কোরআন সূরা আল আহ্‌ক্বাফ,বৈশিষ্ট্য গুলো সূরা আল আহ্‌ক্বাফ,সূরা আহ্‌ক্বাফ আরবি লেখা,সূরা আহ্‌ক্বাফ ব্যাখ্যা,সুরা আহ্‌ক্বাফ প্রত্যেক রোগের ওষুধ বিশেষ, সূরা আহ্‌ক্বাফ বাংলা তাফসীর

  

কোরআন ও হাদিসের আলোতে সূরা আহ্‌ক্বাফ সকল তথ্য আল,আহ্‌ক্বাফ আলমল ও ফজিলত, সূরা আহ্‌ক্বাফ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা আহ্‌ক্বাফ নাযিলের কারন গুলো কি কি

৪৬ . আল আহ্‌ক্বাফ - ( الأحقاف ) | বালুর পাহাড়

মাক্কী, মোট আয়াতঃ ৩৫


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ


حٰمٓ ۚ


হা-মীম।


Mufti Taqi Usmani

Hā Mīm .


মুফতী তাকী উসমানী

হা-মীম।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হা-মীম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

হা-মীম।


মাওলানা জহুরুল হক

হা মীম!



تَنۡزِیۡلُ الۡکِتٰبِ مِنَ اللّٰہِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَکِیۡمِ


তানঝীলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল ‘আঝীঝিল হাকীম।


Mufti Taqi Usmani

This is revelation of the book from Allah, the All-Mighty, the All-Wise.


মুফতী তাকী উসমানী

এ কিতাব নাযিল করা হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে, যিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এই কিতাব পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এই কিতাব পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্ র নিকট হতে অবতীর্ণ ;


মাওলানা জহুরুল হক

এ গ্রন্থের অবতারণ আল্লাহ্‌র কাছ থেকে, যিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।



مَا خَلَقۡنَا السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ وَمَا بَیۡنَہُمَاۤ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا عَمَّاۤ اُنۡذِرُوۡا مُعۡرِضُوۡنَ


মা-খালাকনাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ামা-বাইনাহুমাইল্লা-বিলহাক্কি ওয়াআজালিম মুছাম্মাওঁ ওয়াল্লাযীনা কাফারূ‘আম্মাউনযিরূমু‘রিদূন।


Mufti Taqi Usmani

We did not create the heavens and the earth but with true purpose and for a specified term. But those who disbelieve are averse to what they are warned of.


মুফতী তাকী উসমানী

আমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝের বস্তুসমূহ সৃষ্টি করিনি যথাযথ উদ্দেশ্য ও সুনির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়া ১। যারা কুফর অবলম্বন করেছে তারা তাদেরকে যে বিষয় সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে, তা থেকে বিমুখ হয়ে আছে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নভোমন্ডল, ভূ-মন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু আমি যথাযথভাবেই এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্যেই সৃষ্টি করেছি। আর কাফেররা যে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুই আমি যথাযথভাবে নির্দিষ্ট কালের জন্যে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু কাফিররা, এদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।


মাওলানা জহুরুল হক

আমরা মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দুইয়ের মধ্যে যা-কিছু রয়েছে তা সত্যের সাথে এবং একটি নির্দিষ্ট কালের জন্য ছাড়া সৃষ্টি করি নি। কিন্তু যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা ফিরে দাঁড়ায় তা থেকে যে-সন্বন্ধে তাদের সতর্ক করা হয়।


তাফসীরঃ

১. অর্থাৎ মহাবিশ্বকে আমি অনর্থক সৃষ্টি করিনি। এর সৃষ্টির পেছনে আমার যথার্থ উদ্দেশ্য আছে। সে উদ্দেশ্য হল একে আমার একত্ব ও আমার অপার জ্ঞান-কুদরতের নিদর্শনরূপে পেশ করা। আর জগতকে আমি অনন্তকালের জন্য সৃষ্টি করিনি। এর জন্য একটি মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। সে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এ জগত ধ্বংস হয়ে যাবে। -অনুবাদক



قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقُوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ اَمۡ لَہُمۡ شِرۡکٌ فِی السَّمٰوٰتِ ؕ اِیۡتُوۡنِیۡ بِکِتٰبٍ مِّنۡ قَبۡلِ ہٰذَاۤ اَوۡ اَثٰرَۃٍ مِّنۡ عِلۡمٍ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ


কুল আরাআইতুম মা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি আরূনী মা-যা-খালাকূমিনাল আরদিআম লাহুম শিরকুন ফিছ ছামা-ওয়া-তি ঈতূনী বিকিতা-বিম মিন কাবলি হা-যাআও আছারাতিম মিন ‘ইলমিন ইন কুনতুম সা-দিকীন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “Tell me about those whom you invoke instead of Allah, (and) show me what they have created from the earth; Or have they a share in (the creation of) the heavens? Bring to me a book (revealed) before this one, or a trace of knowledge, if you are truthful.”


মুফতী তাকী উসমানী

তুমি তাদেরকে বল, তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাক, তাদের নিয়ে কি কখনও চিন্তা করেছ? আমাকে একটু দেখাও তো তারা পৃথিবীর কোন জিনিসটা সৃষ্টি করেছে? অথবা আকাশ- মণ্ডলীর (সৃজনের) মধ্যে তাদের কি কোন অংশ আছে? তোমরা এর পূর্বের কোন কিতাব বা জ্ঞানভিত্তিক কোন বর্ণনা থাকলে তা আমার সামনে নিয়ে এসো ২ যদি তোমরা সত্যবাদী হও।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের পূজা কর, তাদের বিষয়ে ভেবে দেখেছ কি? দেখাও আমাকে তারা পৃথিবীতে কি সৃষ্টি করেছে? অথবা নভোমন্ডল সৃজনে তাদের কি কোন অংশ আছে? এর পূর্ববর্তী কোন কিতাব অথবা পরস্পরাগত কোন জ্ঞান আমার কাছে উপস্থিত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘তোমরা আল্লাহ্ র পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তাদের কথা ভেবে দেখেছ কি ? এরা পৃথিবীতে কী সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও বা আকাশমণ্ডলীতে এদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি ? পূর্ববর্তী কোন কিতাব বা পরম্পরাগত কোন জ্ঞান থাকলে তা তোমরা আমার নিকট উপস্থিত কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে যাদের তোমরা ডাক তাদের কথা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? পৃথিবীর কোন জিনিস তারা সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও তো? অথবা তাদের কি কোনো অংশ আছে মহাকাশমন্ডলীতে? আমার কাছে এর আগের কোনো গ্রন্থ অথবা জ্ঞানের কোনো প্রামাণ্য চিহ নিয়ে এস, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।"


তাফসীরঃ

২. এ আয়াতসমূহে বলা হয়েছে, নিজেদের শিরকী আকীদা-বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুশরিকদের কাছে না কোন যুক্তিসিদ্ধ প্রমাণ আছে, না আছে বর্ণনা নির্ভর দলীল। তারা যে মাবুদদের পূজা করে, তারা যে আল্লাহ তাআলার প্রভুত্বে কোনও রকমের অংশীদারিত্ব রাখে এর সপক্ষে তাদের কোনও যুক্তিই নেই। বর্ণনা নির্ভর দলীল দু’রকম হতে পারে। (ক) আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কোন কিতাব থাকা, যাতে তাদের উপাস্যদেরকে আল্লাহ তাআলার প্রভুত্বের অংশীদার সাব্যস্ত করা হয়েছে। মুশরিকদেরকে বলা হচ্ছে, এমন কোন কিতাব থাকলে তা এনে দেখাও। (খ) বর্ণনা নির্ভর দলীলের দ্বিতীয় প্রকার হল, কোন নবীর পক্ষ হতে কোন উক্তি থাকা এবং সে উক্তির সপক্ষে জ্ঞানভিত্তিক কোন সনদ থাকা যে, বাস্তবিকই সেটা নবীর কথা। ‘জ্ঞানভিত্তিক কোন বর্ণনা’ বলে এই দ্বিতীয় প্রকার দলীলের প্রতিই ইশারা করা হয়েছে। মোদ্দাকথা নিজেদের আকীদা-বিশ্বাসের সপক্ষে মুশরিকদের কাছে না আছে কোন আসমানী কিতাব আর না আছে কোন নবীর উক্তি, যা নির্ভরযোগ্যভাবে তাঁর উক্তি হিসেবে স্বীকৃত।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)


وَمَنۡ اَضَلُّ مِمَّنۡ یَّدۡعُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَنۡ لَّا یَسۡتَجِیۡبُ لَہٗۤ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ وَہُمۡ عَنۡ دُعَآئِہِمۡ غٰفِلُوۡنَ


ওয়ামান আদাল্লুমিম্মাইঁ ইয়াদ‘ঊ মিন দূনিল্লা-হি মাল্লা-ইয়াছতাজীবুলাহূইলা-ইয়াওমিল কিয়া-মাতি ওয়াহুম ‘আন দু‘আইহিম গা-ফিলূন।


Mufti Taqi Usmani

Who is more astray than him who invokes, instead of Allah, those who will not respond to him up to the Day of Judgement; and they are totally unaware of their prayers,


মুফতী তাকী উসমানী

তার চেয়ে বড় পথভ্রষ্ট আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে ছেড়ে এমন কাউকে (অর্থাৎ মনগড়া দেবতাকে) ডাকে, যে কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয় এবং তাদের ডাক সম্পর্কে তাদের খবর পর্যন্ত নেই।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে এমন বস্তুর পূজা করে, যে কেয়ামত পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? তারা তো তাদের পুজা সম্পর্কেও বেখবর।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সেই ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে, যে আল্লাহ্ র পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামত দিবস পর্যন্তও এতে সাড়া দিবে না ? এবং এইগুলি এদের প্রার্থনা সম্বন্ধে অবহিতও নয়।


মাওলানা জহুরুল হক

আর কে বেশি বিপথে গেছে তাদের চাইতে যারা আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে তাকে ডাকে যে তাদের প্রতি সাড়া দেয় না কিয়ামতের দিন পর্যন্ত, আর তারা এদের আহ্বান সন্বন্ধেই বেখেয়াল থাকে?



وَاِذَا حُشِرَ النَّاسُ کَانُوۡا لَہُمۡ اَعۡدَآءً وَّکَانُوۡا بِعِبَادَتِہِمۡ کٰفِرِیۡنَ


ওয়া ইযা-হুশিরান্না-ছুকা-নূলাহুম আ‘দাআওঁ ওয়া কা-নূবি‘ইবা-দাতিহিম কা-ফিরীন।


Mufti Taqi Usmani

and when people will be assembled (on the Day of Judgment), they will be enemies to them, and will refuse even their having worshipped them.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং মানুষকে (হাশরের মাঠে) যখন একত্র করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং তারা তাদের ইবাদতকেই অস্বীকার করবে। ৩


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন মানুষকে হাশরে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হবে এবং তাদের এবাদত অস্বীকার করবে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন কিয়ামতের দিন মানুষকে একত্র করা হবে তখন ঐগুলি হবে এদের শত্রু এবং ঐগুলি এদের ‘ইবাদত অস্বীকার করবে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন মানবগোষ্ঠীকে সমবেত করা হবে তখন তারা তাদের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে, আর তাদের যে উপাসনা করা হয়েছিল সে কথাতেই তারা অস্বীকারকারী হবে।


তাফসীরঃ

৩. অর্থাৎ মুশরিকরা যাদের পূজা করে, আখেরাতে তারা সকলে ঘোষণা করবে, মুশরিকদের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং তারা তাদের ইবাদত করত না। সূরা কাসাসেও (২৮ : ৬৩) এ কথা বর্ণিত হয়েছে। এর বিশদ এই যে, মুশরিক কয়েক রকমের হয়ে থাকে। (এক) এক শ্রেণীর মুশরিক কোন কোন ব্যক্তিকে মাবুদ বানিয়ে তাদের পূজা করে থাকে। অনেক সময় সেই সকল ব্যক্তির খবরও থাকে না যে, তাদের পূজা করা হচ্ছে। তাই তারা তাদের পূজা করার কথা অস্বীকার করবে। আর যাদের খবর আছে, তারা বলবে, প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের নয়; বরং নিজেদের খেয়াল-খুশীরই পূজা করত। (দুই) কতক মুশরিক ফেরেশতাদের পূজা করত। তাদের সম্পর্কে সূরা সাবায় (৩৪ : ৪০, ৪১) বলা হয়েছে যে, যখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি তোমাদের ইবাদত করত? তখন তারা বলবে, তারা তো জিন ও শয়তানদের ইবাদত করত। কেননা তারাই তাদেরকে সে কাজে লিপ্ত করেছিল। (তিন) তৃতীয় শ্রেণীর মুশরিক তারা, যারা মাটি-পাথরের প্রতিমার পূজা করে। কোন কোন বর্ণনায় আছে, আল্লাহ তাআলা সেই মুশরিকদেরকে দেখানোর জন্য প্রতিমাদেরকে বাকশক্তি দান করবেন। দুনিয়ায় তারা যেহেতু নিষ্প্রাণ বস্তু, তাই বাস্তবিকই তাদের খবর থাকে না যে, তাদের পূজা করা হয়। তাই তারাও বলবে, তারা আমাদের ইবাদত করত না। এ বর্ণনা যদি প্রমাণিত না হয়, তবে তাদের একথা বলার অর্থ তারা তাদের অবস্থা দ্বারা বোঝাবে যে, আমরা তো নিষ্প্রাণ পাথর। কাজেই তারা যে আমাদের পূজা করত তার খবর আমাদের কি করে থাকবে (রূহুল মাআনী)।



وَاِذَا تُتۡلٰی عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُنَا بَیِّنٰتٍ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِلۡحَقِّ لَمَّا جَآءَہُمۡ ۙ  ہٰذَا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ ؕ


ওয়া ইযা-তুতলা ‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লিলহাক্কিলাম্মা-জাআহুম হা-যা-ছিহরুম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

When Our verses are recited to them in all their clarity, the disbelievers say about the truth when it comes to them, “This is an open magic.”


মুফতী তাকী উসমানী

যখন তাদের সামনে আমার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে পড়া হয়, তখন কাফেরগণ তাদের কাছে সত্য পৌঁছে যাওয়ার পরও বলে, এটা তো পরিষ্কার যাদু।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন তাদেরকে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনানো হয়, তখন সত্য আগমন করার পর কাফেররা বলে, এ তো প্রকাশ্য জাদু।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যখন এদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয় এবং এদের নিকট সত্য উপস্থিত হয়, তখন কাফিররা বলে, ‘এটা তো সুস্পষ্ট জাদু।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যখন আমাদের সুস্পষ্ট বাণীসমূহ তাদের কাছে পঠিত হয় তখন যারা অবিশ্বাস করে তারা সত্য সন্বন্ধে বলে, যখন তা তাদের কাছে আসে -- "এতো স্পষ্ট জাদু।"



اَمۡ یَقُوۡلُوۡنَ افۡتَرٰىہُ ؕ قُلۡ اِنِ افۡتَرَیۡتُہٗ فَلَا تَمۡلِکُوۡنَ لِیۡ مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا ؕ ہُوَ اَعۡلَمُ بِمَا تُفِیۡضُوۡنَ فِیۡہِ ؕ کَفٰی بِہٖ شَہِیۡدًۢا بَیۡنِیۡ وَبَیۡنَکُمۡ ؕ وَہُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ


আম ইয়াকূলূনাফতারা-হূ কুল ইনিফতারাইতুহূফালা-তামলিকূনা লী মিনাল্লা-হি শাইআন হুওয়া আ‘লামুবিমা-তুফীদূ না ফীহি কাফা-বিহী শাহীদাম বাইনী ওয়া বাইনাকুম ওয়া হুওয়াল গাফূরুর রাহীম।


Mufti Taqi Usmani

Is it that they say, “He has forged it (the Qur’ān)”? Say, “If I have forged it, then you do not have any power to help me against Allah. He is well aware of what you are engaged in. He is enough as a witness between me and you, and He is the Most-Forgiving, the Very-Merciful.”


মুফতী তাকী উসমানী

তাদের কথা কি এই যে, নবী তা নিজের পক্ষ থেকে রচনা করেছে? বলে দাও, আমি যদি এটা নিজের পক্ষ হতে রচনা করে থাকি, তবে আল্লাহর ধরা হতে তোমরা আমাকে কিছুমাত্র রক্ষা করতে পারবে না। ৪ তোমরা যেসব কথায় লিপ্ত আছ, তা তিনি ভালোভাবে জানেন। আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হওয়ার জন্য তিনিই যথেষ্ট এবং তিনিই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি বলে যে, রসূল একে রচনা করেছে? বলুন, যদি আমি রচনা করে থাকি, তবে তোমরা আল্লাহর শাস্তি থেকে আমাকে রক্ষা করার অধিকারী নও। তোমরা এ সম্পর্কে যা আলোচনা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। আমার ও তোমাদের মধ্যে তিনি সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। তিনি ক্ষমাশীল, দয়াময়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তবে কি এরা বলে যে, ‘সে এটা উদ্ভাবন করেছে।’ বল, ‘যদি আমি এটা উদ্ভাবন করে থাকি, তবে তোমরা তো আল্লাহ্ র শাস্তি হতে আমাকে কিছুতেই রক্ষা করতে পারবে না। তোমরা যে বিষয়ে আলোচনায় লিপ্ত আছ, সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে তিনিই যথেষ্ট এবং তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’


মাওলানা জহুরুল হক

অথবা তারা বলে -- "সে এটি জাল করেছে।" তুমি বলো -- "আমি যদি এটি জাল করে থাকি তাহলে তোমরা তো আল্লাহ্‌র তরফ থেকে কিছুই আমার জন্য আয়ত্ত কর না। তিনি ভাল জানেন তোমরা এ বিষয়ে যা বলাবলি কর। তিনিই এ ব্যাপারে আমার মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। আর তিনি পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।"


তাফসীরঃ

৪. আল্লাহ তাআলার রীতি হল, কোন ব্যক্তি যদি নবুওয়াতের মিথ্যা দাবি করে এবং নিজের পক্ষ থেকে কোন কথা রচনা করে বলে, এটা আল্লাহর বাণী, তবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতেই তাকে লাঞ্ছিত করেন। তাই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করা হয়েছে, আপনি বলুন, আমি যদি এ বাণী নিজে রচনা করে থাকি, তবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতেই আমাকে শাস্তি দান করবেন আর তাঁর শাস্তি হতে আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।



قُلۡ مَا کُنۡتُ بِدۡعًا مِّنَ الرُّسُلِ وَمَاۤ اَدۡرِیۡ مَا یُفۡعَلُ بِیۡ وَلَا بِکُمۡ ؕ اِنۡ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا یُوۡحٰۤی اِلَیَّ وَمَاۤ اَنَا اِلَّا نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ


কুল মা-কুনতুবিদ‘আম মিনার রুছুলি ওয়ামাআদরী মা-ইউফ‘আলুবী ওয়ালা-বিকুম ইন আত্তাবি‘উ ইল্লা-মা-ইউহাইলাইইয়া ওয়ামাআনা ইল্লা-নাযীরুম মুবীন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “I am not something unprecedented among the messengers, and I do not know what will be done to me or to you. I do not follow anything but what is revealed to me, and I am only a clear warner.”


মুফতী তাকী উসমানী

বল, আমি রাসূলগণের মধ্যে অভিনব নই। আমি জানি না আমার সঙ্গে কী আচরণ করা হবে এবং এটাও (জানি) না যে, তোমাদের সঙ্গে কী আচরণ করা হবে। ৫ আমি তো কেবল আমার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তারই অনুসরণ করি। আর আমি তো কেবল একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘আমি কোন নূতন রাসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে ; আমি আমার প্রতি যা ওহী করা হয় কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’


মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলো -- "আমি রসূলগণের মধ্যে প্রারম্ভিক নই, আর আমি ধারণা করতে পারি না আমার প্রতি কি করা হবে এবং তোমাদের সম্পর্কেও নয়। আমি শুধু অনুসরণ করি আমার কাছে যা প্রত্যাদিষ্ট হয়েছে তা বৈ তো নয়, আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী ব্যতীত আর কিছুই নই।"


তাফসীরঃ

৫. এ বাক্যটিকে পরের বাক্যের সাথে মিলিয়ে পড়া চাই। এতে বলা হচ্ছে, আমি এমন অভিনব রাসূল নই যে, আমার আগে কোন রাসূল আসেনি এবং আমি এ রকম অস্বাভাবিক দাবি করছি না যে, আমি আলেমুল গায়েব, অদৃশ্যের সবকিছু আমি জানি। আমি যা-কিছু পেয়েছি কেবল ওহীর মাধ্যমেই পেয়েছি। এমনকি ওহী ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমার এটাও জানা সম্ভব নয় যে, দুনিয়া ও আখেরাতে আমার বা তোমাদের সাথে কি রকম ব্যবহার হবে।


১০


قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ کَانَ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ وَکَفَرۡتُمۡ بِہٖ وَشَہِدَ شَاہِدٌ مِّنۡۢ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ عَلٰی مِثۡلِہٖ فَاٰمَنَ وَاسۡتَکۡبَرۡتُمۡ ؕ  اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ٪


কুল আরাআইতুম ইন কা-না মিন ‘ইনদিল্লা-হি ওয়া কাফারতুম বিহী ওয়া শাহিদা শা-হিদুম মিম বানীইছরাঈলা ‘আলা-মিছলিহী ফাআ-মানা ওয়াছতাকবারতুম ইন্নাল্লা-হা লাইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।


Mufti Taqi Usmani

Say, “Tell me, If it (the Qur’ān) is from Allah and you reject it, and a witness from the children of Isrā’īl testifies about something similar to it and comes to believe (in it), while you persist in your arrogance, (then, how unjust you are!) Surely, Allah does not give guidance to the unjust people.


মুফতী তাকী উসমানী

বল, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এটা (অর্থাৎ কুরআন) আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর তোমরা তাকে অস্বীকার কর। অন্যদিকে বনী ইসরাঈলের কোন সাক্ষী এ রকম বিষয়ের পক্ষে সাক্ষ্য দেয় এবং সে তার প্রতি ঈমানও আনে ৬ আর তোমরা নিজেদের অহমিকায় লিপ্ত থাক (তবে এটা কি মারাত্মক অবিচার হবে না?)। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়াতপ্রাপ্ত করেন না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় এবং তোমরা একে অমান্য কর এবং বনী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী এর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে এতে বিশ্বাস স্থাপন করে; আর তোমরা অহংকার কর, তবে তোমাদের চেয়ে অবিবেচক আর কে হবে? নিশ্চয় আল্লাহ অবিবেচকদেরকে পথ দেখান না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি এই কুরআন আল্লাহ্ র নিকট হতে অবতীর্ণ হয়ে থাকে আর তোমরা এতে অবিশ্বাস কর, অথচ বনী ইসরাঈলের একজন এটার অনুরূপ কিতাব সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে ; আর তোমরা ঔদ্ধত্য প্রকাশ কর, তা হলে তোমাদের পরিণাম কি হবে ? নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।

(ads2)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

মাওলানা জহুরুল হক

তুমি বলে যাও -- "তোমরা কি ভেবে দেখেছ -- এটি যদি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে হয়ে থাকে আর তোমরা এতে অবিশ্বাস কর, অথচ ইসরাইলের বংশধরদের থেকে একজন সাক্ষ্যদাতা তাঁর অনুরূপ সন্বন্ধে সাক্ষ্য দেন, ফলে তিনি বিশ্বাস করেন, কিন্তু তোমরা গর্ববোধ কর? নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ অন্যায়াচারী জাতিকে সৎপথে চালান না।


তাফসীরঃ

৬. ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের মধ্যে কিছু লোক কুরআন মাজীদের প্রতি ঈমান আনবে। যেমন পরবর্তীতে ইয়াহুদীদের মধ্যে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযি.) ও খ্রিস্টানদের মধ্যে হযরত আদী ইবনে হাতিম (রাযি.) ও নাজাশী (রহ.) ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তারা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, এ রকমই কিতাব হযরত মূসা আলাইহিস সালামের উপর নাযিল করা হয়েছিল এবং মৌলিক আকীদা-বিশ্বাসের দিক থেকে কুরআন মাজীদ তারই মত কিতাব। মক্কা মুকাররমার পৌত্তলিকদেরকে বলা হচ্ছে, পূর্বে যাদের আসমানী কিতাব ছিল তারা তো ঈমান আনার দিক থেকে তোমাদের সামনে চলে যাবে আর তোমরা আত্মাভিমান নিয়ে বসে থাকবে এটা কতই না জুলুমের কথা হবে।


১১


وَقَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَوۡ کَانَ خَیۡرًا مَّا سَبَقُوۡنَاۤ اِلَیۡہِ ؕ وَاِذۡ لَمۡ یَہۡتَدُوۡا بِہٖ فَسَیَقُوۡلُوۡنَ ہٰذَاۤ اِفۡکٌ قَدِیۡمٌ


ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল্লাযীনা আ-মানূলাও কা-না খাইরাম মা-ছাবাকূনা ইলাইহি ওয়া ইযলাম ইয়াহতাদূবিহী ফাছাইয়াকূলূনা হা-যাইফকুন কাদীম।


Mufti Taqi Usmani

The disbelievers say about the believers, “Had it (Islamic faith) been a good thing, these (weak and poor) people would not have preceded us (in proceeding) towards it.” Since they did not accept guidance through it (the Qur’ān), they will say, “This is a classical lie.”


মুফতী তাকী উসমানী

যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তারা মুমিনদের সম্পর্কে বলে, এটা (ঈমান আনয়ন) যদি ভালো কিছু হত, তবে তারা এর প্রতি আমাদের চেয়ে অগ্রগামী হতে পারত না ৭ এবং কাফেরগণ যখন এর দ্বারা নিজেরা হেদায়াত লাভ করল না, তখন তো এটাই বলবে যে, এটা সেই পুরানো দিনের মিথ্যা।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর কাফেররা মুমিনদের বলতে লাগল যে, যদি এ দ্বীন ভাল হত তবে এরা আমাদেরকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারত না। তারা যখন এর মাধ্যমে সুপথ পায়নি, তখন শীঘ্রই বলবে, এ তো এক পুরাতন মিথ্যা।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

মু’মিনদের সম্পর্কে কাফিররা বলে, ‘যদি এটা ভাল হত তবে তারা এটার দিকে আমাদেরকে অতিক্রম করে যেতে পারত না।’ আর যখন এরা এটা দিয়ে সৎপথপ্রাপ্ত হয় নাই তখন তারা অবশ্য বলবে, ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা তাদের সন্বন্ধে বলে যারা ঈমান এনেছে, "এটি যদি ভাল হতো তাহলে তারা এর প্রতি আমাদের পাঠ শেখাত না।" আর যেহেতু তারা এর দ্বারা সৎপথের দিশা পায় নি তাই তারা তো বলবেই, "এটি এক পুরনো মিথ্যা।"


তাফসীরঃ

৭. এটা হল কাফেরদের অহমিকা। তারা মনে করত, ভালো যা-কিছু সব আমাদের মধ্যেই আছে আর যারা ঈমান এনেছে আমাদের সামনে তাদের কোন মর্যাদা নেই। কাজেই ইসলাম কোন ভালো জিনিস হলে আমরা আগে গ্রহণ করতাম। তারা আমাদেরকে পেছনে ফেলতে পারত না।


১২


وَمِنۡ قَبۡلِہٖ کِتٰبُ مُوۡسٰۤی اِمَامًا وَّرَحۡمَۃً ؕ  وَہٰذَا کِتٰبٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِیًّا لِّیُنۡذِرَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا ٭ۖ  وَبُشۡرٰی لِلۡمُحۡسِنِیۡنَ ۚ


ওয়া মিন কাবলিহী কিতা-বুমূছাইমা-মাওঁ ওয়া রাহমাতাওঁ ওয়া হা-যা-কিতাবুম মুসাদ্দিকুল্লিছা-নান ‘আরাবিইইয়াল লিইউনযিরাল্লাযীনা জালামূ ওয়াবুশরালিলমুহছিনীন।


Mufti Taqi Usmani

And before this there was the Book of Mūsā, a guide and a mercy. And this is a Book confirming (it) in Arabic tongue, so that it may warn the wrongdoers and give good news to those who are good in their deeds.


মুফতী তাকী উসমানী

এর আগে মূসার কিতাব এসেছে পথপ্রদর্শক ও রহমত হয়ে। আর এটা (অর্থাৎ কুরআন) আরবী ভাষায় অবতীর্ণ কিতাব, যা তাকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়, ৮ যাতে এটা জালেমদেরকে সতর্ক করে এবং সৎকর্মশীলদের জন্য হয় সুসংবাদ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

এর আগে মূসার কিতাব ছিল পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এই কিতাব তার সমর্থক আরবী ভাষায়, যাতে যালেমদেরকে সতর্ক করে এবং সৎকর্মপরায়ণদেরকে সুসংবাদ দেয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এটার পূর্বে ছিল মূসার কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহস্বরূপ। আর এই কিতাব এটার প্রত্যায়নকারী, আরবী ভাষায়, যেন এটা জালিমদেরকে সতর্ক করে এবং যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দেয়।


মাওলানা জহুরুল হক

আর এর আগে ছিল মুসার গ্রন্থ -- অগ্রদূত ও করুণাস্বরূপ। আর এখানা হচ্ছে সত্যসমর্থনকারী কিতাব, আরবী ভাষায়, যেন এটি সতর্ক করতে পারে তাদের যারা অন্যায়াচরণ করছে, এবং সৎকর্মশীলদের জন্য হতে পারে সুসংবাদ স্বরূপ।


তাফসীরঃ

৮. কুরআন আরবী ভাষায় হওয়ার কথাটা বিশেষভাবে উল্লেখ করার দ্বারা ইশারা করা হয়েছে যে, পূর্বে আরবী ভাষায় কোন কিতাব অবতীর্ণ হয়নি এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষা জানতেন না। তা সত্ত্বেও তিনি আরবী ভাষায় পূর্ববর্তী এমন সব কিতাবের কথা বর্ণনা করছেন, যা জানার জন্য ওহী ছাড়া তাঁর আর কোন মাধ্যম ছিল না। এটাই প্রমাণ যে, তাঁর উপর ওহী নাযিল হয়।


১৩


اِنَّ الَّذِیۡنَ قَالُوۡا رَبُّنَا اللّٰہُ ثُمَّ اسۡتَقَامُوۡا فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَلَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ۚ


ইন্নাল্লাযীনা কা-লূরাব্বুনাল্লা-হুছু ম্মাছতাকা-মূফালা-খাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালা-হুম ইয়াহঝানূন।


Mufti Taqi Usmani

Surely, those who say, “Our Lord is Allah” and then stay firm, they will have no fear, nor shall they grieve.


মুফতী তাকী উসমানী

নিশ্চয়ই যারা বলেছে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, তারপর এতে অবিচল থেকেছে, ৯ তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক তো আল্লাহ্’ এরপর অবিচলিত থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

নিঃসন্দেহ যারা বলে -- "আমাদের প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ্‌", তারপর কায়েম থাকে, তাদের উপর তবে কোনো ভয় নেই, আর তারা নিজেরা অনুতাপও করবে না।


তাফসীরঃ

৯. ‘আমার প্রতিপালক আল্লাহ’ একথার উপর অবিচলিত থাকার অর্থ মৃত্যু পর্যন্ত ঈমানের উপর থাকা এবং তার দাবি অনুযায়ী জীবন যাপন করা।


১৪


اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ۚ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ


উলাইকা আসহা-বুল জান্নাতি খা-লিদীনা ফীহা- জাঝাআম বিমা-কা-নূ ইয়া‘মালূন।


Mufti Taqi Usmani

Those are the people of Paradise, who will live there for ever as a reward for what they used to do.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা হবে জান্নাতবাসী। সেখানে তারা থাকবে সর্বদা। তারা যা করত তার প্রতিদানস্বরূপ।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তারা যা করত তার পুরস্কারস্বরূপ।


মাওলানা জহুরুল হক

এরাই হচ্ছে বেহেশতের বাসিন্দা, তাতেই তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, -- তারা যা করে চলত সেজন্য এক প্রতিদান।


১৫


وَوَصَّیۡنَا الۡاِنۡسَانَ بِوَالِدَیۡہِ اِحۡسٰنًا ؕ حَمَلَتۡہُ اُمُّہٗ کُرۡہًا وَّوَضَعَتۡہُ کُرۡہًا ؕ وَحَمۡلُہٗ وَفِصٰلُہٗ ثَلٰثُوۡنَ شَہۡرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ اَشُدَّہٗ وَبَلَغَ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ۙ قَالَ رَبِّ اَوۡزِعۡنِیۡۤ اَنۡ اَشۡکُرَ نِعۡمَتَکَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَیَّ وَعَلٰی وَالِدَیَّ وَاَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًا تَرۡضٰہُ وَاَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ وَاِنِّیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ


ওয়া ওয়াসসাইনালইনছা-না বিওয়া-লিদাইহি ইহছা-নান হামালাতহু উম্মুহূ কুরহাওঁ ওয়া ওয়াদা‘আতহু কুরহাওঁ ওয়া হামলুহূওয়া ফিসা-লুহূছালা-ছূনা শাহরান হাত্তা ইযা-বালাগা আশুদ্দাহূওয়া বালাগা আরবা‘ঈনা ছানাতান কা-লা রাব্বি আওঝি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়া আন আ‘মালা সা-লিহান তারদা-হু ওয়া আসলিহলী ফী যুররিইইয়াতী ইন্নী তুবতুইলাইকা ওয়া ইন্নী মিনাল মুছলিমীন।


Mufti Taqi Usmani

And We have enjoined upon man to do good to his parents. His mother carried him with difficulty and delivered him with difficulty. And his carrying and his weaning is (in) thirty months, until when he attains his maturity and reaches forty years, he says, “My Lord, grant me that I offer gratitude for the favour You have bestowed upon me and upon my parents, and that I do righteous deeds that You like. And set righteousness, for my sake, in my progeny. Of course, I repent to you, and truly I am one of those who submit to You.”


মুফতী তাকী উসমানী

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার হুকুম দিয়েছি। ১০ তার মা তাকে অতি কষ্টের সাথে (গর্ভে) ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। তাকে (গর্ভে) ধারণ ও দুধ ছাড়ানোর মেয়াদ হয় ত্রিশ মাস। ১১ অবশেষে সে যখন তাঁর পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছে এবং চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হয়, ১২ তখন বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তাওফীক দান করুন, যেন আপনি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যে নি‘আমত দিয়েছেন তার শোকর আদায় করতে পারি এবং এমন সৎকর্ম করতে পারি, যাতে আপনি খুশী হন এবং আমার জন্য আমার সন্তানদেরকেও (সেই) যোগ্যতা দান করুন। আমি আপনার কাছে তাওবা করছি এবং আমি আনুগত্য প্রকাশকারীদের অন্তর্ভুক্ত। ১৩


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস। অবশেষে সে যখন শক্তি-সামর্থ্যের বয়সে ও চল্লিশ বছরে পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার জননী তাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সঙ্গে এবং প্রসব করে কষ্টের সঙ্গে, তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস, ক্রমে সে যখন পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং চল্লিশ বৎসরে উপনীত হয় তখন বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক ! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ, তার জন্যে এবং যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর ; আমার জন্যে আমার সন্তান-সন্ততিদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমারই অভিমুখী হলাম এবং আমি অবশ্যই আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা মানুষকে তার মাতাপিতার সম্পর্কে ভাল ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা কষ্ট করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন আর কষ্ট করে তাকে জন্ম দিয়েছিলেন। আর তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার লালন-পালনে লেগেছিল ত্রিশটি মাস। তারপর সে যখন তার যৌবনে পৌঁছে এবং চল্লিশ বছরে পৌঁছে যায় তখন সে বলে -- "আমার প্রভু! তুমি আমাকে জাগরিত করো যেন আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি তোমার সেই অনুগ্রহের জন্য যা তুমি অর্পণ করেছ আমার উপরে ও আমার মাতাপিতার উপরে, আর যেন আমি সৎকর্ম করতে পারি যা তোমাকে খুশি করে, আর আমার প্রতি কল্যাণ করো আমার সন্তানসন্ততিদের সম্পর্কে। আমি অবশ্যই তোমার দিকে ফিরেছি, আর আমি নিশ্চয় মুসলিমদের মধ্যেকার।"


তাফসীরঃ

১০. ঈমানের উপর অবিচলিত থাকার একটা দাবি এইও যে, মানুষ তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তাছাড়া সূরার পরিচিতিতে যেমন বলা হয়েছে, কোন কোন পরিবারে পুত্র ইসলাম গ্রহণ করেছিল, কিন্তু পিতা-মাতা ছিল কাফের, সেক্ষেত্রে প্রশ্ন দেখা দিত, সেই কাফের পিতা-মাতার সাথে কি রকম আচরণ করা হবে? এ আয়াতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার অনুগ্রহ বিপুল। তাই সর্বদা তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তবে আকীদা-বিশ্বাসে কখনও তাদের অনুসরণ করা যাবে না এবং কোন গুনাহের ব্যাপারেও তাদের কথা মানা উচিত হবে না। সূরা আনকাবুতে (২৯ : ৮) এ বিষয়টা পুরোপুরি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।


১১. মানব শিশুর জীবিত জন্মগ্রহণের সর্বনিম্ন মেয়াদ হল ছয় মাস আর দুধ পান করানোর সর্বোচ্চ মেয়াদ দু’ বছর। এভাবে ত্রিশ মাস বা আড়াই বছর কাল শিশুর জন্য মা’কে অতিরিক্ত কষ্ট করতে হয়।


১২. সাধারণত মানুষ চল্লিশ বছর বয়সে জ্ঞান-বুদ্ধি ও আখলাক-চরিত্রে পরিপক্বতা লাভ করে। এ জন্য নবীগণকে চল্লিশ বছর বয়সেই নবুওয়াত দেওয়া হত। (-অনুবাদক, তাফসীরে উছমানী থেকে)


১৩. কোন কোন রেওয়ায়েত দ্বারা জানা যায়, এ আয়াতের ইশারা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযি.)-এর প্রতি। কেননা এরূপ দুআ করেছিলেন তিনিই। [সব মুমিনেরই কর্তব্য আল্লাহর কাছে এরূপ দুআ করা]


১৬


اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ نَتَقَبَّلُ عَنۡہُمۡ اَحۡسَنَ مَا عَمِلُوۡا وَنَتَجَاوَزُ عَنۡ سَیِّاٰتِہِمۡ فِیۡۤ اَصۡحٰبِ الۡجَنَّۃِ ؕ وَعۡدَ الصِّدۡقِ الَّذِیۡ کَانُوۡا یُوۡعَدُوۡنَ


উলাইকাল্লাযীনা নাতাকাব্বালু‘আনহুম আহছানা মা-‘আমিলূওয়া নাতাজা-ওয়াঝু‘আন ছাইয়িআ-তিহিম ফীআছহা-বিল জান্নাতি ওয়া‘দাসসিদকিল্লাযী কা-নূইঊ‘আদূ ন।


Mufti Taqi Usmani

Such are the people from whom We accept the best of what they did, and overlook their evil deeds, (so as they will be) among the people of Paradise according to the true promise that was made to them.


মুফতী তাকী উসমানী

এরাই তারা, আমি যাদের উৎকৃষ্ট কাজসমূহ কবুল করব এবং তাদের মন্দ কাজসমূহ ক্ষমা করব। (ফলে) তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে, তাদেরকে যে সত্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত তার বদৌলতে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি এমন লোকদের সুকর্মগুলো কবুল করি এবং মন্দকর্মগুলো মার্জনা করি। তারা জান্নাতীদের তালিকাভুক্ত সেই সত্য ওয়াদার কারণে যা তাদেরকে দেওয়া হত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আমি এদেরই সুকৃতিগুলি গ্রহণ করে থাকি এবং মন্দ কর্মগুলি ক্ষমা করি, তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। এদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা সত্য।


মাওলানা জহুরুল হক

এরাই তারা যাদের থেকে আমরা গ্রহণ করে থাকি তারা যা করেছিল তার শ্রেষ্ঠ এবং উপেক্ষা করি তাদের মন্দ কার্যাবলী -- জান্নাতের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত। প্রামাণিক প্রতি‌শ্রুতি যা তাদের কাছে ওয়াদা করা হত।


১৭


وَالَّذِیۡ قَالَ لِوَالِدَیۡہِ اُفٍّ لَّکُمَاۤ اَتَعِدٰنِنِیۡۤ اَنۡ اُخۡرَجَ وَقَدۡ خَلَتِ الۡقُرُوۡنُ مِنۡ قَبۡلِیۡ ۚ وَہُمَا یَسۡتَغِیۡثٰنِ اللّٰہَ وَیۡلَکَ اٰمِنۡ ٭ۖ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ ۚۖ فَیَقُوۡلُ مَا ہٰذَاۤ اِلَّاۤ اَسَاطِیۡرُ الۡاَوَّلِیۡنَ


ওয়াল্লাযী কা-লা লিওয়া-লিদাইহি উফফিল্লাকুমাআতা‘ইদা-নিনীআন উখরাজা ওয়াকাদ খালাতিল কুরূনুমিন কাবলী ওয়া হুমা-ইয়াছতাগীছা-নিল্লা-হা ওয়াইলাকা আ-মিন ইন্না ওয়া‘দাল্লা-হি হাক্কুন ফাইয়াকূলুমা-হা-যাইল্লাআছা-তীরুল আওওয়ালীন।


Mufti Taqi Usmani

And (Contrary to this is the case of) the one who said to his parents, “Fie upon you both! Do you promise to me that I shall be brought out (from the grave), while generations have passed before me?” And they (the parents) were crying for Allah’s help, (and saying to their son,) “Woe to you. Accept the true faith. Allah’s promise is certainly true.” Then he says, “This is nothing but the tales of the ancients.”


মুফতী তাকী উসমানী

অপর এক ব্যক্তি এমন, যে তার পিতা-মাতাকে বলল, আফসোস তোমাদের প্রতি! তোমরা কি আমাকে এই প্রতিশ্রুতি দাও যে, আমাকে জীবিত করে কবর থেকে ওঠানো হবে, অথচ আমার আগে বহু মানবগোষ্ঠী গত হয়েছে? পিতা-মাতা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে (এবং পুত্রকে বলে,) আফসোস তোর প্রতি! ঈমান আন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। তখন সে বলে, প্রকৃতপক্ষে এসব পূর্ববর্তীদের থেকে বর্ণিত হয়ে আসা উপকথা ছাড়া কিছুই নয়।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বলে, ধিক তোমাদেরকে, তোমরা কি আমাকে খবর দাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব, অথচ আমার পূর্বে বহু লোক গত হয়ে গেছে? আর পিতা-মাতা আল্লাহর কাছে ফরিযাদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার তুমি বিশ্বাস স্থাপন কর। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। তখন সে বলে, এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ নয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আর এমন লোক আছে, যে তার মাতা-পিতাকে বলে, ‘আফসোস তোমাদের জন্যে ! তোমরা কি আমাকে এই ভয় দেখেতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হয়েছে ?’ তখন তার মাতা-পিতা আল্লাহ্ র নিকট ফরিয়াদ করে বলে, ‘দুর্ভোগ তোমার জন্যে! তুমি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ র প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য।’ কিন্তু সে বলে, ‘এটা তো অতীত কালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যে তার মাতাপিতাকে বলে -- "ধুত্তোর তোমাদের জন্য! তোমরা কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছ যে আমাকে বের করা হবে, অথচ আমার আগে বহু মানববংশ গত হয়েই গেছে? আর তারা দুজনে আল্লাহ্‌র সাহায্য কামনা করবে -- "ধিক্ তোমার জন্য! ঈমান আনো, আল্লাহ্‌র ওয়াদা অবশ্যই সত্য।" কিন্তু সে বলে -- "এতো অতীতকালের উপকথা ছাড়া আর কিছুই নয়।"


১৮


اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ حَقَّ عَلَیۡہِمُ الۡقَوۡلُ فِیۡۤ اُمَمٍ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ مِّنَ الۡجِنِّ وَالۡاِنۡسِ ؕ اِنَّہُمۡ کَانُوۡا خٰسِرِیۡنَ


উলাইকাল্লাযীনা হাক্কা ‘আলাইহিমুল কাওলুফীউমামিন কাদ খালাত মিন কাবলিহিম মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনছি ইন্নাহুম কা-নূখা-ছিরীন।


Mufti Taqi Usmani

Such are the people on whom the word (of punishment) has come true along with the communities of the Jinn and the humans that have passed before them. Surely they were losers.


মুফতী তাকী উসমানী

এরাই তারা, যাদের সম্পর্কে তাদের পূর্বে গত জিন ও মানব জাতিসমূহের মত (শাস্তির) বাণী চূড়ান্ত হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তাদের পূর্বে যে সব জ্বিন ও মানুষ গত হয়েছে, তাদের মধ্যে এ ধরনের লোকদের প্রতিও শাস্তিবানী অবধারিত হয়ে গেছে। নিশ্চয় তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্থ।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এদের পূর্বে যে জিন ও মানব সম্প্রদায় গত হয়েছে তাদের মত এদের প্রতিও আল্লাহ্ র উক্তি সত্য হয়েছে। এরাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।


মাওলানা জহুরুল হক

এরাই তারা যাদের উপরে উক্তি সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে -- জিন ও মানুষের মধ্যের সেইসব সম্প্রদায়দের ক্ষেত্রে যারা তাদের আগে গত হয়ে গেছে। নিঃসন্দেহ তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।


১৯


وَلِکُلٍّ دَرَجٰتٌ مِّمَّا عَمِلُوۡا ۚ وَلِیُوَفِّیَہُمۡ اَعۡمَالَہُمۡ وَہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ


ওয়া লিকুল্লিন দারাজা-তুমমিম্মা-‘আমিলূ ওয়া লিইউওয়াফফিয়াহুম আ‘মা-লাহুম ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।


Mufti Taqi Usmani

For each (of these two groups) there are (different) ranks because of what they did, and so that He may repay them in full for their deeds; and they will not be wronged.


মুফতী তাকী উসমানী

আপন কৃতকর্মের কারণে প্রত্যেক (দল)-এর রয়েছে বিভিন্ন স্তর এবং তা এই জন্য যে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিফল দেবেন এবং তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

প্রত্যেকের জন্যে তাদের কৃতকর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর রয়েছে, যাতে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেন। বস্তুতঃ তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

প্রত্যেকের মর্যাদা তার কর্মানুযায়ী, এটা এইজন্যে যে, আল্লাহ্ প্রত্যেকের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিবেন এবং তাদের প্রতি অবিচার করা হবে না।


মাওলানা জহুরুল হক

আর প্রত্যেকেরই জন্য রয়েছে তারা যা কাজ করেছে তার থেকে বহু স্তর, আর যেন তাদের ক্রিয়াকলাপের জন্য তিনি তাদের প্রতিফল দিতে পারেন, আর তাদের আদৌ অন্যায় করা হবে না।


২০


وَیَوۡمَ یُعۡرَضُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا عَلَی النَّارِ ؕ  اَذۡہَبۡتُمۡ طَیِّبٰتِکُمۡ فِیۡ حَیَاتِکُمُ الدُّنۡیَا وَاسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہَا ۚ  فَالۡیَوۡمَ تُجۡزَوۡنَ عَذَابَ الۡہُوۡنِ بِمَا کُنۡتُمۡ تَسۡتَکۡبِرُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ وَبِمَا کُنۡتُمۡ تَفۡسُقُوۡنَ ٪


ওয়া ইয়াওমা ইউ‘রাদুল্লায ীনা কাফারূ‘আলান্না-রি আযহাবতুম তাইয়িবা-তিকুম ফী হায়া-তিকুমুদ্দুনইয়া-ওয়াছতামতা‘তুম বিহা- ফালইয়াওমা তুজঝাওনা ‘আযা-বাল হূনি বিমা-কুনতুম তাছতাকবিরূনা ফিল আরদিবিগাইরিল হাক্কিওয়া বিমা-কুনতুম তাফ ছুকূন।


Mufti Taqi Usmani

And the day the disbelievers will be presented before the Fire, (it will be said to them,) “You have consumed your good things in your worldly life, and have enjoyed them. So, you will be punished today with the torment of humiliation for the arrogance you used to show on earth with no right (to do so), and for the sins you used to commit.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং সেই দিনকে স্মরণ রেখ, যে দিন কাফেরদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হবে (এবং বলা হবে,) তোমরা নিজেদের অংশের উৎকৃষ্ট জিনিসসমূহ পার্থিব জীবনে (ভোগ করে) নিঃশেষ করে ফেলেছ ১৪ এবং তা বেজায় ভোগ করেছ। সুতরাং আজ বিনিময়রূপে তোমরা পাবে লাঞ্ছনাকর শাস্তি, যেহেতু তোমরা পৃথিবীতে নাহক গৌরব করতে এবং যেহেতু তোমরা নাফরমানি করতে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে সেদিন বলা হবে, তোমরা তোমাদের সুখ পার্থিব জীবনেই নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ সুতরাং আজ তোমাদেরকে অপমানকর আযাবের শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে অহংকার করতে এবং তোমরা পাপাচার করতে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সন্নিকটে উপস্থিত করা হবে সেদিন এদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই সুখ-সম্ভার পেয়েছ এবং সেইগুলি উপভোগও করেছ। সুতরাং আজ তোমাদেরকে দেওয়া হবে অবমাননাকর শাস্তি। কারণ তোমরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছিলে এবং তোমরা ছিলে সত্যদ্রোহী।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর সেই দিন যারা অবিশ্বাস পোষণ করেছিল তাদের সমাগত করা হবে আগুনের নিকটে, "তোমরা তো তোমাদের ভাল জিনিসসব তোমাদের দুনিয়ার জীবনেই যেতে দিয়েছিলে, আর তোমরা সেখানে ভোগবিলাসই চেয়েছিলে, সুতরাং আজ তোমাদের প্রতিদান দেওয়া হবে এক লাঞ্ছনাকর শাস্তি, যেহেতু তোমরা দুনিয়াতে যথার্থ কারণ ব্যতীত বড়মানষি করতে, আর যেহেতু তোমরা সীমালংঘন করতে।"


তাফসীরঃ

১৪. অর্থাৎ দুনিয়ায় তোমরা কিছু ভালো কাজ করে থাকলেও আমি দুনিয়াতেই তোমাদেরকে তার বদলা দিয়ে দিয়েছিলাম। ফলে তোমরা সেখানে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের ভেতর জীবন কাটিয়েছ এবং ভোগ-বিলাসে মত্ত থেকে নিজেদের প্রাপ্য অংশ দুনিয়াতেই নিঃশেষ করে ফেলেছ।


২১


وَاذۡکُرۡ اَخَا عَادٍ ؕ اِذۡ اَنۡذَرَ قَوۡمَہٗ بِالۡاَحۡقَافِ وَقَدۡ خَلَتِ النُّذُرُ مِنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَمِنۡ خَلۡفِہٖۤ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّا اللّٰہَ ؕ اِنِّیۡۤ اَخَافُ عَلَیۡکُمۡ عَذَابَ یَوۡمٍ عَظِیۡمٍ


ওয়াযকুর আখা-‘আ-দিন ইয আনযারা কাওমাহূবিলআহকা-ফি ওয়াকাদ খালাতিন্নুযূরু মিম বাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিন খালফিহীআল্লা-তা‘বুদূ ইল্লাল্লা-হা ইন্নীআখা-ফু‘আলাইকুম ‘আযা-বা ইয়াওমিন ‘আজীম।


Mufti Taqi Usmani

And recall the brother of (the nation of) ‘Ād, when he warned his people at the long, curved sand dunes- while many warners have passed before him and after him (with the same message)-saying, “Do not worship anyone except Allah. Surely I fear for you the punishment of a terrible day.”


মুফতী তাকী উসমানী

এবং আদ জাতির ভাই (হযরত হুদ আলাইহিস সালাম)-এর বৃত্তান্ত উল্লেখ কর, যখন সে তার সম্প্রদায়কে আঁকা-বাঁকা টিলাময় ভূমিতে ১৫ সতর্ক করেছিল এবং এ রকম সতর্ককারী গত হয়েছিল তার আগেও এবং তার পরেও (সে তাদেরকে বলেছিল) যে, আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদত করো না। আমি তোমাদের জন্য ভয় করছি এক মহা দিবসের শাস্তির।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আ’দ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের কথা স্মরণ করুন, তার পূর্বে ও পরে অনেক সতর্ককারী গত হয়েছিল সে তার সম্প্রদায়কে বালুকাময় উচ্চ উপত্যকায় এ মর্মে সতর্ক করেছিল যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারও এবাদত করো না। আমি তোমাদের জন্যে এক মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

স্মরণ কর, ‘আদ্ সম্প্রদায়ের ভাইয়ের কথা, যার পূর্বে এবং পরেও সতর্ককারীরা এসেছিল। সে তার আহ্কাফ্বাসী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল এই বলে, ‘তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত কারও ‘ইবাদত কর না। আমি তো তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করছি।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর তুমি স্মরণ কর 'আদ-দের ভাইকে। দেখো! তিনি তাঁর স্বজাতিকে সতর্ক করেছিলেন বালুর পাহাড় অঞ্চলে, আর সতর্ককারীরা তো তাঁর আগে ও তাঁর পরে গত হয়েই ছিলেন, এই বলে -- "আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের উপাসনা করো না, আমি নিঃসন্দেহ তোমাদের উপরে এক ভয়ংকর দিনের শাস্তির আশংকা করছি।"


তাফসীরঃ

১৫. اَحقاف শব্দটি حِقف-এর বহুবচন, দীর্ঘ বঙ্কিম টিলা শ্রেণীকে اَحقاف বলে। আদ জাতি যে অঞ্চলে বাস করত, সেখানে এ রকমের বহু টিলা ছিল। কারও মতে আহকাফ সেই অঞ্চলটিরই নাম। এটা ইয়ামানে অবস্থিত। বর্তমানে সেখানে কোন লোকবসতি নেই। আদ জাতির কাছে হযরত হুদ আলাইহিস সালামকে নবী করে পাঠানো হয়েছিল। [কিন্তু তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনেনি। ফলে তাদের যে পরিণাম হয়েছিল সেটাই এ আয়াতসমূহে বিবৃত হয়েছে -অনুবাদক]। এ জাতির পরিচয় পূর্বে সূরা আরাফের (৭ : ৬৫) টীকায় গত হয়েছে।


২২


قَالُوۡۤا اَجِئۡتَنَا لِتَاۡفِکَنَا عَنۡ اٰلِہَتِنَا ۚ فَاۡتِنَا بِمَا تَعِدُنَاۤ اِنۡ کُنۡتَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ


কা-লূআজি’তানা-লিতা’ফিকানা-‘আন আ-লিহাতিনা- ফা’তিনা-বিমা-তা‘ইদুনা ইন কুনতা মিনাসসা-দিকীন।


Mufti Taqi Usmani

They said, “Have you come to make us deviate from our gods? So bring us that with which you are threatening us, if you are truthful.”


মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলল, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যই এসেছ যে, আমাদেরকে আমাদের উপাস্যদের থেকে বিমুখ করে দেবে? আচ্ছা তুমি যদি সত্যবাদী হও, তবে আমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলল, তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্য দেব-দেবী থেকে নিবৃত্ত করতে আগমন করেছ? তুমি সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যে বিষয়ের ওয়াদা দাও, তা নিয়ে আস।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা বলেছিল, ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের দেব-দেবীগুলির পূজা হতে নিবৃত্ত করতে এসেছো ? তুমি সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যার ভয় দেখাচ্ছো তা আনয়ন কর।’


মাওলানা জহুরুল হক

তারা বললে -- "তুমি কি আমাদের কাছে এসেছ আমাদের দেবদেবীর থেকে আমাদের ফিরিয়ে রাখতে? তাহলে আমাদের কাছে নিয়ে এস তো যা দিয়ে তুমি আমাদের ভয় দেখাচ্ছ, -- যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাক।"


২৩


قَالَ اِنَّمَا الۡعِلۡمُ عِنۡدَ اللّٰہِ ۫ۖ وَاُبَلِّغُکُمۡ مَّاۤ اُرۡسِلۡتُ بِہٖ وَلٰکِنِّیۡۤ اَرٰىکُمۡ قَوۡمًا تَجۡہَلُوۡنَ


কা-লা ইন্নামাল ‘ইলমু‘ইনদাল্লা-হি ওয়া উবালিলগুকুম মাউরছিলতুবিহী ওয়ালা-কিন্নী আরা-কুম কাওমান তাজহালূন।


Mufti Taqi Usmani

He said, “The knowledge is with Allah alone, and I am conveying to you what I am sent with, but I see you are a people who act ignorantly.”


মুফতী তাকী উসমানী

সে বলল, (সে আযাব কখন আসবে এর) যথাযথ জ্ঞান তো আল্লাহরই কাছে। আমাকে যে বার্তা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমি তো তোমাদের কাছে তাই পৌঁছাচ্ছি। তবে আমি দেখছি তোমরা এক অজ্ঞ সম্প্রদায় (-এর মত কথাবার্তা বলছ)।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

সে বলল, এ জ্ঞান তো আল্লাহর কাছেই রয়েছে। আমি যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছি, তা তোমাদের কাছে পৌঁছাই। কিন্তু আমি দেখছি তোমরা এক মুর্খ সম্প্রদায়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সে বলল, ‘এটার জ্ঞান তো কেবল আল্লাহ্ র ই নিকট আছে। আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি কেবল তাই তোমাদের নিকট প্রচার করি, কিন্তু আমি দেখছি, তোমরা এক মূঢ় সম্প্রদায়।’


মাওলানা জহুরুল হক

তিনি বলেছিলেন -- "জ্ঞান তো আল্লাহ্‌রই কাছে রয়েছে, আর আমি তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি যা দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু আমি তোমাদের দেখতে পাচ্ছি মূর্খামি করছ এমন এক লোকদল।"


২৪


فَلَمَّا رَاَوۡہُ عَارِضًا مُّسۡتَقۡبِلَ اَوۡدِیَتِہِمۡ ۙ  قَالُوۡا ہٰذَا عَارِضٌ مُّمۡطِرُنَا ؕ  بَلۡ ہُوَ مَا اسۡتَعۡجَلۡتُمۡ بِہٖ ؕ  رِیۡحٌ فِیۡہَا عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ


ফালাম্মা-রাআওহু ‘আ-রিদামমুছতাকবিলা আও দিয়াতিহিম কা-লূহা-যা-‘আরিদুমমুম তিরুনা- বাল হুওয়া মাছ তা‘জালতুম বিহী রীহুন ফীহা-‘আযা-বুন আলীম।


Mufti Taqi Usmani

So, when they saw it as a cloud proceeding towards their valleys, they said, “This is a cloud that will bring us rain.” No, it is the very thing you asked to hasten up - a wind in which there is a painful punishment,


মুফতী তাকী উসমানী

অতঃপর তারা যখন তাকে (অর্থাৎ আযাবকে) একটি মেঘখণ্ড রূপে তাদের উপত্যকার দিকে এগিয়ে আসতে দেখল, তখন তারা বলল, এটা মেঘ, যা আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে।’ না, বরং এটাই সেই জিনিস, যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে, এক ঝড়ো হাওয়া, যার মধ্যে আছে যন্ত্রণাময় শাস্তি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

(অতঃপর) তারা যখন শাস্তিকে মেঘরূপে তাদের উপত্যকা অভিমুখী দেখল, তখন বলল, এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দেবে। বরং এটা সেই বস্তু, যা তোমরা তাড়াতাড়ি চেয়েছিলে। এটা বায়ু এতে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘এরপর যখন এরা এদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন বলতে লাগল, ‘তা তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দান করবে।’ হূদ বলল, ‘এটাই তো তা, যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছ, এক ঝড়, এতে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।


মাওলানা জহুরুল হক

অতঃপর যখন তারা তা দেখতে পেল -- এক ঘন-মেঘ তাদের উপত্যকাগুলোর নিকটবর্তী হচ্ছে, তখন তারা বললে -- "এ এক ঘন কালো মেঘ যা আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করবে।" না, এ হচ্ছে যা তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল, -- এ এক ঝড়-ঝা যাতে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।"


২৫


تُدَمِّرُ کُلَّ شَیۡءٍۭ بِاَمۡرِ رَبِّہَا فَاَصۡبَحُوۡا لَا یُرٰۤی اِلَّا مَسٰکِنُہُمۡ ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡقَوۡمَ الۡمُجۡرِمِیۡنَ


তুদাম্মিরু কুল্লা শাইয়িম বিআমরি রাব্বিহা-ফাআসবাহূলা-ইউরাইল্লা-মাছা-কিনুহুম কাযা-লিকা নাজঝিল কাওমাল মুজরিমীন।


Mufti Taqi Usmani

that will destroy every thing with the command of its Lord! So they became such that nothing remained to be seen except their dwelling places. This is how We punish the guilty people.


মুফতী তাকী উসমানী

যা তার প্রতিপালকের হুকুমে সবকিছু তছনছ করে ফেলবে। অনন্তর তারা এমন হয়ে গেল যে, তাদের আবাসস্থল ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। অপরাধী সম্প্রদায়কে আমি এ রকমই শাস্তি দিয়ে থাকি।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তার পালনকর্তার আদেশে সে সব কিছুকে ধ্বংস করে দেবে। অতঃপর তারা ভোর বেলায় এমন হয়ে গেল যে, তাদের বসতিগুলো ছাড়া কিছুই দৃষ্টিগোচর হল না। আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে এমনিভাবে শাস্তি দিয়ে থাকি।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘আল্লাহ্ র নির্দেশে এটা সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দিবে।’ এরপর এদের পরিণাম এই হল যে, এদের বসতিগুলি ছাড়া আর কিছুই রইল না। এইভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়ে থাকি।


মাওলানা জহুরুল হক

এ তার প্রভুর নির্দেশে সব-কিছুই ধ্বংস করে দিয়েছিল, ফলে অচিরেই তাদের ঘরবাড়ি ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এইভাবেই আমরা প্রতিদান দিই অপরাধী লোকদের।


২৬


وَلَقَدۡ مَکَّنّٰہُمۡ فِیۡمَاۤ اِنۡ مَّکَّنّٰکُمۡ فِیۡہِ وَجَعَلۡنَا لَہُمۡ سَمۡعًا وَّاَبۡصَارًا وَّاَفۡـِٕدَۃً ۫ۖ  فَمَاۤ اَغۡنٰی عَنۡہُمۡ سَمۡعُہُمۡ وَلَاۤ اَبۡصَارُہُمۡ وَلَاۤ اَفۡـِٕدَتُہُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِذۡ کَانُوۡا یَجۡحَدُوۡنَ ۙ  بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَحَاقَ بِہِمۡ مَّا کَانُوۡا بِہٖ یَسۡتَہۡزِءُوۡنَ ٪


ওয়া লাকাদ মাক্কান্না-হুমফীমাইম্মাক্কান্না-কুমফীহি ওয়া জা‘আলনা-লাহুমছাম‘আওঁ ওয়া আবসা-রাওঁ ওয়া আফইদাতান ফামাআগনা-‘আনহুম ছাম‘উহুম ওয়ালাআবসা-রুহুম ওয়ালাআফইদাতুহুম মিন শাইয়িন ইযকা-নূইয়াজহাদূ না বিআ-য়া-তিল্লা-হি ওয়া হাকা বিহিম মা-কা-নূবিহী ইয়াছতাহঝিউন।


Mufti Taqi Usmani

And indeed We had established them in a powerful position in which We did not establish you (O people of Makkah), and had given to them ears and eyes and hearts, but neither their ears benefited them in the least, nor their eyes, nor their hearts, as they used to reject Allah’s signs; and they were encircled by what they used to ridicule.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং (হে আরববাসী!) আমি তাদেরকে এমন বিষয়ে ক্ষমতা দিয়েছিলাম, যার ক্ষমতা তোমাদেরকে দেইনি এবং আমি তাদেরকে কান, চোখ ও হৃদয় সবকিছুই দিয়েছিলাম, কিন্তু না তাদের কান ও চোখ তাদের কোন উপকারে আসল আর না তাদের হৃদয়, যেহেতু তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করত। আর তারা যে জিনিস নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত, তাই তাদেরকে পরিবেষ্টন করল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তাদেরকে এমন বিষয়ে ক্ষমতা দিয়েছিলাম, যে বিষয়ে তোমাদেরকে ক্ষমতা দেইনি। আমি তাদের দিয়েছিলাম, কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয়, কিন্তু তাদের কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় তাদের কোন কাজে আসল না, যখন তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করল এবং তাদেরকে সেই শাস্তি গ্রাস করে নিল, যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি এদেরকে যে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলাম তোমাদেরকে তা দেই নাই ; আমি এদেরকে দিয়েছিলাম কর্ণ, চোখ ও হৃদয় ; কিন্তু এদের কর্ণ, চোখ ও হৃদয় এদের কোন কাজে আসে নাই ; কেননা এরা আল্লাহ্ র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল। যা নিয়ে এরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, এটাই এদেরকে পরিবেষ্টন করল।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা তো তাদের যেমন প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলাম তেমনভাবে তোমাদের আমরা প্রতিষ্ঠিত করি নি, আর আমরা তাদের দিয়েছিলাম শ্রবণেন্দ্রিয় ও দর্শনেন্দ্রিয় ও অন্তঃকরণ। কিন্তু তাদের শ্রবণেন্দ্রিয় তাদের কোনোভাবেই লাভবান করে নি, আর তাদের দর্শনেন্দ্রিয়ও না আর তাদের অন্তঃকরণও নয়, যেহেতু তারা আল্লাহ্‌র বাণীসমূহ নিয়ে বাজে বিতর্ক করত, কাজেই যা নিয়ে তারা ঠাট্টা- বিদ্রপ করত তাই তাদের পরিবেষ্টন করেছিল।


২৭


وَلَقَدۡ اَہۡلَکۡنَا مَا حَوۡلَکُمۡ مِّنَ الۡقُرٰی وَصَرَّفۡنَا الۡاٰیٰتِ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ


ওয়া লাকাদ আহলাকনা- মা-হাওলাকুমমিনাল কুরা- ওয়াসাররাফনাল আ-য়া-তি লা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।


Mufti Taqi Usmani

And We have (also) destroyed (other) towns around you, while We had given to them a variety of signs, so that they might return (from disbelief).


মুফতী তাকী উসমানী

আমি তোমাদের আশপাশের অন্যান্য জনপদকেও ধ্বংস করেছি। ১৬ আমি বিভিন্ন রকমের নিদর্শন (তাদের) সামনে এনেছিলাম, যাতে তারা ফিরে আসে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আমি তোমাদের আশপাশের জনপদ সমূহ ধ্বংস করে দিয়েছি এবং বার বার আয়াতসমূহ শুনিয়েছি, যাতে তারা ফিরে আসে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

আমি তো ধ্বংস করেছিলাম তোমাদের চতুষ্পার্শ্ববর্তী জনপদসমূহ ; আমি এদেরকে বিভিন্নভাবে আমার নিদর্শনাবলী বিবৃত করেছিলাম, যাতে এরা ফিরে আসে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর আমরা নিশ্চয় ধ্বংস করে দিয়েছিলাম জনপদগুলোকে যারা তোমাদের আশপাশে ছিল, আর আমার নির্দেশাবলী বারবার বিবৃত করেছি যাতে তারা ফিরে আসে।


তাফসীরঃ

১৬. এর দ্বারা ছামূদ জাতি ও হযরত লূত আলাইহিস সালামের কওম যেসব এলাকায় বাস করত তার প্রতি ইশারা করা হয়েছে। শামের যাতায়াতকালে সেসব জনপদ আরববাসীর পথে পড়ত।


২৮


فَلَوۡلَا نَصَرَہُمُ الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ قُرۡبَانًا اٰلِـہَۃً ؕ بَلۡ ضَلُّوۡا عَنۡہُمۡ ۚ وَذٰلِکَ اِفۡکُہُمۡ وَمَا کَانُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ


ফালাওলা-নাসারাহুমুল্লাযীনাত্তাখাযূমিন দূ নিল্লা-হি কুরবা-নান আ-লিহাতান বাল দাললূ ‘আনহুম ওয়া যা-লিকা ইফকুহুম ওয়ামা-কা-নূইয়াফতারূন।


Mufti Taqi Usmani

So, why is it that they were not helped by those whom they had taken as gods beside Allah in order to attain closeness (to Him)? Instead, they vanished from them. That was, in fact, their falsity and a thing they used to fabricate.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ছাড়া যেসব জিনিসকে মাবুদরূপে গ্রহণ করেছিল, তারা তাদের সাহায্য করল না কেন? বরং তারা সব তাদের থেকে অন্তর্হিত হয়ে গেল। বস্তুত এটা ছিল তাদের মিথ্যা অপবাদ এবং যা তারা রচনা করেছিল।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতঃপর আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে সান্নিধ্য লাভের জন্যে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল, তারা তাদেরকে সাহায্য করল না কেন? বরং তারা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেল। এটা ছিল তাদের মিথ্যা ও মনগড়া বিষয়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা আল্লাহ্ র সান্নিধ্য লাভের জন্যে আল্লাহ্ র পরিবর্তে যাদেরকে ইলাহ রূপে গ্রহণ করেছিল তারা এদেরকে সাহায্য করল না কেন ? বস্তুত এদের ইলাহ্গুলি এদের নিকট হতে অন্তর্হিত হয়ে গেল। এদের মিথ্যা ও অলীক উদ্ভাবনের পরিণাম এইরূপই।


মাওলানা জহুরুল হক

তাহলে আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে যাদের তারা উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিল সান্নিধ্য লাভের জন্য তারা কেন তাদের সাহায্য করল না? বস্তুতঃ তারা তাদের থেকে অন্তর্ধান করল, আর এটিই ছিল তাদের মিথ্যা এবং যা তারা উদ্ভাবন করত।


২৯


وَاِذۡ صَرَفۡنَاۤ اِلَیۡکَ نَفَرًا مِّنَ الۡجِنِّ یَسۡتَمِعُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ ۚ فَلَمَّا حَضَرُوۡہُ قَالُوۡۤا اَنۡصِتُوۡا ۚ فَلَمَّا قُضِیَ وَلَّوۡا اِلٰی قَوۡمِہِمۡ مُّنۡذِرِیۡنَ


ওয়া ইযসারাফনাইলাকা নাফারাম মিনাল জিন্নি ইয়াছতামি‘ঊনাল কুরআ-না ফালাম্মাহাদারূহু কা-লূআনছিতূ ফালাম্মা-কুদিয়া ওয়াল্লাও ইলা-কাওমিহিম মুনযিরীন।


Mufti Taqi Usmani

And (recall) when We directed a group of Jinns towards you, listening to the Qur’ān. So, when they attended it, they said (to each other), “Keep quiet.” Then once it was over, they went back to their people as warners.


মুফতী তাকী উসমানী

এবং (হে রাসূল!) স্মরণ কর, যখন আমি এক দল জিনকে কুরআন শোনার জন্য তোমার অভিমুখী করে দিয়েছিলাম। ১৭ যখন তারা সেখানে পৌঁছল, (একে অন্যকে) বলল, চুপ কর। তা পড়া হয়ে গেলে তারা আপন সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যখন আমি একদল জিনকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম, তারা কোরআন পাঠ শুনছিল,। তারা যখন কোরআন পাঠের জায়গায় উপস্থিত হল, তখন পরস্পর বলল, চুপ থাক। অতঃপর যখন পাঠ সমাপ্ত হল, তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে সতর্ককারীরূপে ফিরে গেল।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনতেছিল। যখন এরা তার নিকট উপস্থিত হল, এরা বলল, ‘চুপ করে শোনে কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল এরা এদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর স্মরণ করো! আমরা তোমার কাছে জিনদের একদলকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছিলাম যারা কুরআন শুনেছিল, তারপর তারা যখন এর সামনে হাজির হল, তারা বললে -- "চুপ করো।" তারপর যখন তা শেষ করা হল, তারা তাদের স্বজাতির কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।

(ads1)

(getButton) #text=(আল কোরআন বাংলা অনুবাদ সহ এক সাথে ) #icon=(link) #color=(#f50707)

তাফসীরঃ

১৭. আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিন জাতির কাছেও নবী করে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যখন দাওয়াতের উদ্দেশ্যে তায়েফ গমন করেন, তারপর তাদের থেকে সাড়া না পেয়ে, উপরন্তু তাদের পক্ষ হতে বর্ণনাতীত নিপীড়নের শিকার হয়ে মক্কা মুকাররমার উদ্দেশে ফেরত রওয়ানা হন, তখন পথিমধ্যে নাখলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছিল। তিনি নাখলায় বিশ্রামের জন্য থেমেছিলেন। সেখানে যখন ফজরের নামাযে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করছিলেন, তখন সেখান দিয়ে একদল জিন কোথাও যাচ্ছিল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তেলাওয়াত শুনে তারা সেখানে থেমে গেল এবং মন দিয়ে শোনার জন্য একে অন্যকে চুপ থাকতে বলল। একে কুরআন মাজীদের আবেদনপূর্ণ বাণী, আবার মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কণ্ঠে তার তেলাওয়াত। সুতরাং জিন্নদের দলটি তাতে গভীরভাবে প্রভাবিত হল। এমনকি তারা নিজ সম্প্রদায়ের কাছেও এর দাওয়াত নিয়ে গেল। তাদের সে দাওয়াতে কাজও হল। বিভিন্ন সময়ে তাদের কয়েকটি প্রতিনিধি দল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিল। তিনি তাদের মধ্যে তাবলীগ ও তালীমের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছিলেন। যে সকল রাতে জিনদের সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়েছিল, তার প্রত্যেকটিকে ‘লাইলাতুল জিন্ন’ বা জিন্নদের সাথে সাক্ষাতের রাত বলে। তার মধ্যে এক রাতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.)-ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলেন। জিনদের ইসলাম গ্রহণের বৃত্তান্ত সূরা জিনে বিস্তারিতভাবে আসবে ইনশাআল্লাহ তাআলা।


৩০


قَالُوۡا یٰقَوۡمَنَاۤ اِنَّا سَمِعۡنَا کِتٰبًا اُنۡزِلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مُوۡسٰی مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ یَہۡدِیۡۤ اِلَی الۡحَقِّ وَاِلٰی طَرِیۡقٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ


কা-লূইয়া-কাওমানাইন্না-ছামি‘না-কিতা-বান উনঝিলা মিম বা‘দি মূছা-মুসাদ্দিকালিলমাবাইনা ইয়াদাইহি ইয়াহদীইলাল হাক্কিওয়া ইলা-তারীকিম মুছতাকীম।


Mufti Taqi Usmani

They said, “O our people, we have heard a book sent down after Mūsā, confirming what was before it, which guides to the truth and to a straight path.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলল, হে আমাদের কওম! নিশ্চয়ই জেনে রেখ, আমরা এমন এক কিতাব (-এর পাঠ) শুনেছি, যা মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর পর অবতীর্ণ হয়েছে, তার পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সমর্থকরূপে, যা পথ-নির্দেশ করে সত্যের ও সরল পথের।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা বলল, হে আমাদের সম্প্রদায়, আমরা এমন এক কিতাব শুনেছি, যা মূসার পর অবর্তীণ হয়েছে। এ কিতাব পূর্ববর্তী সব কিতাবের প্রত্যায়ন করে, সত্যধর্ম ও সরলপথের দিকে পরিচালিত করে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শুনেছি যা অবতীর্ণ হয়েছে মূসার পরে, এটা এর পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে।


মাওলানা জহুরুল হক

তারা বললে -- "হে আমার স্বজাতি! নিঃসন্দেহ আমরা এমন এক গ্রন্থ শুনেছি যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে, সমর্থন করছে এর আগে যেটি রয়েছে, আর পরিচালনা করছে সত্যের দিকে ও সহজ-সঠিক পন্থার দিকে।


৩১


یٰقَوۡمَنَاۤ اَجِیۡبُوۡا دَاعِیَ اللّٰہِ وَاٰمِنُوۡا بِہٖ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ مِّنۡ ذُنُوۡبِکُمۡ وَیُجِرۡکُمۡ مِّنۡ عَذَابٍ اَلِیۡمٍ


ইয়া-কাওমানাআজীবূদা-‘ইয়াল্লা-হি ওয়াআ-মিনূবিহী ইয়াগফিরলাকুম মিন যুনূবিকুম ওয়া ইউজিরকুম মিন ‘আযা-বিন আলীম।


Mufti Taqi Usmani

O our people, respond to Allah’s herald, and believe in him, and (once you do that,) Allah will forgive your sins for you, and will save you from a painful punishment.


মুফতী তাকী উসমানী

হে আমাদের কওম! আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দাও ও তার প্রতি ঈমান আন। আল্লাহ তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে রক্ষা করবেন এক যন্ত্রণাময় শাস্তি থেকে।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

হে আমাদের সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর দিকে আহবানকারীর কথা মান্য কর এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তোমাদের গোনাহ মার্জনা করবেন।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

‘হে আমাদের সম্প্রদায় ! আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হতে তোমাদেরকে রক্ষা করবেন।’


মাওলানা জহুরুল হক

হে আমাদের স্বজাতি! সাড়া দাও আল্লাহ্‌র দিকে আহবায়কের প্রতি, আর তাঁর প্রতি ঈমান আনো, তিনি তোমাদের অপরাধগুলো থেকে তোমাদের পরিত্রাণ করবেন, আর তোমাদের রক্ষা করবেন মর্মন্তুদ শাস্তি থেকে।


৩২


وَمَنۡ لَّا یُجِبۡ دَاعِیَ اللّٰہِ فَلَیۡسَ بِمُعۡجِزٍ فِی الۡاَرۡضِ وَلَیۡسَ لَہٗ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اَوۡلِیَآءُ ؕ اُولٰٓئِکَ فِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنٍ


ওয়া মাল লা-ইউজিব দা-‘ইয়াল্লা-হি ফালাইছা বিমু‘জিঝিন ফিল আরদিওয়া লাইছা লাহূমিন দূ নিহীআওলিূআউ উলাইকা ফী দালা-লিমমুবীন।


Mufti Taqi Usmani

The one who does not respond to Allah’s herald is not (able) to frustrate (Allah by escaping) in the land, and for him there are no supporters besides Him. Such people are in open error.


মুফতী তাকী উসমানী

যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেবে না, সে পৃথিবীর কোথাও গিয়ে আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না ১৮ এবং আল্লাহ ছাড়া সে কোনও রকমের অভিভাবকও পাবে না। এরূপ লোক সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে আহবানকারীর কথা মানবে না, সে পৃথিবীতে আল্লাহকে অপারক করতে পারবে না এবং আল্লাহ ব্যতীত তার কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এ ধরনের লোকই প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

কেউ যদি আল্লাহ্ র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া না দেয় তবে সে পৃথিবীতে আল্লাহ্ র অভিপ্রায় ব্যর্থ করতে পারবে না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এরাই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।


মাওলানা জহুরুল হক

আর যে আল্লাহ্‌র আহবায়কের প্রতি সাড়া দেয় না, সে তবে পৃথিবীতে কিছুতেই এড়িয়ে যাবার পাত্র নয়, আর তাঁকে বাদ দিয়ে তার জন্য কোনো বন্ধুবান্ধবও থাকবে না। এরাই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।


তাফসীরঃ

১৮. অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাকে ব্যর্থ করতে পারবে না। তিনি যখন তাকে শাস্তি দিতে চাইবেন, তখন সে কোথাও পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবে না। -অনুবাদক


৩৩


اَوَلَمۡ یَرَوۡا اَنَّ اللّٰہَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ وَلَمۡ یَعۡیَ بِخَلۡقِہِنَّ بِقٰدِرٍ عَلٰۤی اَنۡ یُّحۡیِۦَ الۡمَوۡتٰی ؕ بَلٰۤی اِنَّہٗ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ


আওয়ালাম ইয়ারাও আন্নাল্লা-হাল্লাযী খালাকাছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালাম ইয়া‘ইয়া বিখালকিহিন্না বিকা-দিরিন ‘আলাআইঁ ইউহইয়াল মাওতা- বালাইন্নাহূ ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।


Mufti Taqi Usmani

Have they not seen that Allah who has created the heavens and the earth, and was not wearied by their creation, does have power to give life to the dead? Yes of course, He is powerful to do every thing.


মুফতী তাকী উসমানী

তারা কি অনুধাবন করেনি যে, যেই আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এসবের সৃজনে তাঁর বিন্দুমাত্র ক্লান্তি দেখা দেয়নি, তিনি নিঃসন্দেহে মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম? কেনইবা হবেন না? নিশ্চয়ই তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

তারা কি জানে না যে, আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং এগুলোর সৃষ্টিতে কোন ক্লান্তিবোধ করেননি, তিনি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম? কেন নয়, নিশ্চয় তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এরা কি অনুধাবন করে না যে, আল্লাহ্, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এই সকলের সৃষ্টিতে কোন ক্লান্তি বোধ করেন নাই, তিনি মৃতের জীবন দান করতেও সক্ষম? বস্তুত তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।


মাওলানা জহুরুল হক

তারা কি সত্যিই লক্ষ্য করে নি যে আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, এবং যিনি এ-সবের সৃষ্টিতে কোনো ক্লান্তি বোধ করেন নি, তিনিই তো মৃতকে জীবিত করতেও সক্ষম? হ্যাঁ, তিনি নিশ্চয়ই সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।


৩৪


وَیَوۡمَ یُعۡرَضُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا عَلَی النَّارِ ؕ اَلَیۡسَ ہٰذَا بِالۡحَقِّ ؕ قَالُوۡا بَلٰی وَرَبِّنَا ؕ قَالَ فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ


ওয়া ইয়াওমা ইউ‘রাদুল্লাযীনা কাফারূ‘আলান্না-রি আলাইছা হা-যা-বিলহাক্কি কা-লূবালা-ওয়া রাব্বিনা- কা-লা ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাক ফুরূন।


Mufti Taqi Usmani

The day the disbelievers will be presented to the Fire, (it will be said to them,) “Is this not true?” They will say, “Yes of course, Our Lord!” He will say, “Then taste the punishment, for you used to disbelieve.”


মুফতী তাকী উসমানী

যে দিন কাফেরদেরকে আগুনের সামনে উপস্থিত করা হবে, (সে দিন তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে,) এটা (অর্থাৎ জাহান্নাম) কি সত্য নয়? তারা বলবে, আমাদের প্রতিপালকের শপথ! এটা বাস্তবিকই সত্য। আল্লাহ বলবেন, তাহলে তোমরা যে কুফর অবলম্বন করেছিলে তার বিনিময়ে শাস্তি ভোগ কর।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের সামনে পেশ করা হবে, সেদিন বলা হবে, এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, হঁ্যা আমাদের পালনকর্তার শপথ। আল্লাহ বলবেন, আযাব আস্বাদন কর। কারণ, তোমরা কুফরী করতে।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

যেদিন কাফিরদেরকে উপস্থিত করা হবে জাহান্নামের নিকট, সেদিন এদেরকে বলা হবে, ‘এটা কি সত্য নয় ?’ এরা বলবে, ‘আমাদের প্রতিপালকের শপথ ! এটা সত্য।’ তখন তাদেরকে বলা হবে, ‘শাস্তি আস্বাদন কর, কারণ তোমরা ছিলে সত্য প্রত্যাখ্যানকারী।’


মাওলানা জহুরুল হক

আর যারা অবিশ্বাস করেছে তাদের সেইদিন আগুনের নিকটে উপস্থিত করা হবে। "এইটি কি চরম-সত্য নয়?" তারা বলবে -- "হাঁ, আমাদের প্রভুর কসম?" তিনি বলবেন -- "তাহলে শাস্তিটা আস্বাদন কর, যেহেতু তোমরা অবিশ্বাস পোষণ করতে।"


৩৫


فَاصۡبِرۡ کَمَا صَبَرَ اُولُوا الۡعَزۡمِ مِنَ الرُّسُلِ وَلَا تَسۡتَعۡجِلۡ لَّہُمۡ ؕ  کَاَنَّہُمۡ یَوۡمَ یَرَوۡنَ مَا یُوۡعَدُوۡنَ ۙ  لَمۡ یَلۡبَثُوۡۤا اِلَّا سَاعَۃً مِّنۡ نَّہَارٍ ؕ  بَلٰغٌ ۚ  فَہَلۡ یُہۡلَکُ اِلَّا الۡقَوۡمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ٪


ফাসবির কামা-সাবারা ঊলুল ‘আঝমি মিনাররুছুলি ওয়ালা-তাছতা‘জিল লাহুম কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনা মা-ইঊ‘আদূ না লাম ইয়ালবাছূদ্ম ইল্লা-ছা-‘আতাম মিন নাহা-রিন বালা-গুন ফাহাল ইউহলাকুইল্লাল কাওমুল ফা-ছিকূন।


Mufti Taqi Usmani

So, (O prophet,) observe patience, as the resolute messengers observed patience, and be not in haste about them. The Day they will see what they are promised, (it will be) as if they did not stay (in the world) more than an hour in a single day. This is a message. So, none will be destroyed except the sinners.


মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং (হে রাসূল!) তুমি সবর অবলম্বন কর, যেমন সবর অবলম্বন করেছিল দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ এবং তুমি তাদের (অর্থাৎ কাফেরদের) বিষয়ে তাড়াহুড়া করো না। তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে, তা যে দিন তারা দেখবে, সে দিন (তাদের মনে হবে) তারা যেন (দুনিয়ায়) দিনের এক মুহূর্তের বেশি অবস্থান করেনি। ১৯ এটাই সেই বার্তা, যা পৌঁছিয়ে দেওয়া হল। অতঃপর ধ্বংস তো হবে কেবল এমন সব লোক, যারা অবাধ্য।


মাওলানা মুহিউদ্দিন খান

অতএব, আপনি সবর করুন, যেমন উচ্চ সাহসী পয়গম্বরগণ সবর করেছেন এবং ওদের বিষয়ে তড়িঘড়ি করবেন না। ওদেরকে যে বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হত, তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে যেন তারা দিনের এক মুহুর্তের বেশী পৃথিবীতে অবস্থান করেনি। এটা সুস্পষ্ট অবগতি। এখন তারাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, যারা পাপাচারী সম্প্রদায়।


ইসলামিক ফাউন্ডেশন

অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর যেমন ধৈর্য ধারণ করেছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ। তুমি এদের জন্যে ত্বরা কর না। এদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তা যেদিন এরা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন এদের মনে হবে, এরা যেন দিবসের এক দণ্ডের বেশি পৃথিবীতে অবস্থান করে নাই। এটা এক ঘোষণা, পাপাচারী সম্প্রদায়কেই ধ্বংস করা হবে।


মাওলানা জহুরুল হক

অতএব তুমি ধৈর্যধারণ করো যেমন ধৈর্যধারণ করেছিলেন রসূলগণের মধ্যে যাঁরা ছিলেন দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ, আর তাদের জন্য তাড়াহুড়ো করো না। তাদের যা ওয়াদা করা হয়েছিল তা যেদিন তারা দেখবে সেদিন তার যেন দিনমানের এক ঘড়ির বেশি অবস্থান করে নি। যথেষ্ট পৌঁছানো হয়েছে! সুতরাং সীমালংঘনকারী লোকদল ব্যতীত আর কাকেই বা বিধ্বংস করা হবে?


তাফসীরঃ

১৯. অর্থাৎ আখেরাতে কাফেরগণ যখন সেই শাস্তির সম্মুখীন হবে, যে সম্পর্কে তাদের বারবার সাবধান করা হয়েছিল, তখন তার বিভীষিকা দেখে তারা হতবিহ্বল হয়ে পড়বে এবং দুনিয়ার গোটা জীবন তাদের কাছে অতি সংক্ষিপ্ত মনে হবে, যেন তা এক দিনের ভগ্নাংশ মাত্র।

Post a Comment

0 Comments