময়ের কথা, যখন তাদের কাছে রাসূলগণ এসেছিল (কখনও) তাদের সম্মুখ দিক থেকে এবং (কখনও) তাদের পিছন দিক থেকে, ৮ এই বার্তা নিয়ে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না। তারা বলেছিল, আমাদের প্রতিপালক চাইলে ফেরেশতাদেরকে পাঠাতেন। সুতরাং তোমাদেরকে যে বিষয়সহ পাঠানো হয়েছে আমরা তা মানতে অস্বীকার করছি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন তাদের কাছে রসূলগণ এসেছিলেন সম্মুখ দিক থেকে এবং পিছন দিক থেকে এ কথা বলতে যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারও পূজা করো না। তারা বলেছিল, আমাদের পালনকর্তা ইচ্ছা করলে অবশ্যই ফেরেশতা প্রেরণ করতেন, অতএব, আমরা তোমাদের আনীত বিষয় অমান্য করলাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন এদের নিকট রাসূলগণ এসেছিল এদের সম্মুখ ও পশ্চাৎ হতে এবং বলেছিল, ‘তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত কারও ‘ইবাদত কর না।’ তখন এরা বলেছিল, ‘আমাদের প্রতিপালকের এইরূপ ইচ্ছা হলে তিনি অবশ্যই ফেরেশতা প্রেরণ করতেন। অতএব তোমরা যাসহ প্রেরিত হয়েছ, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করলাম।’


মাওলানা জহুরুল হক

স্মরণ করো! রসূলগণ তাদের কাছে এসেছিলেন তাদের সামনে থেকে ও তাদের পেছন থেকে এই বলে -- "আল্লাহ্ ব্যতীত কারো উপাসনা করো না।" তারা বলেছিল -- "আমাদের প্রভু যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই ফিরিশ্‌তাদের পাঠাতে পারতেন, সেজন্য তোমাদের যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা আলবৎ তাতে অবিশ্বাসী।"


তাফসীরঃ

৮. এটা একটা বাকশৈলী। বোঝানো উদ্দেশ্য, রাসূলগণ তাদেরকে সকল পন্থায় বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।


১৫


فَاَمَّا عَادٌ فَاسۡتَکۡبَرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَقَالُوۡا مَنۡ اَشَدُّ مِنَّا قُوَّۃً ؕ اَوَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّ اللّٰہَ الَّذِیۡ خَلَقَہُمۡ ہُوَ اَشَدُّ مِنۡہُمۡ قُوَّۃً ؕ وَکَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا یَجۡحَدُوۡنَ


ফাআম্মা-‘আ-দুন ফাছতাকবারূফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কিওয়া কা-লূমান আশাদ্দা মিন্না-কুওওয়াতান আওয়ালাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হাল্লাযী খালাকাহুম হুওয়া আশাদ্দু মিনহুম কুওওয়াতাওঁ ওয়া কা-নূবিআ-য়া-তিনা-ইয়াজহাদূ ন।


Mufti Taqi Usmani

As for ‘Ād, they showed arrogance in the land with no right (to do so), and said, “Who is stronger than us in power?” Did they not see that Allah, who created them, is stronger than them in power? And they used to reject Our signs.


মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর আদের ঘটনা তো এই ঘটল যে, তারা পৃথিবীতে অন্যায় দম্ভ প্রদর্শন করতে লাগল এবং বলল, শক্তিতে আমাদের উপরে কে আছে? তবে কি তারা অনুধাবন করল না যে, যেই আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন শক্তিতে তিনি তাদের অনেক উপরে? আর তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করতে থাকল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা ছিল আদ, তারা পৃথিবীতে অযথা অহংকার করল এবং বলল, আমাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিধর কে? তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, যে আল্লাহ তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অপেক্ষা অধিক শক্তিধর ? বস্তুতঃ তারা আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর ‘আদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার এই যে, এরা পৃথিবীতে অযথা দম্ভ করত এবং বলত, ‘আমাদের অপেক্ষা শক্তিশালী কে আছে ?’ এরা কি তবে লক্ষ্য করে নাই যে, আল্লাহ্, যিনি এদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি এদের অপেক্ষা শক্তিশালী ? অথচ এরা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করত।


মাওলানা জহুরুল হক

বস্তুতঃ 'আদ-এর ক্ষেত্রে -- তারা তখন পৃথিবীতে যুক্তি ব্যতিরেকে অহঙ্কার করত, আর বলত -- "আমাদের চেয়ে বলবিক্রমে বেশী শক্তিশালী কে আছে?" তারা কি তবে দেখতে পায় নি যে, আল্লাহ্ যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের চেয়ে বলবিক্রমে অধিক বলীয়ান? আর তারা আমাদের নির্দেশাবলী সন্বন্ধে বাদ-প্রতিবাদ করত।


১৬


فَاَرۡسَلۡنَا عَلَیۡہِمۡ رِیۡحًا صَرۡصَرًا فِیۡۤ اَیَّامٍ نَّحِسَاتٍ لِّنُذِیۡقَہُمۡ عَذَابَ الۡخِزۡیِ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ؕ وَلَعَذَابُ الۡاٰخِرَۃِ اَخۡزٰی وَہُمۡ لَا یُنۡصَرُوۡنَ


ফাআরছালনা-‘আলাইহিম রীহান সারসারান ফীআইয়া-মিন নাহিছা-তিল লিনুযীকাহুম ‘আযা-বাল খিঝই ফিল হায়া-তিদ্দুইয়া- ওয়ালা‘আযা-বুল আ-খিরাতি আখঝাওয়াহুম লা-ইউনসারূন।


Mufti Taqi Usmani

So, We let loose a wild wind on them in unlucky days to make them taste the humiliating punishment in the present life. And of course, the punishment of the Hereafter will be much more humiliating, and they will not be helped.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং আমি অশুভ কতক দিনে তাদের উপর পাঠালাম প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া, তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করানোর জন্য। ৯ আর আখেরাতের শাস্তি তো আরও বেশি লাঞ্ছনাকর এবং তারা পাবে না কোন সাহায্য।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর আমি তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার আযাব আস্বাদন করানোর জন্যে তাদের উপর প্রেরণ করলাম ঝঞ্ঝাবায়ু বেশ কতিপয় অশুভ দিনে। আর পরকালের আযাব তো আরও লাঞ্ছনাকর এমতাবস্থায় যে, তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরপর আমি এদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাইবার জন্যে এদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু অশুভ দিনে। আখিরাতের শাস্তি তো অধিকতর লাঞ্ছনাদায়ক এবং এদেরকে সাহায্য করা হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

সেজন্য আমরা তাদের উপরে পাঠিয়েছিলাম এক ভয়ংকর ঝড়তুফান অশুভ দিনে, যেন আমরা পার্থিব জীবনেই তাদের আস্বাদন করাতে পারি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। আর আখেরাতের শাস্তি নিশ্চয়ই আরো বেশী লাঞ্ছনাদায়ক, আর তাদের সাহায্য করা হবে না।


তাফসীরঃ

৯. কুরআন-হাদীছের বহু দলীল দ্বারা প্রমাণিত যে, যেহেতু সবগুলো দিন আল্লাহ তাআলারই সৃষ্টি, তাই এমনিতে এর কোনও দিনই সাধারণভাবে অশুভ নয়। এস্থলে অশুভ দিন দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য যে, সে দিনগুলো বিশেষভাবে তাদের পক্ষে বড় অশুভ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।


১৭


وَاَمَّا ثَمُوۡدُ فَہَدَیۡنٰہُمۡ فَاسۡتَحَبُّوا الۡعَمٰی عَلَی الۡہُدٰی فَاَخَذَتۡہُمۡ صٰعِقَۃُ الۡعَذَابِ الۡہُوۡنِ بِمَا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ ۚ


ওয়া আম্মা-ছামূদুফাহাদাইনা-হুম ফাছতাহাব্বুল ‘আমা-‘আলাল হুদা-ফাআখাযাতহুম সা-‘ইকাতুল ‘আযা-বিল হূনি বিমা-কা-নূইয়াকছিবূন।


Mufti Taqi Usmani

As for Thamūd, We showed them the way, but they preferred blindness to the guidance. Therefore, they were seized by the bang of the abasing punishment because of what they used to earn.


মুফতী তাকী উসমানী

আর ছামূদের ঘটনা হল আমি তাদেরকে সরল পথ দেখিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সরল পথ অবলম্বনের চেয়ে বিভ্রান্ত থাকাকেই বেশি পছন্দ করল। সুতরাং তারা যা অর্জন করেছিল তার ফলে তাদেরকে আঘাত হানল লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির বজ্র।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যারা সামূদ, আমি তাদেরকে প্রদর্শন করেছিলাম, অতঃপর তারা সৎপথের পরিবর্তে অন্ধ থাকাই পছন্দ করল। অতঃপর তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদেরকে অবমাননাকর আযাবের বিপদ এসে ধৃত করল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর সামূদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার তো এই যে, আমি এদেরকে পথনির্দেশ করেছিলাম, কিন্তু এরা সৎপথের পরিবর্তে ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করেছিল। এরপর এদেরকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির বজ্র আঘাত হানিল এদের কৃতকর্মের পরিণামস্বরূপ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর ছামূদের ক্ষেত্রে -- আমরা তো তাদের পথ দেখিয়েছিলাম কিন্ত তারা পথ দেখার পরিবর্তে অন্ধত্ব ভালবেসেছিল, কাজেই তারা যা অর্জন করেছিল সেজন্য এক লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির বজ্রাঘাত তাদের পাকড়াও করেছিল।


১৮


وَنَجَّیۡنَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَکَانُوۡا یَتَّقُوۡنَ ٪


ওয়া নাজ্জাইনাল্লাযীনা আ-মানূওয়াকা-নূইয়াত্তাকূন।


Mufti Taqi Usmani

And We saved those who believed and used to be God-fearing.


মুফতী তাকী উসমানী

অপর দিকে যারা ঈমান এনেছিল ও তাকওয়া অবলম্বন করেছিল, আমি তাদেরকে রক্ষা করলাম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল ও সাবধানে চলত, আমি তাদেরকে উদ্ধার করলাম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি রক্ষা করলাম তাদেরকে, যারা ঈমান এনেছিল এবং যারা তাক্ওয়া অবলম্বন করত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা উদ্ধার করেছিলাম তাদের যারা বিশ্বাস করেছিল এবং ভয়ভক্তি পোষণ করত।


১৯


وَیَوۡمَ یُحۡشَرُ اَعۡدَآءُ اللّٰہِ اِلَی النَّارِ فَہُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ


ওয়া ইয়াওমা ইউহশারু আ‘দাউল্লা-হি ইলান্না-রি ফাহুম ইউঝা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

(Remind them of) the day when Allah’s enemies will be mustered towards the Fire. So they will be kept under control,


মুফতী তাকী উসমানী

সেই দিনকে স্মরণ রাখ, যে দিন আল্লাহর শত্রুদেরকে একত্র করে আগুনের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে আর তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা হবে। ১০


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যেদিন আল্লাহর শত্রুদেরকে অগ্নিকুন্ডের দিকে ঠেলে নেওয়া হবে। এবং ওদের বিন্যস্ত করা হবে বিভিন্ন দলে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যেদিন আল্লাহ্ র শত্রুদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে সেদিন এদেরকে বিন্যস্ত করা হবে বিভিন্ন দলে,


মাওলানা জহুরুল হক

আর সেই দিন যখন আল্লাহ্‌র শত্রুদের সমবেত করা হবে আগুনের দিকে, ফলে ওদের দল বাঁধা হবে, --


তাফসীরঃ

১০. অর্থাৎ একেক ধরনের অপরাধীদেরকে একেকটি দলে ভাগ করে দেওয়া হবে। তারপর তাদেরকে জাহান্নামের কাছে অপেক্ষায় রাখা হবে যাতে সমস্ত দল সেখানে সমবেত হয়ে যায় (-অনুবাদক, তাফসীরে উসমানী থেকে গৃহীত)।


২০


حَتّٰۤی اِذَا مَا جَآءُوۡہَا شَہِدَ عَلَیۡہِمۡ سَمۡعُہُمۡ وَاَبۡصَارُہُمۡ وَجُلُوۡدُہُمۡ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ


হাত্তাইযা-মা-জাউহা-শাহিদা ‘আলাইহিম ছাম‘উহুম ওয়া আবসা-রুহম ওয়া জুলূদুহুম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।


Mufti Taqi Usmani

until when they will come to it, their ears and their eyes and their skins will testify against them about what they used to do.


মুফতী তাকী উসমানী

অবশেষে যখন তারা তার (অর্থাৎ আগুনের) কাছে পৌঁছবে, তখন তাদের কান, তাদের চোখ ও তাদের চামড়া তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। ১১


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা যখন জাহান্নামের কাছে পৌঁছাবে, তখন তাদের কান, চক্ষু ও ত্বক তাদের কর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পরিশেষে যখন এরা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছিবে তখন এদের কর্ণ, চোখ ও ত্বক এদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিবে, এদের বিরুদ্ধে।


মাওলানা জহুরুল হক

পরিশেষে যখন তারা এর কাছে আসবে তখন তাদের কান ও তাদের চোখ ও তাদের ছাল-চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তারা যা করত সে-সন্বন্ধে।


তাফসীরঃ

১১. মুশরিকগণ প্রথম দিকে আতঙ্কিত অবস্থায় মিথ্যা বলে দেবে যে, আমরা কখনও শিরক করিনি, যেমন সূরা আনআমে (৬ : ২৩) বর্ণিত হয়েছে। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়াবেন।


২১


وَقَالُوۡا لِجُلُوۡدِہِمۡ لِمَ شَہِدۡتُّمۡ عَلَیۡنَا ؕ قَالُوۡۤا اَنۡطَقَنَا اللّٰہُ الَّذِیۡۤ اَنۡطَقَ کُلَّ شَیۡءٍ وَّہُوَ خَلَقَکُمۡ اَوَّلَ مَرَّۃٍ وَّاِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ


ওয়াকা-লূলিজুলূদিহিম লিমা শাহিত্তুম ‘আলাইনা- কা-লূআনতাকানাল্লা-হুল্লাযী আনতাকা কুল্লা শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া খালাকাকুম আওওয়ালা মাররাতিওঁ ওয়া ইলাইহি তুর জা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

And they will say to their skins, “Why did you testify against us?” They (the skins) will say, “We were made to speak by Allah, the One who has made every thing to speak.” And He had created you the first time, and to Him you are going to be returned.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা তাদের চামড়াকে বলবে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে কেন? তারা বলবে, আল্লাহ আমাদেরকে বাকশক্তি দান করেছেন, যিনি বাকশক্তি দান করেছেন প্রতিটি জিনিসকে। তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন প্রথমবার আর তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা তাদের ত্বককে বলবে, তোমরা আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিলে কেন? তারা বলবে, যে আল্লাহ সব কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি আমাদেরকেও বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনিই তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

জাহান্নামীরা এদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন ?’ উত্তরে এরা বলবে, ‘আল্লাহ্, যিনি আমাদেরকে বাকশক্তি দিয়েছেন তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন প্রথমবার এবং তাঁরই নিকটে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর তারা নিজেদের ছাল-চামড়াকে বলবে -- "তোমরা কেন আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে?" তারা বলবে -- আল্লাহ্ যিনি সব- কিছুকে কথা বলান, তিনিই আমাদের কথা বলিয়েছেন।" আর তিনি তোমাদের প্রথমবারে সৃষ্টি করেছেন, আর তাঁরই কাছে তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।


২২


وَمَا کُنۡتُمۡ تَسۡتَتِرُوۡنَ اَنۡ یَّشۡہَدَ عَلَیۡکُمۡ سَمۡعُکُمۡ وَلَاۤ اَبۡصَارُکُمۡ وَلَا جُلُوۡدُکُمۡ وَلٰکِنۡ ظَنَنۡتُمۡ اَنَّ اللّٰہَ لَا یَعۡلَمُ کَثِیۡرًا مِّمَّا تَعۡمَلُوۡنَ


ওয়ামা-কুনতুম তাছতাতিরূনা আইঁ ইয়াশহাদা ‘আলাইকুম ছাম‘উকুম ওয়ালাআবসা-রুকুম ওয়ালা- জুলূদুকুম ওয়ালা- কিন জানানতুম আন্নাল্লা-হা লা- ইয়া‘লামুকাছীরাম মিম্মাতা‘মালূন।


Mufti Taqi Usmani

And you had not been hiding your selves (when committing sins) from your ears and your eyes and your skins that would bear witness against you, but you thought that Allah did not know much of what you did.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং (গোনাহ করার সময়) তোমরা তো তোমাদের বিরুদ্ধে তোমাদের কান, চোখ ও চামড়ার সাক্ষ্যদান থেকে আত্মগোপন করতে সক্ষম ছিলে না। বরং তোমাদের ধারণা ছিল আল্লাহ তোমাদের কর্মের বহু কিছুই জানেন না। ১২


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমাদের কান, তোমাদের চক্ষু এবং তোমাদের ত্বক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে না ধারণার বশবর্তী হয়ে তোমরা তাদের কাছে কিছু গোপন করতে না। তবে তোমাদের ধারণা ছিল যে, তোমরা যা কর তার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘তোমরা কিছু গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চোখ ও ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না-ওপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ্ জানেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তোমাদের কান তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার ব্যাপারে তোমরা কিছুই গোপন রাখতে না, আর তোমাদের চোখের থেকেও নয়, আর তোমাদের ছাল-চামড়া থেকেও নয়, উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে তোমরা যা করেছিলে তার অধিকাংশই আল্লাহ্ জানেন না।


তাফসীরঃ

১২. বুখারী শরীফের এক হাদীছে আছে, কতক নির্বোধ কাফের মনে করত, তারা গোপনে কোন গোনাহ করলে আল্লাহ তাআলা তা জানতে পারেন না। তখন তাদের বিশ্বাস ছিল, তাদের সে গোনাহের কোন সাক্ষীও থাকবে না এবং আল্লাহ তাআলা তা জানতেও পারবেন না (নাউযুবিল্লাহ)। কিন্তু আল্লাহ তাআলা নিজেই যে তাদের কর্মের প্রত্যক্ষদর্শী এবং খোদ তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে যাবে সেটা তাদের কল্পনায় ছিল না।


২৩


وَذٰلِکُمۡ ظَنُّکُمُ الَّذِیۡ ظَنَنۡتُمۡ بِرَبِّکُمۡ اَرۡدٰىکُمۡ فَاَصۡبَحۡتُمۡ مِّنَ الۡخٰسِرِیۡنَ


ওয়া যা-লিকুম জান্নুকুমুল্লাযীজানানতুম বিরাব্বিকুম আর দা-কুম ফাআসবাহতুম মিনাল খা-ছিরীন।


Mufti Taqi Usmani

This thought of yours that you conceived about your Lord brought you to ruin, and you became among the losers.


মুফতী তাকী উসমানী

আপন প্রতিপালক সম্পর্কে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদেরকে ধ্বংস করেছে। পরিণামে তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তোমাদের পালনকর্তা সম্বন্ধে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদেরকে ধ্বংস করেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘তোমাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের এই ধারণাই তোমাদের ধ্বংস এনেছে। ফলে তোমরা হয়েছ ক্ষতিগ্রস্ত।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর তোমাদের এমনতর ভাবনাটাই যা তোমরা ভাবতে তোমাদের প্রভু সন্বন্ধে তা-ই তোমাদের ধ্বংস করেছে, ফলে সকালসকালই তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছ।


২৪


فَاِنۡ یَّصۡبِرُوۡا فَالنَّارُ مَثۡوًی لَّہُمۡ ۚ وَاِنۡ یَّسۡتَعۡتِبُوۡا فَمَا ہُمۡ مِّنَ الۡمُعۡتَبِیۡنَ


ফাইয়ঁইয়াসবিরূফান্না-রু মাছওয়াল লাহুম ওয়া ইয়ঁইয়াছতা‘তিবূফামা-হুম মিনাল মু‘তাবীন।


Mufti Taqi Usmani

Now, if they endure patiently, even then the Fire is their abode, and if they seek forgiveness, they are not among those (who could be) forgiven.


মুফতী তাকী উসমানী

এখন তারা ধৈর্য ধারণ করলেও জাহান্নামই হবে তাদের ঠিকানা আর যদি অজুহাত প্রদর্শন করে, তবে যাদের অজুহাত গৃহীত হবে, তাদের অন্তর্ভুক্ত এদেরকে করা হবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর যদি তারা সবর করে, তবুও জাহান্নামই তাদের আবাসস্থল। আর যদি তারা ওযরখাহী করে, তবে তাদের ওযর কবুল করা হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এখন এরা ধৈর্য ধারণ করলেও জাহান্নামই হবে এদের আবাস এবং এরা অনুগ্রহ চাইলেও এরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

কাজেই তারা যদি অধ্যবসায় করে তাহলে আগুনই হবে তাদের অবস্থানস্থল, আর যদি তারা সদয়তা চায় তাহলে তারা নুগ্রহপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।


২৫


وَقَیَّضۡنَا لَہُمۡ قُرَنَآءَ فَزَیَّنُوۡا لَہُمۡ مَّا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَمَا خَلۡفَہُمۡ وَحَقَّ عَلَیۡہِمُ الۡقَوۡلُ فِیۡۤ اُمَمٍ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ مِّنَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ ۚ  اِنَّہُمۡ کَانُوۡا خٰسِرِیۡنَ ٪


ওয়া কাইয়াদনা-লাহুম কুরানাআ ফাঝাইয়ানূলাহুম মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামাখালফাহুম ওয়াহাক্কা ‘আলাইহিমুল কাওলুফীউমামিন কাদ খালাত মিন কাবলিহিম মিনাল জিন্নি ওয়ালইনছি ইন্নাহুম কা-নূখা-ছিরীন।


Mufti Taqi Usmani

And We had assigned for them fellows (in the worldly life) who beautified for them what was before them and what was behind them. And (thus) the word (of punishment) became due against them along with the communities that passed before them from Jinns and human beings. Surely they were the losers.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি (দুনিয়ায়) তাদের পেছনে কিছু সহচর লাগিয়ে দিয়েছিলাম, যারা তাদের সম্মুখ ও পিছনের সমস্ত কাজকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করে দিয়েছিল। ১৩ ফলে তাদের পূর্বে অতিবাহিত জিন্ন ও মানব জাতিসমূহের অন্তর্ভুক্তরূপে তাদের উপরও (শাস্তির) কথা সত্যে পরিণত হয়েছে। নিশ্চয়ই তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তাদের পেছনে সঙ্গী লাগিয়ে দিয়েছিলাম, অতঃপর সঙ্গীরা তাদের অগ্র-পশ্চাতের আমল তাদের দৃষ্টিতে শোভনীয় করে দিয়েছিল। তাদের ব্যাপারেও শাস্তির আদেশ বাস্তবায়িত হল, যা বাস্তবায়িত হয়েছিল তাদের পূর্ববতী জিন ও মানুষের ব্যাপারে। নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি এদের জন্যে নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সহচর, যারা এদের সামনে ও পশ্চাতে যা আছে তা এদের দৃষ্টিতে শোভন করে দেখিয়েছিল এবং এদের ব্যাপারেও এদের পূর্ববর্তী জিন ও মানুষদের ন্যায় শাস্তির বাণী বাস্তব হয়েছে। এরা তো ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা তাদের জন্য সঙ্গী বানিয়েছিলাম, তাই তাদের জন্য তারা চিত্তাকর্ষক করেছিল যা তাদের সম্মুখে ছিল আর যা তাদের পশ্চাতে ছিল, আর তাদের বিরুদ্ধে বাণী সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে, -- জিনদের ও মানুষদের মধ্যের যারা তাদের পূর্বে গত হয়ে গেছে সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে, নিঃসন্দেহ তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত।


তাফসীরঃ

১৩. এ আয়াতে যে সহচরের কথা বলা হয়েছে, তারা দু’রকমের। (এক) একদল শয়তান (দুষ্ট জিন), যারা মানুষকে গোনাহে লিপ্ত করার জন্য নানা রকম প্ররোচনা দেয় এবং (দুই) এক শ্রেণীর মানুষ, যারা গোনাহের কাজকে উপকারী ও দরকারী সাব্যস্ত করার জন্য নানা রকম যুক্তি-প্রমাণ পেশ করে এবং অন্যকেও তাতে বিশ্বাসী করে তোলার চেষ্টা করে।


২৬


وَقَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَا تَسۡمَعُوۡا لِہٰذَا الۡقُرۡاٰنِ وَالۡغَوۡا فِیۡہِ لَعَلَّکُمۡ تَغۡلِبُوۡنَ


ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লা-তাছমা‘ঊ লিহা-যাল কুরআ-নি ওয়ালগাও ফীহি লা‘আল্লাকুম তাগলিবূন।


Mufti Taqi Usmani

And said those who disbelieved, “Do not listen to this Qur’ān, and make noise during its recitation, so that you may overcome.”


মুফতী তাকী উসমানী

এবং কাফেরগণ (একে অন্যকে) বলে, এই কুরআন শুনো না এবং এর (পাঠের) মাঝে হট্টগোল কর, যাতে তোমরা জয়ী থাক।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর কাফেররা বলে, তোমরা এ কোরআন শ্রবণ করো না এবং এর আবৃত্তিতে হঞ্জগোল সৃষ্টি কর, যাতে তোমরা জয়ী হও।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কাফিররা বলে, ‘তোমরা এই কুরআন শোন না এবং তা আবৃত্তিকালে শোরগোল সৃষ্টি কর যাতে তোমরা জয়ী হতে পার।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অবিশ্বাস করে তারা বলে -- "এই কুরআন শুনো না, আর এতে শোরগোল করো, যাতে তোমরা দমন করতে পারো।"


২৭


فَلَنُذِیۡقَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا عَذَابًا شَدِیۡدًا ۙ وَّلَنَجۡزِیَنَّہُمۡ اَسۡوَاَ الَّذِیۡ کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ


ফালানুযী কান্নাল্লাযীনা কাফারূ‘আযা-বান শাদীদাওঁ ওয়ালা নাজঝিয়ান্নাহুম আছওয়াল্লাযী কা-নূইয়া‘মালূন।


Mufti Taqi Usmani

So, We will certainly make them taste a severe punishment, and will certainly recompense them for the worst of what they used to do.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং ওই কাফেরদেরকে আমি কঠিন শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাব এবং তারা (দুনিয়ায়) যে নিকৃষ্ট কাজ করত, তার পরিপূর্ণ প্রতিফল দেব।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি অবশ্যই কাফেরদেরকে কঠিন আযাব আস্বাদন করাব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তাদের মন্দ ও হীন কাজের প্রতিফল দেব।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব এবং নিশ্চয়ই আমি এদেরকে এদের নিকৃষ্ট কার্যকলাপের প্রতিফল দিব।


মাওলানা জহুরুল হক

সেজন্য যারা অবিশ্বাস করে তাদের আমরা অবশ্যই কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাব, আর তাদের অবশ্যই প্রতিদান দেব তারা যা গর্হিত কাজ করত তাই দিয়ে।


২৮


ذٰلِکَ جَزَآءُ اَعۡدَآءِ اللّٰہِ النَّارُ ۚ لَہُمۡ فِیۡہَا دَارُ الۡخُلۡدِ ؕ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوۡا بِاٰیٰتِنَا یَجۡحَدُوۡنَ


যা-লিকা জাঝাউ আ‘দাইল্লা-হিন্না-রু লাহুম ফীহা-দা-রুল খুলদি জাঝাআম বিমা-কা-নূবিআ-য়া-তিনা-ইয়াজহাদূ ন।


Mufti Taqi Usmani

That is the recompense of the enemies of Allah- the Fire. For them there is the eternal home, as a recompense for their persistent denial of Our verses.


মুফতী তাকী উসমানী

আগুনরূপে এটাই আল্লাহর শত্রুদের শাস্তি। তারই মধ্যে হবে তাদের স্থায়ী ঠিকানা, আমার আয়াতসমূহকে যে তারা অস্বীকার করত তার প্রতিফলস্বরূপ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা আল্লাহর শত্রুদের শাস্তি-জাহান্নাম। তাতে তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আবাস, আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করার প্রতিফলস্বরূপ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

জাহান্নাম, এটাই আল্লাহ্ র শত্রুদের প্রতিফল; সেখানে এদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আবাস, আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকৃতির প্রতিফলস্বরূপ।


মাওলানা জহুরুল হক

এই হচ্ছে আল্লাহ্‌র শত্রুদের পরিণাম -- আগুন, তাদের জন্য এখানে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী আবাস। আমাদের নির্দেশাবলী তারা অস্বীকার করত বলেই এটি হচ্ছে প্রতিফল।


২৯


وَقَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَیۡنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ نَجۡعَلۡہُمَا تَحۡتَ اَقۡدَامِنَا لِیَکُوۡنَا مِنَ الۡاَسۡفَلِیۡنَ


ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূরাব্বানাআরিনাল্লাযাইনি আদাল্লা-না-মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি নাজ‘আলহুমা-তাহতা আকদা-মিনা-লিইয়াকূনা মিনাল আছফালীন।


Mufti Taqi Usmani

And those who disbelieve will say, “Our Lord, show us the two, out of the Jinns and the humans, who led us astray and we will put both of them under our feet, so that they become among the lowest.”


মুফতী তাকী উসমানী

কাফেরগণ বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! যে সকল জিন ও মানুষ আমাদেরকে বিপথগামী করেছিল তাদেরকে আমাদের দেখিয়ে দাও। আমরা তাদেরকে আমাদের পায়ের নিচে রেখে এমনভাবে দলিত করব, যাতে তারা চরম লাঞ্ছিত হয়। ১৪


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কাফেররা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! যেসব জিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আমরা তাদেরকে পদদলিত করব, যাতে তারা যথেষ্ট অপমানিত হয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কাফিররা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! যেসব জিন ও মানব আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল এদের উভয়কে দেখিয়ে দাও, আমরা উভয়কে পদদলিত করব, যাতে এরা লাঞ্ছিত হয়।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অবিশ্বাস করে তারা বলবে -- "আমাদের প্রভু! জিন ও মানুষদের যারা আমাদের বিপথে চালিয়েছিল তাদের আমাদের দেখিয়ে দাও, আমাদের পায়ের তলায় আমরা তাদের মাড়াবো, যাতে তারা অধমদের অন্তর্ভুক্ত হয়।"


তাফসীরঃ

১৪. দুনিয়ায় যে সব সাথী-সঙ্গী মানুষকে দ্বীন থেকে গাফেল ও বিপথগামী করে তোলে তারা যেমন এর অন্তর্ভুক্ত, তেমনি সেই শয়তানও, যে তাকে সব সময় প্ররোচনা দেয়। এ উভয় সম্পর্কে জাহান্নামী ব্যক্তি বলবে, তাদেরকে আজ দেখতে পেলে পায়ের নিচে রেখে মাড়াতাম ও লাঞ্ছিত করতাম।


৩০


اِنَّ الَّذِیۡنَ قَالُوۡا رَبُّنَا اللّٰہُ ثُمَّ اسۡتَقَامُوۡا تَتَنَزَّلُ عَلَیۡہِمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ اَلَّا تَخَافُوۡا وَلَا تَحۡزَنُوۡا وَاَبۡشِرُوۡا بِالۡجَنَّۃِ الَّتِیۡ کُنۡتُمۡ تُوۡعَدُوۡنَ


ইন্নাল্লাযীনা কা-লূরাব্বুনাল্লা-হুছু ম্মাছতাকা-মূতাতানাঝঝালু‘আলাইহিমুল মালাইকাতু আল্লা-তাখা-ফূওয়ালা-তাহঝানূওয়াআবশিরূবিলজান্নাতিল্লাতী কুনতুম তূ‘আদূন।


Mufti Taqi Usmani

Surely, those who have declared: “Our Lord is Allah”, then remained steadfast, on them the angels will descend, saying, “Do not fear, and do not grieve; and be happy with the good news of the Jannah (Paradise) that you had been promised.


মুফতী তাকী উসমানী

(অপর দিকে) যারা বলেছে, আমাদের রব্ব আল্লাহ! তারপর তারা তাতে থাকে অবিচলিত, নিশ্চয়ই তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হবে (এবং বলবে) যে, তোমরা কোন ভয় করো না এবং কোন কিছুর জন্য চিন্তিত হয়ো না আর আনন্দিত হয়ে যাও সেই জান্নাতের জন্য, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেওয়া হত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্’, এরপর অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা এবং বলে, ‘তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার জন্যে আনন্দিত হও।


মাওলানা জহুরুল হক

পক্ষান্তরে যারা বলে -- "আমাদের প্রভু আল্লাহ", তারপর তারা কায়েম থাকে, তাদের নিকট ফিরিশ্‌তারা অবতরণ করে এই বলে -- "ভয় করো না আর দুঃখ করো না, বরঞ্চ সুসংবাদ শুনো জান্নাতের যার জন্য তোমাদের প্রতি‌শ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।


৩১


نَحۡنُ اَوۡلِیٰٓؤُکُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَفِی الۡاٰخِرَۃِ ۚ  وَلَکُمۡ فِیۡہَا مَا تَشۡتَہِیۡۤ اَنۡفُسُکُمۡ وَلَکُمۡ فِیۡہَا مَا تَدَّعُوۡنَ ؕ


নাহনুআওলিয়াউকুম ফিল হায়া-তিদ্দুইয়া-ওয়া ফিল আ-খিরাতি ওয়ালাকুম ফীহামা-তাশতাহীআনফুছুকুম ওয়ালাকুম ফীহা-মা-তাদ্দা‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

We have been your friends in the worldly life, and (will remain as such) in the Hereafter. And for you here is whatever your souls desire, and for you here is whatever you call for


মুফতী তাকী উসমানী

আমরা পার্থিব জীবনেও তোমাদের সাথী ছিলাম এবং আখেরাতেও থাকব। জান্নাতে তোমাদের জন্য আছে এমন সব কিছুই, যা তোমাদের অন্তর চাবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আছে এমন সব কিছুই যার ফরমায়েশ তোমরা করবে,


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে তোমরা দাবী কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে। সেখানে তোমাদের জন্যে রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে রয়েছে যা তোমরা র্ফমায়েশ কর।’


মাওলানা জহুরুল হক

"আমরা তোমাদের বন্ধু এই দুনিয়ার জীবনে ও পরকালে, আর তোমাদের জন্য এতে রয়েছে তোমাদের অন্তর যা-কিছু কামনা করে তাই, আর তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে যা তোমরা চেয়ে পাঠাও।


৩২


نُزُلًا مِّنۡ غَفُوۡرٍ رَّحِیۡمٍ ٪


নুঝুলাম মিন গাফূরির রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

- a gift of welcome from the Most-forgiving, the Very-Merciful”.


মুফতী তাকী উসমানী

অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (আল্লাহ)-এর পক্ষ হতে প্রাথমিক আতিথেয়তাস্বরূপ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এটা ক্ষমাশীল করুনাময়ের পক্ষ থেকে সাদর আপ্যায়ন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহ্ র পক্ষ হতে আপ্যায়ন।


মাওলানা জহুরুল হক

পরিত্রাণকারী অফুরন্ত ফলদাতার তরফ থেকে এক আপ্যায়ন।


৩৩


وَمَنۡ اَحۡسَنُ قَوۡلًا مِّمَّنۡ دَعَاۤ اِلَی اللّٰہِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَّقَالَ اِنَّنِیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ


ওয়া মান আহছানুকাওলাম মিম্মান দা‘আইলাল্লা-হি ওয়া‘আমিলা সা-লিহাওঁ ওয়াকা-লা ইন্নানী মিনাল মুছলিমীন।


Mufti Taqi Usmani

Who can be better in words than the one who calls towards Allah, and acts righteously and says, “I am one of those who submit themselves (to Allah)”?


মুফতী তাকী উসমানী

তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে আল্লাহর দিকে ডাকে, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি আনুগত্য স্বীকারকারীদের একজন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা যে আল্লাহ্ র প্রতি মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, ‘আমি তো অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর কে তার চাইতে কথাবার্তায় বেশী ভাল যে আল্লাহ্‌র প্রতি আহ্বান করে এবং সৎকর্ম করে আর বলে -- "আমি তো নিশ্চয়ই মুসলিমদের মধ্যেকার?"


৩৪


وَلَا تَسۡتَوِی الۡحَسَنَۃُ وَلَا السَّیِّئَۃُ ؕ اِدۡفَعۡ بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ فَاِذَا الَّذِیۡ بَیۡنَکَ وَبَیۡنَہٗ عَدَاوَۃٌ کَاَنَّہٗ وَلِیٌّ حَمِیۡمٌ


ওয়ালা-তাছতাবিল হাছানাতুওয়ালাছ ছাইয়িআতু ইদফা‘ বিল্লাতী হিয়া আহছানু ফাইযাল্লাযী বাইনাকা ওয়া বাইনাহূ‘আদা-ওয়াতুন কাআন্নাহূওয়ালিইউন হামীম।


Mufti Taqi Usmani

Good and evil are not equal. Repel (evil) with what is best, and you will see that the one you had mutual enmity with him will turn as if he were a close friend.


মুফতী তাকী উসমানী

ভালো ও মন্দ সমান হয় না। তুমি মন্দকে প্রতিহত কর এমন পন্থায়, যা হবে উৎকৃষ্ট। ১৫ ফলে যার ও তোমার মধ্যে শত্রুতা ছিল, সে সহসাই হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দিয়ে; ফলে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর ভাল জিনিস ও মন্দ জিনিস একসমান হতে পারে না। প্রতিহত করো তাই দিয়ে যা অধিকতর উৎকৃষ্ট, ফলে দেখো! তোমার মধ্যে ও তার মধ্যে শত্রুতা থাকলেও সে যেন ছিল অন্তরঙ্গ বন্ধু।


তাফসীরঃ

১৫. অর্থাৎ যে ব্যক্তি তোমার সাথে মন্দ আচরণ করে, যদিও তার সাথে অনুরূপ মন্দ আচরণ করা তোমার জন্য জায়েয, কিন্তু শ্রেষ্ঠ পন্থা সেটা নয় কিছুতেই। শ্রেষ্ঠ পন্থা হল, তুমি তার মন্দ আচরণের বিপরীতে ভালো ব্যবহার করবে। এরূপ করলে তোমার ঘোর শত্রুও একদিন তোমার পরম বন্ধু হয়ে যাবে। আর তুমি তার মন্দ আচরণে যে ধৈর্য ধারণ করবে তার উৎকৃষ্ট সওয়াব তো তুমি আখেরাতে পাবেই।


৩৫


وَمَا یُلَقّٰہَاۤ اِلَّا الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡا ۚ وَمَا یُلَقّٰہَاۤ اِلَّا ذُوۡ حَظٍّ عَظِیۡمٍ


ওয়ামা-ইউলাক্কা-হাইল্লাল্লাযীনা সাবারূ ওয়ামা-ইউলাক্কা-হাইল্লা-যূহাজ্জিন ‘আজীম।


Mufti Taqi Usmani

And no one is blessed with this (attitude) but those who observe patience, and no one is blessed with this (attitude) but a man of great luck.


মুফতী তাকী উসমানী

আর এ গুণ কেবল তাদেরকেই দান করা হয়, যারা সবর করে এবং এ গুণ কেবল তাদেরকেই দান করা হয় যারা মহাভাগ্যবান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই, যারা ধৈর্যশীল, এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই, যারা মহাভাগ্যবান।


মাওলানা জহুরুল হক

আর কেউ এটি পেতে পারে না তারা ব্যতীত যারা অধ্যবসায় করে, আর কেউ এটি পেতে পারে না মহান সৌভাগ্যবান ব্যতীত।


৩৬


وَاِمَّا یَنۡزَغَنَّکَ مِنَ الشَّیۡطٰنِ نَزۡغٌ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ


ওয়া ইম্মা-ইয়ানঝাগান্নাকা মিনাশশাইতা-নি নাঝগুন ফাছতা‘ইযবিল্লা -হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।


Mufti Taqi Usmani

And should a stroke from ShaiTān (Satan) strike you, seek refuge with Allah. Surely, He is the All-Hearing, the All-Knowing.


মুফতী তাকী উসমানী

যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তোমার কখনও কোন খোঁচা লাগে, তবে (বিতাড়িত শয়তান থেকে) আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করো। ১৬ নিশ্চয়ই তিনি সকল কথার শ্রোতা, সকল বিষয়ের জ্ঞাতা।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে আল্লাহ্ র শরণ নিবে, তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


মাওলানা জহুরুল হক

আর শয়তান থেকে কোনো খোঁচা যদি তোমাকে খোঁচা দেয় তাহলে তুমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাও। নিঃসন্দেহ তিনি স্বয়ং সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।


তাফসীরঃ

১৬. ‘শয়তানের খোঁচা’ অর্থ তার প্ররোচনা। অর্থাৎ শয়তান যদি তোমাকে কখনও কোন গোনাহের কাজে প্ররোচনা দেয়, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করবে। এর সর্বোত্তম পন্থা হল اَعُوْذُبِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ পড়া।


৩৭


وَمِنۡ اٰیٰتِہِ الَّیۡلُ وَالنَّہَارُ وَالشَّمۡسُ وَالۡقَمَرُ ؕ لَا تَسۡجُدُوۡا لِلشَّمۡسِ وَلَا لِلۡقَمَرِ وَاسۡجُدُوۡا لِلّٰہِ الَّذِیۡ خَلَقَہُنَّ اِنۡ کُنۡتُمۡ اِیَّاہُ تَعۡبُدُوۡنَ


ওয়া মিন আ-য়া-তিহিল্লাইলুওয়ান্নাহা-রু ওয়াশশামছুওয়াল কামারু লা-তাছজু দূ লিশশামছি ওয়ালা-লিলকামারি ওয়াছজু দূ লিল্লা-হিল্লাযী খালাকাহুন্না ইন কুনতুম ইয়্যা-হু তা‘বুদূ ন।


Mufti Taqi Usmani

Among His signs are the night and the day, and the sun and the moon. Do not prostrate yourselves to the sun, or to the moon. And prostrate yourselves to Allah who has created them, if it is Him whom you worship.


মুফতী তাকী উসমানী

তাঁরই নিদর্শনাবলীর অন্তর্ভুক্ত হল রাত, দিন, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না এবং চন্দ্রকেও না। বরং সিজদা করো আল্লাহকে, যিনি এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন যদি বাস্তবিকই তোমরা তাঁর ইবাদত করে থাক।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সেজদা কর, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা নিষ্ঠার সাথে শুধুমাত্র তাঁরই এবাদত কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রজনী ও দিবস, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজ্দা কর না, চন্দ্রকেও নয়; সিজ্দা কর আল্লাহ্কে, যিনি এইগুলি সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা প্রকৃতই তাঁর ‘ইবাদত কর।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন আর সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যের প্রতি সিজদা করো না আর চন্দ্রের প্রতিও নয়, বরং তোমরা সিজ্‌দা করো আল্লাহ্‌র প্রতি যিনি এগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁকেই উপাসনা করতে চাও।


৩৮


فَاِنِ اسۡتَکۡبَرُوۡا فَالَّذِیۡنَ عِنۡدَ رَبِّکَ یُسَبِّحُوۡنَ لَہٗ بِالَّیۡلِ وَالنَّہَارِ وَہُمۡ لَا یَسۡـَٔمُوۡنَ ٛ


ফাইনিছতাকবারূফাল্লাযীনা ‘ইনদা রাব্বিকাইউছাব্বিহূনালাহূবিল্লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ওয়াহুম লা-ইয়াছআমূন (ছিজদাহ-১১)।


Mufti Taqi Usmani

Still, if they show arrogance, then those who are with your Lord proclaim His purity night and day, and they do not get weary.


মুফতী তাকী উসমানী

তারপরও যদি তারা (অর্থাৎ কাফেরগণ) অহমিকা প্রদর্শন করে, তবে (তা করতে থাকুক) তোমার প্রতিপালকের কাছে যারা (অর্থাৎ যেই ফেরেশতাগণ) আছে, তারা রাত-দিন তাঁর তাসবীহ পাঠ করে এবং তারা ক্লান্তি বোধ করে না। ১৭


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর তারা যদি অহংকার করে, তবে যারা আপনার পালনকর্তার কাছে আছে, তারা দিবারাত্রি তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং তারা ক্লান্ত হয় না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা অহংকার করলেও যারা তোমার প্রতিপালকের সান্নিধ্যে রয়েছে তারা তো দিবস ও রজনীতে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং তারা ক্লান্তিবোধ করে না।


মাওলানা জহুরুল হক

কিন্ত যদি তারা গর্ববোধ করে, বস্তুতঃ যারা তোমার প্রভুর সান্নিধ্যে রয়েছে তারা তাঁর জপতপ করছে দিন ও রাতভর, আর তারা ক্লান্তিবোধ করে না।


তাফসীরঃ

১৭. এটি সিজদার আয়াত। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ আয়াত তেলাওয়াত করবে বা কাউকে তেলাওয়াত করতে শুনবে একটি সিজদা তার জন্য ওয়াজিব হয়ে যাবে।


৩৯


وَمِنۡ اٰیٰتِہٖۤ اَنَّکَ تَرَی الۡاَرۡضَ خَاشِعَۃً فَاِذَاۤ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡہَا الۡمَآءَ اہۡتَزَّتۡ وَرَبَتۡ ؕ اِنَّ الَّذِیۡۤ اَحۡیَاہَا لَمُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ؕ اِنَّہٗ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ


ওয়া মিন আ-য়া-তিহীআন্নাকা তারাল আরদা খা-শি‘আতান ফাইযাআনঝালনা‘আলাইহাল মাআহতাঝঝাত ওয়া রাবাত ইন্নাল্লাযীআহইয়া-হা-লামুহইল মাওতা ইন্নাহূ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।


Mufti Taqi Usmani

And among His signs is that you see the land inactive; then, once We send down water thereto, it gets excited and swells. Surely, the One who has given life to it is the One who gives life to the dead. No doubt, He is powerful to do everything.


মুফতী তাকী উসমানী

তাঁর আরেকটি নিদর্শন হল, তুমি ভূমিকে শুষ্করূপে দেখতে পাও, তারপর যখন আমি তাতে বারি বর্ষণ করি, অমনি তা আলোড়িত হয় ও বেড়ে ওঠে। বস্তুত যিনি ভূমিতে প্রাণ সঞ্চার করেন, তিনিই মৃতদেরকেও জীবিত করবেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাঁর এক নিদর্শন এই যে, তুমি ভূমিকে দেখবে অনুর্বর পড়ে আছে। অতঃপর আমি যখন তার উপর বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন সে শস্যশ্যামল ও স্ফীত হয়। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন, তিনি জীবিত করবেন মৃতদেরকেও। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এবং তাঁর একটি নিদর্শন এই যে, তুমি ভূমিকে দেখতে পাও শুষ্ক ঊষর, এরপর যখন আমি এতে বারি বর্ষণ করি তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়। যিনি ভূমিকে জীবিত করেন তিনিই তো মৃতের জীবনদানকারী। নিশ্চয় তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।


মাওলানা জহুরুল হক

আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হচ্ছে যে, তুমি পৃথিবীটাকে দেখতে পাচ্ছ শুকনো, তারপর যখন তার উপরে আমরা বর্ষণ করি বৃষ্টি তখন তা চঞ্চল হয় ও ফেঁপে ওঠে। নিঃসন্দেহ যিনি এটিকে জীবনদান করেন তিনিই তো মৃতের প্রাণদাতা। তিনি নিশ্চয়ই সব- কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।


৪০


اِنَّ الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اٰیٰتِنَا لَا یَخۡفَوۡنَ عَلَیۡنَا ؕ اَفَمَنۡ یُّلۡقٰی فِی النَّارِ خَیۡرٌ اَمۡ مَّنۡ یَّاۡتِیۡۤ اٰمِنًا یَّوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ اِعۡمَلُوۡا مَا شِئۡتُمۡ ۙ اِنَّہٗ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ


ইন্নাল্লাযীনা ইউলহিদূ না ফীআ-য়া-তিনা-লা-ইয়াখফাওনা ‘আলাইনা- আফামাইঁ ইউলকা-ফিন্না-রি খাইরুন আমমাইঁ ইয়া’তী আ-মিনাইঁ ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ই‘মালূ মা-শি’তুম ইন্নাহূবিমা-তা‘মালূনা বাসীর।


Mufti Taqi Usmani

Surely those who adopt perversity about Our verses are not hidden from Us. So, tell me which one is better: the one who is thrown into the Fire, or the one who will come safely on the Day of Judgment? Do whatever you wish. He is watchful of whatever you do.


মুফতী তাকী উসমানী

আমার আয়াতসমূহের ব্যাপারে যারা বাঁকা পথ অবলম্বন করে, ১৮ তারা আমার অগোচর নয়। আচ্ছা বলতো, যে ব্যক্তিকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে, সে উত্তম, না সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে নির্ভয়ে-নিরাপদে? তোমরা যা ইচ্ছা করে নাও। জেনে রেখ, তোমরা যা করছ তিনি সবই দেখছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহের ব্যাপারে বক্রতা অবলম্বন করে, তারা আমার কাছে গোপন নয়। যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে শ্রেষ্ঠ, না যে কেয়ামতের দিন নিরাপদে আসবে? তোমরা যা ইচ্ছা কর, নিশ্চয় তিনি দেখেন যা তোমরা কর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা আমার আয়াতসমূহকে বিকৃত করে তারা আমার অগোচর নয়। শ্রেষ্ঠ কে-যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে, না যে কিয়ামতের দিন নিরাপদে থাকবে সে ? তোমাদের যা ইচ্ছা কর; তোমরা যা কর তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা বেঁকে বসে আমাদের নির্দেশাবলীসন্বন্ধে তারা আমাদের থেকে লুকিয়ে থাকা নয়। তবে কি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে সে অধিকতর ভাল, না সে, যে কিয়ামতের দিনে নিরাপত্তার সাথে হাজির হবে? তোমরা যা চাও করে যাও, নিঃসন্দেহ তোমরা যা করছ সে-সন্বন্ধে তিনি সর্বদ্রষ্টা।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

তাফসীরঃ

১৮. বাঁকা পথ অবলম্বনের অর্থ, আয়াত না মানা কিংবা তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া। আয়াতে যে শাস্তির ধমক দেওয়া হয়েছে, তা উভয় অবস্থায়ই প্রযোজ্য।


৪১


اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِالذِّکۡرِ لَمَّا جَآءَہُمۡ ۚ  وَاِنَّہٗ لَکِتٰبٌ عَزِیۡزٌ ۙ


ইন্নাল্লাযীনা কাফারূবিযযি করি লাম্মা-জাআহুম ওয়া ইন্নাহূলাকিতা-বুন ‘আঝীঝ।


Mufti Taqi Usmani

Surely those who have rejected the advice (the Qur’ān) when it came to them (are the ones who adopted perversity, and are not hidden from Us). And surely, it is an unassailable book


মুফতী তাকী উসমানী

যারা উপদেশবাণী (কুরবান)-কে অস্বীকার করেছে তাদের কাছে তা আসার পর (তারা নেহাৎ মন্দ কাজ করেছে), অথচ এটি অতি মর্যাদাপূর্ণ কিতাব।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা কোরআন আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা-ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা এদের নিকট কুরআন আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে; এটা অবশ্যই এক মহিমময় গ্রন্থ-


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা স্মারকগ্রন্থকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের কাছে তা আসার পরে। আর এটি তো নিশ্চয়ই এক সুমহান গ্রন্থ, --


৪২


لَّا یَاۡتِیۡہِ الۡبَاطِلُ مِنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَلَا مِنۡ خَلۡفِہٖ ؕ تَنۡزِیۡلٌ مِّنۡ حَکِیۡمٍ حَمِیۡدٍ


লা-ইয়া’তীহিল বা-তিলুমিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়ালা-মিন খালফীহি তানঝীলুম মিন হাকীমিন হামীদ।


Mufti Taqi Usmani

that cannot be approached by falsehood, neither from its front, nor from its behind -a revelation from the All-Wise, the Ever-Praised.


মুফতী তাকী উসমানী

কোন মিথ্যা এর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না, না এর সম্মুখ দিক থেকে এবং না এর পেছন থেকে। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসার্হ (আল্লাহ)-এর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কোন মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না-অগ্র হতেও নয়, পশ্চাৎ হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসার্হ আল্লাহ্ র নিকট হতে অবতীর্ণ।


মাওলানা জহুরুল হক

এতে মিথ্যা কথা আসতে পারবে না এর সামনে থেকে, আর এর পেছন থেকেও নয়। এ হচ্ছে একটি অবতারণ মহাজ্ঞানী পরম প্রশংসিতের কাছ থেকে।


৪৩


مَا یُقَالُ لَکَ اِلَّا مَا قَدۡ قِیۡلَ لِلرُّسُلِ مِنۡ قَبۡلِکَ ؕ اِنَّ رَبَّکَ لَذُوۡ مَغۡفِرَۃٍ وَّذُوۡ عِقَابٍ اَلِیۡمٍ


মা-ইউকা-লুলাকা ইল্লা-মা-কাদ কীলা লিররুছুলি মিন কাবলিকা ইন্না রাব্বাকা লাযূ মাগফীরাতিওঁ ওয়া যূ‘ইকা-বিন আলীম।


Mufti Taqi Usmani

Nothing is being said to you but what has been said to the messengers before you. Your Lord is certainly the Lord of forgiveness and the Lord of painful punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল!) তোমাকে তো সেসব কথাই বলা হচ্ছে, যা তোমার পূর্ববর্তী রাসূলগণকে বলা হয়েছিল। ১৯ নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল এবং মর্মন্তুদ শাস্তিদাতা।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তোমার সম্বন্ধে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত তোমার পূর্ববর্তী রাসূলগণ সম্পর্কে। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমাশীল এবং কঠিন শাস্তিদাতা।


মাওলানা জহুরুল হক

তোমার প্রতি এমন কিছু বলা হয়নি তা ব্যতীত যা বলা হতো তোমার পূর্ববর্তী রসূলগণের সন্বন্ধে। নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু নিশ্চয়ই পরিত্রাণে ক্ষমতাবান, এবং কঠোর প্রতিফল দিতে সক্ষম।


তাফসীরঃ

১৯. অর্থাৎ অবিশ্বাসীরা আপনার সঙ্গে যে আচরণ করছে সব যুগের অবিশ্বাসীরা তাদের নবীদের সঙ্গে এ রকম আচরণই করেছে। নবীগণ তো সর্বদা তাদের কল্যাণ কামনা করেছেন, আর তার বিপরীতে অবিশ্বাসীরা তাদেরকে কথায় ও কাজে নানাভাবে কষ্ট দিয়েছে। সুতরাং নবীগণ যেমন সেক্ষেত্রে সবর করেছিলেন, আপনিও তেমনি সবর করতে থাকুন। পরিণামে কিছু লোক তাওবা করে সুপথে এসে যাবে। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন আর কিছু লোক তাদের বক্রতা ও জিদের উপরই থেকে যাবে। পরিশেষে তারা যন্ত্রণাময় শাস্তির উপযুক্ত হয়ে যাবে (-অনুবাদক, তাফসীরে উসমানী থেকে গৃহীত)।


৪৪


وَلَوۡ جَعَلۡنٰہُ قُرۡاٰنًا اَعۡجَمِیًّا لَّقَالُوۡا لَوۡلَا فُصِّلَتۡ اٰیٰتُہٗ ؕ  ءَؔاَعۡجَمِیٌّ وَّعَرَبِیٌّ ؕ  قُلۡ ہُوَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ہُدًی وَّشِفَآءٌ ؕ  وَالَّذِیۡنَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ فِیۡۤ اٰذَانِہِمۡ وَقۡرٌ وَّہُوَ عَلَیۡہِمۡ عَمًی ؕ  اُولٰٓئِکَ یُنَادَوۡنَ مِنۡ مَّکَانٍۭ بَعِیۡدٍ ٪


ওয়া লাও জা‘আলনা-হু কুরআ-নান আ‘জামিয়াল লাকা-লূলাওলা-ফুসসিলাত আ-য়া-তুহূ আ আ‘জামিইয়ুওঁ ওয়া ‘আরাবীইয়ুন কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূহুদাওঁ ওয়া শিফাউরঁ ওয়াল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা ফীআ-যা-নিহিম ওয়াকরুওঁ ওয়া হুওয়া ‘আলাইহিম ‘আমা- উলাইকা ইউনা-দাওনা মিম মাকা-নিম বা‘ঈদ।


Mufti Taqi Usmani

Had We made it a non-Arabic Qur’ān, they would have said, “Why are its verses not clearly explained? Is it a non-Arabic (book) and an Arab (messenger)?” Say, “For those who believe, it is guidance and cure. As for those who do not believe, there is deafness in their ears, and for them it is blindness. Such people are being called from a distant place.”


মুফতী তাকী উসমানী

আমি যদি এ কুরআনকে অনারবী কুরআন বানাতাম, তবে তারা অবশ্যই বলত, এর আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল না কেন? এটা কেমন কথা যে, কুরআন অনারবী এবং রাসূল আরবী? ২০ বল, যারা ঈমান আনে তাদের জন্য এটা হেদায়াত ও উপশমের ব্যবস্থা। আর যারা ঈমান আনে না, তাদের কানে ছিপি লাগানো আছে। তাদের জন্য এটা (অর্থাৎ কুরআন) বিভ্রান্তির কারণ। এরূপ লোকদেরকে বহু দূর-দূরান্ত হতে ডাকা হচ্ছে। ২১


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি যদি একে অনারব ভাষায় কোরআন করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, এর আয়াতসমূহ পরিস্কার ভাষায় বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, কিতাব অনারব ভাষায় আর রসূল আরবী ভাষী! বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার। যারা মুমিন নয়, তাদের কানে আছে ছিপি, আর কোরআন তাদের জন্যে অন্ধত্ব। তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি যদি ‘আজমী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করতাম তবে এরা অবশ্যই বলত, ‘এটার আয়াতগুলি বিশদভাবে বিবৃত হয় নাই কেন ?’ কী আশ্চর্য যে, এটার ভাষা ‘আজমী, অথচ রাসূল আরবীয়! বল, ‘মু’মিনদের জন্যে এটা পথনির্দেশ ও ব্যাধির প্রতিকার।’ কিন্তু যারা অবিশ্বাসী তাদের কর্ণে রয়েছে বধিরতা এবং কুরআন হবে এদের জন্যে অন্ধত্ব। এরা এমন যে, এদেরকে যেন আহ্বান করা হয় বহুদূর হতে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যদি আমরা এটিকে একটি আ'জমী ভাষণ বানাতাম তাহলে তারা নিশ্চয়ই বলত -- "এর আয়াতগুলো কেন পরিস্কারভাবে বলা হয় নি? কী! একটি আ'জমী এবং একজন আরবীয়!" বলো -- "যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য এটি এক পথনির্দেশ ও এক আরোগ্য-বিধান।" আর যারা বিশ্বাস করে না তাদের কানের মধ্যে রয়েছে বধিরতা, আর তাদের জন্য এটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। এরা -- এদের ডাকা হয় বহু দূরের জায়গা থেকে।


তাফসীরঃ

২০. মক্কার কোন কোন কাফের কুরআন মাজীদ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলত যে, এ কিতাব আরবী ভাষায় নাযিল করা হল কেন? অন্য কোন ভাষায় হলে তো এটা অনেক বড় মুজিযা ও অলৌকিক ব্যাপার হয়ে যেত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো অন্য কোন ভাষা জানেন না। তাই তার প্রতি অন্য কোন ভাষায় ওহী নাযিল করা হলে স্পষ্ট হয়ে যেত যে, তা আল্লাহ তাআলারই পক্ষ থেকে এসেছে। এর উত্তর দেওয়া হয়েছে যে, এ জাতীয় প্রশ্ন ও আপত্তির সিলসিলা কখনও শেষ হওয়ার নয়। কুরআন যদি অন্য কোন ভাষায় নাযিল করা হত, তবে তারা বলত, আরবী নবীর উপর অনারবী কুরআন কেন নাযিল করা হল? কথা যদি মানারই ইচ্ছা না থাকে, তবে বাহানার কোন অভাব হয় না।


২১. কাউকে দূর থেকে ডাকা হলে অনেক সময় সে মনেই করে না যে, তাকে ডাকা হচ্ছে এবং দূরের আওয়াজকে অনেক সময় গুরুত্বও দেওয়া হয় না। সেভাবেই কাফেরগণ কুরআনী দাওয়াতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং তার প্রতি মনোযোগী হচ্ছে না।


৪৫


وَلَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ فَاخۡتُلِفَ فِیۡہِ ؕ وَلَوۡلَا کَلِمَۃٌ سَبَقَتۡ مِنۡ رَّبِّکَ لَقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ ؕ وَاِنَّہُمۡ لَفِیۡ شَکٍّ مِّنۡہُ مُرِیۡبٍ


ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছাল কিতা-বা ফাখতুলিফা ফীহি ওয়া লাওলা-কালিমাতুন ছাবাকাত মিররাব্বিকা লাকুদিয়া বাইনাহুম ওয়া ইন্নাহুম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।


Mufti Taqi Usmani

And We gave Mūsā the book, then it was disputed (as well). But for a word that had already come from your Lord, the matter would have been decided between them. They are in confounding doubt about it.


মুফতী তাকী উসমানী

৪৫. আমি মূসাকেও কিতাব দিয়েছিলাম। তারপর তাতেও মতভেদ হয়েছিল। তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটি কথা পূর্ব থেকেই স্থিরীকৃত না থাকলে তাদের ব্যাপারে চুকিয়ে দেওয়া হত। প্রকৃতপক্ষে তারা বিভ্রান্তিকর সন্দেহে নিপতিত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম, অতঃপর তাতে মতভেদ সৃষ্টি হয়। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের মধ্যে ফয়সালা হয়ে যেত। তারা কোরআন সমন্ধে এক অস্বস্তিকর সন্দেহে লিপ্ত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম, এরপর এতে মতভেদ ঘটেছিল। তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে এদের মীমাংসা হয়ে যেত। এরা অবশ্যই এটার সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা তো ইতিপূর্বে মূসাকে ধর্মগ্রন্থ দিয়েছিলাম, কিন্ত এতে মতভেদ ঘটানো হয়েছিল। আর যদি না তোমার প্রভুর কাছ থেকে একটি বাণী ইতিপূর্বে ধার্য হয়ে থাকত তাহলে তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যেত। আর নিঃসন্দেহ এ-সন্বন্ধে তা রা এক অস্বস্তিকর সন্দেহের মাঝে রয়েছে।


৪৬


مَنۡ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفۡسِہٖ وَمَنۡ اَسَآءَ فَعَلَیۡہَا ؕ وَمَا رَبُّکَ بِظَلَّامٍ لِّلۡعَبِیۡدِ


মান ‘আমিলা সা-লিহান ফালিনাফছিহী ওয়ামান আছাআ ফা‘আলাইহা- ওয়ামারাব্বুকা বিজাল্লা-মিল লিল‘আবীদ।


Mufti Taqi Usmani

If someone acts righteously, he does so for the benefit of his own soul, and if someone commits evil, he does so against it. Your Lord is not unjust to His servants.


মুফতী তাকী উসমানী

৪৬. কেউ সৎকর্ম করলে তা নিজেরই কল্যাণার্থে করে আর কেউ অসৎ কাজ করলে, তার ক্ষতিও তার নিজেরই। তোমার প্রতিপালক বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে সৎকর্ম করে, সে নিজের উপকারের জন্যেই করে, আর যে অসৎকর্ম করে, তা তার উপরই বর্তাবে। আপনার পালনকর্তা বান্দাদের প্রতি মোটেই যুলুম করেন না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যে সৎকর্ম করে সে নিজের কল্যাণের জন্যেই তা করে এবং কেউ মন্দ কর্ম করলে এর প্রতিফল সে-ই ভোগ করবে। তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।


মাওলানা জহুরুল হক

যে কেউ সৎকর্ম করে থাকে, সেটি তো তার নিজের জন্যেই, আর যে কেউ মন্দকাজ করে সেটি তো তারই বিরুদ্ধে। আর তোমার প্রভু দাসদের প্রতি আদৌ অন্যায়কারী নন।


৪৭


اِلَیۡہِ یُرَدُّ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ؕ  وَمَا تَخۡرُجُ مِنۡ ثَمَرٰتٍ مِّنۡ اَکۡمَامِہَا وَمَا تَحۡمِلُ مِنۡ اُنۡثٰی وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلۡمِہٖ ؕ  وَیَوۡمَ یُنَادِیۡہِمۡ اَیۡنَ شُرَکَآءِیۡ ۙ  قَالُوۡۤا اٰذَنّٰکَ ۙ  مَا مِنَّا مِنۡ شَہِیۡدٍ ۚ


ইলাইহি ইউরাদ্দু‘ইলমুছ ছা-‘আতি ওয়া মা-তাখরুজুমিন ছামারা-তিম মিন আকমামিহা-ওয়ামা-তাহমিলুমিন উনছা-ওয়ালা তাদা‘উ ইল্লা-বি‘ইলমিহী ওয়া ইয়াওমা ইউনা-দীহিম আইনা শুরাকাঈ কা-লূ আ-যান্না-কা মা-মিন্না-মিন শাহীদ।


Mufti Taqi Usmani

To Him alone the knowledge of the Hour (the exact time of Doomsday) is to be referred. No fruits come out of their sheaths, nor does a female conceive a baby, nor does she deliver it, but with His knowledge. And (remember) the Day when He will call them: “Where are My partners?” They will say, “We declare to you that no one of us is to testify (that you have partners).”


মুফতী তাকী উসমানী

কিয়ামতের জ্ঞান তারই দিকে ফেরানো হয়। ২২ আল্লাহর অজ্ঞাতসারে কোন ফল তার আবরণ থেকে বের হয় না এবং কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না এবং সন্তান প্রসবও করে না। যে দিন তিনি তাদেরকে (অর্থাৎ মুশরিকদেরকে) ডেকে বলবেন, কোথায় আমার সেই শরীকগণ? তারা বলবে, আমরা আপনার কাছে আরজ করছি যে, আমাদের মধ্যে এখন কেউ এ কথার সাক্ষী নয় (যে, আপনার কোন শরীক আছে)।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

কেয়ামতের জ্ঞান একমাত্র তাঁরই জানা। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোন ফল আবরণমুক্ত হয় না। এবং কোন নারী গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করে না। যেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, আমার শরীকরা কোথায়? সেদিন তারা বলবে, আমরা আপনাকে বলে দিয়েছি যে, আমাদের কেউ এটা স্বীকার করে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্তেই ন্যস্ত, তাঁর অজ্ঞাতসারে কোন ফল আবরণ হতে বের হয় না, কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না এবং সন্তানও প্রসব করে না। যেদিন আল্লাহ্ এদেরকে ডেকে বলবেন, ‘আমার শরীকেরা কোথায় ?’ তখন এরা বলবে, ‘আমরা আপনার নিকট নিবেদন করি যে, এই ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।’


মাওলানা জহুরুল হক

তাঁর কাছেই হাওয়ালা দেওয়া হয় ঘড়িঘন্টার জ্ঞান সন্বন্ধে। আর ফল-ফসলের কোনোটিই তার থোড়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে না, আর নারীদের কেউ গর্ভধারণ করে না ও সন্তান প্রসবও করে না তাঁর জ্ঞানের বাইরে। আর সেইদিন তিনি তাদের ডেকে বলবেন -- "কোথায় আমার শরিকান?" তারা বলবে -- "আমরা তোমার কাছে ঘোষণা করছি, আমাদের মধ্যে কেউই সাক্ষী নই।"


তাফসীরঃ

২২. অর্থাৎ কিয়ামত কোন বছর কত তারিখে হবে নির্দিষ্টভাবে আল্লাহ তাআলা ছাড়া কেউ জানেনা। এ সম্পর্কে তিনি কাউকে অবহিত করেননি। যত বড় জ্ঞানীই হোক তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে এর জ্ঞানকে আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরিয়ে দেবে, বলবে তিনিই জানেন। -অনুবাদক


৪৮


وَضَلَّ عَنۡہُمۡ مَّا کَانُوۡا یَدۡعُوۡنَ مِنۡ قَبۡلُ وَظَنُّوۡا مَا لَہُمۡ مِّنۡ مَّحِیۡصٍ


ওয়া দাল্লা ‘আনহুম মা-কা-নূইয়াদ‘ঊনা মিন কাবলুওয়া জান্নূমা-লাহুম মিম মাহীছ।


Mufti Taqi Usmani

And whatever they used to invoke earlier will vanish from them, and they will realize that they have no way to escape.


মুফতী তাকী উসমানী

পূর্বে তারা যাদেরকে (অর্থাৎ যেই মিথ্যা উপাস্যদেরকে) ডাকত এখন আর তারা তাদের কোন হদিস পাবে না। তারা উপলব্ধি করবে যে, তাদের আর নিষ্কৃতি নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

পূর্বে তারা যাদের পূজা করত, তারা উধাও হয়ে যাবে এবং তারা বুঝে নেবে যে, তাদের কোন নিস্কৃতি নেই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

পূর্বে এরা যাদেরকে আহ্বান করত তারা উধাও হয়ে যাবে এবং অংশীবাদীরা উপলব্ধি করবে যে, এদের নিষ্কৃতির কোন উপায় নেই।


মাওলানা জহুরুল হক

আর এর আগে যাদের তারা ডাকত তারা তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে, আর তারা বুঝবে যে তাদের জন্য কোনো আশ্রয় নেই।


৪৯


لَا یَسۡـَٔمُ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ دُعَآءِ الۡخَیۡرِ ۫ وَاِنۡ مَّسَّہُ الشَّرُّ فَیَـُٔوۡسٌ قَنُوۡطٌ


লা-ইয়াছআমুল ইনছা-নুমিন দু‘আইল খাইরি ওয়াইম মাছছাহুশ শাররু ফাইয়াঊছুন কানূত।


Mufti Taqi Usmani

Man does not get weary of craving for (all sorts of ) good things; and if he is touched by some evil, he is disappointed, devoid of any hope.


মুফতী তাকী উসমানী

মানুষ মঙ্গল প্রার্থনায় ক্লান্ত হয় না। আর তাকে যদি কোন অমঙ্গল স্পর্শ করে, তখন চরম হতাশ হয়ে পড়ে, সব আশা ছেড়ে দেয়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

মানুষ উন্নতি কামনায় ক্লান্ত হয় না; যদি তাকে অমঙ্গল স্পর্শ করে, তবে সে সম্পূর্ণ রূপে নিরাশ হয়ে পড়ে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মানুষ ধন-সম্পদ প্রার্থনায় কোন ক্লান্তি বোধ করে না, কিন্তু যখন তাকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে নিরাশ ও হতাশ হয়ে পড়ে;


মাওলানা জহুরুল হক

মানুষ ভালর জন্যে প্রার্থনায় ক্লান্তি বোধ করে না, কিন্ত যদি দুঃখকষ্ট তাকে স্পর্শ করে সে তখন ধৈর্যহারা হয়ে যায়।


৫০


وَلَئِنۡ اَذَقۡنٰہُ رَحۡمَۃً مِّنَّا مِنۡۢ بَعۡدِ ضَرَّآءَ مَسَّتۡہُ لَیَقُوۡلَنَّ ہٰذَا لِیۡ ۙ وَمَاۤ اَظُنُّ السَّاعَۃَ قَآئِمَۃً ۙ وَّلَئِنۡ رُّجِعۡتُ اِلٰی رَبِّیۡۤ اِنَّ لِیۡ عِنۡدَہٗ لَلۡحُسۡنٰی ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِمَا عَمِلُوۡا ۫ وَلَنُذِیۡقَنَّہُمۡ مِّنۡ عَذَابٍ غَلِیۡظٍ


ওয়ালাইন আযাকনা-হু রাহমাতাম মিন্না-মিম বা‘দি দাররাআ মাছছাতহু লাইয়াকূলান্না হা-যা-লী ওয়ামাআজুন্নুছ ছা‘আতা কাইমাতাওঁ ওয়ালাইর রুজি‘তুইলারাববীইন্না লী ‘ইনদাহূলালহুছনা- ফালানুনাব্বিআন্নাল্লাযীনা কাফারূবিমা-‘আমিলূ ওয়া লানুযীকান্নাহুম মিন ‘আযা-বিন গালীজ।


Mufti Taqi Usmani

And if We give him a taste of some mercy from Us after some hardship that has touched him, he will surely say, “This is my right. And I do not think the Hour (the Day of Judgment) is going to occur. And even if I am brought back to my Lord, I will surely have the best (life) with Him (too).”So, We will let the disbelievers know what they did, and let them taste a stern punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

তাকে যে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করেছিল, তারপর যদি আমি আমার পক্ষ হতে তাকে রহমতের স্বাদ গ্রহণ করাই, তখন সে অবশ্যই বলবে, এটা তো আমার প্রাপ্য ছিল এবং আমি মনে করি না যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর আমাকে যদি আমার রব্বের কাছে ফিরিয়ে নেওয়াও হয়, তবে আমার বিশ্বাস তাঁর কাছেও আমার কল্যাণই লাভ হবে। আমি কাফেরদেরকে অবশ্যই অবহিত করব, তারা যা-কিছু করেছে এবং তাদেরকে অবশ্যই কঠোর শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাব।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বিপদাপদ স্পর্শ করার পর আমি যদি তাকে আমার অনুগ্রহ আস্বাদন করাই, তখন সে বলতে থাকে, এটা যে আমার যোগ্য প্রাপ্য; আমি মনে করি না যে, কেয়ামত সংঘটিত হবে। আমি যদি আমার পালনকর্তার কাছে ফিরে যাই, তবে অবশ্যই তার কাছে আমার জন্য কল্যাণ রয়েছে। অতএব, আমি কাফেরদেরকে তাদের কর্ম সম্পর্কে অবশ্যই অবহিত করব এবং তাদেরকে অবশ্যই আস্বাদন করাব কঠিন শাস্তি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যদি আমি তাকে অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে অবশ্যই বলে থাকে, ‘এটা আমার প্রাপ্য এবং আমি মনে করি না যে, কিয়ামত সংঘটত হবে, আর আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হয়ো তাঁর নিকট তো আমার জন্যে কল্যাণই থাকবে।’ আমি কাফিরদেরকে এদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করব এবং এদেরকে আস্বাদন করাইবই কঠোর শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

আর দুঃখদুর্দশা তাকে স্পর্শ করার পরে আমরা যদি তাকে আমাদের থেকে করুণা আস্বাদ করাই, সে নিশ্চয়ই বলবে -- "এটি আমারই জন্যে, আর আমি মনে করি না যে ঘড়িঘন্টা কায়েম হবে, আর যদিই বা আমাকে আমার প্রভুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তবে আমার জন্য তাঁর কাছে কল্যাণই থাকবে।" কিন্ত যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের আমরা অবশ্যই জানিয়ে দেব কী তারা করেছিল এবং তাদের আমরা অবশ্যই আস্বাদন করাব কঠোর শাস্তি থেকে।


৫১


وَاِذَاۤ اَنۡعَمۡنَا عَلَی الۡاِنۡسَانِ اَعۡرَضَ وَنَاٰ بِجَانِبِہٖ ۚ وَاِذَا مَسَّہُ الشَّرُّ فَذُوۡ دُعَآءٍ عَرِیۡضٍ


ওয়া ইযা আন‘আমনা-‘আলাল ইনছা-নি আ‘রাদা ওয়া নাআ-বিজা-নিবিহী ওয়া ইযা-মাছছাহুশ শাররু ফাযূদুআইন ‘আরীদ।


Mufti Taqi Usmani

When We bestow Our favor upon man, he avoids (to appreciate it) and keeps himself far aside (from obedience), and when some evil touches him, he is full of lengthy prayers.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি মানুষের প্রতি যখন কোন অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও পার্শ্ব পরিবর্তন করে দূরে সরে যায়। আবার তাকে যখন কোন অমঙ্গল স্পর্শ করে, তখন সে লম্বা-চওড়া দুআকারী হয়ে যায়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে। আর যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সুদীর্ঘ দোয়া করতে থাকে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও দূরে সরিয়া যায় এবং তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করলে সে তখন দীর্ঘ প্রার্থনায় রত হয়।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন আমরা মানুষের উপরে অনুগ্রহ বর্ষণ করি সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও এর আশপাশ থেকে দূরে সরে যায়, কিন্ত যখন দুঃখকষ্ট তাকে স্পর্শ করে তখন দেখো! সে দীর্ঘ প্রার্থনায় রত হয়।


৫২


قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ کَانَ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ثُمَّ کَفَرۡتُمۡ بِہٖ مَنۡ اَضَلُّ مِمَّنۡ ہُوَ فِیۡ شِقَاقٍۭ بَعِیۡدٍ


কুল আরাআইতুম ইন কা-না মিন ‘ইনদিল্লা-হি ছু ম্মা কাফারতুম বিহী মান আদাল্লুমিম্মান হুওয়া ফী শিকা-কিম বা‘ঈদ।


Mufti Taqi Usmani

Say (to the disbelievers), “Tell me, if it (the Qur’ān) is from Allah, and still you reject it, then who can be more erroneous than him who is (involved) in far reaching schism?”


মুফতী তাকী উসমানী

(হে রাসূল! কাফেরদেরকে) বলে দাও, তোমরা ভেবে দেখেছ কি এ কুরআন যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে, তারপরও তোমরা এটাকে অস্বীকার কর, তবে যে ব্যক্তি (এর) ঘোর বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত থাকে, তার চেয়ে বেশি বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, অতঃপর তোমরা একে অমান্য কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এই কুরআন আল্লাহ্ র নিকট হতে অবতীর্ণ হয়ে থাকে আর তোমরা এটা প্রত্যাখ্যান কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত আছে, তার অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে ?’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "তোমরা কি ভেবে দেখেছ, যদি এটি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে হ’য়ে থাকে এবং তোমরা এতে অবিশ্বাস কর, তাহলে তার চাইতে কে বেশী পথভ্রান্ত যে সুদূরব্যাপী বিরুদ্ধাচরণে রয়েছে?"


৫৩


سَنُرِیۡہِمۡ اٰیٰتِنَا فِی الۡاٰفَاقِ وَفِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَہُمۡ اَنَّہُ الۡحَقُّ ؕ اَوَلَمۡ یَکۡفِ بِرَبِّکَ اَنَّہٗ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَہِیۡدٌ


ছানুরীহিম আ-য়া-তিনা-ফিল আ-ফা-কিওয়া ফীআনফুছিহিম হাত্তা-ইয়াতাবাইইয়ানা লাহুম আন্নাহুল হাক্কু আওয়ালাম ইয়াকফি বিরাব্বিকা আন্নাহূ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।


Mufti Taqi Usmani

We will show them Our signs in the universe and within their own beings until it will become manifest to them that it is the truth. Is it not enough about your Lord that He is witness to everything?


মুফতী তাকী উসমানী

আমি আমার নিদর্শনাবলী তাদেরকে দেখাব বিশ্বজগতেও এবং খোদ তাদের অস্তিত্বের ভেতরও, যাতে তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এটাই সত্য। ২৩ তোমার প্রতিপালকের একথা কি যথেষ্ট নয় যে, তিনি সকল বিষয়ের সাক্ষী?


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়?


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি এদের জন্যে আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব, বিশ্বজগতে এবং এদের নিজেদের মধ্যে; ফলে এদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠিবে যে, এটাই সত্য। এটা কি তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সর্ববিষয়ে অবহিত ?


মাওলানা জহুরুল হক

আমরা অচিরেই তাদের দেখাব আমাদের নিদর্শনাবলী দিগদিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে এটি নিঃসন্দেহ ধ্রুবসত্য। এটি কি যথেষ্ট নয় যে তোমার প্রভু -- তিনিই তো সব-কিছুর উপরে সাক্ষী রয়েছেন?


তাফসীরঃ

২৩. অর্থাৎ কুরআন যে আল্লাহর সত্য কিতাব এর অপরাপর দলীল-প্রমাণ তো আপন স্থানে আছেই। এবার আমি এর সপক্ষে আমার কুদরতের নিদর্শন দেখাব তাদের নিজ অস্তিত্বের ভেতরও এবং তাদের আশপাশে সমগ্র আরব এলাকায়, বরং সারা জাহানে। তা দ্বারা কুরআন ও কুরআনের বাহকের সত্যতা দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে। কী সে নিদর্শন? তা হচ্ছে ইসলামের আজিমুশ্বান দিগ্বিজয়, যা কুরআনী ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী বাহ্যিক আসবাব-উপকরণের সম্পূর্ণ বিপরীত, অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে সাধিত হয়েছিল। সুতরাং মক্কার কাফেরগণ বদরের যুদ্ধে খোদ নিজেদের অস্তিত্বের ভেতর, মক্কা বিজয়ে আরব জাহানের কেন্দ্রভূমিতে এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে সমগ্র বিশ্বে এ নিদর্শন নিজেদের চোখে দেখে নিয়েছে। এমনও হতে পারে যে, এ আয়াতে যে নিদর্শনের প্রতি ইশারা করা হয়েছে, তা হল সেই সব সাধারণ নিদর্শন, যা চিন্তাশীল ব্যক্তি তার নিজ অস্তিত্ব ও বিশ্ব চরাচরের প্রতিটি বস্তুর মধ্যে দেখতে পায়। তা দ্বারা যেমন আল্লাহ তাআলার তাওহীদ ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়, তেমনি কুরআন মাজীদে প্রদত্ত বক্তব্যসমূহেরও সত্যতা প্রতিভাত হয়। কেননা লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কুরআনের সব কথা বিশ্বজগতে আল্লাহ তাআলার যে শাশ্বত বিধান ও প্রাকৃতিক নিয়ম-নীতি কার্যকর রয়েছে, তার সাথে শতভাগ সঙ্গতিপূর্ণ, আর তা নিত্য-নতুনভাবে মানুষের সামনে পরিস্ফুট হচ্ছে। আর এসব বিষয় যেহেতু মানুষের কাছে একসঙ্গে প্রকাশ পায় না; বরং এক-এক করে ক্রমান্বয়ে তার উপর থেকে পর্দা উন্মোচিত হচ্ছে তাই আল্লাহ তাআলা বিষয়টাকে ‘আমি আমার নিদর্শনাবলী দেখাব’ শব্দে ব্যক্ত করেছেন (-অনুবাদক তাফসীরে উসমানী থেকে)।


৫৪


اَلَاۤ اِنَّہُمۡ فِیۡ مِرۡیَۃٍ مِّنۡ لِّقَآءِ رَبِّہِمۡ ؕ  اَلَاۤ اِنَّہٗ بِکُلِّ شَیۡءٍ مُّحِیۡطٌ ٪


আলাইন্নাহুম ফী মিরইয়াতিম মিলিলকাই, রাব্বিহিম আলাইন্নাহূবিকুল্লি শাইয়িম মুহীত।


Mufti Taqi Usmani

Beware, they are in doubt about meeting their Lord. Beware, He is the One who encompasses everything.


মুফতী তাকী উসমানী

জেনে রেখ, তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাত সম্পর্কে সন্দেহে পড়ে আছে। জেনে রেখ, তিনি অবশ্যই প্রতিটি বস্তুকে বেষ্টন করে আছেন।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

শুনে রাখ, তারা তাদের পালনকর্তার সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে সন্দেহে পতিত রয়েছে। শুনে রাখ, তিনি সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

জেনে রাখ, এরা এদের প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সন্দিহান। জেনে রাখ, সবকিছুকে আল্লাহ্ পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।


 

Post a Comment

0 Comments